![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তনু হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ধর্ষণের সন্দেহের কথা জানিয়েছিল।
কিন্তু ১৫ দিন পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক দল ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তনুকে ধর্ষণের কোন আলামত তারা পাননি জানিয়েছিলেন।
এরপর আদালতের আদেশে কবর থেকে লাশ তুলে তনুর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়।
সেই পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনও জানানো হয়নি।
গতকাল সিআইডির কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা বিশেষ সুপার নাজমুল করিম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডিএনএ পরীক্ষায় কয়েকজন পুরুষের বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
সিআইডির ডিএনএ পরীক্ষায় কয়েকজন পুরুষের বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া গেছে মানে তনুর মৃত্যুর আগে তনুকে ধর্ষণ করা হয়েছে যা পুলিশ শুরুতেই সন্ধেহ করেছিল।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক দল ময়নাতদন্তে করে কেন তনুকে ধর্ষণের কোন আলামত পাননি?
তবে কি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অদক্ষ অনাবিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে তনুর ময়নাতদন্তের দল ঘঠন করা হয়েছিল। নাকী ময়নাতদন্তের যন্ত্রপাতি (সরঞ্জমাদি) অক্ষম ছিল। নাকী কারো ভয়ে ভিতু হয়ে ময়নাতদন্ত দল ভুল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিলেন।
নাকী ময়নাতদন্ত দলে আসলেই কোন ডাক্তার ছিলোনা।
ছিল বিশেষ ব্যক্তি বা বিশেষ কোন দল। যারা চায়না তনুর হত্যার বিচার হোক।
তনুর লাশ কবর থেকে তুলে আবার ময়নাতদন্ত করা হয়। যার দুই মাসের উপরে গত হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো কেন সেই লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়নি।
কেন করা হয়নি?
তবে কি এই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ কারো বাধার প্রাচীরে বন্ধি আছে।
গত ১০ মে ২০১৬, মঙ্গলবার রাতে সোহাগী জাহান তনু'র মা আনোয়ারা বেগম তনু হত্যায় দুই সেনা সদস্য জড়িত বলেছিলেন দাবী করেছিলেন। এবং কি তিনি দুইজন সেনা সদস্যের নাম বলেছিলেন তিনি। যারা কুমিল্লা সেনানিবাসের সার্জেন্ট জাহিদ ও সিপাহী জাহিদ।
আনোয়ারা বেগম মানবজমিনকে অভিযোগ করে বলেছিলেন বার বার আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও যাদের বাসায় পড়াতে গিয়ে তনু খুন হল তাদের কাউকেই ওইভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। তাদের বাসার শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে ।
সেনাবাহিনী থেকে তদন্তে সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কেন সেনাবাহিনী তনুর মা আনোয়ারা বেগমের অভিযোগ আমলে নিচ্ছেননা।
কেন সার্জেন্ট সার্জেন্ট জাহিদ ও সিপাহী জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছেনা।
কেন তনু যাদের বাসায় পড়াতে গিয়ে খুন তাদের জিজ্ঞেস করা হচ্ছেনা।
কেন জিজ্ঞেস করা হচ্ছেনা ঐ বাসার ছেলে মেয়েদের?
তবে কি সেনাবাহিনী তদন্তে সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি মিথ্যে ছিল?
নাকী অনেক কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী?
তনুর হত্যা ও ধর্ষণকারী আসামীর সংখ্যা হয়তো গুটি কয়েকজন।
কিন্তু এই গুটি কয়েকজন অপরাধীকে সনাক্ত এবং রক্ষয়া করতে গিয়ে যে কতো জন নতুন অপরাধীর জন্ম হচ্ছে তা কি কেউ খেয়াল রাখছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক দল ময়নাতদন্তে করে তনুকে ধর্ষণের কোন আলামত পাননি যারা, তারা কি নতুন অপরাধী নয়?
অথবা কারো বাধায় পরে যদি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক দল ময়নাতদন্তে ভুল প্রতিবেদন উপস্থাপন করে থাকেন, তবে বাধা প্রদান করা ব্যক্তি বা দল তারাও কি নতুন অপরাধী নয়?
কবর থেকে লাশ তুলে তনুর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করে এখনো যারা প্রতিবেদন প্রকাশ করেননি তারা কি নতুন অপরাধী নন?
অথবা এই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা যদি কারো বাধার প্রাচীরে বন্ধি থাকে, তবে তারাও নতুন অপরাধী নয়?
সেনাবাহিনী থেকে তদন্তে সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তনুর মা আনোয়ারা বেগমের অভিযোগ যারা আমলে নিচ্ছেনা তারা কি নতুন অপরাধী না?
আমরা চাইনা তনু হত্যা আর ধর্ষণের সঠিক বিচার করতে গিয়ে নতুন অপরাধীর সংখ্যা বাড়ুক। ইতি মধ্যে যারা তাদের কার্যকলাপে সন্ধের তালিকায় চলে এসেছেন তাদেরকেও জিজ্ঞেস করে অপরাদ সনাক্ত করে তাদেরকেও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হোক।
আমি এবং আমরা আশাবাদী আমাদের সিআইডি সোহাগী জাহান তনুর হত্যাকারী ও ধর্ষণকারীদের সঠিক ভাবে সনাক্ত করে খুব শিগ্রই শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবে।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো সিআইডির জন্য।
১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৭
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আসলে অনেকেই অনেক রকম ধারনা করছেন।
ধারনা করা মানে তো আর শুভ ফলের উদয় নয়।
ধারনা করতে আমিও ভালবাসি তাই বলে মনগড়া কিছু বলতে ভালবাসি না।
হয়তো আপনার ধারনা আমার ধারনা সত্যি হতে পারে আবার না ও হতে পারে।
আমরা তো আর আমাদের ধারনা শক্তির মাধ্যমে অপরাধী শনাক্ত করতে পারিনা।
অপরাধী সনাক্ত হবে আইনের মাধ্যমে। অপরাধীর শাস্তিও হবে আইনের মাধ্যমে।
যদিও আমাদের আইনের কলঙ্কিত অধ্যায় অহরত।
২| ১৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
সানি ফরায়েজি বলেছেন: ঠিক বলছেন।
১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৭
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: মনখোলা মতামত আশা করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭
মোঃ সাকিব বলেছেন: তনু হত্যাকারীর বিচার হউক এটি সবাই চায়। তনু ভরা যেীবনা সূন্দরী মেয়ে, তার প্রতি অনেকের দৃষ্টি থাকবে এটিও স্বাভাবীক। তাহাছাড়া বাড়ি, মার্কেট, রাস্তাঘাট থেকে অপহরণ করে ধ্বর্ষণ গনধ্বর্ষণ করা বর্তমানে অঘোষিত অলিখিত আইনসিদ্ধ। এর বাহিরে ধ্বর্ষক, গনধ্বর্ষক সরকারী দলের কেউ হইলে আইনের কাছে যাওয়া দূরের কথা অঘোর ঘুমে আইনের কাছে যাচ্ছে এমন স্বপ্ন দেখিলেও অমার্জনীয় অপরাধ হইবে।
আসল কথা ইহল: তনুকে ধ্বর্ষন করার জন্য অপহরণ করা হয় নাই বরং হত্যা করার জন্য অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণের পর হত্যার আগে তনু যেহেতু ভরা যৌবনা সূন্দরী সেহেতু যাদের কব্জায় তুনু ছিল তারা বিনা পয়সায় জৈবিক চাহিদাটিও সারিয়া নিয়েছে। মূল প্রশ্ন: সেনা বাহিনির ভেতরেই তনুর আনাগোনা ছিল আর সেই তনুকে হত্যা করা হয়েছে। তাহলে কেন এই হত্যা? সাগর রুনির মত নয় তো?