![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে জানার একটা মাধ্যম হচ্ছে লিখে যাওয়া।লেখালেখি করার অভ্যাস নেই বললেই চলে,মাঝে মাঝে "আউল ফাউল"লেখার চেষ্টা করি একটু.....
আমি খুব নিচু মানের একজন সমালোচক।আমি কোন কিছুর সমালোচনা গুছিয়ে করতে পারিনা।এতোদিন গুটিকয়েক রিভিউ লিখেছি,সেটাও বাচ্চাদের মতো অস্ত্র,গাড়ি,গীটার,কার্টুন নিয়ে।কিন্তু আজকে লাইফে প্রথম একটা নাটক নিয়ে লিখতে ইচ্ছা করছে,বাংলা নাটক।নাটকটার নাম সম্ভবত অল টাইম দৌড়ের উপর..........................................
নাটকটা দেখে আমার বেশ কিছু ফ্রেন্ডের সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করার আগেই আমার শুনতে হলো,"অসাম,চখাম,চরম,অস্থির নাটক"......নাটক টা আসলেই অস্থির......
শিট!!!!!!আমি তো নাটকের কাহিনীটাই লেখলাম না।এটা মূলত ফেসবুককে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা একটা গল্প।সহজ সমীকরণ,ফেসবুকে ছেলে-মেয়ের পরিচয়,ভালোলাগা,আবেগ.........ব্যাপারটা বাড়তে পারতো,কিন্তু মেয়েটা বিদেশ চলে যাবে দেখে ছেলেটার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে চায়।ছেলেটা তাই একবার সামনা সামনি মেয়েটাকে দেখতে চায়।তাই সে তার দুই বন্ধু কে নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেট যেতে চায় এবং এই যাত্রাটা যে কতোটা হাস্যকর,ঝামেলার হতে পারে সেটা কি-বোর্ড দিয়ে আমার পক্ষে লেখা সম্ভব না।যাই হোক,বহু ঝামেলা শেষে তারা সিলেট গিয়ে পৌছায় এবং মেয়ের বাসাতে গিয়ে মেয়ের মা কে দেখতে পায়।কিন্তু পরে ছেলেটা জানতে পারে যে এই মহিলাই ফেসবুকে তার সাথে চ্যাট করতেন এবং এই মহিলা তার একাকীত্ব দূর করতেই এই কাজটা করেছিলেন।ছেলেটা যেহেতু এই ব্যাপারে দুর্বল হয়ে যাচ্ছিলো,তাই তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং তিনি এই কাজের জন্য মন থেকে অনুতপ্ত।এর পর ছেলেটা তার বন্ধুদের সাথে ঢাকা ব্যাক করতে থাকে.........
এই নাটক টা দেখে আমার অনেক ফ্রেন্ড ঢাকার বাইরে যাওয়ার সময় মোবাইল,টাকা-পয়সা নিতে ভয় পেতো,ভয় এখনো কমেছে কিনা আল্লাহ মালুম।তবে নাটকটা আমার কাছে কমেডি নাটক হিসেবে এতোটা ভালো লাগেনি যে সেটা নিয়ে কিছু লিখতে হবে।আমি লিখছি সম্পূর্ণ অন্য কারনে...............
ছেলেটা যখন ঢাকা ব্যাক করবে করবে ভাব,তখন কয়েকটা উক্তি সে মনে মনেই ভেবে যায়।এটাকে ঠিক উক্তি বলা চলেনা,আমি এটাকে দর্শন বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবো।কথাগুলো আসলে ঠিক কেমন জানি......
"প্রিয়,মাঝে মাঝে আমরা অন্যের মাঝে নিজেকে খুজে পাই।প্রত্যেকটি প্রতিচ্ছবি নিজেকে আরও স্পষ্ট ভাবে চিনায়,আলো দেখায়।থ্যাংক ইউ,ইউ আর রাইট।দিন শেষে আমরা সবাই অনেক একা।বাট এভরিওয়ান নিড সামওয়ান।
তাই চলো,বের হই।বাইরের আলো খুব বেশি না হলেও অন্ধকারে পথ ঠিকই দেখাবে।ফুল হই,বৃষ্টি হই,মেঘ হয়ে হারিয়ে যাই।বাতাস হয়ে মেঘ পাড়ি দেই।বন্ধু হই...........................
live it,love it.color it.....try to loose control of it. এই জীবনে কেউ জিতবে,কেউ হারবে।কেউ হারিয়ে যাবে।এটাই নিয়ম।আবার হয়তো বিকালে ছাদে কেউ একা কাঁদবে......কেউ হয়তো ভুলে জড়াবে এই শহরের ফাঁদে..........................
নাটকের এই কথাগুলো কেন জানি অনেক গভীর লেগেছে আমার কাছে।২০-২৫ বার রিপিট করে শোনার পরেও আমার বুঝতে কষ্ট হয়েছে,এখনো হয়।প্রথমে নাটকটা দেখে আমার মনে হয়েছিল ছেলেটা ছ্যাঁকা খেয়ে এই কথাগুলো ভাবছে।কিন্তু এখন আমি জানি আমি ভুল ছিলাম।
নিজেকে চিনতে কখনোই আয়না লাগেনা।নিজের মন আসলে বিশাল বড় একটা আয়না হিসেবে কাজ করে।সেখানে আমাদের সবার প্রতিচ্ছবিই পড়ে,কিন্তু প্রত্যেকের জন্য সেই প্রতিচ্ছবিটা আলাদা.........
দিন শেষে আসলেই আমরা অনেক একা।এমন কখনো হয়নি যে যখন আমারা খুব একা থাকি,তখন আমাদের পাশে কেউ এসে দাড়াচ্ছে।এই একাকীত্ব সম্পূর্ণ অন্যরকম।নিজের আত্মাকে জেলে বন্দি করে রাখার মতো।হয়তো এইজন্যই আমরা কাউকে চাই।সেটা বন্ধু,প্রেমিক/প্রেমিকা,পরিবার-যে কেউ হতে পারে।আসলে আমরা এমন কাউকে চাই যাকে আমাদের কিছু বলতে হয় না।সেই মানুষটা যেন আমাদের চোখ দেখেই সব বুঝতে পারে,তার চোখের ভাষাই যেন আমাদের চুপ করে নিজেকে নিজের হাতে ছেড়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট হয়..............................
আসলেই বের হওয়াটা দরকার।একটা ঘরের ভেতর নিজেকে বন্দি রেখেছি দেখে নিজের মনের উপর ছত্রাক জন্মে গেছে।ফুল হওয়া,মেঘ হওয়াটা খুব দরকার,খুব...............
জীবনটাকে আসলে চালানো উচিত বন জোভির "It's my life" গানটার মতো।তাহলে জীবনটা কে বাঁচিয়ে রাখা যাবে,ভালোবাসা যাবে,জীবনটাকে জীবনের মতো হারিয়ে দিতেও বাধা থাকবেনা........
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪১
ট্রিপল এ বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দিন শেষে আমরা হয়তো একা।কিন্তু আমাদের ছায়া আমাদের সাথে থাকে।আর একাকীত্ব দূর করতে নিজের ছায়াটাই অনেকের কাছে যথেষ্ট.......
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। নাটকটাতে এই কয়টা ডায়লগই সব থেকে ভালো জিনিস নাটকের।
আর দিন শেষে আমরা সবাই একা। 