![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুখুস্ত বিদ্যা আমাদের চিন্তা শক্তিকে অকেজ করে দেয়। মুখস্ত বিদ্যা আমাদের ভাবতে শেখাকে ভুলিয়ে দেয়। মুখস্ত বিদ্যা এতোটাই ভয়ানক যে এক সময় আমাদের চিন্তা শক্তি ও ভাবনা শক্তিকে গলা চেপে মেরে ফেলে। আমরা হয়ে যাই তখন গতানুগতিক গতির যান। ঠিক এরকম ঢাকা টু সিলেট / সিলেট টু ঢাকা অথবা ঢাকা টু চট্টগ্রাম / চট্টগ্রাম টু ঢাকা।
এবার বুঝোন মুখস্ত বিদ্যা কতোটা খারাপ।
আমাদের একজন শিক্ষক, জনপ্রিয় লেখক, শিক্ষাবিদ মুখস্ত বিদ্যাকে অশ্লীলতার সাথে তুলনা করেছিলেন। কেন করছিলেন নিশ্চয়ই আমাদের বুঝতে সমস্যা হবার কথা নয়।
উনি বুঝাতে চেয়েছেন অশ্লীলতা যতোটা খারাপ মুখস্ত বিদ্যা ঠিক ততোটাই খারাপ।
মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে নিশ্চয়ই ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করা যায় কিন্তু মেধাবী বা বুদ্ধিমান হওয়া যায়না। মুখস্ত বিদ্যা আমাদের অজান্তেই খুব গুপনে আমাদের মেধা ও বুদ্ধিমত্তাকে ধংষ করে দেয়। হয়তো এক সময় আমরা এই মুখস্ত বিদ্যায় অনেক ভালো ভালো সার্টিফিকেটদারী হই। যেই সার্টিফিকেট আমাদেরকে একটা ভাল চাকরী দিতে পারে। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট আমাদেরকে উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনা। কারণ আমাদের মুখস্ত বিদ্যা অতিতেই আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তিকে গলা চেপে মেরে ফেলেছে। চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি ছাড়া কোন দিন উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হওয়া সম্ভব নয়।
আমরা মুখস্ত বিদ্যায় ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করে হয়ে পড়ি চাকরী নির্ভর। আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের বড়ই অভাব। তাই চাকরী আমাদের দেশে সোনার হরিণ নামেই পরিচিত। সোনার হরিণ পাওয়া তো আর এতো সোজা নয়। সরকারী চাকরী নামের সোনার হরিণ ধরতে আমাদেরকে গুনতে হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। কেন গুনতে হয় তা নিশ্চয়ই আমাদের কারো অজানা নয়। কারন ঘুষবিহীন সরকারী চাকরী পাওয়ার নজীর আমাদের দেশে নেই বললেই চলে।
আর প্রাইভেট ফার্মের চাকুরী নামের সোনার হরিণ ধরতে লাগে বাবা মামা চাচা ইত্যাদি।
যাদের বাবা মামা চাচা ইত্যাদি নেই তাদের চাকরীও নেই প্রাইভেট ফার্ম গুলিতে।
যদিও এখন নাকী প্রাইভেট ফার্ম গুলিতেও সরকারী চাকরীর মতো ঘুষের প্রচলন শুরু হয়ে গেছে।
আমরা যারা মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষিত হয়ে ভালো ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করেছি বা করবো তারা কি চাকরী নামের সোনারা হরিণ ধরতে পারছি বা পারবো। অনেকেই বলবেন জানী হ্যা পেরেছি বা পারবো। তারা কারা যানেন? তারা হলেন সেই ব্যক্তিগণ যারা টাকার জোরে সরকারী আর বাবা মামা চাচার জোরে বেসরকারী চাকরী পেয়ে গিয়েছেন বা পাবেন। কিন্তু আমাদের মতো হত দরিদ্র অথবা বাবা চাচা মামা বিহীন অথবা ঘুষ দিয়ে চাকরী নিতে অনুচ্ছুকগণ কি চাকরী নামের সোনার হরিণ ধরতে পেরেছি বা পারবো। নিশ্চয়ই পারার কথা নয়। তখন আমরা হয়ে যাবো দেশের বোজা সমাজের বোজা পরিবারের বোজা। মূল্যহীন হয়ে যাবে আমাদের দীর্ঘ সময় আর পরিশ্রমের অর্জন শিক্ষা। মূল্যহীন হয়ে যাবে আমাদের সার্টিফিকেট। যা ইতি মধ্যে হয়ে গিয়েছেও বটে অনেকের জীবনে।
যেহেতু আমরা মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষিত সেহেতু আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি মৃত। তাই আমরা আর পারছিনা নিজের ইচ্ছেতে কিছু করতে। কারন চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি বিহীন মানুষের ইচ্ছা শক্তিও থাকেনা।
আমরা যারা তরুন যুবক কিশোর বা শিশু আমাদের এখনো সময় আছে মুখস্ত বিদ্যা থেকে বেড়িয়ে আসার। এখনো সময় আছে আমাদের অশ্লীলতার সমতুল্য খারাপ মুখস্ত বিদ্যাকে ত্যাগ করার। এখনো সময় আছে আমাদের হাতে আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তিকে বাচিয়ে রাখার। এখনো সময় আছে আমাদের শুধু চাকরী নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে, মেধা ও বুদ্ধিমত্তাকে জাগ্রত করে নিজেদের ইচ্ছা শক্তিকে জন্ম দেওয়ার।
আসুন আমরা সবাই মুখস্ত বিদ্যা থেকে বের হয়ে এসে চিন্তা, ভাবনা, মেধা ও মুদ্ধুমত্তাকে কাজে লাগাই। চাকরী নির্ভর শিক্ষিত না হয়ে স্ব-শিক্ষিত হই চিন্তা, ভাবনা, মেধা ও মুদ্ধুমত্তার জোরে। যে শিক্ষা আমাদেরকে উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হতে শিখাবে। আমাদের অন্তরে সাহস জোগাবে। যেই উদ্যেগক বা উদ্ভাবনা আর সাহসিকতায় গড়ে তুলতে পারবো হাজার হাজার বেকারের কর্মক্ষেত্র। হ্রুদ করতে পারবো বেকারত্বের হার। দেশে সমাজ আর পরিবারের বোজা না হয়ে হবো দেশ সমাজ আর পরিবারের গর্বিত সন্তান। সবার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব বিজয় রয়
২| ০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩
বিজন রয় বলেছেন: জনাব বলিয়া আমাকে উচ্চ কাতারে তুলে দিলেন যে!
এখন না আবার পড়ে যাই।
০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: নিশ্চয়ই আপনি আমার চেয়ে উচ্চ কাতারের লোক।
৩| ০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬
বিজন রয় বলেছেন: নিজেকে কখনোই উচ্চ কাতারের ভাবি না। তবে ভাল মানুষ হওয়ার, থাকার চেষ্টা করি সব সময়।
আপনার জন্য শুভকামনা।
০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: যদি আপনি ভাল মানুষ হওয়ার কথা ভেবে থাকেন তবে তো আপনি মানুষ হয়ে গিয়েছেন।
কিন্তু আমি এখনো মানুষ হতে পারিনি। যদিও দৈহিক আকৃতিতে মানুষের।
সে হিসেবে আপনি আমার উচ্চ কাতারের জনাব বিজন রয়।
৪| ০১ লা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮
শেখক বলেছেন: ভাই, আপনার লেখায় অনেক বানান ভুল আছে। কেউ যদি বলে, আপনিও অভিধান দেখে বানান শেখেননি, মুখস্থ (মুখস্ত নয়) বানান চালাচ্ছেন, তাহলে কিন্তু আপনার বলার কিছুই থাকবে না।
০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: সলে এই বানান ভুল মুখসবিদ্যার কুফ নয় অল্প বিদ্যার কুফল।
আমি শিক্ষিত নই।
বলতে পারেন অল্প বিদ্যার ভঙ্গকর ছাপ এই বানান ভুল গুলি।
যদি ভুল গুলি ধরিয়ে দিতেন তবে উপকৃত হতাম।
আশা করি এরপর থেকে বানান ভুল ধরে শুধরে নেওয়ার সুযোগ করে দেবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫
বিজন রয় বলেছেন: শিরোণামে অশ্লীলতা হবে। দয়াকরে ঠিক করে দিন।
ধন্যবাদ।