নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আরহাত ইমতিয়াজ রাকিব। পত্রিকায় লিখি রাকিব ইমতিয়াজ নামে। পেশা হিসেবে বলা যায়, এখনও একজন ভবঘুরের কাতারে। পূর্বে একটা রেডিওতে বেশ কিছুদিন প্রোগ্রাম করেছি। শখ লেখালিখি। ফেসবুক ছাড়াও আমার ব্যাক্তিগত ব্লগে লিখি।আমি মানুষ হিসেবে মর্মান্তিক বোকা।

রাকিব ইমতিয়াজ।

আমি আজন্ম এক ইতিহাস।আমি থাকতে চাই হাজার লোকের ভিড়ে, আমি থাকতে চাই শঙ্খচিলের নীড়ে। নিয়ন আলোতে নিজেকে খুঁজি রোজ, ল্যামপোস্ট দেখিনা বহুকাল করেনা কেউ তাঁর খোঁজ, সন্ধ্যা নামলেই আমি ঝুল বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ি নিয়ন আলোর শহরে নিজেকে খুঁজি রোজ।

রাকিব ইমতিয়াজ। › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরিচিকার শিশির

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:০৭



আমি বারংবার ফিরে এসেছি
তুমি ফিরে চাওনি
আমি নিশ্বদ্ধ হয়েছি, শুধু ভেবেছি
সময় হয়তো উলঠো হাওয়ায় তাল মিলিয়ে চলছে।
জোনাকিরা আজও মিটি মিটি জ্বলছে।
আজও তারা রাতের অপেক্ষায় বসে থাকে
অধির হয়ে থাকে
কখন জ্বলতে শুরু করবে।
আজও চাতক পাখিরা
বৃষ্টির অপেক্ষায় চেয়ে থাকে
দূরের ওই পাহাড়ের গাঁ ঘেসে তখন সূর্যটা নেমে যায়।
তখন হয়তো তুমি উপলব্ধি কর
তুমি ভাবো
বারংবার ভাবো
কখনও রঙিন হও
কখনও স্বপ্নীল হও
আবার কখনও সাদা-কালোর জগতে গিয়ে অনুসূচনা করো।
ট্রয় নগরীর প্রত্যেক বাঁকে বাঁকেই ছিলো
নারীর উপস্থিতি।
তুমি আজও আঁতকে উঠো
ট্রয় নগরীর সেই বিদ্ধশ্ততার কাহিনী পড়ে।
আমি ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মত
শুধু চেয়েই থাকি।
নগরীর একস্থান থেকে অন্যস্থান,
দেয়ালের পর দেয়াল,
বাসটপ, কপিহাউজ
আমি শুধু দেখেই যাই
দেখা কখনো শেষ হয় না।
মতিঝিলের অলিতে গলিতে
আজও তোমার গন্ধ পাই,
সুদূর কোনো সাগর পাড়ে গেলে
তোমার পায়ের চাপ দেখতে পাই।
তুমি আজন্ম ইতিহাস
আজন্ম এক সভ্যতা,
মরিচিকার মত শিশির বিন্দু।
আজও কাঁঠের গুন পোকারা
মাটির স্পর্শ পেতে চায়।
আকাশের বুক ছিড়ে জল পড়তেই
তুমি শিহরিত হও
আজও আয়নার পিছনের দিক দেখেই সন্তুষ্ট থাকি।
হয়তো এভাবেই কালজয়ী জীবনের
একটা অধ্যায় শেষ হবে।
সে জিবন তখন,
পোঁকাদের খাদ্যের অভাব পূরন করবে
কচুরীপানার ফুলগুলো শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।
আমি চূর্ণ, বিচূর্ণ থেকে শূণ্যের কোটায় নেমে এসেছি।
আর ভাবতে হবে না,
ভেবে শিহরিত হতে হবে না।
কারণ শালিক পাখিটা এখন
অন্য কোন গাছের একটা ডালের মালিক।
সেই কুঁজো হওয়া
বৃদ্ধটাও আজ মরে গেছে,
যে ছিলো তোমার প্রতিদিনকার গল্প শোনার সাথী।
কবিতা শুনতে ভালো লাগে,
শরৎবাবুর কবিতা
বাবুর সেই কালজয়ী ছবিটা
এখন আর ওয়ালেটে রাখা হয় না।
কারণ, এখন বলার মত কেউ নেই
শরৎবাবুর কবিতা পড়ার মত কেউ নেই।
দিগন্তের শেষের দিকে
যখন একটু বাতাস বয়,
সত্যি ভালোই লাগে
মনে হয়,
বালির কনা গুলো ধেয়ে আসছে।
আমি আবার নির্বাক হই
চলে যাই আপন ঘরের অচিন ঠিকানায়।
ভূলে যাই সেই শব্দ গুলো
ফেলে দেই সেই নীল রঙের শার্ট টা।
নির্বাক থেকে চির নির্বাক,
অসীম শক্তিময় এক নির্বাক.....…....(~_~)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.