নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বন্ধু জামাল

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯



ভালো কোনো কথা শুনলে খুব অল্প সময়ের জন্য উজ্জীবিত হই, চোখ জ্বলজ্বল করে উঠে। তারপর মনে মনে অনেক কিছু ভাবি এবং পরের দিন সম্পূর্ন ভুলে যাই। এর কারন হলো নিজের মনের উপর আত্মনিয়ন্ত্রণ নেই। আর মনে উপর আত্মনিয়ন্ত্রণ না থাকলে কোনো ভালো কথায় কাজ হয় না। নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিজেকেই এগিয়ে আসতে হয়। অন্য কেউ এসে করে দিবে না। ছোটবেলা থেকেই আমি অনেক কিছুই হতে চেয়েছিলাম, অনেক কিছুই হতে চেয়েছিলাম বলেই আজ আমি কিছুই হতে পারিনি। ইদানিং আমার মধ্যে শুধু নেগেটিভ চিন্তা। এজন্য অবশ্যই আমার আশে পাশের মানুষ গুলো দায়ী। কমপক্ষে প্রতিদিন এক লক্ষ নেতিবাচক চিন্তা আমার মাথায় ঘুরপাক খায়।

এই ভেবে আমি শান্তি পাই যে পৃথিবী সব মানুষই ১০০% সঠিক না। তাদের মধ্যে অনেক ভুলভ্রান্তি আছে। বুদ্ধিমান মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। আর আমি নিজের ভুলের কথা ভুলে যাই। তাই ভুল গুলো থেকে শিক্ষা নেওয়া হয় না। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, কখন কি ঘটবে আমরা কেউ'ই কিছুই জানি না। অথচ আমি ভবিষ্যৎ নিয়ে নানান চিন্তা ভাবনা করে-করে নিজের প্রেসার বাড়াই। অথচ সমস্যা প্রতিটা মানূষের'ই আছে। থাকবে। রাগ খুব খারাপ। অথচ আমার খুব রাগ। রাগটা কিছুতেই দমন করতে পারি না। অনুপ্রেরণা খুব মূল্যবান। অথচ কেউ আমাকে অনুপ্রেরণা দেয় না। অনুপ্রেরণা পেলে অনেক কিছু করা সম্ভব।

স্বপ্ন দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি জেগে জেগে বড় বড় স্বপ্ন দেখি। আমরা জীবনে ভালো-মন্দ যাই করি না কেন, সবকিছুরই প্রতিদান আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। ভালো করলে ভালো প্রতিদান, মন্দ করলে মন্দ প্রতিদান। খালেদা জিয়া মন্দ করেছে, তাই সে এখন কারাগারে। আমার বন্ধু শাহেদ জামালের একটা গল্প বলি। তার জবানিতেই।

ঢাকা শহরে আমার একটানা দুই দিন না খাওয়ার রেকর্ড আছে।
--দুইইই দিন!
-জ্বি ভাই দুই দিন। এছাড়া পুরো দিন না খেয়ে ছিলাম এমন দিনের সংখ্যাও কম নয়। বাবা মারা যাওয়ার পরে ঢাকায় নতুন আসছি, যেই মেসে উঠছিলাম সেখানে দুই মাসের ভাড়া বাকী পড়ছিল, দেড় মাসের মিল খরচও দিতে পারি নাই। পরে ওরা আমার মিল বন্ধ করে দেয়। ওদেরই বা কী দোষ বলেন, ওরদেরও তো নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। আরেকজনকে মাসের পর মাস ফ্রী খাওয়ানোর মত অবস্থা নাই।

--তারপর?
-তারপরে আর কী? ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির হয়ে রাগ জমলো আমার সার্টিফিকেটের উপরে। ডিগ্রীর সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেললাম। এই সার্টিফিকেট আমার পেটে ভাত দিচ্ছিল না। চাকরি চাইতে গেলে মানুষ দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়।
--তারপরে?
-তারপরে মেস থেকে অনেক দূরে ফার্মগেইটের একটা ছালাদিয়া হোটেলের সামনে গিয়ে লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে ভাত খুঁজি। বললাম "দুই দিন ধরে খাই নাই, পকেটে টাকাও নাই, শুধু একটা প্লেট ভাত দিলেই হবে। আমি পানি মিশিয়ে লবন দিয়ে খেয়ে ফেলব।

-ছালাদিয়া হোটেলের মালিকের মনে দয়া হল। উনি আমাকে এক প্লেট ভাত দিলেন। সাথে অবশ্য কোন এক তরকারীর পাতিল থেকে সামান্য ঝোলও দিলেন। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলাম। দুই মিনিটের মধ্যে খাওয়া শেষ। দোকানি বুঝলেন আমার পেটের সিকি ভাগও পূরণ হয় নি। উনি আমাকে বললেন এভাবে ফ্রী দিলে তো আমার চালান শেষ হয়ে যাবে। আমি গরিব মানুষ। তুমি এক কাজ করো, এই প্লেট গুলো ধুয়ে দেও, তাহলে আরো ভাত দিব।
আমি আরো ভাত খাওয়ার জন্য সবগুলো প্লেট ধুলাম। একের পর এক কাস্টমার আসছে, কারো প্লেট, কারো বাটি সবই ধুতে হল। এরপরে এক টেবিলে এক কাস্টমার অনেকক্ষণ ধরে বসে আছেন। ওনার টেবিল ময়লা, কেউ পরিষ্কার করছে না। আমার হাতে কাজ নেই, আমি গিয়ে টেবিল পরিষ্কার করে দিলাম। এভাবে পাশের টেবিলটাও। এভাবে কখন যে তিন ঘন্টা পার হয়ে গেল টের পেলাম না। তিন ঘন্টা পরে দোকান ফাঁকা। দোকানদার আমাকে পাতিলে থাকা অবশিষ্ট ভাত খেতে দিলেন। আমি মাছের ঝোল দিয়ে পুরো ভাতই খেলাম। পাতিলে অবশ্য মাছ ছিল না। আর মাছ থাকলেও আমি খেতাম না। আমাকে ভাত খেতে দিয়েছেন এটাই তো বেশি।
আসার সময় উনি বললেন আমার ছেলেটার দুই দিন হল জ্বর তাই দোকানে আসছে না। তুমি ইচ্ছে করলে এই কয়দিন আমার ছেলের বদলে কাজ করতে পার। তিনবেলা খেতে পারবে, কোন বেতন পাবে না।
দুই দিন কাজ করলাম। ওনার ছেলে চলে এলো। তিনি আমাকে কাজ থেকে বাদ দিলেন না। ওনাকে বললাম আমার মেস থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
উনি আমাকে হোটেলেই থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন।
ছয় মাস পরে পুলিশ এসে হোটেলটা গুড়িয়ে দেয়, ঐ জায়গাটা সরকারী ছিল। উনি এবার টং দোকান দিলেন, চা বেচা শুরু করলেন, সেখানে আমার জায়গা হল না। চা বিস্কুট এক একাই বেচা যায়। আমি আবার বেকার হয়ে পড়লাম।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সময়ের গতির সাথে জীবনের গতি প্রয়োজন। সবাই চাকুরীজীবি হলে বাজারে ব্যাবসা কে করবেন, আপনি সবজী মাছ লবন পেঁয়াজ রশুন কার কাছ থেকে কিনবেন? সবাই তো কম্পিউটার হাতে টেবিলে বসে থাকার কথা। শাহেদ জামাল সাহেব বর্তমানে কেমন আছেন?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: বিয়ে করেছে। ভালো আছে।

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩

বিজন রয় বলেছেন: আমি কি আপনার বন্ধু?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার বন্ধুর খবর বার্তা কি?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: বেঁচে আছে।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: চমৎকার লেখা। সুন্দর ভাবে লেখেন আপনি।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: কি যে বলেন!!
আপনি কত সুন্দর করে কবিতা লিখেন!!! তার ধারে কাছেও আমি নেই।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার কি পরিমাণ বন্ধু আছেন? কয়জন ভালো আছেন, কতজন কষ্টে আছেন?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: সত্যিকার বন্ধু বলতে যা বুঝায় সেরকম বন্ধু আমার একজনও নেই।

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: সত্যিকার বন্ধু বলতে যা বুঝায় সেরকম বন্ধু আমার একজনও নেই। অতি উত্তম প্রস্তাব।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: হে হে

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৯

ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন: সত্যিকার বন্ধু বলতে যা বুঝায় সেরকম বন্ধু আমার একজনও নেই।
সত্যি কথা সবাই শুধু স্বার্থ খোঁজে।
সুসময়ে বন্ধু বটে হয় ক'জনায়
দুঃসময়ে হায় হায় কেউতো কারো নয়

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: কেমন আছেন?

৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৫

ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন: কেমন আছেন?
ভালোই তো।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: কি খবর বন্ধু?

৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২২

ইসিয়াক বলেছেন: এখনো আকাশে চাঁদ ঐ জেগে আছে
যদি গো আলো তার আসে নিভে
তবু জেনে গেছি তুমি আছো কাছে।।
বুঝিনা তো কি যে বলে হাওয়া
বনতল ঝরা ফুলে ছাওয়া
ঐ নীড়ে জাগা দুটি পাখী
কূজনেতে দুজনারে যাচে।।
মনে রেখো এই কাছে থাকা
শপথের সুরে কাছে ঢাকা।
কথা হারা এই নীরবতা
মনে মনে রচে রূপকথা
তাই কোন কথা নয় যদি
এই আবেশ ভেঙে যায় পাছে।।

———–
সুর ও শিল্পী : সতীনাথ মুখোপাধ্যায়

০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: আহা আহা মধু মধু।

১০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:২৪

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: আমি কি আপনার বন্ধু হতে পেরেছি?

০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।
বন্ধু।

১১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:০৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার লেখার দক্ষতা এখন অনেক বেড়েছে, সত্যি কষ্টের গল্প, ভাললাগলো।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আহা তারেক ভাই। যা বললেন!!! মন ভরে গেল।

১২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২

ইসিয়াক বলেছেন: কি ব্যাপার রাজীব ভাই [বন্ধু]আপনি কোথায় ?

০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: বন্ধু আমি এসে গেছি।
একটা পোষ্ট দিয়েছি। পড়ুন। তাহলেই সব বুঝতে পারবেন।

১৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ইসিয়াক বলেছেন: এত বৃষ্টিতে ভিজলে ঠাণ্ডা লেগে যাবে।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ জানেন, বুঝেন। আমি গরীব মানুষ। টাকা পয়সা নাই। তাই আল্লাহ আমার অসুখ দিবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.