নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
উইকিপিডিয়া'তে লেখা আছে- ''পিশাচ একধরনের রূপকথার দানব যে মানুষের মৃতদেহ ভক্ষণ করে। এই প্রাণী কবরের মধ্যে বাস করে বলে মনে করা হয়।'' আমি একজন পিশাচ। কিন্তু কেউ দেখে বুঝতে পারবে না। সবাই মনে করে- আমি একজন আধুনিক সহজ সরল মানুষ। মানব সমাজে বাস করার এই এক মজা। তারা উপরের চাকচিক্য দেখেই- বাহবা দেয়। যাই হোক, আমি আগে পিশাচ ছিলাম না। খুব সাধারণ জীবন-যাপন করতাম। সেই জীবনে কোনো আনন্দ ছিল না। রোমাঞ্চ ছিল না। পিশাচ হওয়ার পর হঠাত জীবন হয়ে গেল দারুন আনন্দময়। এক আকাশ সমান সাহস বেড়ে গেল। আগে রাত্রিবেলা বাথরুমে যেতেও ভয় পেতাম। আর এখন মধ্যরাতে কবরস্থানে বসে থাকলেও ভয় লাগে না।
এখন আমি নিয়মিত জলজ্যান্ত মানুষের রক্ত খাই। যেদিন রক্ত ব্যবস্থা করতে পারি না- সেদিন হাসপাতাল থেকে দুই ব্যাগ রক্ত কিনে নিয়ে আসি। মাসে একবার রক্ত দিয়ে গোছল করি। মানুষের রক্ত অনেক গরম থাকে- তাই রক্ত ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিতে হয়। আমার ক্ষুধা লাগলে- ভাত মাছ যেমন খাই, মানুষের কলিজাও খাই। একটা জীবন্ত মানুষকে খুন করে তার রক্ত এবং কলিজা খুবলে খুবলে খেতে কি যে ভালো লাগে! তবে মেয়েদের কলিজা খেয়ে আরাম বেশী পাই। একেবারে মোমের মতন নরম- মুখে দিলেই গলে-গলে যায়। ধারালো ছুড়ি দিয়ে যখন বুকটা দু'ভাগ করি- কলিজাটা হাতে নিয়ে অনেকক্ষন তাকিয়ে থাকি- থরথর করে কলিজাটা কাঁপে। আসলে কলিজা তো জমাট বাধা রক্ত'ই।
প্রথম যে মেয়েটার কলিজা খাই, সেই গল্পটা শুনুন- মেয়েটার নাম মায়া। বয়স উনিশ। ইডেন কলেজে পড়তো। দেখতে সহজ সরল সুন্দর। মায়া সব সময় চোখে কাজল দিত। একদিন মেয়েটাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে- আমার ঘরে নিয়ে আসি। চায়ের সাথে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে খাইয়ে দেই। কিছুক্ষনের মধ্যেই মায়ার তন্দ্রাভাব এসে যায়। তখন হাত পা ভালো করে খাটের সাথে বেঁধে ফেলি। চিৎকার যেন না করতে পারে তার জন্য মুখের ভেতর কাপড় গুঁজে দেই। আধা ঘন্টা পর মায়ার তন্দ্রা ভাব কেটে যায়। সে চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি ধারালো ছুরি দিয়ে একটু একটু করে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারি। মেয়েটা ব্যাথায় যত ছটফট করে- আমি তত আনন্দ পাই। বেশ কিছু ছবি আমি তুলে রেখেছি- সময় পেলে একদিন আপনাদের দেখাব।
যশোরের নিমতলা শশ্মানের অনেক নাম শুনেছি। আমি পিশাচ হলেও সব কিছুতেই আমার কৌতূহল বেশী। একদিন মধ্যরাত্রে নিমতলা শশ্মানে গিয়ে হাজির হই। আমার ভাগ্য ভালো, গিয়েই একটি দশ বছরের বাচ্চার লাশ পাই। টাকার অভাবে লাকড়ি কিনতে না পেরে- ছোট বাচ্চার লাশটি ফেলে চলে যায়। আহ সে রাতে কত আরাম করে খেয়েছিলাম। সেই স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে। যদিও আমি ছোট বাচ্চা কম খাই। আমি পিশাচ তবু কেন জানি মায়া লাগে। দয়া করে আমাকে রাক্ষস ভাববেন না। আমি শুধু রক্ত আর কলিজা খাই। ইদানিং বাসি রক্ত এবং কলিজা একেবারেই খেতে ইচ্ছা করে না। নিজের হাতে শিকার ধরে কেটে-কুটে খাওয়ার মজাই আলাদা।
আমার আর একটা বাজে অভ্যাস আছে। মৃত মেয়েদের সাথে সেক্স করা। জীবিত মেয়েদের সাথে সেক্স করার চেয়ে মৃত মেয়েদের সাথে সেক্স করে আনন্দ বেশী। ঢাকা মেডিকেলের মর্গে কত মৃত মেয়ের সাথে সেক্স করলাম। তবে আমার ভালো লাগে কোনো মেয়েকে কবর দেওয়ার এক ঘন্টা পর কবর থেকে তুলে সেক্স করতে। জীবিত থেকে মৃত নারীর মুখ অনেক বেশী মায়াময়। সেক্স করা শেষ হলে কলিজা খাই। একেবারে চেটে-পুটে খাই। তারপর যেভাবে কবর থেকে তুলি, সেভাবে আবার কবর দিয়ে দেই। আমার একটি লাল রঙের ডায়েরী আছে। সেই ডায়েরীতে আমার সমস্ত পিশাচ এর কাহিনী লিখে রেখেছি। সেই ডায়েরী যে পড়বে অবশ্যই সে বমি করে ঘর ভাসিয়ে দিবে। হা হা হা...
আমি পিশাচ কিন্তু কেউ জানে না। একটা বড় কোম্পানীতে চাকরী করি। ভালো টাকা বেতন পাই। আমার পিশাচ এর সমস্ত কর্মকান্ড শুরু হয় গভীর রাতে। আমি এতটাই চালাক চতুর যে আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে ধরতে পারেনি। কখনও পারবেও না। আমার চিন্তা- পরিকল্পনা খুবই নিখুত। আপনারা মাঝে মাঝে খবরের কাগজে এবং টিভিতে দেখেন- অমুক জায়গায় এক যুবতীত লাশ উদ্ধার, অমুক জায়গায় গলা কাঁটা লাশ উদ্ধার- সবই আমার কর্ম। মাঝে মাঝে শুধু গলা কেটে ছেড়ে দেই- কলিজা খেতে ইচ্ছা করে না।
যারা পিশাচ হতে চান- তাদেরকে একটা বুদ্ধি দিয়ে দেই- সবার প্রথমে কোনো মৃত নারীর ঠোটে চুমু খাবেন অনেকক্ষন ধরে। তারপর মাঠে ঘাটে ছড়িয়ে পড়ুন শিকারের সন্ধানে। কখন বুঝবেন আপনি পিশাচ হয়েছেন? পিশাচ হওয়ার পর মাটিতে আপনার ছায়া পড়বে না।
( আমার ''টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা' গল্পগ্রন্থে প্রকাশিত একটি গল্প।)
২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভয়ঙ্কর সব পিশাচ চারপাশে।
২| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভয়ঙ্কর সব পিশাচ চারপাশে।
৩| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বর্তমানে পিশাচের দিন কি আর রাত কি? পিশাচ এতোটাই শক্তিশালী তারা দিনে সানগ্লাস পরিধান করে চলতে পারে, কারণ রোদ্রে তাদের কিছু সমস্যা হয়তো আছে। ইউটিউবে আর ফেসবুকে বাংলাদেশের - - - - অগ্রগতি দেখে বুঝতে পারি এরা সব পিশাচের খাদ্য পিশাচের পণ্য।
সাবাস রাজীব নুর ভাই সাবাস লেখা হয়েছে বর্তমান পরিস্থিতির বাস্তবতা নিয়ে আরো ভয়ংকর বাস্তবতা নিয়ে লিখবেন এই প্রতাশায়, ভালো থাকুন, ব্যাস্ত থাকুন।
২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। মন্তব্যে বেশ উৎসাহ পেলাম।
৪| ২৭ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৪:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই পোষ্ট তেমন পছন্দ হয়নি
২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: এর পর ভালো কিছু লিখব। আশা করি আপনার পছন্দ হবে।
৫| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:১৪
কালো যাদুকর বলেছেন: কয়েকদিন পরে এগুলা নর্মাল হয়ে যাবে।
২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: দেশ সেদিকেই যাচ্ছে।
৬| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১৩
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: ভয় পেলাম না
তার মানে আপনি এখনো পিশাচ লেখক হতে পারেন নি
২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: হুম। পারি নি।
৭| ২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খারাপ।
২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: মা নু ষ খারাপ।
৮| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পিশাচ প্রকৃতির মানুষগুলো সত্যকে কখনও অনুধাবন করতে পারে না।
২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: সসব আল্লাহর ইচ্ছা।
৯| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।
বেশ রগরগে বর্ণনা!
এদেরই জ্ঞাতী ভাইরাই আজ সমাজের সেরা সেরা মাথা!
খাবারে বিষ, পানীয়তে বিষ দিয়েতো রক্তই চুষে খাচ্ছে!
কোটি কোটি আদম সন্তানের মৃত্যু নিশ্চিত করে বাড়ী গাড়ী বিদেশ ভ্রমন বিলাসিতা...
আমজনতা অসহায় শিকার!
সকল পিশাচ বিলুপ্ত হোক। সমাজ হোক কলুষ মুক্ত।
+++
২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: দিন দিন পিশাচের সংখ্যা আরো বাড়বে।
১০| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৪
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কি সব হরর গল্প!
পজিটিভ কিছু পড়তে চাই রানু ভাই
২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: ইনশাল্লাহ লিখব।
১১| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:২৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
রাজীব ভাই, ভয় পেয়ে গেলাম। রক্ত হিম করা গল্প।
২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে---
তাহলে আরেকটা গল্প আজই রাতেই লিখব।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:২৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এরকম পিশাচে ভরে গেছে বাংলার কোণায় কোণায়, এইসব পিচাশরা গল্পের চেয়েও বেশি বিভৎস নির্মম নিকৃষ্ট।
আপনার গল্পে অনেক অভিমান আর ঘৃণার প্রচণ্ডতা,
শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়