নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
'সীমানা পেরিয়ে' সিনেমাটি ১৯৭৭ সালে মুক্তি পায়। পরিচালক আলমগীর কবির। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশে ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়। ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে এক তরুণ ও এক তরুণী ভাসতে ভাসতে একটি অজানা দ্বীপে এসে পৌঁছে যায়। দ্বীপে এসে ওরা জানতে পারে এই দ্বীপে কোন মানুষ বসবাস করে না। তারপর শুরু হয় দুজনের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। তারা পাহাড়ের উপর ঘর তৈরি করে বসবাস করা শুরু। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমহয় ও বিয়ে করে। তারা সিদ্ধান্ত নেয় মূল ভূ-খন্ডে ফিরে যাবেনা।
সিনেমার নায়ক বুলবুল আহমেদ এবং নায়িকা জয়শ্রী কবির (কলকাতা)। সিনেমায় বুলবুল আহমেদের নাম থাকে কালু আর জয়শ্রী কবিরের নাম থাকে টিনা। মুভিতে টিনাকে পুঁজিবাদী আর কালুকে শ্রমজীবী শ্রেনীর প্রতিনিধি বলা যেতে পারে। মুভির গান গুলো খুব সুন্দর। 'মেঘ থমথম করে' এবং 'বিমুর্ত এই রাত্রি' গানটা অসাধারন। সিনেমার শুরুতে টিনাকে ধনী এক ছেলে বিয়ে করতে চায়, কিন্তু টিনা রাজি হয় না। কালুর পাশাপাশি সেই ছেলেটির চরিত্রেও অভিনয় করেছেন বুলবুল আহমেদ।
জহির রায়হান 'জীবন থেকে নেয়া' সিনেমায় পরিবার থেকে রাষ্ট্রে যে প্রতিবাদের ভাষা রেখে গেছেন তারই স্রোত ছিল আলমগীর কবিরের সিনেমার ভাষাতে। লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর 'পদ্মানদীর মাঝি' উপন্যাসে 'ময়নাদ্বীপ' নামে যে দ্বীপের কথা বলেছেন সেটা ছিল কাল্পনিক রাষ্ট্র।সাহিত্যের টার্মে একে বলে 'ইউটোপিয়া।'পুঁজিবাদী সমাজের বিপরীতে মার্কসবাদী সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র যেখানে শ্রমিকের জয় হবে। এই 'ইউটোপিয়া'-র ধারণা ছিল 'সীমানা পেরিয়ে'-র নতুন ঐ দ্বীপটি।
নায়িকা টিনা আধুনিক শিক্ষিতা মেয়ে। দেখতে ভারি মিষ্টি। অথচ একদম সহজ সরল। এদিকে বুলবুল আহমেদ (কালু) গ্রামের সহজ সরল ছেলে। সমুদ্রে মাছ ধরে। ছোট্র একটা নৌকা নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। সাথে থাকে, মুড়ি, চাল, ডাল। চমৎকার অভিনয়। বহু আগের সিনেমা অথচ আপনি একটু বিরক্ত হবেন না। এই মুভিতে বিশেষ এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন গোলাম মোস্তফা। যারা সিনেমাটি দেখেন নি, এখুনি দেখে ফেলুন। ইউটিউবে পাবেন।
আমি মুভি রিভিউ লিখতে পারি না। বুক রিভিউ লিখতে পারি না। কবিতা বা গল্পও লিখতে পারি না। তবুও লিখে চলেছি। হি হি
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: গোলাপি এখন ট্রেনে দেখেছি।
পালাবি কোথায় দেখেছেন?
২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৭
দিকশূন্যপুরের অভিযাত্রী বলেছেন: ছবির গানগুলো দেখেছি আগে। বিস্তারিত পড়ার পর এখন ছবিটাও দেখার আগ্রহ জাগল। ইউটিউবে পাওয়া যাবে মানে ডাউনলোড এর ঝামেলা নেই! বুলবুল আহমেদ বেশ গুনি একজন অভিনেতা ছিলেন। আর যুবক বয়সে ওনার চেহারাও ছিল মাশাল্লা।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যরত জন্য।
৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৪
আনমোনা বলেছেন: দেখেছিলাম। অসম্ভব ভালো লেগেছিলো।
আপনি মুভি রিভিউ লিখতে পারেননা মানে? আমরা পড়তে পারি। আমরাই বলবো রিভিউ ভালো না হলে। লিখে যান।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া। সাহস পেলাম। ভরসা পেলাম।
৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বর্তমানে বাংলাদেশে নতুন সিনেমা তৈরি হচ্ছে?
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমানে নতুন সিনেমা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু মান ভালো না। সব সিনেমা নকল। আর নকলটাও সুন্দর করে করতে পারে না।
৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আগের দিনের সব ছবি ভালো লাগে।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে।
আগের আমলের সাদা কালো সিনেমা গুলোই ভালো ছিল।
৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কিছু কিছু প্রাণী আছে যে প্রাণী গুলো স্বভাবগত কারণেই মশা খেয়ে থাকে। এই প্রাণী গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্যাঙ, টিকটিকি
ও কিছু বিশেষ প্রজাতির মাছ। ঢাকা শহরে ব্যাংঙ ও মশা খাদক মাছের প্রচলন করা দরকার। এই প্রাণী গুলো নীরবে মশা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো আইডিয়া।
৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,
আমি এই সিনেমাটি দেখিনি।তবে আমাদের ছোটবেলায় 'নির্জন দ্বীপ' নামে' একটি সিনেমা বার হয়েছিল যার ঘটনাটির সাথে রিভিউয়ের মিল আছে। একধাপ এগিয়ে বলতে পারি এপার ওপার বাংলার দুটি ফিল্মের তৈরীর সময় পরিচালকদের 'ব্লু লেগুনে'র কথা সম্ভবত মাথায় ছিল।
শুভকামনা রইল।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: তবে আমাদের দেশে যে সিনেমাটি হয়েছে সেটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে।
৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ছবিটার কথা অনেক শুনেছি। দেখা দরকার।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: দেখে ফেলুন ।
৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:৩৬
জগতারন বলেছেন:
আসলেই এই 'সীমানা পেরিয়ে' ছবিটির রিভিউ বা পর্যবেক্ষন ও পুনর্বিচার এখানে যথাযতভাবে তুলে ধরা হয়নি।
প্রথমেই এই ছবির পরিচালকের নামটি অসুম্পূর্নভাবে লিখা হয়েছে।
পরিচালকের নামটি হবে আলমগীর কবির।
জ্বনাব আলমগীর কবির ছিলেন লন্ডনে বিজ্ঞান ও অংক নিয়ে পড়াশুনা করা উচ্চ শিক্ষিত একজন মানুষ। কিন্তু মজ্জাগতভাবে সাহিত্যিক ও সমাজতান্ত্রীক মনমানষিক ভাবাপন্ন মানুষ।
জয়শ্রী কবির ছিলেন কলকাতার অসাধারন সুন্দরী অভিনেত্রী। যিনি পরিচালক আলমগীর কবিরকে বিবাহ করার পর নাম পরির্বন করে হয়েছিলেন জয়শ্রী কবির। তাকে টাইপ অভিনেত্রী বলা হয়ে থাকে। যার অর্থ; ধনির দুলালির আদর্শ বা নমুনা বা প্রতীক। আর
বুলবুল আহমেদ ছিলেন অসাধারন সুদর্সন জেলে যুবক।
লোকালয় থেকে অনেক দূরে এক বিজন দ্বীপে গরীবের সাথে ধনির এক নিবীর প্রেম ও ভালোবাসা।
পরিচালক আলমগীর কবির ১৯৭০ ও ১৯৮০ দশকে আরও কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মান করেছিলে। প্রত্যেকটি ছবিই ছিল এক একটি নির্মল সাহিত্য কর্মযোগ্য। এই ভালো মানুষটি ১৯৯০ শতকে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী আরিচা ঘাটে তার গাড়ীতে পদ্মা নদী পাড়হওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকা অবস্থায় পিছের থেকে একটি বড় ট্রাক দিয়ে ধাক্কা দিয়ে নদিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছিল।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। ইউ রাইট।
১০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৯
ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন: গোলাপি এখন ট্রেনে দেখেছি।
পালাবি কোথায় দেখেছেন ?
আমি দেখেছি ।কয়েকবার। অনেক হাসির ছবি ।
ধন্যবাদ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা---
ভালো থাকুন।
১১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। +
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
আপনি আমার খুব পছন্দের একটা মুভির রিভিউ লিখেছেন। এটার বিমূর্ত রাত্রী গানটা আমার খুবই প্রিয়। সময় পেলেই এটা শুনি আমি।
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় রাজীব ভাই!
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা নিরন্তর।
১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নকশি কাঁথার মাঠ দেখতে পারেন।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: দেখেছি।
১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ছায়া ছবিটি প্রথম মুক্তিকালেই আমি দেখেছি ।
এর পর্যালোচনা সুন্দর হয়েছে ।
এই ছায়াছবিতে ভুপেন হাজারিকার সুরারোপ করা ও দেশের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী
আবিদা সুলতানার কন্ঠে গাওয়া নীচের গানটির প্রতিটি কথা এখনো মনের ভিতর গেথে আছে -
বিমূর্ত এই রাত্রি আমার
মৌনতার সুতোয় বোনা
একটি রঙিন চাদর
সেই চাদরের ভাজে ভাজে
নিশ্বাসেরই ছোঁয়া
আছে ভালোবাসা আদর
কামনার গোলাপ রাঙা
সুন্দরি এই রাত্রিতে
নিরব মনের ভরসা
আনে শ্রাবন ভাদর
সেই বরষার ঝরো ঝরো
নিশ্বাসেরই ছোঁয়া
আর ভালোবাসা আদর
শুভেচ্ছা রইল
৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
১৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো ছবি। শ্রেণি সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তবে একটি দৃশ্যের ব্যাপারে পরিচালক আর একটু সচেতন হতে পারতেন। যখন ঐ রকম একটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের পরে সমুদ্রের তীরে নায়িকা(জয়শ্রী)কে নায়ক(বুলবুল)দেখতে পায়, তখনও নায়িকার মাথার চুলের সিঁথি পরিপাটি রয়েছে। মনে হল সমুদ্রের তীরে ঘুম থেকে সদ্য উঠলেন।
৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে জামা কিন্তু ছেঁড়া ছিল।
১৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: @ আলী ভাই, লিরিক্সের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এটা আমি খুজছিলাম।
১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি সুন্দর ছবির সুন্দর রিভিউ লিখেছেন, শুধু পরিচালকের নামটা ঠিকমত লিখেন নি, যা অন্যায়। পরে অবশ্য মন্তব্যের ঘরে জগতারন পরিচালকের সঠিক নামটি উল্লেখ করেছেন। আশাকরি মূল পোস্টে নামটি সংশোধন করে নেবেন।
ছবিটি রিলিজ হবার সময়েই দেখেছিলাম এবং তা খুবই ভাল লেগেছিল। গল্পের কাহিনী, সঙ্গীত, দৃশ্যপট, চিত্রগ্রাহণ, শিল্পীদের অভিনয়- সব কিছুই ভাল লেগেছিল। ছোট্ট ভূমিকায় আরেকজন ছিলেন, সৈয়দ আহসান আলী ওরফে সিডনী-তার অভিনয়ও ভাল লেগেছিল।
পোস্টে প্লাস +
৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আমি এখনই এডিট করে ঠিক করে দিচ্ছি।
১৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬
অন্তরা রহমান বলেছেন: অনেক আগে দেখা। দারুন একটা ছবি। বুলবুল আহমেদ কিন্তু দারুন হট ছিল দেখতে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে-----
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৫
ইসিয়াক বলেছেন: আমি দেখেছিলাম ছবিটি ছোটবেলাতে।
অবশ্য বেশ খটোমটো টাইপের ছবি মনে হয়েছিল।
বড় হয়ে ছবিটিকে অনুধাবন করেছিলাম। আবার দেখবো। গোলাপি এখন ট্রেনে দেখেছেন।অসম্ভব ভালো ছবি।
হি হি হি