নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বাজারে মাছের অনেক দাম।
একটা দেড় কেজি ওজনের চাষ করা রুই মাছ দাম পড়ছে ৬শ' টাকার উপরে। বাজারে সব চাষের মাছ, তবু খুব বেশী দাম। চাষ করা মাছ খেতেও মজা লাগে না। তুলনামূলকভাবে দেখা যাচ্ছে গরুর মাংসের চেয়ে চাষ করা মাছের দাম বেশী। চিংড়ী, টেংরা, শিং বা মিনি মাছ ৬ শ' টাকা কেজি। আর গরুর মাংস পাঁচ শ' টাকা কেজি। মানুষ খেয়েপরে বাঁচবে কিভাবে? ডিমের হালি ১১০ টাকা। বাজারে সব ফার্মের মুরগী। ওরা মূরগীকে হাবিজাবি খাওয়ায়। আজকাল তো দেশী মূরগী তো আজকাল পাওয়াই যায় না। আর পেলেও এক জোড়া দেশী মূরগীর দাম হবে কমপক্ষে ষোল শ' টাকা। বাজারে গেলে আমার তো দম বন্ধ হয়ে আসে।
দেশী মাছ খেতে মন চায়।
চাষ করা মাছ আর ভালো লাগে না। ফার্মের মূরগীও ভালো লাগে না। সরকারের এসব দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। শুধু রাস্তা, ব্রিজ আর রেল বানালে হবে না। ইদানিং ইলিশ মাছ খেয়েও আরাম পাওয়া যায় না। ইলিশ মাছেও গন্ডোগোল। মেয়ে (পরী) আর আমি বিরাট সমস্যায় পড়েছি। আমরা কোনো খাবার খেয়েই স্বাদ পাই না। নিশ্চয় এরকম সমস্যা শুধু আমাদের নয়। ঘরে ঘরে এই সমস্যা। এটা একটা বিরাট সমস্যা। সমাধান যে কি ভেবে পাই না। সেদিন আমরা ভাবলাম, অনেকদিন চাইনিজ খাই না। সবাই মিলে গেলাম চাইনীজ খেতে। অনেক খাবারের অর্ডার দিলাম। ঠিক স্বাদ পেলাম না।
দেশের আবহাওয়া গেছে নষ্ট হয়ে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চারিদিকে কুয়াশা। অনেক কুয়াশা। সকাল ৯টা না বাজতে বাজতে কুয়াশা গায়েব। শুরু হয় কড়া রোদ। প্রচন্ড রোদ। শরীরের চামড়া যেন পুড়ে যায়, জ্বলে যায়। সারা শরীর ঘামতে থাকে। এর মধ্যে কোনো কথা নেই, বার্তা নেই হুট করে শুরু হলো ধুলো ঝড়। রাতে শুরু হলো তুমুল বৃষ্টি। হায় হায় এরকম আবহাওয়া তো জীবনে দেখি নাই। আবহাওয়ার মতোন আচরন শুরু করেছে মানুষ। তারা দিনে এক রকম, রাতে আরেক রকম। সব মিলিয়ে ভয়াবহ অবস্থা। আসলে কেয়ামত খুব কাছে এসে পরেছে। এগুলো কেয়ামতের আলামত।
ঢাকা শহরের রিকশাওয়ালারাও পাগল হয়ে গেছে।
ত্রিশ টাকার ভাড়া চায় আশি টাকা। আশি টাকার ভাড়া চায় তিন শ' টাকা। মালিবাগ থেকে আমার বাসা পর্যন্ত রিকশা ভাড়া ১৫/২০ টাকা। হেঁটে আসলে আমার দশ মিনিট সময় লাগে। সেদিন মালিবাগ থেকে রিকশায় করে বাসায় ফিরলাম। ২০ টাকা ভাড়া হলেও আমি ত্রিশ টাকা দিলাম। ভাবলাম গরীব মানুষ। তাছাড়া রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট। রিকশাওয়ালা বলল, চোখ মুখ খিচিয়ে বলল- চল্লিশ টাকা দিতে হবে। আমি বললাম, চল্লিশ টাকা না তোমাকে এক শ' টাকা দিব। তুমি চোখ মুখ এরকম করে কথা বললে কেন? ভাড়া ২০ টাকা তোমাকে আগেই আমি দশ টাকা বেশী দিলাম, ত্রিশ টাকা দিলাম। তুমি নিজেও জানো ভাড়া ২০ টাকা। এখন তুমি ইচ্ছা করে বদমাইশী করছো। আমি শান্তভাবে বললাম, তুমি এভাবে বলো- স্যার ভাড়া ২০ টাকা কিন্তু আপনি আমাকে একটু বেশী টাকা দেন, আমি দরিদ্র মানুষ। আমি দিব। দিনে এক শ' টাকার উপরে সিগারেট খাই আমি। কিন্তু তুমি বাজে আচরন করেছো। এই জন্য তোমাকে ত্রিশ টাকাও দেওয়া উচিত না। তারপরেও অবশ্য আমি রিকশাওয়ালাকে ৫০ টাকাই দেই।
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১০
রাজীব নুর বলেছেন: মিথ্যা বলে লাভ কি?
এজন্য সত্য কথা বলি।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ঢাকা শহহরের আশেপাশে মাছ চাষে লেগে যান।
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১১
রাজীব নুর বলেছেন: মাছ চাষ কিভাবে করে জানি না।
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৬
কৃষ্ণ কমল দাস বলেছেন: ভাই আমি ৩০০ টাকা কেজি কিনছি রুই মাছ।
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১১
রাজীব নুর বলেছেন: আহা বেশ বেশ।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫২
মা.হাসান বলেছেন: আমি আলু খাই। আলুর ভর্তা, আলুর ডাল, এই সব। স্বপ্ন সুপার শপে আলু ৯ টাকা কেজি। আলু ভাজি খাই না, তেলতো আমাকে কেউ দেয় না।
ব্রিজ-ফ্লাইওভার-মেট্রোরেল সব হয়ে গেলে ২০৪১ সালের মধ্যে সব কিছুর দাম কমে ১০ম টাকা সের হয়ে যাবে, ততদিন একটু সহ্য করেন।
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ২০৪১ সাল পর্যন্ত বাঁচবো তো?
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ২০৪১ সাল পর্যন্ত বাঁচবো তো?
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মাছ চাষ কি তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে? কেউ যদি খেতে না তাহলে তো বিরাট সমস্যা। চাষীরা কি করবে?
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: চাষীরা খাল বিল, নদী নালা ইত্যাদি জায়গা থেকে মাছ ধরবে।
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:০০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কুয়ালালামপুরের পুদু পাসারে রুই মাছ কিনি ৭/৮ রিঙ্গিত করে কেজি। দেশের মানুষের টাকা আছে বুঝা যায়।
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের মানুষের কাছে টাকা নেই। কিন্তু খেয়ে বাচতে তো হবে। দেশে অল্প কিছু মানূষের কছে অনেক টাকা আছে। অনেক।
৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:০১
মা.হাসান বলেছেন: পরির এত বড় ভাই কোথা থেকে আসলো? কবে আসলো?
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: পরীর চাচার ছেলে।
৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: লেখা নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই । মা হাসান ভাইয়ের প্রথম কমেন্টটি মনে ধরেছে হা হা হা হা হা ।
দুই ভাই বোনকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো ।
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন।
৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৩৬
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কতদিন পর পরীকে দেখলাম।
কেমন আছে ও?
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহর রহমতে ভালো আছে।
১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১৫
সোহানী বলেছেন: এইগুলা কেয়ামতের লক্ষন নয় ভাইজান এইগুলা এক ফোঁটা রাষ্ট্রের কোটি কোটি মানুষের বসবাসের ফল, দূর্নীতির ফল, বিচার হীনতার ফল................। আর নাই বা বলি!
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১১
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন বোন।
১১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: সত্যি ডিমের হালি এখন ১১০ টাকা? বছর তিনেক আগে দেশে থাকতে ৩২ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম মনে হয় !!!
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী ১১০ টাকা।
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ১১০ টাকা ডজন।
১২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫
সায়ন্তন রফিক বলেছেন: ঢাকা শহরের বর্তমান অবস্থার আংশিক হলেও সহজ প্রকাশ।
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪
তীর্থক বলেছেন: ফিসিওলজী নামে ফেসবুকে একটা গ্রুপ আছে, যতদূর জানি ভালো স্বাদের মাছ বিক্রি করে। ট্রাই করে দেখতে পারেন।
আপনার লেখার একটা জিনিস ভালো লেগেছে। আপনি সরকারকে অনেক পজিটিভ ওয়েতে কি করা উচিৎ সাজেষ্ট করেছেন। আমি সরকারের কার্যকলাপে এতই বিরক্ত যে সরকার যা কিছু করে তা ই খারাপ লাগে।
যা হোক, ধন্যবাদ!
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকুন।
১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: চাষীরা খাল বিল, নদী নালা ইত্যাদি জায়গা থেকে মাছ ধরবে।
ভাই সাহেব, আপনি মাঝে মাঝে ভুলে যান বাংলাদেশের আয়তন ৫৬ হাজার বর্গমাইল। এবং এখানে মাত্র ১৮ কোটি মানুষ গিজ গিজ করে বসবাস করেন।
লেখক বলেছেন: চাষীরা খাল বিল, নদী নালা ইত্যাদি জায়গা কই পাবে যে মাছ ধরবে? তার চেয়ে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলুন। মৎস বিজ্ঞানীদেরকে বলুন যাতে চাষের মাছেও স্বাদ পাওয়া যায় সেই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে।
আমি নিশ্চিত বলতে পারি- বাংলাদেশের লোকসংখ্যা ৩ কোটি হলে আপনি খাল বিলে নেমে গোসল করতে পারতেন না। আপনাকে মাছে কামড়াতো।
মালয়েশিয়া আয়তনে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে তিনগুণ। আর লোকসংখ্যা প্রায় সোয়া তিন কোটির সামান্য বেশী। তারা কাজ করার জন্য ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশ থেকে না নিলে ( অনেকে আবার অবৈধভাবে থাকে) দেশে তো রীতিমতো হাহাকার পড়ে যেত।
২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে একবার বলেছি জনসংখ্যা অভিশাপ নয়, আর্শীবাদ।
১৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: চাষীরা খাল বিল, নদী নালা ইত্যাদি জায়গা থেকে মাছ ধরবে।
ভাই সাহেব, আপনি মাঝে মাঝে ভুলে যান বাংলাদেশের আয়তন ৫৬ হাজার বর্গমাইল। এবং এখানে মাত্র ১৮ কোটি মানুষ গিজ গিজ করে বসবাস করেন।
চাষীরা খাল বিল, নদী নালা ইত্যাদি জায়গা কই পাবে যে মাছ ধরবে?
তার চেয়ে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলুন। মৎস বিজ্ঞানীদেরকে বলুন যাতে চাষের মাছেও স্বাদ পাওয়া যায় সেই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে।
আমি নিশ্চিত বলতে পারি- বাংলাদেশের লোকসংখ্যা ৩ কোটি হলে আপনি খাল বিলে নেমে গোসল করতে পারতেন না। আপনাকে মাছে কামড়াতো।
মালয়েশিয়া আয়তনে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে তিনগুণ। আর লোকসংখ্যা প্রায় সোয়া তিন কোটির সামান্য বেশী। তারা কাজ করার জন্য ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশ থেকে না নিলে ( অনেকে আবার অবৈধভাবে থাকে) দেশে তো রীতিমতো হাহাকার পড়ে যেত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৩৬
জুন বলেছেন: নিদারুন সত্য কথা বলেছেন রাজীব নুর
+