নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমি মাঝে মাঝে আমার শ্বশুর বাড়ি যাই।
যেতে হয়। আমার শ্বাশুড়ি বেঁচে নেই। শ্বশুরের সাথে নানান বিষয়ে গল্প হয়। গল্প আমার শ্বশুর একাই করেন। আমি চুপ করে শুধু শুনে যাই। আমি খুব ভালো শ্রোতা। শ্বশুর মশাই নানান বিষয়ে গল্প বলে যান। সবই তার অতীত দিনের গল্প। আমি মুগ্ধ হয়ে গল্প শুনতে আমার খুব ভালো লাগে। শ্বশুর মশাই এমনভাবে গল্প বলেন, আরো শুনতে ইচ্ছে করে তার গল্প। এমনকি তার কাছে একই গল্প আমি বেশ কয়েকবার করে শুনেছি। ভালো লাগে আমার। যাই হোক, তার গল্প শুনে শুনে একদিন আমার মনে হলো- আরে, আমারও তো অতীত দিনের নানান রকম মজার মজার গল্প আছে। সেই গল্প গুলো তো আমি সামুতে লিখতে পারি।
বহু বছর আগের কথা।
যাবো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভর্তি পরীক্ষা দিতে। তখন অনেক বড় হয়ে গেছি। বাবা মাকে সাথে নিবো না। কয়েকজন বন্ধু মিলেই যাবো। বাপ মা সাথে গেলে তো আর দুষ্টমি ফাজলামি করা যাবে না। আমরা সব বন্ধুরা মিলে যাবো মজা করতে করতে। আমার অন্য বন্ধুরা বাসের টিকিট আগেই কেটে ফেলেছে। আমি বাসের টিকিট আগে কেটে রাখি নাই। সাথে আমার দুই বন্ধুও আছে। আমার ইচ্ছা বাসে উঠার আগে টিকিট কাটলেই হবে। এত আগে কেটে লাভ কি! টিকিট তো সব সময়ই পাওয়া যাবে। এটা তো ঈদের মৌসুম না। যে টিকিট পাওয়া যাবে না। টেনশনের কিছু নাই। বেশ ফুরফুরা মেজাজে আছি। আগে কখনও রাজশাহী যাই নাই। পরীক্ষাটা দিয়ে সারা রাজশাহী ঘুরে বেড়াবো তিন বন্ধু মিলে। খুব মজা হবে।
চুয়েটেও পরীক্ষা দিবো। খুলনাতেও পরীক্ষা দিবো।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দিবো। আহ মজাই মজা। খুব ঘুরে বেড়ানো হবে। আসলে আমাদের সময় বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পরীক্ষা দেওয়া একটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছিলো। যদি চান্স পেয়ে যাই! চান্স পাওয়ার জন্য যে পড়তে হবে সেদিকে আমাদের কোনো নজর নেই। তাই শেষমেষ আমাদের মতো নির্বোধদের ভর্তি হতো হতো- কবি নজরুল, জগন্নাথ অথবা হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কপাল লাগে। সেই কপাল বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীদের হয় না। তারা সারা জীবন ধরে শুধু আফসোস করে যায়। যাই হোক, সন্ধ্যায় রাজশাহীর উদ্দ্যেশে বাসা থেকে বের হলাম। কল্যানপুর বাস স্ট্যান্ড গেলাম। হায় হায়--- বাসের টিকিট নাই। কোনো বাসের টিকিট নাই। সব টিকিট নাকি এক সপ্তাহ আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। আমার তো মাথাই নষ্ট। পোড়া কপাল আমার!
মন খারাপ করে বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছি।
আমার সাথে আমার দুই বন্ধু। যারা আমার কারনে বাসের টিকিট আগে থেকে কেটে রাখে নি। ভাগ্য ভালো তখন একলোক ফেরেশতার আমাদের কাছে এসে বলল, রাজশাহী যাবেন? আমরা বললাম, জ্বী জ্বী। আসুন, আমার সাথে ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। খুশীতে লোকটাকে জড়িয়ে ধরলাম আমরা তিনজন। বাসের টিকিটের দাম ডবল নিলো। তাতেও আমাদের দুঃখ নেই। যেতে তো পারছি এটাই বেশি। লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম বাসটা কেমন? ভালো তো। লোকটা হেসে বলল, দারুন বাস, হানিফ, শ্যামলী বা গ্রীনলাইনের চেয়ে ভালো বাস। বাসে বসলে মনে হবে প্লেনে বসে আছেন। একঘুমে রাত পার। এত টাকা কি শুধু শুধু নিলাম! রাত বারোটা বেজে গেলো বাস আর আসে না! জিজ্ঞেস করলেই বলে আসবে আসবে। এখুনি আসবে।
রাত একটায় বাস এলো।
বাস দেখে মেজাজটা প্রচন্ড খারাপ হলো। লক্কর ঝক্কর মার্কা বাস। সিটে বসেও আরাম নাই। ডান দিকে কাত হয়ে আছে। আমি হেলপারকে বললাম, এটা কেমন বাস। এত টাকা ভাড়া দিয়ে এই বাস! হেলপার কিছু বলল না। গাবতলী পার হওয়ার পর আমি বাসের সুপারভাইজারকে বললাম, ভাই এত টাকা নিলেন, বললেন, হানিফ, শ্যামলীর চেয়ে ভালো বাস। আর নিচ্ছেন এই লক্কর ঝক্কর মার্কা বাসে। সুপারভাইজার আমার উপর ক্ষেপে গেলো। বলল, আর একটা কথা বললে বাস থেকে নামিয়ে দিবো। চুপ করে বসে থাক। বাসের সব যাত্রী তো চুপ করে আছে। একটু পর দেখি বাস থামিয়ে লোক নিচ্ছে। অথচ কোনো সিট খালি নাই। আমি বললাম, সিট তো খালি নাই। হেলপার বলল, আপনার কোলে করে যাবে। সুপারভাইজার রেগে মেগে আমাকে বলল, চুপ। আর একটা কথা না।
১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: কত বোকামি যে জীবনে করেছি!!!!
২| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জার্নি বাই বাস
১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: জার্নিতে পুরো শরীর ব্যথা হয়ে গিয়েছিলো।
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশে অমানুষের অভাব নেই
১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: অমানুষের দেশেই জীবনটা পার করে দিচ্ছি।
৪| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:৫০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পরে কোথায় ভর্তি হলেন । বর্তমানে গ্রীন লাইন , হানিফ , গ্রাম বাংলা এর বাস অনেক উন্নত । আমি ঢাকা হতে ফেনী যাই তবে ভাড়া নেয় চট্রগ্রামের।
১১ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে পরিবহন ব্যবসা অগোছালো।
৫| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:৫১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এখন চালাক হলেন কি ঠেকে ঠেকে।
১১ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: পদে পদে ঠেকে ঠেকে চালাক হচ্ছি।
৬| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৮
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: পরিবহন ব্যবস্থা এমন অনেক আগে থেকেই।
১১ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। অথচ দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
৭| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই জাতীয় ঠিক বাজির কাজ বাংলাদেশেই সম্ভব।
১১ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক তা না। এরকম পৃথিবীর অনেক দেশেই হয়।
৮| ১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৩৫
অনল চৌধুরী বলেছেন:
লুৎফা একাডেমীর জামরুল গাছ। ১৯৮৫ সাল থেকে দেখছি, এখনো আছে। তবে ভবনটা ভেঙ্গে ফেলেছে।
আর ডানদিকে ২ টা নারিকেল গাছ দেখা যাচ্ছে,যেগুলিতে বিদ্যালয়ের দোতলার ছাদ থেকে আমি উঠে যেতাম ডালপালা না থাকায় আমার আর কোনো বন্ধু উঠতে পারতো না। এখন যেখানে গাছগুলি পাশে ঈষ্টার্ণ হাউজিং,সেখানে বিরাট ঘাসের মাঠ আর তারপর স্কুইব নামে একটা প্রতিষ্ঠানের অফিস ছিলো।
জামরুলের ছবি দেখে এসব মনে পড়লো।
৯| ১২ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:১১
রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন এখানে যাওয়া হয় না।
১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৫২
অনল চৌধুরী বলেছেন: গাছে উঠে কোনে অস্ত্র ছাড়াই মুচড়ে ডাব পেড়ে ওদের দিকে ছুড়ে দিতাম। কাক ঠোকর মারতে আসলে বন্ধুদের বলতাম ইট মেরে তাড়াতে। যেহেতু ডাব কাটার কোনো জিনিস ছিলো না, তাই ছাদের পিলারে সাথে লাগানো রড দিয়ে খোচা দিয়ে বোটা আলাদা করতাম।তারপর ডাব উল্টা করে ধরে সেই রড দিয়ে ফুটো করে পানি খেতাম কারণ তখন এতো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ছিলাম না।এখন আগে সাবান দিয়ে ছুরি ধুয়ে ফল কাটি।
এ্যানিমেশন শিখে এসব ঘটনা নিয়ে ছোটোদের জন্য ছবি বানাবো।
*****আগে তো এর বিপরীত দিকে শেলটেকে সপরিবারে যেতেন। এখন যান না কেনো?
১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
ইসিয়াক বলেছেন: বিব্রতকর অভিজ্ঞতা।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৪
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: খুশীতে লোকটাকে জড়িয়ে ধরলাম আমরা তিনজন।
..............................................................................
না বুঝে খুশী টুশী হবার ফলাফল,
ভাবিয়া করিও কাজ,
করিয়া ভাবিও না !