নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
একবার এক ইংরেজ কালেক্টরের সামনে দিয়ে রামমোহন পাল্কিতে চড়ে যাচ্ছিলেন- এতে কালেক্টর স্যার ফ্রেডারিক খেপে গেলেন। কারণ ইংরেজ সাহেব দাঁড়িয়ে আছে আর একজন দেশী কিনা পাল্কীতে চড়ে যাচ্ছে! তিনি চিৎকার করে রামমোহনকে পাল্কী হইতে নামতে বলেন কিন্তু রামমোহনও ছাড়বার পাত্র ছিলেন না। তিনি ইংরেজ সাহেবকে বুঝানোর চেষ্টা করেন কিন্তু কালেক্টর সাহেব যখন বুঝতে চাইলেন না। তখন রামমোহন পাল্কীতে চড়ে দ্রুত চলে গেলেন। এবং এই অপমানের প্রতিকারের জন্যে রামমোহন বড়লাটকে প্রতিবাদ জানান। ধারণা করা হয়, এই প্রতিবাদ চিঠি ছিল রামমোহনের প্রথম ইংরেজি রচনা। এতে অবশ্য কাজও হয়েছিল। কালেক্টর স্যার ফ্রেডারিকের উপর আদেশ হয়েছিল-দেশীয় লোকদের সাথে ভবিষ্যতে যেন এমন বচসা না করেন।
রামমোহন রায় একজন বাঙালি দার্শনিক।
তিনি বিখ্যাত হয়েছেন, সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টার জন্য। রামমোহন রায় ১৮২৮ সালে দ্বারকানাথ ঠাকুরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করেন। রাম মোহন একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করতেন। তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মূর্তি পূজার বিরোধী ছিলেন। তিনি মনে করতেন সকল ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান কুসংস্কার ছাড়া কিছু নয়। সব ধর্মের প্রকৃত সত্য সবাইকে জানানোর জন্যই নানা ভাষায় বই লিখতে শুরু করেন। হিন্দু ধর্মকে সংস্কার করতে তিনি আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি মনে করেছিলেন ব্রাহ্ম আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতীয়গণের মধ্যে ধর্মগত ভেদাভেদ দূর হবে।
এক হিসাবে দেখা যায়, ১৮১৫ থেকে ১৮১৮ চার বছরে প্রায় আড়াই হাজার মেয়েকে স্বামীর সাথে পোড়ানো হয়েছিল। অল্প বয়সী বিধবা মেয়েদের এই করুন পরিনতি তাকে প্রচন্ড কষ্ট দেয়। রামমোহন অসংখ্য সতীদাহ দেখেছিলেন। তিনি অনুভব করেছিলেন এই প্রথা সমাজের এক অভিশাপ। অনেকের অভিমত ১৮১২ সালে তাঁর বৌদিকে সহমৃত হতে দেখে প্রথম এর বিরুদ্ধে তাঁর মনে ঘৃণার সঞ্চার হয়েছিল। তখন থেকেই তিনি এই প্রথা উচ্ছেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। রামমোহন ইউরোপের ইতিহাস পাঠ করে বুঝতে পারলেন, দেশের মানুষের উন্নতির জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন শিক্ষার বিস্তার, জাতীয় চেতনার প্রসার, সমাজ রাষ্ট্র সম্বন্ধে সম্যক ধারণা। দরিদ্র লোকদের শিক্ষাই সম্পদ।
পলাশীর যুদ্ধের পনেরো বছর পরে এবং ফরাসি বিপ্লবের ঝড়ের মুখে ভারত বর্ষে ২২ মে, ১৭৭২ সালে হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে রামমোহন রায় জন্মগ্রহণ করেন এক সম্ভ্রান্ত ও কুলীন হিন্দু পরিবারে। বাবা রামকান্ত রায় এবং মা তারিণী দেবী। গ্রামের পাঠশালাতেই তাঁর বাল্যশিক্ষার শুরু। ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। ৯ বছর চাকুরী করে বেশ অর্থ উপার্জন করার ফলে অর্থনৈতিকভাবে তিনি বেশ সমৃদ্ধশালী ছিলেন। রামমোহনের বই ও বইয়ের অনুবাদের ফলে দেশে বিদেশে রামমোহনের নাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে। লন্ডন, ফ্রান্স, আমেরিকায়ও রামমোহন খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। সেই সাথে ভারতে রামমোহনের বিরুদ্ধে দেশে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়।
রামমোহন বলিষ্ঠ পুরুষ ছিলেন।
শরীরের দৈর্ঘ্য ছিল ছয় ফুট উচ্চ। মাথা ছিল অস্বাভাবিক বড়। এই জন্যে বিলেতের বিশেষজ্ঞগণ তাঁকে অসাধারণ পুরুষ বলত। রামমোহন প্রতিদিন ১২ সের দুধ পান করতেন। কথিত আছে, একবারে একটি আস্ত পাঠার মাংস খেতে পারতেন। কলিকাতায় তিনি যখন ধর্মমত প্রচার যখন শুরু করেন তখন কিছু মানুষ তাকে একাধিকবার হত্যার পরিকল্পনা করে। এই কথা শুনে রামমোহন বললেন- আমাকে মারবে? কলকাতার লোক আমাকে মারবে? তারা কী খায়?’’ এই কথার মধ্যদিয়ে স্পষ্ট হয়, রামমোহনের নিজের শক্তি-সামর্থ্যের উপর যথেষ্ট আস্থা রাখতেন। রামমোহন শরীরের বিষয়ে বেশ যত্নবান ছিলেন। তিনি শরীরকে ভগবানের মন্দির মনে করতেন। সেই কালের অন্যদের মতন তাঁরও বাবরী চুল ছিল। রামমোহন যেমন খেতে জানতেন তেমনি পড়তে পারতেন। শোন যায়, রামায়ণ-এর মতন মহা-গ্রন্থ তিনি এক বসাতে শেষ করে ফেলতেন।
রামমোহন ছিলেন বহুভাষাবিদ।
মাত্র তেইশ বছর বয়সে তিনি দশটি ভাষায় পারদর্শিতা লাভ করেন। রামমোহন মোট ১০টি ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন-সংস্কৃত, পারসি, আরবি, উর্দু, বাংলা, ইংরেজি, ফরাসী, ল্যাটিন, গ্রিক ও হিব্রু। এসকল ভাষার প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গেও পরিচিত ছিলেন। তিনি প্রতিদিন গোসল করার সময় কবিতা আবৃত্তি করতেন। একবার তিনি মধু দিয়ে রুটি খেতে খেতে বালক মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বলছিলেন-বেরাদর (পারস্য শব্দ ভাই), আমি মধু ও রুটি খাচ্ছি, কিন্তু লোকে বলে আমি গরুর মাংস ভোজন করে থাকি। সামাজিক কুৎসা, জীবনের উপর আক্রমণ সবকিছুই সইতে হয়েছে রামমোহনকে। তৎকালীন সমাজিক প্রথানুসারে বাবার নির্দেশে রামমোহনকে নয় বছর বয়সের মধ্যেই তিনবার বিয়ে করতে বাধ্য হোন। প্রথম স্ত্রী কিছুদিনের মধ্যে মারা যান। নিজের জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই পরবর্তী জীবনে তিনি বহু বিবাহ প্রথার তীব্র নিন্দা এবং বিরোধিতা করেন। এমনকি তিনি তাঁর পুত্রদের ওপর শর্ত আরোপ করেন যে, স্ত্রী বেঁচে থাকতে যদি কেউ দ্বিতীয় বিয়ে করে তাহলে সে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ পুরুষের একাধিক বিয়েকে স্ত্রী লোকদের জন্যে হীন ও অসম্মান হিসেবে তিনি দেখতেন।
প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনের অত্যাচার সহ্য করার পরও রামমোহনের কোন লেখায় কারো প্রতি কোন বিদ্বেষ দেখা যায়নি। কলকাতায় যখন ব্রাহ্মসভায় উপাসনা করতে যেতেন তখন লোকে তার গাড়িতে ঢিল ছুড়ত। তাই বেশির ভাগ সময় গাড়ির জানালা বন্ধ করে রাখতে বাধ্য হতেন। বিরোধী পক্ষ তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা পর্যন্ত করছে। এই জন্যে রামমোহন তাঁর সঙ্গে কিরিচ ও পিস্তল সঙ্গে নিয়ে বের হতেন। কিন্তু এর পরও তিনি এসব নিয়ে রসিকতাই করতেন। সহিষ্ণুতার নীতিতে ছিল তাঁর অগাধ আস্থা। তাই তিনি ভারতপথিক। মেনিনজাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্রিটেনের মাটিতেই ব্রিস্টলে ১৮৩৩ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর রামমোহন রায়ের মৃত্যু হয়। রামমোহনের জীবনের শেষ তিন বছর কেটেছিল ইংল্যান্ডে। ঊনষাট বছর বয়সে বিদেশের মাটিতেই মারা যান ভারতের প্রথম আধুনিক পুরুষ।
রাজা রামমোহনকে নিয়ে মেরি কার্পেন্টার ‘লাস্ট ডেজ অফ রামমোহন রায়’ নামে একটি বই লিখেন। বইটি বেরোয় ১৮৬৬–তে, রাজার মৃত্যুর ৩৩ বছর পরে। আর দ্বিতীয় যে বইটি রামমোহন কেন আধুনিক ভারতের প্রথম অগ্রদূত সম্পর্কে চোখ ধুইয়ে পরিষ্কার করে সেটি হল ‘লাইফ অ্যান্ড লেটারস অফ রামমোহন রায়’। লেখিকা সোফিয়া ডবসন কলেট। ১৯০০ সালে রাজার মৃত্যুর ৭৭ বছর পরে বইটি প্রকাশিত হয়।
এক নজরে রামমোহনঃ
# ১৭৭২ সালে রামমোহন এর জন্ম।
# ১৮০৩ সালে রামমোহন এর পিতা রামকান্ত রায়ের মৃত্যু হয়।
# ১৮০৫ সালে রামমোহনের বন্ধু মিঃ ডিগবি রামগড়ের ম্যাজিষ্ট্রেট হলে রামমোহনকে সরাসরি ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানিতে চাকরী দেন।
# ১৮১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে রামমোহন কলকাতায় বসতি স্থাপন করেন
# ১৮১৫ সালে রামমোহন ‘আত্মীয় সভা’ প্রতিষ্ঠা করেন। নিজের মত প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করার জন্যে।
# ১৮১৬ সালে রামমোহনের গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ দেখে ইংরেজ পাদ্রীরা অবাক হোন।
# ১৮১৮ সালে সতীদাহের বিরুদ্ধে প্রথম গ্রন্থ রচনা করেন রামমোহন।
# ১৮১৯ সালে আত্মীয় সভা বিহারীলাল চৌবের বাড়িতে স্থানান্তরিত করেন রামমোহন।
# ১৮২০ সালে রামমোহন প্রকাশ করেন তাঁর আলোচিত গ্রন্থ: জিশু খ্রিস্টের উপদেশ-শান্তি সুখের পথ (Precepts of Jesus-Guide to Peace and Happiness)।
# ১৮২১ সালে রামমোহন সম্বাদ কৌমুদী নামে বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশ করেন।
# ১৮২২ সালে মিরাত-উল-আখবার নামে ফারসি সংবাদপত্র প্রকাশ করেন রামমোহন।
# ১৮২৩ সালে রামমোহন প্রচলিত সংস্কৃত শিক্ষার বিরোধিতা করে আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব দিয়ে লর্ড আমহাস্টকে চিঠি লেখেন।
# ১৮২৮ সালে রামমোহন ব্রাহ্মসভা (পরবর্তীসময়ে ব্রাহ্মসমাজ) অর্থাৎ ঈশ্বরের সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন,
# ১৮২৯ সালে রামমোহন দিল্লীর বাদশাহ থেকে রাজা উপাধি লাভ করেন।
# ১৮৩০ সালে ১৯ নভেম্বর রামমোহন কলকাতা থেকে বিলেত যাত্রা করেন।
# ১৮৩১ সালে মুঘল সাম্রাজ্যের দূত হিসেবে যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেন রামমোহন।
# ১৮৩২ সালে শেষের দিকে কিছুদিনের জন্য রামমোহন ফ্রান্সেও গিয়েছিলেন।
# ১৮৩৩-সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্রিস্টলে তাঁরামমোহনের মহাপ্রয়াণ হয়।
২৩ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষাই দরিদ্রদের সম্পদ" এটা আপনার কথাই।
আমাদের দেশে লেখাপড়া করা লোকের সংখ্যা বাড়ছে। একদম অতি অতি দরিদ্ররা শুধু লেখাপরা করছে না।
২| ২৩ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ধর্মই মানবজাতির যত শান্তির মূল।
এমন একটা সময় আসবে যখন ধর্মের এতো প্রভাব প্রতিপত্তি থাকবে না ।
এমন কি কিছু ধর্ম বিলুপ্ত ও হয়ে যেতে পারে।
২৩ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: একটা সময় আসবে- দুনিয়াতে কোনো ধর্মই থাকবে না। সেই সময়টা কতটা আনন্দের হবে!!!
৩| ২৩ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:১০
ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্রিটিশ পিরিয়ডে ভারত উপমহাদেশে যুগে যুগে সমাজ সংস্কারকরা জন্মেছেন যারা ঘুনে ধরা সমাজের অন্ধকার দূর করতে প্রভুত ভুমিকা রেখেছেন। দুঃখজনকভাবে আজকের এত উন্নত টেকনোলজির যুগে এই উপমহাদেশে সমাজ সংস্কারকদের দেখা আর মেলে না। এখনও এই ঘুনে ধরা সমাজে হাজারো অনিয়ম, অনৈতিকতা , অশিক্ষা, কুশিক্ষা বিদ্যমান। কিন্ত এগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার মানুষের দেখা পাওয়া যায় না।
২৩ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: না আজ মহান লোকদের দেখা না পাওয়া গেলেও, দেসের সামাজিক অবস্থা অনেক উন্নত হয়ে্ছে।
এখন তো আর স্বামীর সাথে সহমরণ হয় না। বিধবা বিবাহও হয়। কন্যা সন্তানকে কুয়ায় ফেলে দেওয়াও হয় না।
৪| ২৩ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:২৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন: অস্বাভাবিক বড় মাথাকে বিফলে যেতে দেননি। যেখানে খাটানোর দরকার ছিল খাটিয়েছে,ফলাফল পেয়েছে। অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ
২৩ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
৫| ২৩ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
রাজ্যহীন রাজা রাজা রামমোহন রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা।
২৩ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৬| ২৩ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭
ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট
২৩ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৭| ২৩ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
রাম মোহন রায়কে রাজা উপাধি দিয়েছিলেন যেই রাজা সেই রাজার ও নিজের রাজ্য ছিল না।
তিনি ছিলেন ভারতের শেষ মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর। তাঁরই নামে পুরানো ঢাকায় বাহাদুর শাহ পার্ক । এটাকে অনেকে আবার ভিক্টোরিয়া পার্ক ও বলে।
২৩ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: সেই কথা কি রাজ্জাক স্যারের?
৮| ২৩ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভারতের মানুষ দুই/তিনশত বছর আগে যে রকম অনগ্রসর ছিল, কুসংস্কারে ভরপুর ছিল বর্তমানে ভারতবর্ষের মানুষ যে খুব একটা উন্নত হতে পেরেছে সেটা নয় । আমরা ভারত বলতে যি তাকে চিনি টিভি দেখে সেটা হচ্ছে মুম্বাইয়ের কিছু হিন্দি সিনেমা, কলকাতার বাংলা সিনেমা, বাংলা টিভি সিরিয়াল এই সব। এগুলো বাদ দিলে ভারতবর্ষে এখনো অনেক অনেক অনেক কুসংস্কার ভরা। তাদের বেশির ভাগ মানুষের কোন শৌচাগার নাই। তারা নদীর ধারে, আখ ক্ষেতে, পাট ক্ষেতে এবং অন্যান্য জঙ্গলে প্রাকৃতিক ক্রিয়া সম্পাদন করে ।
ইহ থেকে একটি বিষয় ধরে নেওয়া যায়, আজ থেকে দুই আড়াইশো বছর আগে তারা কতটা অনুন্নত ও অসভ্য জাতি ছিল। সেখানকার মানুষ সতীদাহ প্রথা এই জাতীয় আবর্জনার রীতি তো চালু করবেই।
২৩ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। রাইট।
৯| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৯:১৪
অনল চৌধুরী বলেছেন: পাকি,ভারত,বাংলাদেশ-কোনো দেশের মানুষের মানসিকতারই কোনো পরিবর্তন হয়িানি আরো অধ:পতন হওয়া ছাড়া।
এতো বড় অভিনতা অমিতাভ তার ছেলে বউ ।ঐশ্বরিয়ার গ্রহের দোষ কাটাতে ২০০৭ সালে তাকে গাছের সাথে বিয়ে দিয়েছিলো।
বাংলাদেশে রাজাকার সাঈদীকে চাদে দেখে ২০১৩ সালে গ্রামের লোকজন ,,, আক্রমণ করতে গিয়েছিলো।
এরা ডিশ এ্যান্টেনায় ছবি -নাটক দেখে ,ফেসবুক ইন্টারনেট ব্যবহার করে আরো বেশী জংলী হচ্ছে।
ভারতের রাস্তায় এমকি কাশ্মীরে সংসদের ভিতরেও গরু খাওয়ার অপরাধে মুসলমান হত্যা-নির্যাতন করা হয় ।
২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: একদম সত্য বলেছেন। সহমত।
১০| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৫৯
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রাজা রামমোহন কোরান পড়তে পারতেন। তার একটা বইতে ইসলাম নিয়ে খুব সুন্দর দার্শনিক কথা লেখা আছে যা বর্তমানে ইসলাম রিফর্ম নিয়ে কাজ করেন তারা সেটা বলতে ভয় পান। এজন্য মাঝে মাঝেই কিছু কিছু জঙ্গিদের রোষানলে পড়েন।
মানুষটা এসময়ে জন্মালে হয়তো শান্তিতে নোবেল পেতেন। সহীপ্রথা বহুবিবাহ খ্রিস্টান ধর্মের শিশুকামীতা নিয়ে তিনি যা কাজ করেছেন
সে হিসেবে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী হিসেবে ১০ নম্বর রাখাটা একটু পিছিয়ে গেছে। শেরে বাংলা সলিমুল্লাহর মতো সাম্প্রদায়িক শঠদের সরিয়ে তাকে আবার মূল্যায়ন করা হোক
২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
১১| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১২
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওয়েল শেরে বাংলা কাজী নজরুলের দুঃসময়ে কথা দিছিলো একটা সিনেমার গান বা সঙ্গিত করে দিলে তাকে ১৭০০০ টাকা পাইতে দেবে। তবে শর্ত হলো শেরে বাংলা তখন একটা পত্রিকার সম্পাদক হবার চেস্টা করছিলেন।
তো কাজী নজরুলের তখন দুঃসময় ছিলো। তিনি সেটা ভালোভাবেই করেন। কিন্তু সেই টাকাটা আর পাননি। এদিকে শেরে বাংলা সেই পত্রিকার সম্পাদক হয়েছিলেন এবং পরে মুখ্যমন্ত্রী না কি যেনো হয়েছিলেন। তখনও টাকার জন্য তিনি তার অফিসের সামনে পড়ে থাকতেন। তখন তার স্ত্রী অসুস্থ ছিলো এবং কিছু দিন পর বিনা চিকিত্সাতেই মারা যান। এরপর উনি বাকশক্তি হারান।
ব্লগে এটা নিয়ে পোস্ট হয়েছিলো
সলিমুল্লাহর ব্যাপারটা নিয়ে ক্ষমাপ্রার্থী কারন সেখানে হবে সোহরাওয়ার্দি। সোহরাওয়ার্দি অটো কারেকসশনে সলিমুল্লাহ হয়ে গেছে কারন তার একটু আগে সলিমুল্লাহ থেকে পাশ করা এক ডাক্তারনীর সাথে চ্যাট করতেছিলাম এবং আমার আইফোনের নিউ ফিচারের অটো কারেকশন সেটাই পিক করে।
সোহরাওয়ার্দী প্রশ্নবিদ্ধ আচরন করেছিলেন ১৯৪৬ এ যখন নোয়াখালীতে দাঙ্গা বাধাত তৎকালীন এলাকার পীর সাহেব। সেসময় ব্যাবস্থা নিলে সা লক্ষ্মীপুর চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম ছড়াতো উনি সিম্পলি সেটা হতে দেন। পরে যখন গান্ধী নেহরু জোর করে হেলিকপারে আসেন তখন তিনি বাধ্য হন ব্যাবস্থা নিতে। তার এই সাম্প্রদায়িক মনোভাব ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে।
এজন্যই আমি তাদেরকে আজীবন শঠ বলবো কারন সেসব সংখ্যালঘুর রক্ত ও ইজ্জত তার হাতে লেগে আছে
ধন্যবাদ ব্যাপারটা ক্লিয়ার করতে দেয়ার জন্য
সলিমুল্লাহর নাম উচ্চারন করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থি এটা সিম্পলি অটোকারেকশন মিসটেক তবে যাই হোউক এটা আমার অসতর্কতা
২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি নজরুলকে নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছি। তাকে আমি পুরো্পুরি জানতে চাই। ব্লগে লিখব ধজারাবাহিক ভাবে।
১২| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৩:৫১
অন্তরন্তর বলেছেন: রাজিব নুর,আপনার পোস্টের জন্য আমি যে শহরে থাকি সেখানে ছোট একটি লোকাল ট্রেন স্টেশনে দেয়ালে আঁকা প্রায় ৩০ বছর আগে গ্রেট রামমোহন রায় এর ছবি দিলাম। অনেক দিন আগের পেইন্টিং দেয়ালে তাই এখন আর আগের মত নেই। ওনার সমাধি আমি যে শহরে থাকি সেই শহরে। উনার মত গুনি লোকের জন্য আমাদের উপমহাদেশ গর্বিত এবং খুব ভাল লাগে যখন দেখি ব্রিটিশরা উনাকে সন্মান করছে। ভাল থাকুন।
২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
১৩| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৩:৫৫
অন্তরন্তর বলেছেন: অনেক দুঃখিত ছবিগুলো দিতে পারি নি আর অন্য দুটি ছবি চলে গেছে। আর ছবিগুলো কেন যেন সাইড হয়ে গিয়েছে।
১৪| ২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: অসুবিধা নেই। মাঝে মাঝে এরকম হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "শিক্ষাই দরিদ্রদের সম্পদ"।
হিন্দু ধর্ম ছিলো খুবই নিকৃষ্টতম ধর্মগুলোর মাঝে একটি; বৃটিশ, রাজা রামমোহন রায় ও বিদ্যাসাগর ইহাকে কিছুটা ঠিক করেছে; ইসলামকে কে ঠিক করবে?