নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি পিশাচের আত্মকাহিনি

২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭



উইকিপিডিয়া'তে লেখা আছে- ''পিশাচ একধরনের রূপকথার দানব যে মানুষের মৃতদেহ ভক্ষণ করে। এই প্রাণী কবরের মধ্যে বাস করে বলে মনে করা হয়।'' আমি একজন পিশাচ। কিন্তু কেউ দেখে বুঝতে পারে না। সবাই মনে করে- আমি একজন আধুনিক সহজ সরল মানুষ। মানব সমাজে বাস করার এই এক মজা। তারা উপরের চাকচিক্য দেখেই- বাহবা দেয়। যাই হোক, আমি আগে পিশাচ ছিলাম না। খুব সাধারণ জীবনযাপন করতাম। সেই জীবনে কোনো আনন্দ ছিল না। রোমাঞ্চ ছিল না। পিশাচ হওয়ার পর হঠাত জীবন হয়ে গেল দারুন আনন্দময়। এক আকাশ সমান সাহস বেড়ে গেল। আগে রাত্রেবেলা বাথরুমে যেতেও ভয় পেতাম। আর এখন মধ্যরাতে কবরস্থানে বসে থাকলেও ভয় লাগে না।

এখন আমি নিয়মিত জলজ্যান্ত মানুষের রক্ত খাই।
যেদিন রক্ত ব্যবস্থা করতে পারি না- সেদিন হাসপাতাল থেকে দুই ব্যাগ রক্ত কিনে নিয়ে আসি। মাসে একবার রক্ত দিয়ে গোছল করি। মানুষের রক্ত অনেক গরম থাকে- তাই রক্ত ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিতে হয়। আমার ক্ষুধা লাগলে- ভাত মাছ যেমন খাই, মানুষের কলিজাও খাই। একটা জীবন্ত মানুষকে খুন করে তার রক্ত এবং কলিজা খুবলে খুবলে খেতে কি যে ভালো লাগে! তবে মেয়েদের কলিজা খেয়ে আরাম বেশী পাই। একেবারে মোমের মতন নরম- মুখে দিলেই গলে যায়। ধারালো ছুড়ি দিয়ে যখন বুকটা দু'ভাগ করি- কলিজাটা হাতে নিয়ে অনেকক্ষন তাকিয়ে থাকি- থরথর করে কলিজাটা কাঁপে। আসলে কলিজা তো জমাট বাধা রক্ত'ই।

প্রথম যে মেয়েটার কলিজা খাই, সেই গল্পটা শুনুন- মজা পাবেন।
মেয়েটার নাম মায়া। বয়স একুশ। ইডেন কলেজে পড়তো। দেখতে সহজ সরল সুন্দর। মায়া সব সময় চোখে কাজল দিত। একদিন মেয়েটাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে- আমার ঘরে নিয়ে আসি। চায়ের সাথে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে খাইয়ে দেই। কিছুক্ষনের মধ্যেই তন্দ্রাভাব এসে যায় তার। তখন হাত পা ভালো করে খাটের সাথে বেঁধে ফেলি। চিৎকার যেন না করতে পারে তার জন্য মুখের ভেতর কাপড় গুঁজে দেই। আধা ঘন্টা পর মায়ার তন্দ্রা ভাব কেটে যায়। সে চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি ধারালো ছুড়ি দিয়ে একটু একটু করে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারি। মেয়েটা ব্যাথায় যত চিৎকার দেয়- আমি তত আনন্দ পাই। বেশ কিছু ছবি আমি তুলে রেখেছি- সময় পেলে একদিন আপনাদের দেখাব।

যশোরের নিমতলা শশ্মানের অনেক নাম শুনেছি।
আমি পিশাচ হলেও সব কিছুতেই আমার কৌতূহল বেশী। একদিন মধ্যরাত্রে নিমতলা শশ্মানে গিয়ে হাজির হই। আমার ভাগ্য ভালো, গিয়েই একটি দশ বছরের বাচ্চার লাশ পাই। টাকার অভাবে লাকড়ি কিনতে না পেরে- ছোট বাচ্চার লাশটি ফেলে চলে যায়। আহ সে রাতে কত আরাম করে খেয়েছিলাম। সেই স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে। যদিও আমি ছোট বাচ্চা কম খাই। আমি পিশাচ তবু কেন জানি মায়া লাগে। দয়া করে আমাকে রাক্ষস ভাববেন না। আমি শুধু রক্ত আর কলিজা খাই। ইদানিং বাসি রক্ত এবং কলিজা একেবারেই খেতে ইচ্ছা করে না। নিজের হাতে শিকার ধরে কেটে-কুটে খাওয়ার মজাই আলাদা।

আমার আর একটা বাজে অভ্যাস আছে।
মৃত মেয়েদের সাথে সেক্স করা। জীবিত মেয়েদের সাথে সেক্স করার চেয়ে মৃত মেয়েদের সাথে সেক্স করে আনন্দ বেশী। ঢাকা মেডিকেলের মর্গে কত মৃত মেয়ের সাথে সেক্স করলাম। তবে আমার ভালো লাগে কোনো মেয়েকে কবর দেওয়ার এক ঘন্টা পর কবর থেকে তুলে সেক্স করতে। জীবিত থেকে মৃত নারীর মুখ অনেক বেশী মায়াময়। সেক্স করা শেষ হলে কলিজা খাই। একেবারে চেটেপুটে খাই। তারপর যেভাবে কবর থেকে তুলি, ঠিক সেভাবে আবার কবর দিয়ে দেই। আমার একটি সবুজ রঙের ডায়েরী আছে। সেই ডায়েরীতে আমার সমস্ত পিশাচ এর কাহিনী লিখে রেখেছি। সেই ডায়েরী মানুষ পড়বে আর বমি করে ঘর ভাসিয়ে দিবে। হা হা হা…

আমি পিশাচ কিন্তু কেউ জানে না।
একটা বড় কোম্পানীতে চাকরী করি। ভালো টাকা বেতন পাই। আমার পিশাচ এর সমস্ত কর্মকান্ড শুরু হয় গভীর রাতে। আমি এতটাই চালাক চতুর যে আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে ধরতে পারেনি। কখনও পারবেও না। আমার চিন্তা- পরিকল্পনা খুবই নিখুত। আপনারা মাঝে মাঝে খবরের কাগজে এবং টিভিতে দেখেন- অমুক জায়গায় এক যুবতীত লাশ উদ্ধার, অমুক জায়গায় গলা কাঁটা লাশ উদ্ধার- সবই আমার কর্ম। হে হে....। মাঝে মাঝে শুধু গলা কেটে ছেড়ে দেই- কলিজা খেতে ইচ্ছা করে না। যারা পিশাচ হতে চান- তাদেরকে একটা বুদ্ধি দিয়ে দেই- সবার প্রথমে কোনো মৃত নারীর ঠোটে চুমু খাবেন অনেকক্ষন ধরে। তারপর মাঠে ঘাটে ছড়িয়ে পড়ুন শিকারের সন্ধানে। কখন বুঝবেন আপনি পিশাচ হয়েছেন? পিশাচ হওয়ার পর মাটিতে আপনার ছায়া পড়বে না।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের এই লেখাটা আগে পড়েছি বলেই মনে হচ্ছে। তবে আপনি যে পিশাচ গোত্রের, এটা ভুলে গিয়েছিলাম। মনে করানোর জন্য ধন্যবাদ। :P

২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

২| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

বিজন রয় বলেছেন: পিশাচদের পা নাকি উল্টা দিকের হয়?

২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২২

রাজীব নুর বলেছেন: এই গুলো ভুল কথা।

৩| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

কল্পদ্রুম বলেছেন: ছোটবেলায় পিশাচকে বলতাম 'পিচাশ।' এখনো মাঝে মধ্যে বলি। কেন জানি পিচাশ শব্দটা বললে আলাদা আরাম পাই।

২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমিও।

৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

রুদ্র আতিক বলেছেন: পুরোই পৈশাচিক লেখা ! ভালো লাগলো পিশাচ কাহিনী ।

২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আতিক ভাই।

৫| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১০

ইসিয়াক বলেছেন: কল্পদ্রুম বলেছেন: ছোটবেলায় পিশাচকে বলতাম 'পিচাশ।' এখনো মাঝে মধ্যে বলি। কেন জানি পিচাশ শব্দটা বললে আলাদা আরাম পাই।


আমারো একই অভিজ্ঞতা।

২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: পিশাচ এর চেয়ে পিচাশ বলে আরাম বেশি।

৬| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১১

ইসিয়াক বলেছেন:


আচ্ছা যদি আমায় সামনে পান তো আমারো কি রক্ত আর কলিজা খাবেন? কি ভয়ঙ্কর! :(

২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা----
না কখনই না।

৭| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

ইসিয়াক বলেছেন:

যাক বাবা বাঁচা গেলো।

২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

৮| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আজকাল পৈশাচিক রূপকথার মুভি ইত্যাদির দর্শক বাড়ছে।

২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী এরকম মুভিই এখন বেশি চলছে।

৯| ২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

ইসিয়াক বলেছেন:

কাজী নজরুলকে নিয়ে আর পোস্ট দেবেন না? কবে পাবো?

২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আগামীকাল।

১০| ২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ঢাকায় খলিল্লুলাহ নামেএক ডোম ছিল,যে লাশের কলিজা খেত।অনেক দিন আগের কথা বেঁচে আছে কিনা জানি না।মানুষ এমনিতেই দৌড়ের উপর আছে তার মধ্যে এমন,একটু কেমন যেন লাগে।

২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকার এই ডোমকে অনেকে অনেকেই গল্প লিখেছেন।

১১| ২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পিশাচদের সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা অর্জন করার জন্য হুমায়ূন আহমেদের একটি নাটক আছে। নাটকটির নাম - পিশাচ মকবুল । সেই নাটকটি দেখে পিশাচ সম্পর্কে আমার ধারণা পূর্ণতা পেয়েছে।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: নাটকটা বেশ কয়েকবার দেখেছি।

১২| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সংসার সমাজ ও রাষ্ট্র আজ পিশাচদের হাতে ।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: এটা তো শেষ জামানা। এই এরকমই চলছে।

১৩| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই খানে সেই ঐতিহাসিক নাটকটি। দেখুন। পিশাচ কেমন জিনিস।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ওনেকবার দেখেছি।

১৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: পিশাচদের জয়জয়কারের দেশ বাংলাদেশ

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আরে ভাই এত দেশে অনেক ভালো মানুষও আছে।

১৫| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভয়াবহ । পিশাচ দেখিনি কোন দিন ।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: দেরী হোক, যায় নি সময়।

১৬| ২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:২১

আজাদ প্রোডাক্টস বলেছেন: সর্বনাশ

২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.