এটা কোনো পোষ্ট নয়, এমনি সময় কাটানো

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪০

হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে সেখানে ছিলাম আমি।


১। কবে যে দেশে শান্তি ফিরে আসবে!
করোনা দূর হবে! আমার ভাবতে ভালো লাগে খুব শ্রীঘই দেশ থেকে করোনা বিদায় নেবে। দেশের সব রাজনীতিবিদরা সৎ হবেন। কোনো শিশু অপুষ্টিতে ভুগবে না। রাস্তায় বের হলে ভিক্ষুক দেখবো না। আমার বিশ্বাস করতে ভালো লাগে- অল্প কিছু দিনের মধ্যে দেশের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সব স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি খুলে যাবে। সব পরীক্ষা সুন্দর ভাবে শেষ হবে। সেশন জটে পড়বে না ছাত্রছাত্রীরা। আর একটাও ধর্ষন হবে না। রাস্তায় একটাও দূর্ঘটণা ঘটবে না। কোথাও আগুন লাগবে না।

২। অদ্ভুত দেশ বাংলাদেশ।
বাংলাদেশর মানুষের এক অদ্ভুত রকমের সহনশীলতা আছে। এরা শত কষ্ট নিরবে সইতে পারে, শত দুঃখেও হাসতে পারে। অনেক বড় আঘাত বুকে নিয়েও ভুলে যেতে পারে অতীতের সব কিছু। আর সেই ভুলে যেতে পারার জন্যই রাজাকারদের সংসদেও বসতে দিয়েছে, সৈরাচার অভ্যুত্থানের পরেও সেই সৈরাচারী শাসককেও আবার নির্বাচিত করেছে। জেনে বুঝে দূর্নীতিবাজদের সালাম দেয়।

৩। রবীন্দ্রনাথ কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না।
তিনি ছিলেন একজন সমাজ সচেতন এবং সমাজ বৈষম্য নিধনকারী, পবিরর্বতনকামী নাগরিক। তিনি চেয়েছেন মানুষের মধ্যে ঐক্য ও উদার মানবিকতার প্রতিফলন ঘটুক। তিনি সমাজ বদলের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। সমাজের ভেতরে মানুষের কর্মোদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। সমাজবিরোধীশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সমবেত আত্মশক্তির প্রয়োজন উপলব্ধি করেছেন সেই সময়েই। ব্যক্তি সমাজ সৃষ্টি করে, আর সমাজ সৃষ্টি করে রাষ্ট্রের। সমাজে সৎ অংশগ্রহণ সৎ রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্ম দেয়। এটা ছিল তাঁর কর্মের মূল প্রত্যয়। জিহাদি মৌলবাদীদের রবীন্দ্রনাথকে বুঝার মতো মেধা নেই।

৪। বাংলাদেশের অধিকাংশ ওয়াজি হুজুর প্রতারক আর মিথ্যুক। আজ সেই সব ধর্মব্যবসায়ীদের কাছে ইসলাম বিপন্ন, মানুষ বিপন্ন। খোলা ময়দানে ভণ্ডদের মিথ্যাচারের খবর সব জায়গায় পৌঁছে দেয়াও আমাদের ঈমানী দায়িত্ব, ঠিক কি না বলেন!

৫। ঠক ঠক
স্যার একটু কথা ছিল...
১৪ই ডিসেম্বর, ফি বছর, ফিরে ফিরে। শ্রদ্ধা। শোক। সম্মান।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

৮ টি +০/-০