নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাস্টিন ট্রুডোকে কেন পদত্যাগ করতে হলো?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৭



জাস্টিন ট্রুডোর বর্তমান বয়স ৫৪ বছর।
সারা বিশ্বে তিনি বেশ জনপ্রিয়। ২৫ বছর ধরে তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত। হুটহাট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মানুষ নন তিনি। পরিবার এবং ঘনিষ্ঠজনদের সাথে দীর্ঘ আলাপ আলোচনা করার পর জাস্টিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন। ২০১৫ সালে জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হোন। তার দলের নাম লিবারেল পার্টি। এর আগে তিনি এক কলেজের শিক্ষক ছিলেন। 'দ্য গ্রেট ওয়ার' নামে টিভিতে একটা সিরিজ করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। সহজ সরল ভালো মানুষ তিনি। চলার পথে কারো সাথে দেখা হলে, কেউ যদি তার সাথে সেলফি তুলতে চায়, তিনি আগ্রহ নিয়ে সেলফি তুলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তিনি সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। চড়েছেন সাধারণ যানবাহনে।

বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, তখন তার জন্ম হয়।
তখন তার বাবা ছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে নির্বাচন হবে। অনেকে মনে করেন, আগামী নির্বাচনে লিবারেল পার্টি হেরে যাবে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কানাডার ২২ শতাংশ মানুষ জাস্টিন ট্রুডোর উপর ভরসা রাখেন। টানা ৯ বছর জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দুষ্ট আমেরিকানরা বলছেন, ট্রাম্পের ভয়ে জাস্টিন পদত্যাগ করছেন। ইহা অবশ্যই ভুল কথা। একবার এক বক্সিং খেলার আয়োজন করা হয়। সেখানে জাস্টিন ট্রুডো আচমকা খেলতে নেমে যান এবং প্রতিপক্ষ কে মেরে তক্তা বানিয়ে দেন। উনার রাজনৈতিক স্টাইল অন্যদের চেয়ে আলাদা। উনি মধ্যবিত্তদের কথা ভাবতেন। তাদের জীবনমান উন্নত করার জন্য তিনি রাজনীতি করেছেন। করোনার মধ্যে তিনি তার জনগনকে বেগ পেতে দেননি।

কেউ কেউ বলছেন, জাস্টিন ট্রুডোকে প্রচন্ড চাপ দেওয়া হয়েছে,
তাই তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। বিদেশি গণমাধ্যম গুলো গত এক বছর ধরে বলে গেছে, জাস্টিন অযোগ্য। তার পদত্যাগ দরকার। সে যাকগে, লিবারেল পার্টি থেকে আগামীতে নির্বাচন করতে পারেন, বর্তমান অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। উনি ছিলেন জাস্টিন ট্রুডোর বাম হাত। করোনার আগের দুই বছর জাস্টিন ট্রুডোর খুব একটা ভালো যায়নি। সেসময় বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিলো তার বিরুদ্ধে। করোনায় কানাডাতে গজব অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিলো। বলা হয়, সেসময় জাস্টিন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেন নাই। দেশের জনগণ তখন তার বিপক্ষে চলে গিয়েছিল। আসলে বাংলাদেশে থেকে যথাযথ ভাবে কানাডার খবর পাওয়া সম্ভব নয়। আমরা তো পাশের ফ্লাটের খবর সঠিক জানি না। পত্রপত্রিকা পড়ে যতটুকু পারি জানতে চেস্টা করি।

জাস্টিন সাহেব পদত্যাগ করার আগে ২০২৪ এ পদত্যাগ করেন তার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড।
দুটা পদত্যাগ কি একই সুত্রে গাথা? শেখ হাসিনার সাথে জাস্টিন ট্রুডোর সুন্দর সম্পর্ক ছিলো। দুজনের সাথে প্রায়ই টেলিফোনে আলাপ হতো। শেষবার কথা বলার সময় জাস্টিন স্পষ্ট বলেছেন, জামাত শিবির থেকে আপনাকে সাবধান থাকতে হবে। সন্ত্রাস এবং জংগী থামাতে হবেই। নইলে আপনার বিপদ হবে। এখন দেখা যাচ্ছে, জাস্টিন ট্রুডোর কথাই সত্য। ১৯৭১ সালে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, জাস্টিন ট্রুডোর বাবা মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সাপোর্ট করেছেন। জাস্টিন ট্রুডো বাংলাদেশের বন্ধু। কানাডা বাংলাদেশের বন্ধু। জাস্টিন ট্রুডো ক্ষমতায় থাকলে আমাদের জন্য ভালো হতো। আমাদের দেশে প্রতিটা নেতার নামে দূর্নীতির অভিযোগ আছে। জাস্টিন সাহেবের নামে কোনো দূর্নীতির অভিযোগ নেই।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কানাডার বাইরে তিনি অনেক জনপ্রিয় কিন্তু কানাডার ভিতরে তিনি জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: তবে লোকটা সৎ।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার ব্লগটি পড়ে সত্যিই মুগ্ধ হলাম। আপনি অত্যন্ত সুস্পষ্ট এবং সুশৃঙ্খলভাবে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের কারণ বিশ্লেষণ করেছেন, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয়। আপনার লেখায় যে গভীর রাজনৈতিক সচেতনতার পরিচয় পাওয়া যায়, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। ট্রুডোর পদত্যাগের প্রেক্ষাপট ও সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকপাত করেছে। বিশেষ করে, মধ্যবিত্তের জীবনমান উন্নয়নে তার প্রচেষ্টা এবং সাধারণ জীবনযাপনের বিষয়টি আপনার লেখায় সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।

আপনার পর্যবেক্ষণ এবং তথ্যসমৃদ্ধ লেখার মাধ্যমে পাঠকরা কানাডার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারছেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় কানাডার ভূমিকার বিষয়টি উল্লেখ করায় দুই দেশের সুসম্পর্কের প্রেক্ষাপটও চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আপনার ব্লগটি রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে এবং পাঠকদের আরও বেশি তথ্য জানতে আগ্রহী করবে। ধন্যবাদ এমন একটি গভীর ও তথ্যবহুল লেখার জন্য।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: মাইনোরিটি সরকার ছিলো।কিছু দল সমর্থন প্রত্যাহার করায় সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫৮

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সঠিক আলোচনা

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আসল কারণ আমি বলি।

শেখ হাসিনা হচ্ছে কুফা। উনার সাথে যাহারাই ফটোক তুলিয়াছে তাহাদেরই পতন হৈয়াছে।
উদারণ-

১। ঋষি সুনাক
২। বাইডেন
৩। জাস্টিন ট্রুডো

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: একজন সজ্জন ভদ্রলোক হিসেবে জাস্টিন ট্রুডো আমার পছন্দের ছিল। আমার তাকে সবসময় একজন সহজ সরল স্বভাবের মানুষ বলে মনে হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কানাডার জনগণই ভালো বলতে পারবেন।

৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: কানাডার জনগন তাকে ভালোবাসে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.