নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গতকাল রাতে!

২৮ শে মে, ২০২০ রাত ২:২২


গত রাতের (২৬ মে) ঝড়ে রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় বেশ কয়েকটি শতবর্ষী গাছ ভেঙ্গে পড়ে।

গতকাল রাতে হঠাত ঝড় শুরু হলো!
আনুমানিক রাত তখন দুইটা হবে। আমি কোলকাতার একটা মুভি দেখছিলাম। সুরভি গভীর ঘুমে। হঠাত দেখি খুব বাতাস! খুব বেশি বাতাস! যেন সব কিছু উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে শো শো, শন শন শব্দ। এই শো শো- শন শন শব্দটা বুকের মধ্যে কেমন ভয় ঢুকে দেয়। ব্যলকনিতে থাকা সুরভির সব গাছ পড়ে গেল। পুরো ঘর মুহুর্তের মধ্যে ঠান্ডা হয়ে গেল। আমি তাড়াতাড়ি উঠে ব্যলকনিতে গেলাম। বাতাসের সাথে সাথে শুরু হলো তুমুল বৃষ্টি। প্রচন্ড বৃষ্টি! বাতাসের জোরে বৃষ্টির ছাট ঘরের মধ্যে চলে আসছে।



আমি অনেকক্ষন দাড়িয়ে থাকলাম ব্যলকনিতে!
বেশ ভালো লাগছে। খুব বাতাস! এবং খুব ঘন বৃষ্টি! এরকম ঘন বৃষ্টি অনেকদিন দেখি নাই। আম্পানেও এত বৃষ্টি হয়নি ঢাকায়। ইচ্ছে মতো বাতাস আর বৃষ্টি উপভোগ করলাম। হঠাত কারেন্ট চলে গেল। দশ মিনিট পর আবার চলেও এলো। একটু পরপর বাজ পড়ছে। বিজলি চমকাচ্ছে। চারিদিকে বড় সুন্দর পরিবেশ। অতি মনোরম পরিবেশ। মনে মনে বলছি- এই ঝড়, এই বাতাস আর বৃষ্টি সমস্ত দেশ থেকে করোনা ধুয়ে মুছে নিয়ে যাক। হে প্রভু, দরিদ্র দেশের মানুষের কষ্টের সীমা নেই। তাদের আর কষ্ট দিও না। একটু দয়া করো। তুমি তো দয়ার সাগর!



ইচ্ছা করলো চা খেতে।
নিজেই চুলায় চায়ের পানি বসিয়ে দিলাম। এখন আমি চা বানাতে পারি। খুব কঠিন কিছু না। এই করোনায় আমি অনেক কিছু শিখেছি। মুহুর্তের মধ্যে পানি গরম হয়ে গেল। তাপর দুই চামচ চাপাতি দিয়ে দিলাম। অনেকক্ষন জাল দিলাম। লিকার ঘন হলো। তারপর দুধ চিনি মিশিয়ে এক মগ চা নিয়ে ব্যলকনিতে আরাম করে বসলাম। বৃষ্টি হয়েই যাচ্ছে। থামার কোনো লক্ষন নেই। বৃষ্টির ছাট এসে আমাকে অনেকখানি ভিজিয়ে দিয়েছে। বেশ ভালো লাগছে। এত বাতাস সিগারেট ধরাতে বেশ বেগ পেতে হলো। খুব মন খারাপ ছিলো। মধ্যরাত্রে এই বৃষ্টি আর বাতাস মন ভালো করে দিলো।



ছবি গুলো আমার তোলা না।
ছবি তুলেছেন টিটু মামা। টিটূ মামা খুব ভালো ছবি তুলেন। উনি বহু বছর ধরে ফোটোগ্রাফী করছেন। ছবি গুলো দেখে মনে হলো- আম্পানে কোলকাতায় যেভাবে গাছ গুলো ভেঙ্গে পড়েছে। গতকালের ঝড়ে আমাদের দেশেও ঠিক সেভাবে গাছ গুলো ভেঙ্গে পড়ে আছে! আহারে কত পুরোনো গাছ গুলো! গাছ গুলোর জন্য আমার খুব কষ্ট হচ্ছে! গাছপালা আমি ভীষন ভালোবাসি। গাছপালা আমার মন ভালো করে দেয়। আমাকে আনন্দ দেয়।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ২:৪১

কাছের-মানুষ বলেছেন: কোলকাতায় নাকি অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পত্রিকাতে দেখলাম। দুংখজনক।

আপনি চা বানাতে শিখেছেন এটা ভাল খবর। আমি মনে করি প্রতিটি পুরুষ মানুষের কিছু না কিছু রান্না করতে পারা উচিৎ!

২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৩:১১

রাজীব নুর বলেছেন: হুম, কোলকাতায় এক লক্ষ কোটি টাকার উপরে ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।

আমি ঠিক করেছি সব রকমের রান্না শিখব।

২| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ২:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ছাদে আপনার আমগাছ আছে তো?

২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৩:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আম গাছ আছে।
আম গাছে একটা আম ঝুলে আছে।
পেয়ারা গাছও আছে। চারটা পেয়ারা অনেক বড় হয়ে গেছে।
তবে লেবু গাছ কোনো লেব্য এবছর হয় নি।

৩| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০০

অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি তখন ডেস্কটপ চালাচ্ছিলাম।
ঝড় হতে দেখেও জানালা বন্ধ করিনি। ঘরে বসে বাইরের ঝড়-বৃষ্টি দেখলাম।

২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৩:১২

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ!!!

৪| ২৮ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেছে উন্নয়নের জন্য কখনো কখনো গাছ কাটতে হয়

২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: এই কথা আমি কোনো দিনও বিশ্বাসরবো না।

তাছাড়া এমন উন্নয়ন দরকার নেই আমাদের।

৫| ২৮ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:৪৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বৃষ্টির সাথে যখন বজ্রপাত হয় তখন ব্যলকনিতে যাওয়া ঠিক না।ঢাকার কিছু খবর পাওয়া গেল।

২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে লোভ সামলাতে পারি নি।

৬| ২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:২৬

ইসিয়াক বলেছেন: ব্যলকনিতে ফুলের টব রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বণ করুন। কারণ ঝড়ো বাতাসে বা সাধারণ কম্পনে উপর থেকে টব নিচে পড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে যে কোন সময় একটা দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।অনেকে এই ভুলগুলো করেন,বললেনও শুধরাণ না, এগুলো ঠিক না।

২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: না ঝড় তো সব সময় আসে না।
তাছাড়া হুটরে ঝড় এসে পড়লো< সরানোর সময় পাই নি।

৭| ২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:২২

করুণাধারা বলেছেন: ইসিয়াক বলেছেন, ব্যলকনিতে ফুলের টব রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বণ করুন। কারণ ঝড়ো বাতাসে বা সাধারণ কম্পনে উপর থেকে টব নিচে পড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে যে কোন সময় একটা দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।অনেকে এই ভুলগুলো করেন,বললেনও শুধরাণ না, এগুলো ঠিক না।

সহমত। ঝড়টা যদি দিনের বেলা হত, আর নীচে কেউ থাকতে তাহলে কি হত?

২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: টব গুলো বড় বড় না। একদম ছোট ছোট। কারো গায়ে পড়লেও ভয় নাই।

৮| ২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

গুরুভাঈ বলেছেন: সর্বনাশ? এতো বড়ো বড়ো গাছ উপড়ায় পরে গেলে গাছ লাগায় লাভ কি?? আমরা তো জানি গাছ আরো মাটির ভিত শক্ত করে

২৮ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই গাছ গুলোর অনেক বয়স হয়েছিলো।

৯| ২৮ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

ইসিয়াক বলেছেন: বেশি বেশি বর্ষা হলে মাটি নরম হয়ে যায় আর গাছের পাতা ভিজে ভারি হয়ে যায় তখন গাছের জন্য ভারসাম্য বজায় রাখা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে তবুও গাছ টিকে থাকে।কিন্তু গাছের গোড়া যদি পোকা লেগে নষ্ট হয়ে যায় তখন সে আর দাড়িয়ে থাকতে পারে স্বাভাবিকভাবে। ভেঙ্গে পড়ে।

২৮ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: হুম সেটাই। গাছ গুলোর অনেক বয়স হয়েছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.