নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। 'লোটা কম্বল' লেখক- সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।
আমার পড়া একটি অম্ল-মধুর, হাস্যরস মিশ্রিত মধ্যবিত্ত ঘরের বর্ণনা সম্বলিত চমৎকার উপন্যাস। দুই খন্ডের বই। প্রায় আটশ' পৃষ্ঠা জুড়ে এর কাহিনীর বিস্তার।
বইয়ের নিজের ভাষায়, "ভেঙে যাওয়া যৌথ পরিবারের পটভূমিকায় দাঁড়িয়ে নিঃসঙ্গ এক পৌঢ়, হিমালয়ের মত যাঁর ব্যক্তিত্ব, অসম্ভব যাঁর আদর্শনিষ্ঠা, আপাত কঠোর যেন প্রুশীয়ান জেনারেল অথচ ভেতরে ভেতরে কুসুম কোমল। আর সেই মানুষটির একমাত্র মাতৃহারা যুবক সন্তান, মাঝে দুই পুরুষের ব্যবধান।
পূর্বপুরুষ উত্তর পুরুষে সঞ্চারিত করতে চায় জীবনের শ্রেষ্ঠ গুণ আর মূল্যবোধ। মানুষের মত মানুষ করে তুলতে চায়।....দুই পুরুষের মূল্যবোধ আর দৃষ্টিভঙ্গির ঠোকাঠুকির মধ্যে আর এক পুরুষ। তিনি বৃদ্ধ মাতামহ। আধ্যাত্মিকতার বাতিটি তুলে যিনি খুঁজে পেতে চান সেই চির-চাওয়া পরমপুরুষটিকে।"
২। একজন বিশেষ কেউ মারা গেলেই লোকজন এত হা হুতাশ করে কেন? তার মৃত্যুতে কিছুই তো থেমে থাকে না। মানুষ ফেসবুকে কেঁদে ভাসিয়ে দেয়। না ফেরার দেশে 'অমুক'। না ফেরার দেশটা কোথায়? অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল। অথচ এই অপূরনীয় ক্ষতির আগে যেমন দেশ চলছিলো, পরেও সেরকমই দেশ চলছে। আমি বুঝি না- মধ্যবিত্তের এত আহা উঁহু কেন? রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাব? অজ্ঞতা? মিডিয়ার তালে তালে নাচা! বয়স হয়েছে- মরে গেছে। শেষ। আমরা সবাইই তো একদিন মরবো।
৩। একজন মানুষের প্রতি আরেকজন মানুষের ভালোবাসা থাকলে, পৃথিবীর অর্ধেক সমস্যা নাই হয়ে যেত।
৪। রোমান আমলে স্টেডিয়ামের মধ্যে ক্ষুধার্ত সিংহের সামনে ক্রীতদাসদের ছেড়ে দেওয়া হতো, হাতে একটা অস্ত্র দিয়ে।
সিংহের সাথে কোনো মানুষ পারে? সিংহ সেই লোকটাকে মেরে কামড়ে-কামড়ে খেত আর স্টেডিয়াম ভরতি হাজার হাজার মানুষ তাই দেখে আনন্দ পেত।
তারপর কত বছর কেটে গেছে, মানুষ অনেক সভ্য হয়েছে, তবু অনেক মানুষের মধ্যে সেরকম নিষ্ঠুরতা রয়ে গেছে।
৫। 'হানা বিয়োরি' বলে একটা কথা আছে জাপানি ভাষায় যার অর্থ ফুল দর্শনের দিন।
৬। বাবা, মা, সাথে বাবার এক বন্ধু ঘুরতে যায়, বাবা চুপচাপ থাকে তাই তাকে তার স্ত্রী গুরুত্ব দেয় না, তার থেকে তার বন্ধুই গুরুত্ব বেশি পায়
যাওয়ার পথে রাস্তায় গাড়ি আটকে পড়ে, বিভিন্ন সুযোগ সন্ধানি মানুষ অপরাধ করতে থাকে, চুপচাপ বাবাটা হুট করেই প্রতিবাদি হয়ে উঠে, মেয়ে আর স্ত্রী বুঝতে পারে অনেক কিছু।
বইটা আবার পড়তে ইচ্ছা হচ্ছে কিন্তু নাম মনে করতে পারছি না। বইটার নাম কি? তবে লেখক হুমায়ূন আহমেদ এটা মনে আছে।
২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ৬ নং বইয়ের নামটা সম্ভবত 'জলজোছনা'।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৮
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: 'লোটাকম্বল' বেশ আগে পড়েছিলাম, একটু অস্থির ছিলাম তখন, কিন্তু পাঠকালীন স্মৃতিটা এখনো মধুর।
মধ্যবিত্ত হাফ-লাইফ বাঁচে, মানে আধমরা-আধবাঁচা। যেহেতু সে বাঁচে বেজায় ফাঁকিতে, কারো মৃত্যুতে অতিরিক্ত আহাউঁহু করে সেটা পুষিয়ে দেয়া ছাড়া তার আর উপায় থাকে না!
২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৮
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: ভাল লাগল বইটা পড়ে আমাকে ধার দিয়েন
২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: যদি সত্যিকারের পাঠক হোন তাহলে বই কিনে পড়বেন।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: একদিন কি সুন্দর দিন কাটাতাম ।
২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আহা!
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ও পগলা জগাই হুমায়ুন আহমেদের বইয়ের নাম ভুলে গেছেন এটা আমাকে বিস্মিত করছে।
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: একবারে ভুলে যাওয়া নয়। ক্ষনিকের ভুলে যাওয়া।
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রাস্তায় ইসব ডাইরী পাওয়া যায় নাকি ? জাপানি
わたしは、あなたを愛しています
এর মানে জানেন ?
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: এর মানে জানি।
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫
পারভীন শীলা বলেছেন: ভীষণ অন্যায়।হুমায়ুন আহমেদকে ভুলে গেলেন?
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: না ভুলিনি।
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঢাকার যেই এলাকায় আপনি থাকেন, সেখানে রাস্তায় পানি হয়?
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: খুব বেশি বিষ্টি হলে পানি জমে। তবে ৩ ঘন্টা পর পানি নেমে যায়।
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০১
কল্পদ্রুম বলেছেন: লোটাকম্বল পড়ে শুরুতে খুব মজা পেয়েছিলাম।সঞ্জীবের হিউমার অসাধারণ ছিলো।মাঝে মাঝে গভীর জীবন বোধের কথাও ভালো লাগছিলো।একদম শেষের দিকে এসে শুধু ধর্ম আর দর্শন নিয়ে পড়তে গিয়ে ভালো লাগেনি।বিরক্ত লেগেছে।শেষের বইটার নাম "জলজোছনা" আপনি নিশ্চিত?
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী নিশ্চিত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লোটাকম্বল পড়েছি , খুবই ভালো লেড়েছিলো পড়ে। বই জোড়া অন্য একজন পড়তে নিয়ে আর ফেরত দেয়নি। পরে সম্ভবতো আরো একজোড়া কিনেছিলাম। সেটাও এখন আছে কিনা সন্দেহ।
৬ নাম্বার বইটি পড়েছি। পড়ার সময় চোখের সামনে সমস্ত ঘটনা ঘটতে দেখেছি বলে মনে হচ্ছিলো। নাম আমারও মনে নেই।