নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
পৃথিবীর ঋণ তুমি কতটা শোধ করেছো?
এই পৃথিবীর কাছে প্রত্যেকটা মানুষই নানা ভাবে ঋণী। যে যেমন'ই হোক, যত বড় বা ছোট, তার উচিত সেই ঋণ একটু করে শোধ করা। রোজ শোধ করা। যে-মানুষ পৃথিবীর ঋণ শোধ করে না, কিন্তু সুখ ভোগ করে, ঐশ্বর্য সঞ্চয় করে- সে একজন লুটেরা। আর যাই করো, শুধু নিজেকে নিয়ে থেকো না মানুষ। মানুষ চোখ দিয়ে দেখে, বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে। কিন্তু চোখ আর বুদ্ধিই তো সব নয়। অনুভব করতে হয়। ভাবতে হয়। বিশ্বজগতের সঙ্গে নিজেকে একাকার করে দিতে হয়। ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে তাদের খেলনা দিয়ে খেলতে আমার অনেক ভালো লাগে। ব্যাটারি চালিত ভিডিও গেমস, রিমোট চালিত গাড়ি অথবা হেলিকাপটার- বাচ্চাদের সাথে খেলায় মেতে উঠি। তাতে আমার মাথার ভার কমে যায়, মন হালকা হয়। শৈশবের পৃথিবীটা অনেক সুন্দর। বড় হয়ে গেলেই পৃথিবীটা বিচ্ছিরি হয়ে যায়।
যদি জীবন বিমুখ হয়ে একটা কোটরের মধ্যে নিজেকে ভরে রাখতে পারো, তাহলে তুমি তোমার মতো শান্তি পেয়ে যাবে। আর যদি খোলা জীবনের মধ্যে এসে দাঁড়াতে চাও তাহলে সংঘর্ষ হবেই। পৃথিবীর কিছু মানুষ কেন এত খারাপ? কেন এত নিষ্ঠুর? কেন চারিদিকে সব সময় এত বিপদ-আপদ? এত সব ঝামেলা আর গন্ডগোলের মধ্যে কী করে বেঁচে থাকবে আগামী প্রজন্ম? মুশকিল হলো- এদেশে বাস করে কয়েক কোটি ভেড়া আর কয়েকটা বাঘ। এক লক্ষ ভেড়াও একটা বাঘ দেখলে পালায়। "আমি কিন্তু ভেড়া নই" । কত ছেলে দুনিয়া জুড়ে কত কী করছে! তের বছরের ছেলে প্লেন চালাচ্ছে, সতের বছরের ছেলে রাইফেল কাঁধে যুদ্ধে যাচ্ছে, কেউ আটলান্টিক পেরোচ্ছে নৌকায়। আমি না হয়- কয়েকটা বদমাশ কে শায়েস্তা করবো।
মানুষের জন্য আমার এত মায়া লাগে কেন বুঝি না।
কাল একলোক মাথায় ভারী বোঝা নিয়ে যাচ্ছিল, লোকটিকে দেখে খুব মায়া লাগলো। বাসে উঠলে হেলপারের জন্য মায়া লাগে। রাস্তায় সবজি বিক্রেতার জন্য মায়া লাগে, ভিক্ষুকের জন্য মায়া লাগে, সিগনালে যে মেয়েটি ফুল বিক্রি করে- তার জন্য মায়া লাগে, বাসে হকারদের জন্য মায়া লাগে। বেকারদের জন্য মায়া লাগে, ছোট বাচ্চাদের জন্য মায়া লাগে, ক্ষুনক্ষুনে বুড়ো বুড়িদের জন্য মায়া লাগে। অসুস্থ মানুষ দেখলে মায়া লাগে।
মানুষ কষ্ট তৈরি করে কেন? মানুষ চায় তার মনের মতো করে সবকিছু হোক, সবাই তার ইচ্ছাকে বুঝুক, গুরুত্ব দিক, মেনে নিক। ধ্রুব সত্য এই যে, আপনি যতই মনে করেন আপনার ইচ্ছাই সঠিক। আপনার ইচ্ছা মতো সবকিছু হওয়া উচিত কিন্তু আপনার কথামতো কেউই চলবে না। কারণ আপনার নিয়ন্ত্রণে কেউ নেই, আপনার নিয়ন্ত্রণে আছে শুধু একজন আর সেটা আপনি নিজে। মানুষের নিয়ন্ত্রণে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি থাকে তা হলো আপনি নিজে, আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই দেখবেন সবকিছু যেন নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে। আপনার পা দুটিকে ধুলার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আপনি পৃথিবীটাকে চামড়া দিয়ে ঢেকে দিতে পারবেন না। কিন্তু আপনার নিজের ছোট পা দুটিকে চামড়া দিয়ে ঢেকে দিতে পারলেই পৃথিবীটা ঢাকা হয়ে যায়। সুতরাং নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। দেখবেন সবকিছুই যেন ঠিক মনে হচ্ছে। আপনি যে রঙের চশমা পরবেন আপনি অন্যকে সেই রঙেই দেখবেন। লাল চশমা পরলে সব লাল, সবুজ পরলে সবকিছু সবুজ, হলুদ পরলে হলুদ। সুতরাং আপনার দৃষ্টিভঙ্গি যেমন হবে আপনি তেমনি সব দেখবেন। মনটি সুন্দর করলে আপনি সবকিছুই সুন্দর দেখবেন। আপনার সুখ, আপনার খুশি, আপনার আনন্দমতো অন্যের ওপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে আপনার ওপর।
একটা কবিতা লিখেছি-
মৃত্যু চাই-
কষ্টের মৃত্যু নয়
আনন্দময় ঘুমের মধ্যে মৃত্যু
কারো শোকের আমার দরকার নেই
যদিও অভাগার মৃত্যুতে কেউ শোক করে না।
প্রতি নিয়ত মৃত্যুর চেয়ে চির মৃত্যু অনেক শ্রেয়
অনেক প্রশ্ন জেগেছে মনে?
মৃত্যুর কাছে সব প্রশ্নই অবান্তর
মৃত মানুষের কাছে শুধু নিরবতাই কাম্য
হৈ-চৈ করো না বন্ধু, দাও এক মুঠো সৌরভ
ফেলো না চোখের জল।
মৃত্যু চাই সহজ সরল আনন্দময় মৃত্যু।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: এটা লেওয়া বা মেওয়া নয়। এটা আতা ফল।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫
বিজন রয় বলেছেন: পৃথিবীর ঋণ এখনো শোধ করতে পারিনি।
আমার মৃত্যুই বলে দিতে পারবে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: অন্তত পক্ষে কিছু গাছ লাগান। তাতে কিছুটা ঋণ শোধ হবে।
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭
ইসিয়াক বলেছেন: ইংরেজিতে Custard-apple, Sugar-apple, sugar-pineapple or sweetsop ইত্যাদি নামে পরিচিত এই ফলটি। বৈজ্ঞানিক নাম Anona squamosa. এই শরীফা ফলের আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকার নিরক্ষীয় অঞ্চল। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ, কিউবা, মধ্য আফ্রিকা, মিসর, শ্রীলংকা, মিয়ানমারসহ গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে সীতাফল দেখা যায়। অনেকেই মনে করেন, কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের অনেক আগেই পর্তুগিজরা প্রশান্ত মহাসাগরীয়র কোনো এক দ্বীপ থেকে ভারতবর্ষে সীতাফল নিয়ে আসেন। প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানা যায় বর্তমানে থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ ফলের বাণিজ্যিক চাষ হয়। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে মীরসরাইয়ের মতো গ্রামীণ জনপদ সহ দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে।
এই শরীফা ফলের অন্য নাম সীতাফল বা মেওয়া। গাছের কান্ড সোজা, কাষ্ঠল। উচ্চতায় ৩ থেকে ৫ মিটার। শীতকালে পাতা ঝরে যায় এবং বসন্তে নতুন পাতা গজায়, ফুল ধরে। ফুল এককভাবে বা গুচ্ছাকারে পাতার কক্ষে বা পুরনো শাখায় ফোটে। গাছে ফল ধরতে ৩ থেকে ৪ বছর সময় লাগে। ফুল ধরার প্রায় ৫ মাস পরে ফল পাকে। কাঁচা ফল খাওয়া যায় না। পাকা ফলের বীজ কালো এবং কাঁচা ফলের বীজ সাদা। একটি ফুলের মুণ্ড গর্ভাশয়গুলো থেকে একগুচ্ছ ফল হয়। পাকা ফল বলকারক, বাত-পিত্তনাশক, তৃষ্ণা নিবারক ও বমিরোধক। সীতাফলের শিকড় রক্ত আমাশয় রোগে উপকারী। অপরিপক্ব বীজ, পাতা, শিকড় ও ফলের মিহি গুঁড়া কীটনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চীন ও ফিলিপাইনে মানুষেরা মাথার উকুন দমনে সীতাফলের বীজের গুঁড়া ব্যবহার করে। শসা ও কুমড়ার জমিতে পাতার নির্যাস ব্যবহার করলে ৯১ ভাগ লাল পোকা দমন সম্ভব। একসময় বাড়ির আশপাশে, জঙ্গলে, রাস্তার ধারে ছোট ছোট সীতাফলের গাছ দেখা যেত। বর্তমানে আগের মতো আর চোখে পড়ে না। তবে দেশের উত্তরাঞ্চল রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, গাজীপুর ও দিনাজপুরে ফলটির চাষ হয়
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: এটা আতা ফল।
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
ইসিয়াক বলেছেন: কবিতাটি সুন্দর হয়েছে। পোষ্ট এখনো পড়িনি ।
পড়ে মন্তব্য করবো ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী ধন্যবাদ।
৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। +
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষের জন্য যতদিন মায়া থাকবে আপনার হৃদয়ে, আপনি নিজেই ততদিন মানুষ!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২০
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের প্রতি আমার সীমাহীন ভালোবাসা আছে।
৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পৃথিবীর ঋণ কখনোই শোধ করতে পারবেন না।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: খুব চেষ্টা করলে কিছুটা শোধ করা যায়।
৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৬
উম্মে সায়মা বলেছেন: এ মায়ার জন্যই তো পৃথিবী টিকে আছে ভাই।
শেষের দিকের দর্শনটা ভালো লেগেছে৷ সবাই যদি এটা মেনে চলতে পারত!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।
৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৮
তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন:
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: !
১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সম্ভব পৃথিবী টিকে আছে মায়ায়। ভালো লিখেছেন রাজীব ভাই।
আতা - মেওয়া বিষয়ক দ্বন্দ্ব !!
ইসিয়াক ভাই বলেছেন মেওয়া। আমি কিন্তু তাই জানি রাজীব ভাই। আতা ফলের ত্বক কিছুটা মসৃন। এই দেখুন ---
সম্ভব পৃথিবী টিকে আছে মায়ায়। ভালো লিখেছেন রাজীব ভাই।
আতা - মেওয়া বিষয়ক দ্বন্দ্ব !!
ইসিয়াক ভাই বলেছেন মেওয়া। আমি কিন্তু তাই জানি রাজীব ভাই। আতা ফলের ত্বক কিছুটা মসৃন। এই দেখুন ---
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: বৃক্ষ মেলা থেকে ছবিটি তুলেছিলাম।
বিক্রতাকে জিজ্ঞেস করেই জেনেছি এটা আতাফল।
১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৮
ইসিয়াক বলেছেন: কি বন্ধু আমি কি বলেছিলাম ?এটা খুব সুস্বাদু ফল। পেড়ে রাখলে পাকে না । আবার গাছে পেকে থাকলে পাখিতে খেয়ে যায় ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি মনে হয় ভুল বলেছেন। এটা আতা ফল।
১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৪
ইসিয়াক বলেছেন: হা হা হা আর কিছু বলবো না । আপনি যদি এতে খুশি হন তো আমি খুশি।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: এটা আতা ফল।
ছোটবেলা কবিতা পড়েন নি- আতা গাছে তোতা পাখি----
১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫১
ইসিয়াক বলেছেন: আতা গাছে তোতা পাখি
ডালিম গাছে মউ ।
এত ডাকি তবু কথা
কওনা কেন বউ ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে
১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৪
ইসিয়াক বলেছেন: সিংহমামা সিংহমামা
করছো তুমি কি ?
এই দেখনা কেমন তোমার
ছবি এঁকেছি ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর।
১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৭
ইসিয়াক বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: ছবি বদলেছেন কেন? এখন তো আপনাকে অপরিচিত লাগে।
ভালোই তো , একদিন অপরিচিত হতে হতে হারিয়ে মহাকালের অতলে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: দুষ্টলোক হারিয়ে যাক। ভালো লোক আশে পাশে থাক।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪
ইসিয়াক বলেছেন: এই ফলটার নাম লেওয়া /মেওয়া ।
এই গাছ আমার আছে।
এই ফলটা সাধারণত পাওয়া যায় না ।