নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার পথ পথে- ১০ (ছবি ব্লগ)

০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:০৩



ঢাকা শহরের প্রতি আমার অনেক রাগ।
অথচ এই শহর ছেড়ে কোথাও গেলে দুই দিনের বেশি থাকতে ভালো লাগে না। শহরে ফেরার জন্য অস্থির হয়ে থাকি। শহরে অনেক অসুবিধার মধ্যেও কিছু সুবিধা আছে- তা অস্বীকার করা যায় না।। বাড়ির কাছেই হাসপাতাল, দোকানপাট, শপিং মল, ফার্মেসী, বাজার। গ্রামে এই সুবিধা নেই। কেউ অসুস্থ হলে হুট করে হাসপাতালে আনা যায় না। অনেক দিকদারি। কাঁচা রাস্তা, রিকশা বা গাড়ি পেতে হলে বাজার পর্যন্ত যেতে হয়। এতক্ষনে রোগীর অবস্থা কাহিল। গ্রামে কোনো কিছু কিনতে হলেও বাজারে যেতে হয়। ঢাকা শহরে প্রতিটা অলিতে-গলিতে দোকান পাট থাকবেই। তবে ঢাকা শহরে খুব একসিডেন্ট হয়। গ্রামে হয় না। আবার গ্রামে টাটকা শাকসবজি পাওয়া যায়। গরুর দুধ পাওয়া যায়। শহরে খাঁটি দুধ পাওয়া যায় না। পানি মেশায় অথবা গুড়ো দুধ পানিতে মিশিয়ে বলে দেশী গরুর দুধ। তবে গ্রাম থেকে শহর সব দিক থেকেই এগিয়ে আছে। এই জন্যই তো শহরে এত লোকের বাস। এই শহরে আমি ঘুরে বেড়াই। পকেটে মোবাইল থাকে, কোনো কিছু ভালো লাগলে ছবি তুলে নিই।

১।
ঢাকাইয়া ভাষায় আমরুজ বলুন আর সাদা জাম বলুন, আপনাকে স্বীকার করতেই হবে, জামরুলের মতো নিরীহ-সাধাসিধে ফল খুব কমই আছে। ক্রান্তীয় অঞ্চলের ফল জামরুল। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডে প্রচুর জামরুল হয়।

২।
'দারিদ্র' এই ছেলেকে মহান করে নি। করেছে কলা বিক্রেতা। অথচ এই ছেলের এখন স্কুলে যাওয়ার কথা। হেসে খেলে বড় হওয়ার কথা। এই সমাজে এ রকম ছেলের সংখ্যা প্রচুর।

৩।
ঈদের কয়েকটা দিন শহরটা বেশ ফাঁকা ফাঁকা থাকে। তারপর আবার আগের মতোন অবস্থা।

৪।
প্রেস। এখানে দৈনিক পত্রিকা ছাপানো হয়। সারারাত প্রেসে কাজ হয়। সকালে সারা দেশে পত্রিকা ছড়িয়ে যায়। এটা 'যায় যায় দিন' পত্রিকার নিজস্ব প্রেস। অবশ্য এই প্রেস থেকে অনেক পত্রিকা, ম্যাগাজিন ছাপানো হয়।

৫।
রাস্তার মোড়ে এক খাম্বার এই অবস্থা। পুরো ঢাকা শহরেই এই রকম বহু খাম্বা আছে। সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নেয় না কেন? কেন? তারা কি এই সব দেখে না? আগামী নির্বাচনের সময় তারা কি বলবে?

৬।
রাস্তার পাশে এক চায়ের দোকানে। অসংখ্য মানুষ এখানে কলা রুটি খায়। প্রতি পিস কলা দশ টাকা করে।

৭।
আকাশ ভরা মেঘ। রাস্তা ফাঁকা। ঈদের আমেজ।

৮।
না কোনো গাড়ি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়নি রিকশাটিকে। হঠাত রিকশার ডান পাশের চাকা ভেঙ্গে যায়। একজন যাত্রী ছিল। সে অবশ্যই ব্যথা পেয়েছে।

৯।
ঢাকা শহর একেবারে বৃক্ষহীণ নয়। কিছু গাছপালা আছে। গাছপালা দিয়ে ঢাকা মন্ত্রীপাড়া।

১০।
মাটি নয়, ইট পাথরেও প্রান প্রতিষ্ঠা হয়।

১১।
ওই যে রাস্তার ওই পাড়ে ধানমন্ডি। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। ৩২ নম্বর।

১২।
আমাদের বাসার কাছেই তিন হাত সমান এই মাংসের দোকান। সারাদিন তারা পাগলের মতো মাংস বিক্রি করে। ঈদের সময় তারা পুরো ফুটপাত দখল করে মাংস বিক্রি করে। লোকজন লম্বা লাইন ধরে মাংস কিনে। এই মাংসের দোকানের মালিক এখন বহু টাকার মালিক। সে পেছনে একটা পাঁচ তলা বিল্ডিং কিনে নিয়েছে। একতলা দুইতলা ফানির্চারের ব্যবসা শুরু করেছে। এই লোক মাংস কিনতে আসা মানুষকে ঠকায়। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখি। ঈদের দুই দিন আগে বিশটা গরু এনেছে। বিশ টাই বিক্রি হয়েছে। ব্যস্ত রাস্তা। ব্যস্ত ফুটপাত। অথচ রাস্তার মধ্যেই গরু জবো করে। কাটে, বিক্রি করে। পাশের বাচ্চাদের কোচিং সেন্টার।

১৩।
তেজগা, লিং রোড। ঈদের চার দিন আগে। প্রচন্ড রোদ। চামড়া পুড়ে যাচ্ছে গরমে এমন অবস্থা। আমার পুরো শরীর ঘামে ভেজা। বাচ্চারা এক বিল্ডিং এর সামনে চৌবাচ্চায় লাফাচ্ছে। আমারও ইচ্ছা করছিল ওদের মতো করে লাফাই।

১৪।
মগবাজার, ওয়ারলেস। ইফতারীর কিছুক্ষন আগে। আমি হেঁটে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলাম।

১৫।
রাস্তায় ভ্যানে করে কাঁচের জিনিসপত্র বিক্রি করছে। পুলিশ দাবড়ানি দিলে, ভ্যান চালিয়ে বিক্রেতা গান গাইতে গাইতে অন্যত্র চলে যায়।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:২৪

মা.হাসান বলেছেন: পরীর হাসিখুশি ছবি দেখে মনটা খুব ভাল হয়ে গেল। এই হাসি চিরকাল অমলিন থাক। ছবিগুলোর অনেক গুলো খুব ভালো, কয়েকটা দেখে ভয় পেয়েছি। মন্ত্রিপাড়ায় উঁচুতলার বিল্ডিং থেকে যিনি ছবি তুলতে পারেন তার ব্লগে মন্তব্য একটু সাবধানে করা দরকার। যায় যায় দিন পত্রিকা এখনো টিকে আছে শুনে অবাক হলাম। কেমিক্যাল এর কারণে বহু বছর কলা খাইনা। ১৫ নম্বরে ভ্যানওয়ালা কি বোকা নাকি? পুলিশের বাঁধা রেট ঢাকা শহরে ৩০ টাকা, দিয়ে দিলেই মিটে যায়। । পরীকে, সুরভি আপাকে অার আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা। ছবি গুলোর জন্য পোস্টে প্লাস।

০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো মন্তব্য করার জন্য।

২| ০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই শহরেই বাংলার রাজা ও উজিরেরা বসবাস করে।

০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই শহরে দরিদ্র মানুষদের কষ্টের শেষ নেই। রাজা, উজিরেরা ভালো আছে।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:২৬

বলেছেন: ১০ নাং ছবিতে ১০/১০

০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ।

***ঈদ মোবারক ।**

দারিদ্র্য কাউকে ই মহান করে না।

০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: হুম। দারিদ্র মানুষকে চোর বানায়।
কাজী নজরুল ভুল বলে গেছেন।

৫| ০৮ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঢাকা শহরের প্রতি আমার আবেগ খুবই কম। খুব কম সময়ই এই শহরে বসবাস করেছিলাম। এমন নোংরা আর ঘিঞ্জি শহর টাকে ভালো লাগে না।

০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: তারপরও নিজের দেশ তো। তি এতটা নিষ্ঠুর হবে না।

৬| ০৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর ছবি ব্লগ

০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।

৭| ০৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:১১

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার সাথে ঢাকা ভ্রমণ।

০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ০৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

গরল বলেছেন: ইদের শুভেচ্ছা রইল।

০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ঈদ শেষ। অফিস আদালতও খুলে গেছে।

৯| ০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ! খুব সুন্দর ছবিগুলো। সঙ্গে ক্যাপশন গুলি পড়ে ভালো লাগলো। ‌++

শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে। ‌

০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।

১০| ০৯ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৩৩

নজসু বলেছেন:



সত্যি ১০ নম্বর ছবিটা যেন কথা বলছে।
পরী মাকে সুন্দর লাগছে।

০৯ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১১| ১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:১৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর সব ছবিগুলো। পরিকেও সুন্দর লাগলে।

১৬ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৭:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.