নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'খয়রাতি\' প্রসঙ্গে ব্লগাররা যা ভাবছেন

২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১০



বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভাষা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশ কারও খয়রাতে চলে না। আমার দেশের কৃষক, শ্রমিক, গার্মেন্টস ওয়ার্কার আর বিদেশ গিয়ে রক্ত পানি করা টাকায় এই দেশ চলে। এই নিউজের ভাষা আমার ভালো লাগে নাই। আমার দেশকে নিয়ে বলা উল্টাপাল্টা কোন কথা আমার ভালো লাগে না।
ওরা ভেবেছিলো, এর চেয়ে আরো নিকৃষ্ট শব্দ ব্যবহার করলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোন কড়া প্রতিবাদ আসবে না। ভারতের পত্রিকা আমাদের নিয়ে কি মন্তব্য সেটা নিয়ে আমাদের প্রতিবাদ জানানোর চেয়ে আন্তর্জাতিকভাবে নিজেদের অবস্থান উন্নত করাই আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি কোমরে ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগছে। চীন আমাদের সাথে সখ্যতা করতে চাইছে এই সুযোগে রোহিঙ্গা ইস্যু সামনে আনা যেতে পারে, যদি কোন সুবিধা পাওয়া যায়!

মিসকিন শব্দটি শুনতে হয়- সৌদি প্রবাসীদের। ভারত ভালো করেই জানে খয়রাতি কেনো আরো নিকৃষ্ট কিছু বললেও আমরা কিছুই করতে পারবো না। সুতরাং খয়রাতিতে সন্তুষ্ট থাকেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারত এই মুহূর্তে নির্বান্ধব একটি দেশ। এদের কাছে এরকম আচরণটা খুবই স্বাভাবিক। মোদি ভারতীয়দের খুব ভাল করেই চিনেছে। সাম্প্রদায়িকতা ভারতীয়দের এখন জাতীয় পরিচয় যা নিয়ে তারা গর্ববোধ করে।

মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে কয়েক লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করে। এত স্বল্প মূল্যে আর কোন দেশ থেকে শ্রমিক আনা যায় না। কেন এত মানুষকে নিজ দেশ ছেড়ে এত স্বল্প মজুরিতে বিদেশে যেতে হয় ? 'বাংলা' নামে এদের ডেকে হাসি ঠাট্টা করে ভীনদেশের মানুষেরা। ওরা বিদ্রুপ করেছে। তার বিপরীতে আমাদের পত্রিকাগুলির উচিত চীনের সাথে ঘটনা নিয়ে ওদের বিদ্রূপ করা। এই ইস্যুতে বিদ্রুপের সুযোগ আছে।

বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেনী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়ছে উচ্চহারে । সামনে ঘোরতর অন্ধকার। সব হারানো মানুষগুলো এরপর জীবন বাচাঁতে চুরি ডাকাতিতে লিপ্ত হবে। আশির দশকে আনন্দবাজার গ্রুপের আরেকটি পত্রিকা, 'দেশ', বাংলাদেশ সম্পর্কে লিখতে গিয়ে লিখেছিলো 'তথাকথিত বাংলাদেশ'। এরশাদ সাহেব তখন ক্ষমতায়। ঐ ঘটনার পর বাংলাদেশে 'দেশ' পত্রিকা নিষিদ্ধ করা হয়।

এই তো কয়েকদিন আগে- ইন্ডিয়াতে আমপান যে রাতে আঘাত হানলো আমরা সে রাতে সারারাত জেগে কলকাতার খবর নিয়েছি। লাইভে কলকাতার তাণ্ডব দেখেছি, ধ্বংস দেখেছি। অগণিত ছবি শেয়ার হয়েছে আমাদের বাংলাদেশের ফেসবুকে। আমাদের মেজোরিটি ইনভলভ ছিলো সেই শোক পালনে। ওপারে যত পরিচিত মানুষ ছিলো তাদের খবর নিয়েছি। তারা কেমন আছে জেনেছি। আমার একই ভাষায় কথা বলা মানুষগুলাকে আমরা তো কখনও আলাদাভাবে দেখিনি।

মমতা নামের তাদের একজন নেত্রী আছেন। যিনি আমাদের তিস্তার পানি দেননি। তবুও তাকে আমরা এই করোনা এবং আমপানের সময়ে প্রচুর পজেটিভ বলেছি। তার একটিভিটি দেখে খুশি হয়েছি। তার প্রসংশা করেছি। ভালোবেসে দুইটা দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিকে আমরা আলাদা ভাবিনি। শিল্প সাহিত্যকে আলাদা ভাবিনি। যতটা স্পেস আমরা পাইনি তারচেয়ে হাজারগুন বেশি দিয়েছি।

রবীন্দ্রনাথকে কখনও আলাদা ভাবিনি। সুনীল, শীর্ষেন্দু সমরেশকে না, সত্যজিৎকে না, অঞ্জন দত্তকে কে না। কাউকেই না। আপনারা এদেশে কাজ করতে এসে কারও দাদার বাড়ি বরিশালে, কারও নানা বাড়ি ময়মনসিংহে এসব বলেছেন। আমরা শুনে আহ্লাদে গদগদ হয়েছি। ঘরের মানুষ ভেবে কাছে টেনে নিয়েছি। ফিনানশিয়াল কন্ডিশন, লাইফস্টাইল, উন্নত অনুন্নত এসব হিসাব করতে চাই না। ইভেন চায়না আমাদের যে খয়রাত দিয়েছে তারচেয়ে বেশি দিয়েছে ইন্ডিয়াতে। সেসব নিয়ে আমাদের মিডিয়ে কোনোদিন দুইটা শব্দও লিখেনি।
ভারত এখন চীনকে পাল্টা জবাব দিতে না পেরে উল্টো বাংলাদেশকে খয়রাতি বলে কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছে কি? কিন্তু অচিরেই বাংলাদেশ ভারকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা রাখি।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ক্ষমা মহৎ গুণ। তাই মাফ করে দিলাম। ওরা ইচ্ছে করে ভুল করে নাই।

২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী এবারের মতো ক্ষমা করে দেওয়া যেতে পারে।

২| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: খয়রাত কথাটার আভিধানিক অর্থ দেখলাম দান,বিতরণ।শব্দটা আরবি।

২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী।

৩| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অন্যের কথায় কান নাদিয়ে দ্রুত চীনে রপ্তানি বৃদ্ধি করা দরকার।তারা যে সুবিধা দিয়েছে তা গ্রহন করা।মনের দঃখে কত জনেই কত কথা বলে।

২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস ঠিক বলেছেন।

৪| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখক একজন চেতনাবাজ ঢাকায় বসবাসকারী । তবে অন্য কেউ হলে সরকার ডিজিটাল বাঁশ দিতো

২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: সে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

৫| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে ভাইয়ের ভালো একটা সারাংশ হয়েছে।লেখার মধ্যে আমি নিজেকেও খুঁজে পেলাম।
ধন্যবাদ ভাইকে।

শুভকামনা রইলো।

২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী দাদা আমরা সবাইই আছি।

৬| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:০৫

সোহানী বলেছেন: অবশ্যই প্রতিবাদ করা উচিত আমাদের। আসলে ওরা আমাদেরকে অনেকটা রাস্তার ভিখিরি মনে করে। অথচ ওদের সবচেয়ে বেশী রেমিটেন্স আসে আমাদের দেশ থেকে।

২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

৭| ২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বেশি করে ভারতীয় সিনেমা আর ভারতীয় সিরিয়াল দেখতে থাকুন।

২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: স্যরি।

৮| ২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:০১

ইসিয়াক বলেছেন:



পড়লাম ও লাইক দিলাম।

২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া বন্ধু।

৯| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এখানে তো ব্লগারদের কোন কথা জানতে পারছি না। এটা তো আপনার নিজস্ব মুল্যায়ন!!!
শিরোনামটা বিভ্রান্তিকর হয়ে গেলো না?

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টে আমার কথাও আছে, ব্লগারদেরও চিন্তা ভাবনা আছে।
সবার বক্তব্য মিলিয়ে এই পোষ্ট।
যদি বলেন তো এই রকম অফ রাখবো।

১০| ২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি যখন ব্লগারদের কথা বলবেন তখন তাদের নাম থাকতে হবে, তাদের কথা কোট করে বলতে হবে। নইলে বিষয়টাতে বিভ্রান্তি হয়।

২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমিও মনে মনে এরকমটা ভেবেছিলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি এরপর থেকে অবশ্যই ব্লগারদের নাম উল্লেখ করে দিব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.