নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আজ চমৎকার একটি দিন।
তিন দিন পর আজ কবি ঘর থেকে বের হয়েছেন। কবির ধারনা, সব সময় যারা বই পড়ে আর থিয়োরি কপচায়, তারা দেশের কোনো কাজে লাগে না। কবি শাহ বাগের ব্যস্ত রাস্তা পার হচ্ছেন। পাবলিক লাইব্রেরীতে যাবেন। কবির বয়স এখন পঞ্চাশ। এই বয়সে ভালোবাসা রুপান্তরিত হয়- স্নেহ মমতায়। কবি মনে করেন- ভালোবাসার চেয়ে স্নেহ ও মমতার শক্তি অনেক বেশি। গত তিনমাস কবি একটাও কবিতা লিখতে পারেন নি বলে তার মন মেজাজ ভালো নেই। অথচ অসংখ্যবার কাগজ কলম নিয়ে বসেছেন। একটা লাইনও আসে নাই মাথাতে। কবিতা না লিখার যন্ত্রনা তাকে বেশ পীড়া দিচ্ছে। কতদিন এরকম চলবে, কে জানে!
কবির মাথার বেশির ভাগ চুল সাদা হয়ে গেছে।
কবি কোনোদিন চুল আর দাড়িতে কলপ ব্যবহার করেন নি। সাদা চুল দাড়িতে তাকে ভালোই লাগে। উদ্দেশ্যবিহীন হাঁটতে হাঁটতে কবি নিউ মার্কেট এলাকার দিকে চলে এসেছেন- একাএকা তার রাস্তায় হাঁটতে মন্দ লাগে না, অনেক রকম 'মানুষ' দেখা যায়। মানুষ দেখতে তার খুব ভালো লাগে। এই মানুষকে নিয়েই তো তিনি কবিতা লিখেন। মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা মাদার তেরেসার চেয়ে কম নয়। বহুদিন আগে কবি একটা কবিতা লিখেছেন। ''দুঃখজনক ব্যাপার হলো- নদী কখনও থামে না, মানুষের জীবন হঠাৎ থেমে যায়।'' নিজের লেখা কবিতা অথচ কবিতার নামটা কিছুতেই মনে করতে পারছেন না। দুই হাত মুঠো করে কবি তার মাথার চুল টানছেন।
কবির চায়ের পিপাসা পেয়েছে।
সারাদিনে অন্তত দশ কাপ চা না খেলে কবির মন ভরে না। কবি রাস্তার পাশের দোকান থেকে এক কাপ চা হাতে নিলেন। নোংরা কাপ। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে কবির মেজাজ বিগড়ে গেল। চা না গরুর মুত খাওয়াচ্ছে? কবি সহ্য করে গেলেন। কবিদের অনেক কিছু সহ্য করতে হয়। কবিদের সহ্য করার ক্ষমতা অসীম দিয়েছেন ঈশ্বর। কবি চা ফেলে দিয়ে একটা পান চাইলেন- খয়ার ছাড়া, জর্দা ছাড়া। বিয়ে বাড়িতে তিনি অনেককে দেখেছেন- খাওয়ার পর কেউ কেউ একসাথে তিনটা পান মুখে দিয়ে জন্তুদের মতো চিবোয় সেই অবস্থায় আবার কথা বলেতে আসে। ছিঃ।
আজ দিনটাই খারাপ।
পান মুখে দিয়ে কবির মেজাজ আবারও বিগড়ে গেল- পান দোকানদার বিরাট বদ, না করা সর্ত্বেও জর্দা ও খয়ার দু'টোই দিয়েছে। এই দেশের এই জন্যই কোনো উন্নতি হচ্ছে না। তার ইচ্ছা করছে পানওয়ালার শার্টের কলার ধরে, কানের নিচে একটা দিতে। কিন্তু তা তিনি কবেন না। তিনি একজন কবি। কবিরা অশালীন কিছু করতে পারে না। কবিদের মন হয় নরম। কবিরা অন্য দশজনের মতো না। তারা আলাদা। হঠাত ঠিক এই মুহূর্তে কবির মাথায় একটা কবিতার লাইন চলে এলো- 'নগরে যারা থাকে, তারা সবাই নাগরিক চেতনাসম্পন্ন হয় না।' প্রথম লাইন যখন এসেছে, তখন পরের লাইনও চলে আসবে। এই তো আসছে।
(ছবিঃ আমার তোলা)
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: খাবো।
দেরী হোক যায় নি সময়।
২| ১২ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর ,
সুন্দর একটি লেখা দিয়েছেন।
তিনদিন পরে বাইরে বের হয়ে পান চিবুনো কবির মাথায় আসা কবিতার প্রথম লাইনটিই একটি পূর্নাঙ্গ কবিতা।
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৩| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
একটা বিষয় আছে আপনাকে বলি । অবশ্য আপনিও জানেন বিষয়টা। বিষয়টা হলো, আপনি বা আমি যে কাজ করব সেই কাজের উপর আমাদের প্রচুর পরিমাণে পড়াশোনা থাকতে হবে ।
আপনাকে মনে রাখতে হবে , একজন শিক্ষককে ছাত্রদের চেয়ে বেশি পড়াশোনা করতে হয়।
মাস্টারি করাটাকে অনেকেই সহজ মনে করেন। আসলে মাস্টারি করাটা হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন কাজ।
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: প্রচুর পড়তে হবে। প্রচুর।
পড়ার চেয়ে জানার চেয়ে নয় কিছু আর দামী।
৪| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪০
কাছের-মানুষ বলেছেন: কবি হয়ত রাইটিং ব্লকে ভুগছে। কবি ছন্দে ফিরে আসুক, কবিতা দিয়ে মানুষের জয় করুন, এই কামনা করি।
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
৫| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কবিরাই কবির মনের ব্যপার সেপার বোঝে
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: হতে পারে।
৬| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর একটি লেখা ।
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আলি ভাই।
৭| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ভালো লিখেছেন।
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
শুরু যখন হয়েছে পরের লাইন আসতেই থাকবে। রাইটিং ব্লক ভয়ঙ্কর ব্যাপার। কবিকে নিউ মার্কেট চাঁদানি চক মোড়ে গরম গরম জিলাপি খাওয়াতে পারলে ভালো হতো।