নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
কুড়ি বছর আগের ঘটনা।
পদ্মা নদীর পাশে ছোট্র একটা গ্রাম আমাদের। আমাদের গ্রামটা ছবির মতোন সুন্দর। প্রতিদিন বিকেলে আমি স্কুল মাঠে ফুটবল খেলি। একবার, পাশের গ্রামে ফুটবল ম্যাচ খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। খেলা শেষ হতে দেরী হয়ে গেল। তখন শীত কাল। মাঘ মাস'ই হবে। মনে আছে পদ্মা নদীর পাড়ের গ্রাম গুলোতে প্রচন্ড শীত পড়তো। এখকার মতো এত ঘনবসতি ছিল না তখন। খেলা দেখে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা প্রায় শেষের দিকে কিন্তু মনে হচ্ছে গভীর রাত। কি শীত!
একাএকা বাড়ি ফিরছি। চারপাশে প্রচন্ড কুয়াশা আর অন্ধকার যেন হুট করে নামলো। আলামিন বাজার বায়ে রেখে 'কামার গাও' এর দিকে যাচ্ছি। দুই পাশে জঙ্গল, মাঝখানে সরু পথ। একেবারে নিশুত রাতের মতো নিঃঝুম। শুধু ঝি ঝি ডাকছে। হঠাত কেমন ভয় ভয় লাগছে। কি করবো বুঝতে পারছি না। শীতকাল বলেই লোকজন বাইরে নেই। সুনসান নিরবতা চারিদিকে। হাঁটছি তো হাঁটছিই। পথ আর আর শেষ হয় না। নিজের অজান্তেই আল্লাহ আল্লাহ করছি।
যা ঘটলো তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না।
মাঝ রাস্তায় আসতেই হঠাৎ শুনতে পেলাম খুব কাছ থেকে কে যেন বলে উঠল, 'রাজীব একটু তাড়াতাড়ি যা বাবা।' আমি থমকে দাঁড়িয়ে গেলাম। গলাটা খুব চেনা। আমার বড় মামার গলা। কিন্তু মামা এখানে এই জঙ্গলে আসবে কি করে? তার তো বিছানা থেকে ওঠার'ই সামর্থ্য নেই। আমি চারদিকে চেয়ে দেখলাম, কোথাও কেউ নেই। কঠিন অন্ধকার আর কুয়াশায় ঢাকা। বললাম, কে? কে আপনি? কেউ জবাব দিল না। শুধু একটা পেঁচা ডেকে উঠলো। আর দুইটা বাদূর এক ডাল থেকে আরেক ডালে গিয়ে বসলো। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো আমার। কথাটা স্পষ্ট শুনেছি। ভুল নেই। কিছুক্ষন হাত পা সব কাঠ হয়ে রইল। তারপর হঠাৎ মনে হলো, গলাটা বড় মামার'ই। হয়তো মামা আর বেঁচে নেই। মনে হতেই প্রায় ছুটতে শুরু করলাম বাড়ির দিকে।
মাইল খানেক পথ দৌড়ে বাড়ির কাছাকাছি আসতেই কান্নার রোল শুনতে পেলাম। এসে দেখি বড় মামা বেঁচে নেই। মামা আমাকে খুব ভালোবাসতেন। আমাকে নিয়ে মামার অনেক স্বপ্ন ছিল। বহু বছর পর গতকাল মামাকে স্বপ্ন দেখলাম। মামা উঠানে বসে চা খাচ্ছেন আর হতাশ চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। আমি বললাম, মামা। মামা বললেন, চুপ করে থাক। তোর সাথে কোনো কথা বলতে চাই না। তোকে নিয়ে অনেক আশা ছিল আমার। কিন্তু তুই আমার কোনো স্বপ্নই পূরন করতে পারলি না।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১২
রাজীব নুর বলেছেন: তাল মিলাতে পারি না।
জোর করে তাল মিলাতে গেলে আরো গন্ডোগোল হয়ে যায়।
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বড়রা আমাদের কাছে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে পূরণ করতে না পারা সত্যি দারুণ হতাশার । ভাল লিখেছেন।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ তারেক ভাই।
জীবনে কারো প্রত্যাশাই পূরন করতে পারলাম না।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫
মাহবুব আলী বলেছেন: এমন অনেককিছু ঘটনা সত্যি ঘটে যার কোনো ব্যাখ্যা নেই। উপস্থাপনা চমৎকার লাগল।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: অলৌকিক বলে দুনিয়াতে কিছু নেই। এর ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই আছে।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আল্লাহ্ ওনাকে বেহেস্তবাসী করুন ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: মামাখুব ভালো মানুষ ছিলেন।
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১০
ইসিয়াক বলেছেন: উপস্হিতি জানান দিয়ে গেলাম।পরে পড়ে মন্তব্য করবো।
খুব ব্যস্ততা ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমি অল্পতেই খুব খুশি হই।
এই যে পোশয়ে এসেছেন তাতেই আমি অনেক খুশি।
৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২২
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: শেষ চার লাইন প্রতিনিয়ত শুনি। এখন আর খারাপ লাগে না।
৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: হয়তো আমৃত্যু শুনতে হবে।
৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি যখন লৌহজং কলেজে মাস্টারি করতাম তখন আরাম বাসে চড়ে অসংখ্যবার আপনাদের গ্রামের উপর দিয়ে গিয়েছি। এখনো মনে পড়ে সেই সব কথা। আল আমিন বাজার, কামারগাঁও, ভাগ্যকুল , তিন দোকান, রাঢ়িখাল , শ্রীনগর.. .
৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: তিন দোকানের পরে আর আলামিন বাজারের আগেই আমাদের গ্রাম। কামার গাঁও। দেখবেন রাস্তায় সাইন বোর্ড আছে খান বাড়ি
৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মাওয়া ঘাটে যাওয়ার পথে আরেকটি খান বাড়ি আছে । সেখানে বাস থামত।
৩১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: না আমার বাড়ি মাওয়া যেতে না। শ্রী নগরে যেতে তিন দোকান, বালাসুর পার হয়ে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি যখন সমাজের অংশ, আপনি একা হঠাৎ করে একা কিছু করতে পারবেন না, আপনাকে সবার সাথে তাল মিলাতে হবে।