নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বেশ কিছু দিন ধরে খুব খারাপ সময় পার করছি।
ভয়াবহ এক অসুখ ডেংগু। আমার বাসায় চার জন সদস্যের ডেংগু। প্রথমে পরীর। শরীর ব্যথায় পরী ছটফট করতো। তাকে পাচ দিন হাসপাতালে থাকতে হলো। ছোট ভাইয়ের বউ (আরিশের মা) এর ডেংগু হলো। ভয়াবহ অবস্থা। ঢাকা শহরে এত হাসপাতাল! অথচ কোনো হাসপাতালে সিট, কেবিন নেই। ডেংগু রোগী দিয়ে ভরা। অনেক কষ্টে বলে কয়ে ওয়ার্ডে ব্যবস্থা হলো। বড় ভাই এর ডেংগু। সে কিছুতেই হাসপাতালে ভর্তি হবে না। বাসায় চিকিতসা চলছে। আজ ছয় দিন হাসপাতালে ভর্তি ভাবী। তার যায় যায় অবস্থা। হাসপাতালে যথারীতি সিট নেই। ওয়ার্ডে অনেক অনুরোধ করার পর ব্যবস্থা হলো। মা তো অনেক দিন ধরেই অসুস্থ। এদিকে আমার নিজের শরীরও ভালো নেই। প্রচন্ড মাথা ব্যথা। জ্বর জ্বর ভাব। শরীর ব্যথা। আমি চুপ করে আছি। কাউকে কিছু বলছি না।
ভাবীর প্লাটিলেট একেবারে কমে গেছে।
রক্ত লাগবে। লাগবেই। রক্তের জন্য যাকেই ফোন দেই সে-ই বলে- 'আহ হা গত সপ্তাহে রক্ত দিয়েছি। নানান কথা। নানান তালবাহান। সুরভি আজ সাত দিন ধরে ভাবীর সাথে হাসপাতালেই আছে। এর আগে পরীর জন্য পাঁচ দিন হাসপাতালে ছিল। ছোট ভাইয়ের বউ এর জন্য হাসপাতালে থেকেছে। সে বেচারার অবস্থাও কাহিল। এদিকে আমি সকাল, দুপুর আর রাতে হোটেলের খাবার খেয়ে যাচ্ছি। পানির মতো টাকা খরচ হচ্ছে। স্কয়ার হাসপাতাল এত টাকা নেয় কেন? প্রতিদিন কেবিন ভাড়া সবচেয়ে কম আট হাজার টাকা। গত কয়েকদিন হাসপাতালে আমি যাই নি। হাসপাতাল আমার কখনই ভালো লাগে না। দম বন্ধ হয়ে আসে। মাকে বলেছি এ বছর কোরবানী দেওয়ার দরকার নেই।
বন্যায় উত্তরবঙ্গ, বিশেষত কুড়িগ্রামের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। মানুষ কত কোষ্টে আছে। পানি বন্ধী মানুষ। তারা কই খাচ্ছে, কই ঘুমাচ্ছে? তাদের গবাদি পোশু গুলো কোথায় রেখেছে? আমি যেমন ভালো নেই, আমার দেশের মানূষও ভালো নেই। এদিকে আজ কি মনে করে বি টিভি ছেড়েছি। দেখি খবর শুরু হলো। খবর দেখে মনটা ভরে গেল। সব পজেটিভ নিউজ। চমৎকার। যাই হোক, বর্তমানে শহরাঞ্চলে ডেঙ্গু আতঙ্কে এবং গ্রামাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা। আল্লাহ আমাদের এই কঠিন বিপদ থেকে সবাইকে হেফাজত করুন। ঢাকা শহর তো জ্যামের শহর জানি। কিন্তু তারপরও জ্যামটা মনে হচ্ছে ইদানিং খব বেশী বেড়ে গেছে। কারন কি? আগে যেখানে মালিবাগ থেকে ফার্মগেট যেতে সময় লাগতো দেড় ঘন্টা। এখন লাগছে আড়াই ঘন্টা।
সারারাত ঘুম আসে না।
মুভি দেখতে ইচ্ছা করে না। বই পড়তে ইচ্ছা করে না। আসলে পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ থাকলে কারো'ই কিছু ভালো লাগে না। কবে যে আবার সবাই একসাথে বসে গল্প করবো। আনন্দ করবো।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আজকের ছবি। বিপুল রোগীর চাপে ডাক্তার ও নার্সদের মাঝে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন হাসপাতালটিরই একাধিক ডাক্তার ও নার্স। শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝে, করিডর, বারান্দায় ঠাঁই নিয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত অসহায় রোগীরা।
২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২০
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের জীবন যেন পোকামাকড়ের জীবনে পরিণত হয়েছে!
২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ধৈর্য্য ধরুন।সাবধানে থাকুন। আমরা ভয় লাগছে খুব।
২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ভয় না পেয়ে সর্তক হতে হবে।
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২২
ইসিয়াক বলেছেন: অবশ্যই ভয় লাগার মতো ভয়াবহ অবস্থা।
২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা মুহুর্ত সর্তক থাকতে হবে। অন্য কোনো উপায় নেই।
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫
শেখ সাকিবুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দান করুক।
২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এই মুহুর্তে ডেঙ্গু ভয়াবহ আতংকের নাম।আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমিন।
৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: দেশে চারদিকে ভয়াবহ অবস্থা।
২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: "এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না!"
৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
সবাই আল্লাহ'কে টানছেন।
মনে হয়, আল্লাহ রোগ দিতে পারেন; সুস্হতা দেয়ার চেষ্টা করেন ডাক্তার ও নার্সেরা।
২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে এত দুঃখ কষ্টের মধ্যেও হেসে ফেললাম।
৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার পরিবারের সবার জন্য শুভকামনা রলো, সবার সুস্হতা কামনা করছি।
২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: খুবই খারাপ অবস্থা
গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত এই সংখ্যা ৯ হাজার ২৫৬ জন।সরকারি হিসাব বলছে, এবছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। তবে, বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি।
২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে ডাক্তাররা হাসপাতাল গুলোতে যেভাবে শ্রম দিচ্ছে ডেঙ্গু রোগীদের বাঁচানোর জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ জানাই।
১০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টটি পড়ে এত খারাপ লাগছে যে ঠিক ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। দূর থেকে ভাইয়ের পরিবারের প্রতি শুভকামনা বা দোয়া রইল। বাড়ির সকলের যেন শীঘ্রই আরোগ্য প্রাপ্তি ঘটে। ভাইয়েরও সারাক্ষণ মাথা ঝিমঝিমের লক্ষণটা ভালো ঠেকছে না।
২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: মন মেজাজ আছে বিক্ষিপ্ত হয়ে।
কিছুই ভালো লাগছে না।
১১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩
এমজেডএফ বলেছেন:
আপনি এখন ব্লগে সময় কম দিয়ে আপনার পরিবারকে সময় দেন। নিজে বিশ্রাম নেন, শরীরের প্রতি যত্ন নেন। বিপদে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে। সবার সর্বাঙ্গীন আরোগ্য কামনা করছি।
২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো কথা বলেছেন।
১২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
ডেঙ্গু আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এ থেকে উত্তরণে জোরদার ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আপনার পরিবারের সকলের সুস্থতা কামনা করছি।
২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: জোরদার ব্যবস্থা যার যার জাউগা থেকেই নিতে হবে।
শুধু সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে সম্ভব না।
১৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সময় মানুষকে নানান ভাবে ধর্য্যের পরিক্ষা নেয় এটি কেনো করে? তার উত্তর বিশ্ববিজ্ঞানিদের কাছেও নেই আর আামি নাদান নগন্য জনগণের একজন। আপনি ধর্য্যে ধরুণ পরিবারকে সময় দিন। রক্তের জন্য “কোয়ান্টাম ব্লাড ব্যাংক” শান্তিনগর, এটি টঙ্গি ন্যাশনাল ফ্যান হেড অফিসের পাশে - এখানে মোটামোটি রক্তের সাপোর্ট পাওয়া যায়।
আর অবস্যই অবস্যই রক্তের ব্যাগের রক্ত নিজের খরচে HIV & HBSAg টেষ্ট করে নিবেন।
২৮ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২২
রাজীব নুর বলেছেন: রক্তের ব্যবস্থা করেছি।
১৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনার পরিবারের সকলের সুস্থ্যতা কামনা করছি।
ব্যস্ততার মাঝেও সামুতে পোষ্ট দিতে আপনি ভূলেন না, আপনার এ দিকটা আমার খুব পছন্দ।
রাজীব নুরকে ব্লগে কে না চিনে!
আপনার সুস্থ্যতা সর্বাগে কামনা করছি, আপনার সকাল সন্ধ্যা পোষ্টগুলো উপভোগ করার জন্য হলেও
২৮ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমারে কান্ধে করে তুমি নিয়া চলো সখা, আমি আর নিজেরে টানতে পারি না।
১৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০০
তারেক ফাহিম বলেছেন: আমারে কান্ধে করে তুমি নিয়া চলো সখা, আমি আর নিজেরে টানতে পারি না।
হাল ছেড়োনা সখা, বরং কন্ঠ ছাড় জোরে।
সকল বাঁধা বিপত্তি ফেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে জীবনের প্রকৃত স্বাধ অনুভব করা যায়।
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬
আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: শেষের ছবি গুলো দেখে খুব ভয় পেয়ে গেছি! কি অবস্থা ভাই, আল্লাহ সকলকে সুস্থতা দান করুক।
ঢাকায় মশার জ্বালা নতুন নয়, কিন্তু নতুন হচ্ছে এমন ভয়াবহ ভাবে ডেঙ্গু মহামারি। পরীর কথা শুনে অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। এখন শুনি আপনার পরিবারের সবাই অসুস্থ। অল্প দুঃখে কাতর, অতি দুঃখে কাতর অবস্থা। আপনার পরিবারের সবার সুস্থতা কামনা করছি। আর এত ঝামেলার ভিতরেও ব্লগে কিছুটা করে হলেও প্রতিদিন সময় দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।