নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
লোকজন আমাকে শুধু ঠকায়। বারবার ঠকায়।
গতকাল তিন কেজি গরুর মাংস কিনলাম। মাংস সুন্দর করে ঝুলিয়ে রেখেছে। সুন্দর করে ঝুলিয়ে রাখা মাংস থেকে আমি বেছে বেছে মাংস নিলাম। লোকটা আমার সামনেই মাংস গুলো কাটলো। বাসায় এসে দেখি, দেড় কেজি চর্বি দিয়েছে। বাকি দেড় কেজি হাড্ডি। তিন কেজি মাংসে দেড় কেজি চর্বি কেন দিবে? আর দিলো কিভাবে? সামনে তো আমি দাড়িয়েই ছিলাম। বিক্রেতা অবশ্যই দক্ষ। বলা চলে ম্যাজিক জানে। মানুষ ঠকানো অন্যায় কাজ। অবশ্য বাংলাদেশে সবাই সবাইকে ঠকাচ্ছে। কেউ কাউকে ঠকাতে পারলেই ভাবে, জিতে গেলাম! আনন্দের ঢেকুর তোলে। প্রকৃতির যে একটা প্রতিশোধ আছে, সেটা মানুষ একদম ভুলমেরে বসে আছে। প্রকৃতি মানুষের শত অন্যায় অবিচার দেখে মনে মনে ভাবে, দেরী হোক যায়নি সময়।
বাজার থেকে ডিম কিনি।
সব সময় এক দোকান থেকেই ডিম কিনি। দাম বেশি দিয়ে বড় ডিম কিনি। দোকানদারকে বলি, বিশ টাকা বেশি রাখো। তবুও বড় ডিম দাও। কিন্তু ডিম বিক্রেতা ছোট ডিম দেয়। আমার সামনেই দেয়। যদি বলি, ছোট ডিম দিচ্ছেন কেন? বলে, না না। কি যে কন! সব বড় ডিম। বাসায় গিয়ে দেইখেন। আবার আমার কাছে আসতে হবে। আমি অবাক হই! নিজ চোখে দেখছি ছোট ছোট ডিম দিচ্ছে। আবার মিথ্যা কথা বলছে। আমাদের দেশের মানুষ গুলো এমন কেন? কেন এত মিথ্যা বলে? প্রয়োজন নেই, তবু মিথ্যা বলছে। মিথ্যা মানুষের রক্তের সাথে মিশে গেছে। মন্ত্রী এমপি, সরকারি আমলা, সাংবাদিক, শিক্ষক, ইমাম, মাওলানা, ভিক্ষুক, রিকশাওয়ালা, হকার, ছাত্রলীগসহ সকলে মিথ্যা বলিছে। রক্তের সাথে মিশে গেছে মিথ্যা। রক্তকে তো অস্বীকার করা যায় না।
যেই দোকান থেকেই কেনাকাটা করি,
ভাংতি টাকা ফেরত দেওয়ার সময় পচা, ময়লা এবং ছেড়া টাকা দেয়। আমি ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিলেও ছেড়া, পচা ময়লা টাকা দেই না। কিন্তু প্রতিটা দোকানদার আমাকে বেছে বেছে ছেড়া পচা ময়লা টাকা দেয়। ছেড়া ময়লা টাকা আমার পকেটে রাখতে ইচ্ছে করে না। তবু গত কয়েকদিন ধরে পকেটে বেশ কিছু ছেড়া, ময়লা পচা টাকা নিয়ে ঘুরছি। কাউকে দিতে ইচ্ছা করে না। ভাবছি, গুলিস্তান গেলে ছেড়া নোট গুলো বদলে নিবো। দুই মনিষী বুদ্ধ আর যীশু বলেছেন, নিজে ঠকো, বারবার ঠকো। কিন্তু তুমি কখনো কাউকে ঠকিও না। দার্শনিক যীশু আর বুদ্ধ দুজনেই আমার ভীষণ প্রিয়। তাদের কথা আমি মেনে চলি। এবং বারবার ঠকি। আমি যে ব্লগে লেখালেখি করি, সে ব্লগে সত্য কথা বলার জন্য আমাকে বহুবার ফ্রন্ট পেজ ব্যান করা হয়েছে। এখনও ফ্রন্ট পেজ ব্যানে আছি। আমার অপরাধ হচ্ছে, একজন বিদেশ থেকে চককেট পাঠিয়েছেন, আমি শুধু বলেছি, আমি কোনো চকলেট পাইনি।
আর কিছুদিন পর ইদ।
প্রায় সব গুলো দৈনিক পত্রিকা ইদ সংখ্যা বের করছে। ইদ সংখ্যায় নানান রকম লেখা প্রকাশ হয়। আমি ১৩/১৪ বছর ধরে ব্লগিং করছি। ব্লগে আমার কিছু পাঠক আছে। গল্প, কবিতা, ফিচার, প্রবন্ধ নিবন্ধন সবই লিখি। অথচ আজ পর্যন্ত কোনো দৈনিক পত্রিকা ফোন করে একটা লেখা চাইলো না। বলল না, স্যার ইদ সংখ্যার জন্য একটা গল্প দেন। প্লীজ। দিতেই হবে। লেখা ছাপানো জন্য কাউকে ফোন দিয়ে তেলাতে ইচ্ছে করে না। ছোটবেলা থেকেই দালালি আর চাটুকারিতায় একদম কাচা আমি। অনেক দালালি আর চাটুকারিতা করে নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছে। সুরভি আফসোস করে বলে, কোনোদিন তোমার মুখে আমার একটা প্রশংসা শুনলাম না। আমার কি কোনো গুন নেই? তোমার জন্য রান্না করি, কোনোদিন বললে না, রান্নাটা ভালো হয়েছে। অথচ মানুষ আমার রান্না কত মজা করে খায়। কত সুনাম করে। আমার শুধু যীশু আর বুদ্ধের সুনাম করতে ইচ্ছে করে। চারপাশে এদের মতো মানুষ খুজে পাই না।
লোকজনের ধারণা আমি বোকা, নির্বোধ। আহাম্মক।
অথচ আমি অতি চালাক, চতুর একজন মানুষ। আমি সব বুঝি। মানুষের চালাকি, মিথ্যা আর প্রতারণা মুহুর্তেই ধরে ফেলি। সব জেনে বুঝেও আমি চুপ থাকি। সহজ সরল সুন্দর জীবন যাপন করি। অন্য মানুষের মতো আমার জীবন জটিলতা কুটিলতাময় না। আমি কোনোদিন কাউকে লাথথি দেইনি, তার মানে এই না যে আমি লাথথি দিতে জানি মা। লাথথি দেই না, তার কারন হচ্ছে মানুষের প্রতি আমার সীমাহীন ভালোবাসা রয়েছে। মাদার তেরেসার চেয়ে আমার ভালোবাসা কম নয়। আমি জানি, কোনো মানুষই শখ করে মন্দ কাজ করে না। কিছু মানুষের প্রচুর টাকা আছে বলে, তারা মন্দ কাজ করে। আর কিছু মানুষের প্রচুর টাকা নেই বলে তারা মন্দ কাজ করে। মানুষের মুখের দিকে তাকালেই আমি তাদের হাসির আড়ালে দুখ কষ্ট গুলো টের পাই।
©somewhere in net ltd.