নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
দুই হাজার সালের পর থেকেই বাংলাদেশে লেখা পড়ার মান খুব বেশি খারাপ হতে শুরু করে। এবং তা আজও অব্যহাত আছে। একটা অনার্স, মাস্টার্স পাশ করা ছেলে বা মেয়ে পর্যন্ত একটা ইংরেজীতে দরখাস্ত লিখতে পারে না। পারলেও এক শ' টা বানান ভুল করে। ছেলে মেয়ে গুলো গর্বের সাথে বলে আমি অমুক ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করেছি, হেন করেছি, তেন করেছি। গ্রাম থেকে যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা পাশ করে ঢাকা আসে তাদের অবস্থা আরও বেশি খারাপ। খোঁজামিল দিয়ে তারা লেখাপড়া শেষ করে, কর্ম জীবনে এসে বিরাট সমস্যায় পড়েন। এবং প্রতিষ্ঠানকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাদের উচ্চারন ঠিক না। আমি বহু শিক্ষিত ছেলে মেয়েকে দেখেছি, পাসওয়ার্ড কে বলে পাচওয়াড, সাংবাদিককে বলে সামবাদিক, এক্সটা কে এসটা। বর্তমানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন তার একটা উদারহরন দেই-
এক নির্বোধ লোক কুইজ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, প্রশ্নটা কী ছিল?
সে বললো, প্রশ্ন ছিল গরুর পা কয়টি, আর সে উত্তর করেছিল ৫ টি।
বাকি প্রতিযোগীরা কেউ উত্তর দিয়েছিল ৬ টি, কেউ ৭ টি, তার টা কাছাকাছি হওয়াতে তাকেই চ্যাম্পিয়ন করা হলো। যেমন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, এর থেকে আর ভালো আর কী আশা করেন আপনি?
শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা খারাপ, কিন্তু এর দায়ভার তো নিশ্চয়ই ছাত্রছাত্রীদের না। দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা দিন দিন যে কতটা অবনতি হচ্ছে, সেটা দেখার জন্য এযুগের কিছু শিক্ষার্থীর সাথে আপনি কথা বললেই বুঝতে পারবেন। স্মার্টফোন হাতে পেয়ে অনেক স্মার্ট হয়ে গেছে কিন্তু জ্ঞানী হয়নি। তারা খুব সহজে আপলোড, ডাউনলোডের ব্যাপারগুলো বোঝে কিন্ত তাদের কাছে পিথাগোরাসের উপপাদ্য যেমন জটিল ছিল তেমন জটিলই রয়ে গেছে। তাদের কাছ থেকে যদি স্মার্টফোন কেড়ে নেওয়া হয় এবং সমস্ত টেকনলজি থেকে দূরে সরিয়ে আমাজন জঙ্গলে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়- তাহলে মনে হয় না তারা বানরের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমত্বার পরিচয় দেবে।
অনেকের কাছ থেকে স্মার্টফোন কেড়ে নেওয়াটা যেন কোমায় যাওয়া রোগির শরীর থেকে লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলার মত। আর্কিমিডিস বা পিথাগোরাসের সময় পৃথিবীটা ছিল অনুন্নত এবং বোকা, মানুষগুলো ছিল বুদ্ধিমান। এখন ইন্টারনেটের যুগে যা বেড়েছে তা হল কালেকশান অব ইনফরমেশান। এভাবে তথ্য প্রযুক্তির কল্যানে পৃথিবিটা হয়ে গেছে মানুষের চেয়ে বুদ্ধিমান। মানুষগুলো এখন টেকনলোজির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভের সাগরে নিমজ্জিত আপাত স্মার্ট অথচ বোকা প্রানী। যখন ডাটা অনেক বেশি তখন প্রসেসর বেশি ইন্টেলিজেন্ট না হলেও চলে। স্মার্টফোন ছাড়া একজন মানুষ যেন এখন অসম্পুর্ন।
একবার এক ছাত্রকে পড়া জিজ্ঞেস করা হলে সে পারলো না। শিক্ষক বললেন. ''গাধা, তোদের বয়সে আমরা এগুলো সব পারতাম!'' ছাত্র উত্তর করলো, ''পারবেনই তো, আপনাদের তো ভালো ভালো শিক্ষকরা পড়াত!''
আইনস্টাইন সম্পর্কে একটা কথা প্রচলিত আছে আর সেটা হলো, উনি নাকি নিজের ফোন নাম্বার, হোম এড্রেস কিছুই মনে রাখতে পারতেন না! কেন প্রশ্ন করলে তিনি সবসময়ই বলতেন যে জিনিসটা আরেকজনকে জিজ্ঞেস করলেই সহজে জেনে নেওয়া জানা যায় সেটা মনে রাখার দরকার কি?
আমার মেয়ে ঢাকার সব থেকে ভাল একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে। গ্রাভিটি কি? E=mc² কি? সে বলতে পারবে। আমি আমার সাবেক অফিসের কলিগকে জিজ্ঞেস করেছিলাম- গ্রাভিটি কি? E=mc² কি? মনে হলো তারা এরকম প্রশ্ন জীবনে শুনেনি। অথচ তারা মাস্টার্স পাশ। একজন বিবিএ, এমবিএ করা। সব ধরনের মানুষই এক রকমের মেধা নিয়ে জন্মায় না, সেটা আমি বুঝি। আমার বিশ্বাস আজ ছাত্রদের যে অবস্থা, সরকারী স্কুলের শিক্ষকদের সাক্ষাতকার নিলে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হবে।
এক শিক্ষক আমাদের ক্লাশে প্রতিদিন বলতেন- প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে বাবা'রা। প্রচুর। অন্য কোনো বিকল্প পথ নেই। কাজেই, বাবা'রা লাইনে থাকিস।
৩১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
২| ৩১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার লেখা....
স্মার্ট নামেই কাজে নয়। স্মার্টফোন ব্যবহার করলেই মানুষ স্মার্ট হয় না।
শিক্ষা ব্যবস্থার কথা আর কি বলবো। দশ টাকায় খাওয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা !
৩১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১০
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
৩| ৩১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩
রাকু হাসান বলেছেন:
শুনলাম বই পুস্তকের ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার । কাজ শেষ হবে আগামী বছরে । বইয়ের সংখ্যাাও নাকি কমতে পারে। দেখা যাক মনি যুগে কিছু পাই । আপনি ভালো লিখছেন।
৩১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১০
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা নিরন্তর।
৪| ৩১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
শিক্ষা ব্যবস্হা ব্যাপক বড় বিষয়; ইহার প্রথম ধাপ হলো, সবার জন্য শিক্ষা; সেটার কথা আপনি বলেননি, শেখ সাহেব বলেননি, শেখ হাসিনা বলেননি, আমাদের শিক্ষকেরা বলেনি।
৩১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষা সবার জন্য না।
শিক্ষা শুধু পয়সাওয়ালাদের জন্য।
একটা প্রাইমারী স্কুলেও অনেক খরচ। একজন রিকশা চালক, বা একজন ফুটপাতের দোকানদার কিভাবে তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন?
৫| ৩১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাপরে! ভাইয়ের হঠাৎ করে এত গুরুগম্ভীর পোস্ট। আমিতো প্রথমে ভেবেছিলাম গতকালের গল্পের পরবর্তী অংশটি। যাক লেখাটা খুবই ভালো হয়েছে। এই লেখার সূত্র ধরেই বলি, গত কয়েকদিন আগে ভারতে মোদিজীর বিপুল ভোটে জয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এক ব্লগারকে পোস্ট দিতে দেখলাম প্রতিমন্তব্যে হিংগ্রেজি,বাংগ্রেজি, সহ পটি করে ছয়লাপ করে ফেলেছেন।@পাঠকের প্রতিক্রিয়াকে বলতে দেখলাম উনাকে বিশুদ্ধ বাংলায় একটি রচনা লেখার পরামর্শ দিতে। ব্লগিংটা যারা করেন তারা একটু লেখাপড়া জানেন বলেই আমার বিশ্বাস ছিল। সেদিন মোদিজীর ভক্তের পোস্টটি থেকে আমার সে বিষয়টি একেবারেই উবে গেছে।
৩১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগিং করতে গেলেও প্রচুর পড়তে হয়, প্রচুর লিখতে হয়। লেখাপড়া জানতে হয়।
৬| ৩১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২
নীলপরি বলেছেন: ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন ।
শুভকামনা
৩১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ৩১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: যুক্তিসংগত কথা বলেছেন,সাথে বাস্তবতার মিশেল। এভাবে তথ্য প্রযুক্তির কল্যানে( পৃথিবিটা )হয়ে গেছে এখানে পৃথিবীটা হবে।
৩১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৮| ৩১ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:১৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন।
৩১ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: দোয়া করবেন।
৯| ০১ লা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩
টারজান০০০০৭ বলেছেন: বাবার বাবারা লাইনচ্যুত হইয়াছিলেন বলিয়া বাবারা আর লাইনে নাই !
উহাদের লাইনে আনিতে হইলে লাইনে আছে এমন বাবাদেরই শিক্ষাক্ষেত্রে আনিতে হইবে ! পরিমল, সিরাজদের লাথ্যাইয়া বাহির না করিলে বাবারা লাইনে আসিলেও থাকিবে না !
০১ লা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী।
১০| ০১ লা জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬
জাহিদ অনিক বলেছেন:
লাইনে থাকিস--------- ভালো উপদেশ
০১ লা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।
১১| ০১ লা জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর লেখা
ভাল লেগেছে ভাইয়া +
০১ লা জুন, ২০১৯ রাত ৮:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।
১২| ০১ লা জুন, ২০১৯ রাত ৮:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাবারা তোমরা কি লাইনে আছ?
০২ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: সবাইকেই লাইনে আসবে হবে।
১৩| ০৩ রা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেলো , আমাদের দেশটা যে কবে একটি মানবিক দেশ হবে কে জানে !!!ল সমস্যার গোড়া হচ্ছে আমাদের দেশে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ হয়ে গেছে , বিভিন্ন বিষয়কে বাজারি বিষয়ে পরিণত করে ফেলা হয়েছে , স্টুডেন্টদের আজ আর শেখার জন্য , জানার জন্য পড়েনা , প্রাইভেট ভার্সিটির অবস্থা আরো বেশি ভয়াবহ , ইটা তো সবে শুরুর দিকেই দেখলেন , বিগত বছরগুলোতে যেভাবে প্রশ্নফাঁস হয়ে একটা প্রশ্নফাঁস জেনারেশান তৈরী হয়েছে , এই জেনারেশান যখন পড়াশুনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে আসবে তখন অনুধাবন করতে পারবেন পরিস্থিতি আসলে কতটা ভয়ঙ্কর !!!
০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ৯:১০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো মন্তব্য করার জন্য।
১৪| ০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: বেশ জ্ঞানগর্ভ পোস্ট। আমার গণিতবিষয়ক সরল পোস্ট "আল জাবর ওয়া আল মুকাবাল"তে আপনার মন্তব্যটি ছিল:
১. ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৭ ০
রাজীব নুর বলেছেন: মাথায় কিচ্ছু ঢুকে না।
আগে যে শিখে ছিলাম সব ভুলে গেছি।
দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের অবস্থা তাহলে রাজীব নুরের মতো, ভুলে গিয়ে গর্ব বোধ করবে, তবু চেষ্টা করবে না।
০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ৯:১১
রাজীব নুর বলেছেন: কি বলব???
কিচ্ছু বলার নেই।
ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাবারা এখন আর লাইনে নাই, বেলাইনে চলে গিয়েছে।
লেখাটা চমৎকার হয়েছে।