নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঁচটি কলকাতার মুভি

২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮



১। ৭ নম্বর সনাতন সান্যাল মুভিটি সিরিয়াল কিলিংয়ের গল্প নিয়ে। চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক করেছেন- অন্নপূর্ণা বসু। পারফিউম বিক্রেতা সনাতন সান্যাল। চমতকার মুভি। চমতকার অভিনয়। চমতকাত কাহিনি। সাত নম্বরের ব্যাপারটা একটু রহস্যজনক। গল্পের ট্যুইস্ট এই সাত নম্বরেই লুকিয়ে আছে বলে ভেবে নেওয়া যেতে পারে। ছবিতে ছাপোষা সনাতন সান্যালের চরিত্রটিকে নিজের অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে রক্তমাংসের জীবন্ত করে তুলেছেন অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। পুরো মুভি জুড়ে একটি প্রেমের গল্প কোথাও আছে। এই মুভির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাওলী চ্যাটার্জী, শিলাজিৎ মজুমদার, সোহেব ভট্টাচার্য, দেবদূত ঘোষ। মুভিটা আমি পর পর দুইবার দেখেছি। প্রথম বার দেখে কিছু বুঝি নাই। আসলে এটা মুভিও না, ওয়েব সিরিজ বলা চলে।

২। বিজয়া মুভিটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। মুভিটিতে অভিনয় করেছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, জয়া আহসান, আবীর চট্টোপাধ্যায়, লামা হালদারসহ আরো অনেকে। ছবিতে চিকিৎসকের যে সংলাপ রয়েছে তা কিন্তু সাধারণ মানুষকে অন্য ভাবনার রসদ দেবে। তাঁরা ভগবান নন, কিন্তু শেষ ভরসায় তাঁরাই যে মানুষের ভগবান সেই চরিত্রটি খুবই পজিটিভ ভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের এমন কিছু ব্যথা থাকে যা তার শুধুই তার নিজের। অন্য কেউ তা বুঝতে পারে না। বুঝতে পারলেও কিছুই করতে পারে না। জয়া আহসান তার স্বামীকে নিয়ে কলকাতায় চিকিতসার জন্য নিয়ে যায়। তার স্বামী ইচ্ছে করে পালিয়ে যান। মুভি দেখুন ভালো লাগবে।

৩। মাটি দেশভাগের পরের কাহিনি। দেশভাগের গল্প আমরা সকলেই জানি। রাতের অন্ধকারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসার গল্প। তাঁদের গ্রাম, বাড়ি, পুকুর, গাছপালা আর পুজোর স্মৃতি। এই সবকিছুই পরিপূর্ণ ছিল মাটি মুভিতে। অভিনয় করেছেন, পাওলি দাম, আদিল হুসেন, অপরাজিতা আঢ্য, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা আর বাংলাদেশের জল-মাটি-আবহাওয়ার মধ্যে বিশেষ কোনও ফারাক নেই। ফারাক নেই মাছ-ভাত আর আন্তরিকতায়। অনেক সত্যি, অনেক মিথ্যে, মনের ভেতরে পুষে রাখা রাগ থেকে হিংসা-মনোমালিন্য এই সবকিছুর ঊর্ধ্বে বোধহয় মানব সম্পর্ক। দেশভাগের আবেগঘন গল্প বলার ক্ষেত্রে যাবতীয় সংবেদনশীলতা ধরে রেখে সত্যিটাকে তুলে আনার কাজ নিপুণতার সঙ্গে করেছেন এই পরিচালক। 'মাটি'-র টান কী জিনিস, যাঁরা রাতের অন্ধকারে ভিটে-মাটি ছেড়ে এসেছেন তাঁরা সবচেয়ে ভালো বোঝেন।

৪। উমা মুভিটি মন্দ নয়। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এই ছবিতে অভিনয় করেন যীশু সেনগুপ্ত, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রুদ্রলীন ঘোষসহ আরও অনেকে। অঞ্জন দত্ত থেকে বাবুল সুপ্রিয়, রুদ্রনীল, অনির্বাণ ভট্টাচার্য প্রত্যেকে এই ছবিতে অসামান্য অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এই ছবি দর্শকের মন ছুঁয়ে গেছে।
বাঙালির আবেগকে বেশ ভালোভাবেই স্পর্শ করে গেছে উমা। অনেক দর্শককে কাঁদিয়েছেও। মৃত্যুপথযাত্রী একটি শিশুর ইচ্ছাপূরণে কীভাবে অচেনা মানুষগুলো এগিয়ে আসতে পারে সেটা খুব ভালোভাবেই দেখিয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সিনেমার পর্দায় উমা এক প্রাণবন্ত কিশোরী যার প্রকৃত নাম (সারা সেনগুপ্ত)। জীবনের অন্তিম সময়ে সে লড়ে যাচ্ছে শুধু ইচ্ছে পূরণের আসায়। বাবা হিমাদ্রি সেন (জিসু সেনগুপ্ত) ও আছেন তাঁর মেয়ের সাথে। একসাথে থাকছেন সুইজারল্যান্ডে। তাদের কাছে কলকাতার দুর্গা পুজাটা ছিল একটি দীর্ঘায়ু স্বপ্ন। সিনেমাটিতে প্রধান অসঙ্গতি হচ্ছে তাঁর একমাত্র মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করবার জন্য বাবার হাতে আছে অল্প কিছু মাস।

৫। বিবাহ ডায়েরিজ চমতকার সিনেমা। কোনো ভান নেই। ভনিতা নেই। পরিচালনা করেছেন মৈনাক ভৌমিক। একটি দাম্পত্য জীবনের পূর্বে ও পরের ঘটনার নিয়ে গড়ে ওঠেছে সিনেমাটি। ২০১৭ সালের হায়দ্রাবাদ বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা বাংলা চলচ্চিত্র হিসাবে পুরষ্কিত হয়েছে। স্বামী স্ত্রী অন্যকম একটা সম্পর্ক। এই সম্পর্কের মধ্যেও কখনও কখনও দূরত্ব তৈরি হয়। দূরত্ব তৈরি কিন্তু ভালোবাসা কমে না। মুভিটি দেখুন ভালো লাগবে।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলা সিনেমা দেখতে মন চায় না।
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা খুব কঠিন একটা ব্যাপার।
করছে প্রচুর পরিমাণে পড়াশোনা নিয়ে আছি ।
এই বেশ ভালো আছি।

২০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

রাজীব নুর বলেছেন: মুভি দেখার চেয়ে বই পড়া বেশি ভালো।

২| ২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

Subdeb ghosh বলেছেন: আগে প্রচুর মুভি দেখতাম!
এখন আর আনন্দ খুঁজি পাই না,

২০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: কিছু কিছু ভালো মুভি আছে। সেগুলো দেখলে ভালো লাগবেই।

৩| ২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুধু মাত্র ৪ নাম্বার দেখেছি। প্রথমটা দেখতে হবে।

২০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই দেখবেন। ভালো লাগবে।

৪| ২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

গেছো দাদা বলেছেন: আমার দীর্ঘদিনের একটা রোগ ... ১০ মিনিটের বেশি কোনো সিনেমাতেই মন বসে না । কোন ডাক্তার দেখাই বলুন তো ?

২০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়---
এটা কি শুধু বাংলা সিনেমার বেলায়? না সব সিনেমার একই অবস্থা হয়?

৫| ২০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: বিজয়া বাদে একটাও দেখি নাই।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: বিজয়া কেমন লেগেছে?

৬| ২০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ইসিয়াক বলেছেন:
বিজয়া দেখতে হবে। মাটি মুভিটির লিঙ্ক দেওয়া যাবে?

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: লিংক তো নাই আমার কাছে।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: লিংক তো নাই আমার কাছে।

৭| ২০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

কৃষিজীবী বলেছেন: ১,২,৩ দেখেছি,৪,৫ দেখতে হবে। আপনি কি ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী পরিচালিত ফড়িং দেখেছেন?

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী দেখেছি।
চমতকার লেগেছে।

৮| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৭

মুজিব রহমান বলেছেন: শংকর মুদি
অসুর
ভবিষ্যতের ভুত
ভুতের ভবিষ্যত
বাঙালির ভুতের গল্প
পুনশ্চ
ফড়িং
আরো অনেকগুলো বাংলা সিনেমা দেখলাম। ভাল লেগেছে। কিন্তু আপনার ছবিগুলোর একটিও দেখিনি। লিখে রাখলাম দেখার জন্য।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যে ক'টার নাম বললেন সব গুলিই দেখেছি।

আমার গুলো তাড়াতাড়ি দেখে ফেলুন ভালো লাগবে।

৯| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ছবি দেখার পর নাম আর মনে থাকে না।কয়েকটা চ্যানেলে একটা ছবিই দুই তিন মাস দেখায়।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমারও ছবির নাম মনে থাকে। ে ছবি ্গুলো গত সপ্তাহে দেখেছি। তাই নাম ও কাহিনি মনে আছে।কিছু দিন পর সব ভুলে যাব।

১০| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ২/১ টা দেখেছি । মাঝে মাঝে দেখি

২১ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ওওকে।

১১| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: বিজয়া কেমন লেগেছে?

ভালো লেগেছে।সিনেমার সুন্দর সংলাপ আমাকে এমনিতেই খুব টানে।বিজয়ার এই গুণটা ছিলো।

২১ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

১২| ২১ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: একটাও দেখিনি। তবে মন্তব্যের ঘরে কৃষিজীবির বলা 'ফড়িং' দেখেছি। মূল চরিত্রের অভিনেত্রী এবং বাচ্চাটার অভিনয় ভালো লেগেছিলো।

২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ফড়িং তিনবার দেখেছি। চমতকার।

১৩| ২১ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

হাসান রাজু বলেছেন: অনেকে সিনেমা জিনিসটা দেখতে পারেন না যেখানে সময় একটা বড় ব্যাপার। ধৈর্য ধরাটা কঠিন তাদের জন্য। কিন্তু ভালো মুভিগুলোতে চরিত্রগুলোকে পরিচয় করিয়ে দিতে, পরিবেশ বিশ্লেষণ করতে, গল্পের প্লটে দর্শকদের নিয়ে যেতেই ২০/৩০ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু ভালো সিনেমার মূল মজা পাওয়া তখনি সম্ভব যখন পুরো সিনেমা এক নিঃশ্বাসে দেখা যায়। কারন অনেক সিনেমা আছে যেগুলো পজ করে করে দেখলে সে সিনেমার গল্প ও তার আবাহ থেকে বের হয়ে যেতে হয় যে কারনে টেস্টটাই নষ্ট হয়ে যায়। একটা সিনেমা দেখেছিলাম লাইফ ইজ বিউটিফুল যে সিনেমাটি শুরু থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত স্লো কিন্তু হাসি খুশি একটা সিনেমা ছিল। কিন্তু যেভাবে নাম ডাক শুনেছি তার সাথে যাচ্ছিল না। প্রত্যাশার বারুদ প্রায় নেতিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ ১০ মিনিট আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আসলে পরিচালক এখানে দর্শকদের একধরনের হালকা পরিবেশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে তার মানসিক অবস্থা নিজের অনুকূলে নিয়ে নেন এবং শেষে হটাৎই দর্শকদের এমন একটা পরিস্থিতে নিয়ে ফেলেন যে দর্শকদের ভাবনার জগতটা সচল করে দেন। 2000 a space odyssey এমনই একটা অসাধারন সিনেমা।
তাই ভালো মুভি দেখতে হলে ধৈর্যহীন হলে হবে না। আর একেবারেই ধৈর্য না থাকলে আবার মুভিও দেখতে চাইলে বাংলা মুভির শেষ ২০ মিনিট দেখে নিলেই চলবে। ওখানে ফাইট আছে।

২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: লাইফ ইজ বিউটিফুল মুভিটা দেখেছি। এই মুভি বারবার দেখা যায়।

১৪| ২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

তিন ঘণ্ট পৌনে তিন ঘণ্টা বসে ছবি্ দেখার
সময় কই ? আপনার সাথে ঝগড়া করেইতো
সময় পার !!

২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: হাহাহা-----

সময় বের করে নিতে হবে। মুভি দেখা দরকার আছে।

১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

Laboni বলেছেন: দূর্গেশগড়ের কিংবদন্তি জমিদার পরিবারের একজন সদস্য ঝিনুক সোনাদার ছাত্রী। সেই পরিবারের দুর্গাপূজায় সোনাদা ও আবির আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে যায়। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়ো সোনাদা সেখানে গিয়ে আবিস্কার করেন যে এই জমিদার বাড়ির সাথে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরিবারের একটি সম্পর্ক ছিল। তারই এক গুপ্তধন রক্ষীত আছে এই জমিদার বাড়ির হেফাজতে যা আজ পর্যন্ত কেউ আঁচ করতে পারেনি। সোনাদা কি পারবে সেই গুপ্তধনের সন্ধান বের করতে......।
Durgeshgorer Guptodhon (2019)

১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা দেখেছি। মন্দ নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.