নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। গ্রামের নাম রসুলপুর।
একেবারে সুন্দরবনের কাছে। অন্যসব গ্রামের মতোই একটি সহজ সরল সুন্দর গ্রাম। এই রসুলপুর গ্রামই আমাকে শিখিয়েছে কি করে পৃথিবীকে ভালোবাসতে হয়। মানুষকে ভালোবাসতে হয়। এই গ্রামের লোকজন দিন-রাত ঝগড়া করে, দলাদলি করে, হাঙ্গামা করে, কুটকচালি করে, একটা ভাঙ্গা স্কুল ঘর আছে- সেই স্কুলের প্রতি কারো নজর নেই। সন্ধ্যায় গ্রামের সমস্ত মাতালেরা এখানে বসে বাংলা মদ খায়। বাঈজী নাচায়।
এই গ্রামে এক কৃষকের সাথে আমি জমিতে চাষ করেছি। বর্ষাকালে বিলে মাছ ধরেছি। সাইক্লোন বিন্ডিং (যে বিল্ডং এ ঝড় তুফানের সময় গ্রামের মানুষ আশ্রয় নেয়) এর চারপাশে নানান রকম গাছ লাগিয়েছি। রসুলপুর গ্রামের প্রতিটা গাছ, পুকুর, খাল-বিল, গরু আমার বন্ধু হয়ে গিয়েছিল। তাদের সাথে আমি কথা বললাম। টানা ছয় মাস ছিলাম রসুলপুর। বেশ আনন্দময় সময় কেটেছে। গ্রামের মানুষ আমাকে আপন করে নিয়েছিল। অথচ কত বছর হয়ে গেল রসুলপুর যাই না!
আধুনিক যন্ত্রপাতি আমাকে মজা দেয় কিন্তু আনন্দ দিতে পারে না। ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট এগুলো ঠিক আমাকে নির্মল আনন্দ দিতে পারে না। গাছপালা, সবুজ ধানক্ষেত, নদী এসব আমাকে এক আকাশ নির্মল আনন্দ দেয়। ভোরবেলা একজন কৃষক জমিতে নেমে পড়েন। সারাদিন চাষবাস করেন। এমন কি সে দুপুরে খেতেও আসেন না। তার ছেলে, মেয়ে অথবা স্ত্রী তার জন্য বোলে করে গামছা দিয়ে পেচিয়ে খাবার নিয়ে যায়। খুবই সাধারন খাবার। ভাত, আলু ভর্তা আর লাল শাক ভাজি। সাথে দু'টা কাঁচা মরিচ। কিশোর ছেলেরা নদীতে লাফালাফি করে গোছল করে। নারীরা মাটির চুলায় রান্না করে। গ্রাম আমাকে টানে। খুব শ্রীঘর গ্রামে যাবো।
২। যখন রাস্তা দিয়ে হেটে যাই, সুন্দর একটা গাড়ি দেখলেই আমি থেমে যাই। মুগ্ধ হয়ে গাড়িটার দিকে তাকিয়ে থাকি। চারপাশ থেকে গাড়িটা দেখি। আশে পাশে কেউ না থাকলে হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখি গাড়িটা। বুকের মধ্যে যেন কেমন করে? মনে মনে ভাবি এরকম একটা গাড়ি কি আমি কোনো দিনও কিনতে পারবো? মনে হয় না এ জীবনে সম্ভব হবে। গাড়ি কিনতে না পারার কষ্ট বুকের মধ্যে হাহাকার করে ওঠে। নিজের একটা গাড়ি থাকলে দারুন হতো! হুটহাট করে নানান জায়গায় চলে যাওয়া যেত।
রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করার সময় চোখে পড়ে কিছু কিছু গাড়ি এত সুন্দর যে দেখে মাথা নষ্ট হয়ে যায়। শুধু নির্বোধের মতোণ ভাবি আমার যদি এরকম একটা গাড়ি থাকতো! এই শহরে দিনের পর দিন ক্লান্ত বিধ্বস্ত হয়ে হাঁটি, সারা শরীর থাকে ঘামে ভেজা। অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারি না। তখন আমার সামনে দিয়ে আমার'ই বয়সী একটা ছেলে গাড়িতে করে যাচ্ছে- তখন আমার খুব কষ্ট হয়, রাগ হয়। ইচ্ছা করে ছেলেটাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বলি, আমি কষ্ট করে হেটে যাচ্ছি আর তুমি নবাবজাদার মতো আরামে যাচ্ছো। কেন? এখন তুমি হেটে যাও। আমি গাড়িতে এসি ছেড়ে, রবীন্দ্র সংগীত শুনতে শুনতে আরামে বাড়ি ফিরবো।
আমার ভাবতে ভালো লাগে, একদিন আমার একটা গাড়ি হবে। সম্পূর্ন নিজের গাড়ি। ড্রাইভার গাড়ি চালাবে। সুরভি আর আমি পেছনে বসে থাকবো। ড্রাইভার বলবে, স্যার কোথায় যাবেন? আমি বলব, মাওয়া চলে যাও। নদীর পাড়ে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকবো। নদীর পাড়ের বাতাস গায়ে মাখবো। হু হু করে গাড়ি চলতে থাকবে। হঠাত ড্রাইভারকে বলব, একটা চায়ের দোকানে গাড়িটা থামাও। চা খাবো। চা শেষ করে আবার গাড়িতে উঠবো। সুরভি আমার কাঁধে মাথা রাখবে। আমি ড্রাইভারকে বলল, একটা গান ছাড়ো। ড্রাইভার গান ছেড়ে দিবে।
ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান--.
তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান--.
আমার আপনহারা প্রাণ আমার বাঁধন-ছেড়া প্রাণ॥
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪২
ইসিয়াক বলেছেন: গ্রামে গিয়ে দেখেন না দেখেন কি জ্বালা!
"নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস
ও পারেতে সব সুখ আমার বিশ্বাস ।"
শান্তি কোথাও নাই রে ভাই । যেখানে আছেন ভালো আছেন। শান্তিতে আছেন ।
' ধন্যবাদ
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: শান্তি আসলে মানূষের মনের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে। শান্তির কাজ করলে শান্তি পাওয়া যায়।
৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯
মাহমুদুর রহমান জাওয়াদ বলেছেন: আমি এখনও গ্রামে আছি।বেশ আরামেই আছি।আলহা'মদুলিল্লাহ।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড।
৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ইসিয়াক বলেছেন: গ্রামে গিয়ে দেখেন না দেখেন কি জ্বালা! - ১০০% সঠিক
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার জ্বালা হবে না। আমি আপন মনে থাকবো। বই পড়বো, ঘুরে বেড়াবো। গাছপালার যত্ন নিবো।
৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
গাড়ী নিজে চালাতে হয়, তাতেই আনন্দ
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। নো প্রবলেম। গাড়ি আমিই চালাবো।
৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: গাড়ি নিজ চালাতে ই আনন্দ।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক আছে।
গাড়ি নিজেই চালাবো।
৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৪
ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার জ্বালা হবে না। আমি আপন মনে থাকবো। বই পড়বো, ঘুরে বেড়াবো। গাছপালার যত্ন নিবো।
মানুষ আপনাকে শান্তিতে থাকতে দেবে না ।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: যারা আমার শান্তি নষ্ট করবে তাদের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখবো না।
৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩৪
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: গ্রামের সবুজ, সাধারণ মানুষের সরলতা মুগ্ধ করেনা এমন মানুষ কমই আছে।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৫৬
মানতাশা বলেছেন: ************************************************************************************************************************
রাজীব ,মন খারাপ করিস না । সরলতা উত্তম সম্পদ।
************************************************************************************************************************
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী।
১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২১
ইসিয়াক বলেছেন: ওহ্ অবশেষে আপনি এলেন। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আছি আমি। কই আর যাবো!
১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫০
মধ্যরাতের আগন্তুক বলেছেন: গ্রামীন জীবনের আলাদা একটা আবহ আছে , সেখানে প্রতিটা ঘরে ঘরে একটা করে গল্প থাকে। গ্রামে মুক্ত হাওয়ায় বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়া যায় যা এই কংক্রিটের শহরে পাওয়া যায়না। তবে মানুষ পরিবর্তনশীল ।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুরোই বিপরীত ধর্মী ভাবনা দুটো গল্পে!
রসূলপুরের প্রাণের টান দারুন প্রাণময় লাগলো প্রকৃতির মতোই
আর নাগরিক অতৃপ্তির স্বপ্ন নগরের মতোই পাষান মনে হল