নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ঢাকা শহরের মানুষ গুলো বড্ড নিষ্ঠুর।
ঘরের ভেতর তারা ভালোই থাকে। বেশ সামাজিক কিন্তু বাইরে বের হলেই এক একজন অমানুষ হয়ে উঠে। হিংস্র আর অমানবিক হয়ে উঠে। কেউ কোনো নিয়ম মানতে চায় না। এমন অসভ্য আর নির্বোধ মানুষ বোধহয় অন্য কোনো দেশে নেই। আমি দেখতে-দেখতে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত। আমার ইচ্ছা করে তাদের ধরে-ধরে পিঠাই। পিটিয়ে পিটিয়ে তাদের ঠিক করি। কথা বলে এদের ঠিক করা যাবে না। মাইর ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
এই শহরে সীমাহীন রাগ, হতাশা আর কষ্ট নিয়ে জীবনটা পার করে দিচ্ছি। কখনও কখনও দম বন্ধ হয়ে আসে। নিঃশ্বাস নিতে পারি না। আমি না-হয় কষ্ট করে জীবনটা পার করে দিলাম। কিন্তু ভবিষ্যত প্রজন্ম কি করবে? এদের কথা কি কেউ ভাববে না? তাদের কথা মাথায় রেখে শহরটা কি সুন্দর করা যায় না? এক এলাকায় ৫/৭ টা মসজিদ অথচ একটা লাইব্রেরী নেই। যখন আযান শুরু হয় সব গুলো মদজিদের আযান একসাথে শুরু হয়। কোনো মসজিদ এর আযান স্পষ্ট শোনা যায় না। পুলিশ যদি চাঁদাবাজি বন্ধ করতো তাহলে প্রতিটা ফুটপাত দখলমুক্ত থাকতো। আজকাল শহরের প্রতিটা গলির ভিতরেও মাছ আর সব্জির একাধিক দোকান। এদের কাছ থেকে পুলিশ এসে টাকা নিয়ে যায়। পুলিশরা টাকা না দিলে তারা রাস্তায় দোকানও বসাতো না। তাহলে এসব চিপা গলির মধ্যে সারাদিন গিট্রুও লাগতো না। মানুষ এবং যানবাহন চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হতো না।
১।
দুপুরবেলা হেঁটে যাচ্ছি দৈনিক বাংলার দিকে তখন দেখি গাছটা পুরো লাল হয়ে আছে। দেখে ভালো লাগলো। গাছটা পুরো গলির চেহারা বদলে দিয়েছে। সারা শহর জুড়ে এরকম বহু গাছ লাগানো দরকার। এই দায়িত্ব কে নিবে?
২।
সেদিন এক অফিসে দেখি একুরিয়ামে বিরাট দু'টা মাছ। মনের সুখে খুব লাফালাফি করছে। মাছ দু'টা কিন্তু অনেক বড়। ছবিতে বুঝা যাচ্ছে না। অনেক আগে আমার একুরিয়াম ছিল। অনেক দিকদারি তাই ফেলে দিয়েছি।
৩।
চার জন মিলে গতকাল এক রেস্টুরেন্টে ইফতারী করলাম। অতি সামান্য খাবার, স্বাদও ভালো না অথচ বিল তেইশ শ' টাকা। ভ্যাট দিতে হলো তিন শ' টাকার কিছু বেশি। এই ভ্যাট কি সরকার পাবে?
৪।
এগুলোকে আমাদের অঞ্চলে বলে সড়া। ভাতের পাতিলের সড়া। রেস্টুরেন্টে এগুলো দিয়েই সাজিয়েছে। আইডিয়া মন্দ নয়।
৫।
বাসে নামবো বনানী কাকলী'তে। বাসওয়ালা আমার সাথে ঝগড়া করে জোর করে নামিয়ে দিল বিশ্বরোড। শেষে মন খারাপ করে ব্রীজের উপর এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। যে কাজে এসেছিলাম, সে কাজ হলো না। ব্যাড লাক।
৬।
মতিঝিলে এক অফিসে গিয়ে দেখি তিন তলায় সাইকেল গুলো। সাইকেলে করে অফিসে আসা মন্দ নয়। বাইকের চেয়ে অনেক ভালো। আমার নিজের'ই একটা সাইকেল কেনার ইচ্ছা আছে।
৭।
ফলের দোকান গুলোতে ফল সাজিয়ে রাখে। দেখতে ভালোও লাগে। একই ফল কোথায় ৩০০ টাকা কেজি। কোথাও ৫০০ টাকা কেজি। আজিব!!
৮।
মালিবাগ ফ্লাইওভারের নিচে একগাধা ময়লা ফেলে রেখেছে। অথচ এটা ময়লা ফেলার জায়গা নয়। প্রতিদিন বাস এখানে এসেই থামে। জানালা দিয়ে ভুরভুর করে ময়লার গন্ধ এসে ঢুকে। সাঈদ খোকন সাহেব কি এটা জানেন?
৯।
ছাদে এখন এ কয়টা আম টিকে আছে। অজস্র মুকুল হয়েছিল। শেষমেষ ঝড়-তুফানে পড়ে গিয়ে এ কটাই আছে। আমি নিত্মিত পানি দেই, যত্ন করি। কিন্তু জানি পাশের বাড়ির ছাদ থেকে এসে বাকি ক'টা আমিও চুরী করে নিয়ে যাবে।
১০।
হাউজ বিল্ডিং গিয়েছি। লিফট আর আসে না। হুটহাট নষ্ট হয়ে যায় লিফট। একপাশের দরজা খুলে তো অন্যপাশের দরজা খুলে না। ভয়াবহ অবস্থা। আর আমি জিদ ধরেছি লিফট ছাড়া নামবো না। এদিকে লিফটও আসে না। তখন অপেক্ষা করছি। আর এই ছবিটা তুলেছি। অথচ এই বিল্ডিং এ একটা লিফট আছে খুব ভালো। ওটা দিয়ে বড় স্যাররা চলাচল করেম।
১১।
রুপসী বাংলা হোটেলের সামনে। থুক্কু রুপসী বাংলা নয় ইন্টার কন্টিনাল। ঢাকা ব্যাংক এটা করে দিয়েছি। বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলোর উচির সারা শহরে এরকম ভাস্কর্য করা এবং অবশ্যই প্রচুর গাছ লাগানো।
১২।
মতিঝিল। অফিস পাড়ায় গিয়ে-গিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখি। ওই যে দূরে বলাকা দেখা যাচ্ছে।
১৩।
এই লোক বাস জ্যামে পড়লেই বাসে উঠে ভিক্ষা করে। তার এক পা নেই সম্ভবত। উনি আগে অটোরিকশা চালাতেন। একসিডেন্টে উনি আহত হন। এরপর ভিক্ষার জীবন বেছে নেন।
১৪।
ঠিক মগবাজার মোড়ে ফুটপাতে এই চায়ের দোকান। মাথার উপরে ফ্যান। বিদ্যুৎ পেলে কোথা থেকে? দোকানদার বলে রমজান মাসে বেচা-কেনা কম অথচ পুলিশ বেশি টাকা দাবী করে।
১৫।
সিটি করপোরেশন থেকে রাস্তায় পানি দিচ্ছে। পথে থাকা মানুষদের যেন ধুলোবালিতে কোনো সমস্যা না হয়। এতে খুব উপকার হয় না। এর চেয়ে ভালো হতো যদি পুরো রাস্তা ঝাড়ু দেওয়ার পর যদি দিনের পর দিন ধুলো-ময়লা গুলো এক কোনায় জমিয়ে না রেখে সাথে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
১৬।
খিলগা তালতলা। এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে দেখলাম কেউ কিনছে না। বিক্রেতা মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে। শেষে আমি নিজেই দু'টা কিনে বাড়ি ফিরলাম।
২৫ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরী।
২| ২৫ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬
কালো যাদুকর বলেছেন: আপনার ছবি গল্পের কালেকশন সব সময়ই ভাল লাগে। সব থেকে ভাল লাগল লাল ফুলের গাছটা। নাম কি? পলাশ, না শিমুল?
২৫ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: শিমুল।
৩| ২৫ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর ছবি পোস্ট
২৫ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৪| ২৫ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কেবল ঢাকা শহরের নয় সারা দেশের মানুষই এখন নিষ্ঠুর । কারো মাঝে আর দয়া মায়া নেই ।
একটাই নীতিঃ ধর, মার , কাট, খা!
২৫ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা----
৫| ২৫ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬
সাকলায়েন শামিম বলেছেন: প্রতিটি ছবি ভালো হয়েছে তার সাথে ছবিগুলোর ছোট ছোট গল্পগুলো ।
আপনার লেখার হাত আছে বলতে হবে ।
২৫ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ শামিম ভাই।
ভালো থাকুন।
৬| ২৬ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৪২
জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ সুন্দর ছবি ও কথা--
আমাদের দৈনদন্দিনের ঢাকা দেখলাম আপনার ক্যামেরায়
২৬ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: মোবাইল দিয়ে তুলেছি।
৭| ২৬ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৩৫
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: প্রত্যেকটা ছবির ভিন্ন ভিন্ন গল্প।
২৬ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী। অবশ্যই।
৮| ২৬ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পাশের বাসার ছাদ থেকে যারা এসে আম চুরি করে নিয়ে যাবে তারা তাদের বাসায় ছাদে আমের চাষ করলেই তো পারে। চুরি চামারি ছিনতাই কোন ভালো কাজ নয়।
৯| ২৬ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একদিন এসে তাদের বুঝিয়ে বলে দিয়ে যান।
১০| ০২ রা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬
তাসনুভা রায়া বলেছেন: এই শহরে সীমাহীন রাগ, হতাশা আর কষ্ট নিয়ে জীবনটা পার করে দিচ্ছি। কখনও কখনও দম বন্ধ হয়ে আসে। নিঃশ্বাস নিতে পারি না।
+++
০২ রা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪
নীলপরি বলেছেন: প্রতিটা ছবি ও তার সাথের লেখাগুলো ভালো লাগলো ।
শুভকামনা