নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
কিছু মানুষের অঙ্কের প্রতি ভালবাসা থাকে।
আমি নিজে অঙ্ক কম বুঝি। কিন্তু অঙ্ক আমার প্রিয় বিষয় গুলোর একটা। আজ আপানদের 'শকুন্তলা দেবী'র গল্প বলব। তিনি কম্পিউটারের থেকে ১২ সেকেন্ড আগে সমাধান করেছিলেন জটিল সব অঙ্ক। যদিও ছোটবেলায় কোনও দিন স্কুলে পর্যন্ত যাননি তিনি। মুখে মুখেই যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ ঝটাপট করে ফেলতে পারে পাঁচ বছর বয়সেই। বাবা মেয়েকে আদর করে ডাকেন ‘ক্যালকুলেটর।’ শৈশবে বাবার দেওয়া সেই নামই পরবর্তী কালে একবাক্যে মেনে নেয় গোটা বিশ্ব। নিজের শিক্ষক নিজেই ছিলেন তিনি। পাশে পেয়েছিলেন বাবাকে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় মেয়েকে নিয়ে ‘রোড শো’ করেছিলেন বাবা। পয়সা রোজগারের জন্য নয়, শকুন্তলার প্রতিভাকে পরিচিতি দিতে। প্রচন্ড প্রভাবান ছিলেন শকুন্তলা দেবী।
শকুন্তলা দেবী আজ আর বেঁচে নেই।
দেশের গর্ব নারী-শক্তির অনন্য প্রতীক শকুন্তলা দেবীর মৃত্যু হয়েছে ২০১৩ সালে। আজও তাঁর জন্মদিন ৪ নভেম্বরকে বিশেষ সম্মান দেয় গুগল ডুডল। সম্প্রতি তাঁর জীবনী নিয়েই সিনেমা বানিয়েছেন পরিচালক অনু মেনন। সিনেমার নাম- 'শকুন্তলা দেবী'। মুভিটা আমি দেখলাম। চমৎকার মুভি। আমার ধারনা, অঙ্কবিদ রামানুজন থেকেও এই মহিলার ক্ষমতা বেশী। তার অঙ্ক করার স্টাইল দেখে মনে হবে তার অলৌকিক ক্ষমতা আছে। তার বাবা যখন তাসের ম্যাজিক দেখাতেন, প্রতিটা তাসের নম্বর তাঁর মুখস্থ হয়ে যেত। একটা সময় বাবা আবিষ্কার করেছিলেন, মেয়েকে তাসের খেলায় হারানো দুষ্কর। পিচ্চি মেয়ে স্মরণ ক্ষমতায় টেক্কা দিয়েছে তার বাবাকেও। পাঁচ বছরের মেয়ের ব্যতিক্রমী মেধার কথা চাপা থাকে না। ছড়িয়ে পড়ে গোটা বেঙ্গালুরুতে। ১৯২৯ সালে বেঙ্গালুরুর গোঁড়া হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম শকুন্তলার। বাবা ছিলেন ধর্মের আস্ফালনের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা এক বিপ্লবী।
ছবিতে শকুন্তলা দেবী এবং তার স্বামী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, হংকং, জাপান, শ্রীলঙ্কা, ইতালি, কানাডা, রাশিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, মরিশাস, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার বিভিন্ন স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে নিজের স্কিল দেখিয়ে দিলেন শকুন্তলা। অবাক হলেন নামী দামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-গবেষকরা। ১৯৭৭ সাল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ‘সাদার্ন মেথোডিস্ট ইউনিভার্সিটি’তে ডাক পড়ল শকুন্তলার। ততদিনে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছে গোটা মার্কিন মুলুকে। ২০১ ডিজিটের নম্বরের ২৩ তম রুট করতে বলা হলো তাঁকে। শকুন্তলা কষে দিলেন ৫০ সেকেন্ডে।
শকুন্তলা দেবীর মনস্তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির সাইকোলজির অধ্যাপক আর্থার জেসন। নানা রকম জটিল অঙ্কের সমস্যা দিয়ে তিনি নিশ্চিত হন, এই মেয়ের ব্রেন কাজ করে অসামান্য ক্ষিপ্রতায়।
শকুন্তলার বাবার একটি সার্কাস কোম্পানি ছিল।
সেই সার্কাস কোম্পানি বন্ধ করে তখন তিনি মেয়েকে নিয়ে রোড শো শুরু করেন। শকুন্তলা দেবী 'হিউম্যান কম্পিউটার' হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু এই খেতাব শকুন্তলা দেবীর মোটেই পছন্দ ছিল না। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, কম্পিউটারের থেকে মানুষের মস্তিষ্ক অনেক বেশি ক্ষমতা রাখে। তাই কম্পিউটারের সঙ্গে তাঁর তুলনা পছন্দ ছিল না।
কলকাতার আইএএস অফিসার পরিতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শকুন্তলা দেবীর। সেটা ১৯৬০ সালের মাঝামাঝি। বাঙালি পরিবারের বউ শকুন্তলা সব আদব কায়দাই রপ্ত করেছিলেন। জীবনও চলছিল চেনা ছন্দেই। তাল কাটে কয়েক বছর পরে। শকুন্তলা বুঝতে পারেন, তাঁর স্বামী আদতে সমকামী। স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল!
ছবিতে শকুন্তলা দেবী এবং তার একমাত্র কন্যা।
সমকামিদের মানসিকতা নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা শুরু করেন শকুন্তলা। এই গবেষণার ফসল হলো তাঁর প্রথম বই ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব হোমোসেক্সুয়ালস।’ সমকামিতা যে অপরাধ নয়, সমকামীদের যাপন-পদ্ধতি শুধু আলাদা, এই বইয়ের প্রতি পাতায় সেটাই বুঝিয়েছিলেন শকুন্তলা দেবী। এছাড়াও জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়েও তাঁর লেখা কয়েকটি বই রয়েছে। রান্না সম্পর্কেও তিনি কয়েকটি বই লিখেছিলেন। তাঁর লেখা কয়েকটি বইয়ের নাম ‘ফান উইদ নাম্বার’, ‘নাম্বারস অ্যান্ড পাজলস টু পাজল ইউ’, ‘অ্যাস্ট্রোলজি ফর ইউ’, ‘পারফেক্ট মার্ডার’ ইত্যাদি। শকুন্তলা দেবীর বিবাহিত জীবনের প্রাপ্তি এক কন্যা। নাম অনুপমা ব্যানার্জি।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাইকোলজির প্রফেসর শকুন্তলা দেবীর কাছে গণিতের পাঠ নিয়েছিলেন। শকুন্তলা তীব্র মনোবল ও সাহস নিয়ে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন। তিনি মুম্বাই ও তেলেঙ্গানায় ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেব নির্বাচন করেছিলেন। নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন। শকুন্তলা দেবী বিশ্বের ৫০টিরও অধিক দেশ ভ্রমণ করে তার গণিতের প্রতিভা ছড়িয়েছিলেন। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নাট্যমঞ্চে তার গণিতের প্রতিভা প্রদর্শন করেন।
সমাজের অসহায় দুস্থ মানুষদের জন্য শকুন্তলার মন প্রতিনিয়ত কাঁদত। যে কোনো দানের কাজে সর্বাগ্রে শকুন্তলার নাম থাকত। বিশেষ করে বস্তি এলাকার শিশুদের জন্য তার সাহায্যের হাত সবসময়ই খোলা থাকত। এছাড়াও গরিব পরিবারের মেয়েদের নানাভাবে সাহায্য করতেন।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। সবচেয়ে বড় কথা উনার রাজনীতিতেই নামাটাই ভুল ছিলো।
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:২৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একটা ভালো পোস্ট পড়লাম এবং একজন ক্ষণজন্মা নারী সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। রামানুজনের সাথে তুলনা না করেও বলছি, তিনিও একজন ক্ষণজন্মা গনিতবিদ ছিলেন।
ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এরকম অলৌকিক ক্ষমতা একশো কোটিতে একজনের হয়।
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:০৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অঙ্ক যে কম বুঝে সে কখনো অঙ্ক জানা বিরল প্রতিভার অধিকারীদের নিয়ে এমন সুন্দর সুন্দর পোষ্ট দেয় না।যাই হোক পড়ে অনেক কিছু জানলাম,এই জন্য ধন্যবাদ।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমি অতি সামান্য বুঝি। যোগ বিয়োগ ছাড়া আর কিছু বুঝি না। তাও ক্যালকুলেটার লাগে।
৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৩৭
জিজ্ঞাসু মন বলেছেন: একজন প্রতিভাধর মানুষকে নিয়ে লেখা ভাল লাগল। মাত্র কয়েক দিন আগে ওই ছবিটা দেখে তার কথা প্রথম জানলাম । নিঃসন্দেহে একজন প্রতিভাবান মানুষ ছিলেন তিনি। কিন্তু রামানুজন এর সাথে তার তুলনা দেয়াটা নিয়ে কি আবার ভাববেন? গনিত শাস্ত্রের ওপর মৌলিক চিন্তার অধিকারী ছিলেন রামানুজন, অন্যপক্ষে শকুন্তলা দেবীর গুন ছিল দ্রুততার সাথে ক্যাল্কুলেশন করায় । যেমন পার্থক্য বিজ্ঞানী আর টেকনিশিয়ান এর মধ্যে , কিংবা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আর মেকানিক এর মধ্যে , তাদের মধ্যে পার্থক্যটা কি সেরকম নয়? আমি মোটেই শকুন্তলা দেবী কে খাটো করতে চাইনা , তবে তাকে তার জায়গাতেই সম্মান টা দিতে চাই । এটা অবশ্য একান্তই আমার মত , আপনি ভিন্নমত করতেই পারেন।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মততে আমি সম্মান করি।
রামানুজনও সেরা। কিন্তু খুব হিসেব নিকেশ করলে শকুন্তলাই এগিয়ে থাকবেন।
৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৫৯
কলাবাগান১ বলেছেন: আমার কাছে শিশুকালে কয়েকটা বিষয়ে ফেল করা আইন্সটাইনকেই বেশী ক্ষনজন্মা বলেই প্রতীয়মান হন।
শিশুকালে এমন অনেক প্রতিভাকে দেখা যায় কিন্তু ব্ড়দের (বিশেষ করে বাবা/মা) এর 'আদিখ্যতা' এর জন্য এরা বিজ্ঞানে/সাহিত্যে বিশেষ কোন অবদান রাখতে দেখা যায় না।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: আইনস্টাইন তো বস।
কিন্তু শকুন্তলা দেবী দরিদ্র দেশ এবং দরিদ্র পরিবারের সন্তান।
৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১৮
কল্পদ্রুম বলেছেন: ওনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে পড়েছিলাম।বেশ ইন্টারেস্টিং।ইন্টারেস্টিং বলা হয়তো ঠিক হচ্ছে না।উপযুক্ত শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না।সাইকোলজির প্রফেসর আসলে তাঁর কাছে গণিতের পাঠ নেননি।বুদ্ধিমত্তার উপর একটা গবেষণা করছিলেন।সেই গবেষণার একটি সাবজেক্ট ছিলেন শকুন্তলা দেবী।উনি হাত দেখায় বিশ্বাস করতেন।সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে ভাগ্য গণনা করতেন।আমার ধারণা শেষ বয়সের দিকে এসব বুজরুকি শুরু করে ছিলেন।টাইম পাস করার জন্য।এটা জেনে একটু বিরক্ত হয়েছি।রামানুজনের সাথে ওনার তুলনা চলে না।আমারও তাই ধারণা।তবে উনি ভয়ঙ্কর বুদ্ধিমতি ছিলেন সন্দেহ নেই।বুদ্ধিমতি বলছি কেবল তাঁর ম্যাথ ট্যালেন্টের জন্য না।ইউটিউবে ওনার কয়েকটি প্রেজেন্টেশন দেখেছিলাম।এরকম বর্ন ট্যালেন্টরা একটু অন্তর্মুখী হয়ে থাকে বলে আমার ধারণা ছিলো।শকুন্তলা দেবীকে খুবই স্বতঃস্ফূর্ত মনে হয়েছে।যেন কোন ম্যাজিক শো দেখাচ্ছেন।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য করেছেন।
শেষ বয়সে উনি কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েন যেন। তার কারন তার মেয়ে তার কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলো। উনি একা হয়ে পড়েছিলেন। তাই হয়তো রাজনীতিতে নেমেছিলেন।
৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমি শকুন্তলা দেবির সন্মন্ধে কিছুই জানতাম না। এমন মহীয়সী নারীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি বহুবছর বেঁচে থাকুন- যেমন মানুষ আছেন তেমনই থাকুন!
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমার অবস্থা ভালো না। চোখে অন্ধকার দেখছি।
৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৪
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: গণিতে নোবেল কেনো দিল না আসলে বুঝলাম
উনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই------------------
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: এই কথাটা আমারও মনে এসেছে।
৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার লেখনী। তবে আমার মতে রামানুজন ও শকুন্তলা দেবীর স্ব-স্ব স্থানে বিখ্যাত; রামানুজন ও শকুন্তলা দেবীর তুলনা করা সমুচীন হবেনা কারণ তাদের তুলনা শুধুই তাঁরা।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভালো লাগলো প্রতিভাবান একজন মানুষের কথা জেনে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই যে তাঁকে নিয়ে তৈরী হওয়া একটা মুভি দেখে আপনি তাঁর সম্পর্কে জানলেন, তাঁকে নিয়ে লিখলেন, ফলে আমরাও জানতে পারলাম- আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এই ধারাটাই নেই। আমাদের জ্ঞানী-গুণী সম্মানী মানুষদের নিয়ে কোনও মুভি হয় না। এই আক্ষেপ নিয়ে আমি একটা পোস্ট দিয়েছিলাম।
নিজেদের সম্মানিত মানুষদেরকে উপরে মুভি তৈরী হলে সেটা পরবর্তী প্রজন্মকে প্রভাবিত করে বলেই আমার ধারণা।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। আমিও চাই আমাদের দেশের জ্ঞানী গুনীদের নিয়ে সিনেমা হোক।
১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৯
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: লেখাটা বেশ ভাল লাগল।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: উনার মেয়েরওকি একই রকম কোনো প্রতিভা ছিলো?
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: উনার মেয়েরও এরকম প্রতিভা ছিলো ছোটবেলায়। কিন্তু মেয়েটা মায়ের মতো হতে চায়নি। মা সারাদিন বাইরে বাইরে ব্যস্ত থাকতেন। তাছাড়া শকুন্তলা দেবী তার স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়াতে মেয়েটা মানসিক কষ্টে ভূগছিলো।
১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
ইসিয়াক বলেছেন: জানতাম না উনার সম্পর্কে। অনেক কিছু জানলাম ,ভালো লাগলো আপনার পোস্ট।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ইসিয়াক রাগ করেছেন আমার উপর?
১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫
অজ্ঞ বালক বলেছেন: আমার কমেন্ট দেখি আরও তিন-চারজন কইরা ফেলছেন। সেইটা হইলো, রামানুজন ওয়জ এ ড্যাম জিনিয়াস। শকুন্তলার সেইখানে গণিতে কোনো মৌলিক প্রতিভা ছিল না। এই আর কি। সিনেমাটা ভাল্লাগে নাই। উনার প্রতিভার দিকে ফোকাস ছিলো না।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: সিনেমাটা আরেকবার দেখেন। অবশ্য সিনেমাটায় মা মেয়ের সম্পর্ক টাকেই বেশী প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
১৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পৃথিবীতে ব্যতিক্রমী শক্তির অধিকারী কিছু মানুষ থাকে।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০২
রাজীব নুর বলেছেন: এই ব্যতিক্রমী মানুষের সংখ্যা খুব কম।
১৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এমন একজন মানুষ রাজনীতি করা মোটেই ঠিক হয়নি আমার মতে। দল মানুষকে জনপ্রিয়হীন করে ফেলে।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
১৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৯
ইসিয়াক বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ইসিয়াক রাগ করেছেন আমার উপর?
রাগ করবো কেন? রাগ করিনি। আসলে আমি ব্লগে ঠিক মতো সময় দিতে পারছি না। আপনার অনেকগুলো পোস্ট পড়া হয়নি। পড়বো অবশ্যই্।মন্তব্যও করবো।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০০
বিপ্লব০০৭ বলেছেন: রামানুজন থেকে শকুন্তলা দেবীর ক্ষমতা বেশি- লিখেছেন। বাট কেমনে সেটার কোন উল্লেখ পেলাম না। রামানুজনের ওপর নির্মিত "দা ম্যান হু নিউ ইনফিনিটি" দেখুন-- আপনার ভুল ধারণা পাল্টে যাবে। রামানুজনকে বলা হয় গণিতবিদদের গণিতবিদ।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: রামানুজন চিন্তা ভাবনা করে অঙ্ক করতেন। সময় নিতেন। ভাবতেন। আর শকুন্তলা দেবী। ভাবতেন না, চিন্তা করতেন না- মুহুর্তের মধ্যে বলে দিতেন।
১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: চোখের সমস্যা - নাকি অন্য কোন ব্যাপার?
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি মনে করছেন?
২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: 'চোখে অন্ধকার দেখা'র অনেক অর্থ হতে পারে। কেউ খুব বিপদে পড়লে চোখে অন্ধকার দেখে; তেমন কোন দুঃসময়?
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: না। সব ঠিক আছে। ব্যাপার না। অভ্যাস হয়ে গেছে।
২১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শকুন্তলা দেবী আমাদের শৈশব থেকেই শুনে আসছি বিস্ময়ের বিস্ময়। তবে ওনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে ধারণা ছিল না। ধন্যবাদ ভাইকে বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।
শুভকামনা রইল।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা সময় পেলে শকুন্তলা দেবীকে নিয়ে মুভিটা দেখে নিবেন। ভালো লাগবে।
২২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার আই কিউ লেভেল কত ছিল? উনি সমকামিতাকে সমর্থন করেছেন। আপনি কিন্তু এই ব্যাপারে আবার ওনাকে সমর্থন দিয়েন না।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: উনার আই কিউ তা জানি না।
না সমকামিতা আমি সমর্থন করি না।
২৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৮
অজানা তীর্থ বলেছেন: অঙ্ক করতে আমার ও ভালো লাগে অনেক। তবে উনার সম্পর্কে আগে শুনি নাই। সবই ভাল কিন্তু সমকামীতার ব্যাপারটা কেমন যেন মানানশয় ছিলনা।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: 'শকুন্তলা দেবী' মুভিটা দেখুন। অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে।
২৪| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২০
বিপ্লব০০৭ বলেছেন: কম্পেয়ার করাটা আমার খুব একটা পছন্দের না। তারপরও কিছু কথা বলতে হচ্ছে। আপনি মনে হয়, রামানুজন থেকে শকুন্তলা দেবীকে বেশি ভালোভাবে বুঝেছেন। আপনি বলছেন যে, "রামানুজন চিন্তা ভাবনা করে অঙ্ক করতেন। সময় নিতেন। ভাবতেন। আর শকুন্তলা দেবী ভাবতেন না, চিন্তা করতেন না- মুহুর্তের মধ্যে বলে দিতেন।" মানে- শকুন্তলা দেবী মুহুর্তের মধ্যে চিন্তা-ভাবনা না করেই 'বলে দিতে' পারছেন-- এটার কারণে রামানুজনের চেয়ে শকুন্তলা দেবীকে আপনি এগিয়ে রাখছেন। ধরেন, একই গুন যদি রামানুজনের মধ্যেও থাকে (সত্যি বলতে কি রামানুজনের মধ্যে দু'টো গুণই ছিলো, রামানুজনের বায়োগ্রাফি পড়লেই বুঝে যাবেন) তবে কি রামানুজনকে আপনি শকুন্তলা দেবী থেকে এগিয়ে রাখবেন?
২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার ভুল হতে পারে।
২৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০১
অজানা তীর্থ বলেছেন: আমি মুভি দেখিনা, পরিচালকের ব্যাক্তিগত প্রভাব পড়ে মুভিতে।
২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: তা ঠিক। তবে কিচু কিছু মুভি আছে সেগুলো না দেখাটা অন্যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইন্দিরা গান্ধির সাথে প্রতিযোগীতায় নামাটা উনার ভুল ছিল; ইন্দিরা গান্ধী আসলে নিজের বাবার চেয়েও বিচক্ষণ ছিলেন।