নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপ্রত্যাশিত অপমান

১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৩



আমি যখন ঢাকা শহরের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাই- তখন গাড়িওয়ালা লোকদের উপর আমার খুব রাগ হয়। ঢাকা শহরে এত মানুষজন যে শান্তিতে একটু হাঁটাও যায় না। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যায়। এর মধ্যে বাস গাড়ি সিএনজি এমন বেপরোয়া ভাবে চালায় যে, জীবনটা হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয়। যে কোনো সময় একসিডেন্ট হয়ে যেতে পারে। রাস্তায় জমে থাকা ময়লা পানি গাড়ির চাকায় ছিটকে এসে গায়ে লাগে। ড্রাইভার এমন ভাব করে যেন এটাই অলিখিত নিয়ম।

আবার এই আমিই যখন কোথাও গাড়ি করে যাই, তখন মনে হয়, ঢাকা শহরের মানুষজন গুলো খুব অদ্ভুত। এরা কোনো নিয়ম কানুন মানে না। ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় হাঁটছে। আবার হুটহাট রাস্তার মাঝখানে চলে আসছে। এর মধ্যে গাড়ি চালানো যে কি মুশকিল তা তারা বুঝে না। হর্ন দিলেও সরে না। হঠাত রাস্তার মাঝখানে এক হাত উঁচু করে রাস্তা পার হয়ে যায়। উন্নত দেশ হলে এই রকম লোককে জরিমানা করা হতো নিশ্চয়ই।

একবার অফিসে কে যেন আমার সাথে দেখা করতে এলো। নাম সম্ভবত মকবুল। সেদিন আমি খুব ব্যস্ত ছিলাম এবং মন-মেজাজও খুব বিক্ষিপ্ত ছিল। রিসেপশনিস্টকে বললাম, মকবুলকে অপেক্ষা করতে বলো- ফ্রি হলে ডাকবো। এরপর দুই ঘন্টা পার হয়ে গেল। ব্যস্ততার কারনে সেই মকবুলের কথা ভুলেই গেলাম। খেয়াল হতেই রিসেপশনিস্টকে ফোন দিলাম, জানতে পারলাম এক ঘন্টা অপেক্ষা করে মকবুল চলে গেছে।

একদিন আমি এক অফিসে গেলাম। চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করবো। চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে অল্প চিনেন। চেয়ারম্যানের পিয়ন বলল, আজ দেখা হবে না স্যার খুব ব্যস্ত। আপনি আগামীকাল আসেন। রিসিপশনের দু'টি মেয়ে হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি খুব করে পিয়নকে বললাম, তুমি কি গিয়ে শুধু আমার নামটা বলো। আমি দুই মিনিটের বেশি সময় নেব না। আমি নিজে স্লিপে আমার নামটা বড় বড় করে লিখে দিলাম। এবং বললাম স্যারকে গিয়ে স্লিপটা দেখাও। তখন তিনি নিজে এসে আমাকে ভেতরে নিয়ে যাবেন। পিয়নটি ভেতরে গেলে এবং একটু পর ফিরে এসে বলল- স্যার বলেছে আজ দেখা হবে না। আপনি অন্য কোনোদিন ফোন করে আসবেন।

আমি প্রচন্ড অপমানিত বোধ করলাম।
মাথা ঝিমঝিম করতে শুরু করলো। মনে হচ্ছে এ মুহূর্তে আমি অজ্ঞান হয়ে যাব। অপ্রত্যাশিতভাবে অপমান হলে সেই মুহূর্তে আমি চোখে অন্ধকার দেখি। চোখ ভিজে যায়। সিড়ির রেলিং ধরে অতি কষ্টে নিজেকে সামলে নিলাম। রাগ করে লিফটে না গিয়ে আমি সতের তলা থেকে হেঁটে নামলাম। ঠিক তখন আমার মকবুলের কথা মনে পড়ল।

(ছবিঃ আমার তোলা)

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১২

ওমেরা বলেছেন: জী, এরকমই হয়। আপনি মানুষের সাথে যেরকম ব্যাবহার করবেন আপনি সেই রকম ফিরত পাবেন।

১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।

২| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মালয়েশিয়াতে আমার ৭ বছরের ড্রাইভিং জীবনে ৭ বার ও হর্ন বাজাই নি।
হর্ন বাজানো আমার কাছে অপরাধ মনে হয়।
অন্য কোন চালককে বকা দিতে হর্ন ব্যবহার করা হয় বলেই আমার ধারণা।

১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।

৩| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এখানে হাইওয়ে দিয়ে কেউ রাস্তা পার হয় না,পার হওয়া সম্ভব ও না।ছোট রাস্তায় আবার উলট,আপনি পার নাহলে বা ইশারা নাদিলে গাড়ীই যায় না,দাড়িয়ে থাকে। সে আরেক বিড়ম্বনা,আমি বলি ওঁকে যেতে ও বলে আমাকে যেতে।

১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভদ্র আচরনই কাম্য। আমাদের দেশের লোকজন ভদ্র না।

৪| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি কখনো হর্ণ বাজাই না। আমার পক্ষে সম্ভব হলে ঢাকা সহ সমগ্র বাংলাদেশের সকল গাড়ির হর্ণ খুলে ডাস্টবিনে ফেলে দিতাম।


১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে একসিডেন্ট বেশি হতো।

৫| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: আমার গাড়ি নেই।হর্ণ বাজানোর প্রশ্নই ওঠে না।তবে সাইকেলে উঠলে ইচ্ছেমতো বেল বাজাই।
আমি অন্যের জন্য যা করি না তা অন্যের কাছে প্রত্যাশা করি না।

১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো।

৬| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:১৩

এনাম আহমেদ বলেছেন: ইদানিং বেশি রাগ হচ্ছে নাকি? মকবুলদের সময় দিতে হয়! না হলে অন্যের কাছে গিয়ে নিজেকে মকবুল সাজতে হয়।

১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক তাই।

৭| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঢাকার বেশীরভাগ মানুষকে মানসিক চাপে থাকতে হয়; উনাদের সাথে কথা বললে,সেটা বুঝা যায়।

১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: একদম ঠিক কথা।

৮| ১৭ ই জুন, ২০২০ ভোর ৫:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: টিট ফর ট্যাট!!! =p~

১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: সেটাই।

৯| ১৭ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

কবি বলেছেন অপমান অপেক্ষা মৃত্যুই ভালো।
তাহলে কি করা উচিত?

১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: মরে যাবো? মরে যেতে বলছেন?

১০| ১৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: কখনো কখনো অপমান চলে আসে জীবনে।
কিন্তু আপনাকে প্রতিবাদী হতে হবে।

১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষমতা না থাকলে প্রতিবাদ দেখানো বোকামি।

১১| ১৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: অফলাইনে পড়েছিলাম।

প্রতিটি মানুষই হয়ত এক সময় কারোনা কারো থেকে হয়ত অপমানিত হয় এবং কাউকে অপমান করে মনের অজান্তে অথবা সজ্ঞানে!

১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।

১২| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৭

রুরু বলেছেন: ক্ষমতা না থাকলে প্রতিবাদ দেখানো বোকামি, খুব সহিহ কথা বলেছেন।

১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১৩| ১৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

ইসিয়াক বলেছেন:




ভালো লাগলো।

১৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যগতের প্রত্যেককেই তার নিজ নিজ কর্মফল ভোগ করতে হয়।
গাড়ীর চাকা একবার নীচে আর একবার উপরে ওঠে এটাই ধর্ম।

১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক হলো- প্রত্যেককেই কর্মফল মরার পর পাবে। আগে পেলে ভালো হতো।

১৫| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন লিখেছেন। এটাই হচ্ছে কর্মফল। কর্মফল এড়ানো যায় না। +

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়াতেও কর্ম ফল, আবার মরার পরেও কর্ম ফল। শান্তি নাই। মানুষের শান্তি নাই।

১৬| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

মানুষের অধিকারে
বঞ্চিত করেছ যারে,
সম্মুখে দাঁড়ায়ে রেখে তবু কোলে দাও নাই স্থান,
অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: মনে হচ্ছে আমি অপমান হওয়াতে আপনি খুশি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.