নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতি বছর বাজেট এবং বরাদ্দের টাকা গুলো যায় কই?

০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৬



প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে- মন্ত্রী এমপি নেতা, বড় বড় সরকারি কর্মকর্তারা সবাই'ই বলছেন, দেশে প্রচুর উন্নতি হচ্ছে। অথচ আমি কোনো উন্নয়ন দেখতে পাই না। আমি দেখি রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। ফুটপাতে লোকজন রাত্রিযাপন আর বেকার। হ্যা পদ্মা সেতু হচ্ছে। মেট্রোরেল হচ্ছে। এসব দিয়ে তো আর দেশে ভিক্ষুক বা দরিদ্র মানুষ কমবে না।

প্রতি বছর দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার বাজেট হচ্ছে। সব মন্ত্রনালয়কে কম বেশি করে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এই বরাদ্দের টাকা কত পারসেন্ট দূর্নীতি হচ্ছে? তার হিসাব কি কেউ রাখছে? গত চার মাসে দুদক কয়জন দূর্নীতিবাজকে ধরেছে? এত এত নিউজ পেপার, এত এত টিভি চ্যানেল বা এত এত অনলাইন নিউজ পোর্টাল তারা দূর্নীতিবাজদের গলা টিপে ধরে না কেন? কারন নিউজ পেপার, টিভি চ্যানেল অথবা অনলাইন পোর্টাল গুলোর মালিকগনই হয়তো সবচেয়ে বড় দূর্নীতিবাজ।

রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় থাকলে দূর্নীতি করতে সুবিধা হয়। যত দূর্নীতিবাজ আমাদের দেশে আছেন তারা কোনো কোনো রাজনীতিবিদের আত্মীয়, বন্ধু অথবা কাছের লোক। সরকারের সমস্ত কাজকাম মানেই দূর্নীতি। ভূমি অফিস থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ বা গ্যাস-পানি, শিক্ষাখাতসহ সব সেক্টরেই দূর্নীতি। ধর্ম মন্ত্রনালয়েও দূর্নীতি হয়। স্বাস্থ মন্ত্রনালয়ের বেহাল দশা। কাগজে কলমে বরাদ্দ, কাগজে কলমে উন্নয়ন। শিক্ষাখাতের যখন প্রশ্ন আসে- দেখা যায় কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিন্তু শিক্ষার মান একদম শুয়ে পড়েছে। যখন সড়ক নিরাপত্তার কথা আসে- তখন দেখা যায়। হায় হায় সড়কের বেহাল দশা। অথচ পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো।

যখন কোথাও আগুন লাগে, কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়। মানুষ মরে। তখন দেখা যায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিচ্ছু হয় নি। যখন স্বাস্থ্যখাতের কথা আসে- দেখা যায় তাদের কোনো উন্নতি হয় নি। সরকারি হাসপাতাল থেকে দালালও দূর হয়নি। হাসপাতালের বারান্দায় শুয়ে আছে রোগী। অথচ প্রতি বছর নিয়ম করে তাদের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বরাদ্দের টাকা গুলো যায় কই? আর কতদিন এভাবে চলবে? চলতেই থাকবে?

যে বা যারা এই টাকা গুলো খাপ করে দেয়।
কাগজে কলমে উন্নয়ন দেখিয়ে, আসল সত্যিকারের উন্নয়ন না হয়ে হাজার হাজার কোটি নাই হয়ে যায়। টাকা গায়েবকারীরা বিদেশ গিয়ে জুয়া খেলে। নারী নিয়ে সমুদ্রের পাড়ে ঘুরে বেড়ায়। বিদেশে গাড়ি বাড়ি করে। দেশে রাজার হালে থাকে। দল বেধে সামান্য মাথা ব্যথার চিকিৎসা করাতে যায় সিঙ্গাপুর। এরাই আবার বড় বড় কথা বলে। লোকজন তাদের বাহবা দেয়। ভাগ্যহত আমরা জিম্মি সেই সব শ্রেণিদের কাছে- যারা শোষক এবং চোর।

এমন উন্নয়নের লাগাম টেনে ধরতে হবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বোকার ধান পোকায় খায়।
আমজনতা চাইয়া রয়!

০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: এর কি নিদ্দিষ্ট কোনো সমাধান নেই?

২| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৭

ইসিয়াক বলেছেন: এর থেকে মুক্তি নাই।

০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: মুক্তি হলে দেশ কিন্তু উন্নয়নের মহাসড়কে চলে যাবে।

৩| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫১

ইসিয়াক বলেছেন: কত সম্ভাবনা ছিলো আমাদের এই দেশটার।গুটি কতক চোরের কারণে আজ কতই না দূর্দশা।কেউ দেখার নেই।

০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

৪| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৫

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: আমার মনে হয়না এর কোন সমাধান আছে। কিভাবে থাকবে? কোন অবিভাবক যদি তার ছেলে/মেয়েকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে এনে দেয় তাহলে সেই ছেলে-মেয়ের কাছ থেকে আপনি ভালো কিছু আশা করতে পারেননা।

উল্লেখ্যঃ-- প্রশ্নফাঁসকারীদের ছেলে-মেয়েরাই ভবিষ্যতে বড় বড় জায়গায় বসে।

০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষা যে কত বড় সম্পদ তা এদেশের মানুষ আজও বুঝে নাই।

৫| ০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এর উপায় অবশ্যই আছে।
সে জন্য আপনাকে সৎ হতে হবে।
দেশ প্রেমিক হতে হবে।
কাজের প্রতি একনিষ্ঠ হতে হবে।
দুই নম্বরি চিন্তা বাদ দিতে হবে।
লোভ-লালসা পরিত্যাগ করতে হবে ।
কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে পেতে হবে।

এটা কেউই করবে না ।
আফসোস!

০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আসল উপায় হলো মানূষকে সৎ থাকতে বাধ্য করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.