নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"স্বপ্নের সীঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গিয়ে পিছলে পড়া একজন স্বপ্নচারী। স্বপ্নের পথে নই এখন বাস্তবতাই লক্ষ্য\"

রাসেল মাহমুদ রাসু

স্বপ্নের সীঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গিয়ে পিছলে পড়া একজন স্বপ্নচারী। স্বপ্নের পথে নই এখন বাস্তবতাই লক্ষ্য

রাসেল মাহমুদ রাসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পশু হত্যা কোন ধর্ম?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৫

বাড়ির পাশে কোরবানীর গরু কিনেছে আমার প্রতিবেশি। সেই সকাল থেকে গরুর চোখে পানি! এখন গরু চিল্লাচ্ছে হয়তো তার জানা হয়ে গেছে কাল তার মৃত্যু হবে... ভয়ংকর রকমের মৃত্যু!
.
পশুটির কান্না আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি। ধর্মের কলে কাল সে বলি হবে। ধর্মের চুরিঘাত কাল তাকে চিন্নভিন্ন করে দিবে। মৃত্যুর আগের অনুভতিটি তার জানা আছে এখন। আমার জানতে ইচ্ছে হচ্ছে। মৃত্যুর আগের অনুভূতি.... কিন্তু গরুর মুখে শুনাতো আর সম্ভব নই!
.
স্রষ্টা কি দারুন এক রহস্যের মধ্যে রেখেছে মানুষকে। ধর্মের এই বিষয়টা আমাকে যন্ত্রণা দেই। বিশ্বাস করুন আমি ধর্মদ্রোহী নই! আমি ধর্ম বিশ্বাস করি, কেনো জানি এই পশু হত্যাটা মানতে পারিনা..!!
.
এটাই বিশ্বাস করি স্রষ্টা যা করেন মাণব মঙ্গলের জন্য করেন। তবে পশুর খুব কাছে গিয়ে নিজের ভিতরে কয়েক প্রশ্নের জন্ম হলো..!!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: তাহলে একটা প্রশ্ন করি, আপনার খাদ্যাভাসে আপনি রেখেছেন?
মাংস খান না। কোরবানীর ঈদের সময়ই আপনাদের পশু হত্যা, প্রাণী হত্যা রব উঠে যেহেতু তাই আপনারা পশুর মাংস খান না।
তাহলে, কী খান? মুরগি? পাখি?
ওগুলোর প্রাণ নেই?

ধরলাম, আপনি এসবের কিছুই খান না। তাহলে, কী খান? মাছ? তা মাছ যে খান তাতে কি মাছকে হত্যা করা হচ্ছে না? হত্যা করেই তো ভেজে খান? নাকি আস্তই গিলে ফেলেন? আস্ত গিলে ফেললেও কি প্রাণী হত্যা হচ্ছে না?

ধরলাম, আপনি প্রাণী জাতীয় কিছুই খান না।
শুধু ভাত খান। বা রুটি খান। বা শাকসবজী খান।

এগুলো প্রাণী নয়। উদ্ভিদ। তাই তো বলবেন।
এই উদ্ভিদ্গুলো কোন জগতে পড়ে? জীব জগতে তো। তো - সেই হিসেবে কি আপনি জীব হত্যা করছেন না প্রতিনিয়ত?

ভাবলেন আপনিও। আমিও ভাবলাম।

কোরবানীটা একটা ধর্মের রীতি বলে এটাকে কটাক্ষ করছেন। জীব হত্যা হচ্ছে রব তুলেছেন।
তাহলে সারাবছরও তো আপনি জীব হত্যা করছেন। সেটার কোন প্রতিবাদ হবে না? খাওয়া ছেড়ে দেন তাহলে।

সমস্যাটা আপনাদের পশু হত্যা বা জীব হত্যা নিয়ে নয় - সমস্যাটা হল এটা একটা ধর্মের রীতি। সেই রীতিতেই সমস্যা।
মানুষের মনের পশুত্ব দূর করাই এই রীতির আসল উদ্দেশ্য। পশু জবাই করাটা মনে পশুত্ব দূর করার একটা প্রতীকী মাত্র।

এসব নিয়ে নিশ্চয় ভাবেন না খুব একটা। হয়তো জানার চেষ্টাও থাকে না অতটা এসব নিয়ে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯

রাসেল মাহমুদ রাসু বলেছেন: ধন্যবাদ মূল্যবান মতামতের জন্য!!

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

মেহেদী রবিন বলেছেন: পায়খানা করা আর খাওয়া হয়ত আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে একই "আজকের নায়ক" । কিন্তু আমাদের কাছে খাওয়া ইবাদাত। কিছু ইবাদাত গোপন, কিছু প্রকাশ্য। আপনি কীভাবে করেন জানি না, তবে পায়খানা আমরা টয়লেটে একা একাই করি, কিন্তু খাবার টেবিলে খাই পরিবারের সবাই মিলে। আর আনন্দের দিনে এটি পরিবারের বাইরে সবার সাথেই শেয়ার করি। যদিও আমার আপনার পরিবারের সবাই মারা গেছে, না হলে আপনাকে আরো একটু ভালো যুক্তি শেখাতো। আর এই ব্লগের লেখককে বলছি,

"আমিষভোজী অথবা নিরামিষাশী - কোন দলই খাওয়ার জন্যে জীব হত্যা বিষয়ক আলোচনায় যাওয়ার অধিকার রাখেন না। উদ্ভিদেরও প্রাণ এবং অনুভূতি আছে এইটা এখনো যারা জানেন না আর শুধু "ফল" ও "প্রাকৃতিকভাবে মৃত উদ্ভিদ" খেয়ে যারা বেঁচে আছেন তাদের ব্যাপার অবশ্য আলাদা"

"পশু কোরবানি করা হয় কারণ পশুর মাংসই বেশীরভাগ, আবার বলছি, বেশির ভাগ মানুষের সবচেয়ে প্রিয় খাদ্য"

আর এগুলো কিন্তু নষ্ট করা হয় না। বরং টাকা পয়সা যাদের নাই, তারাও এর ভাগীদার হয়। অংশ পায়। রোজ শুক্রবার বাজার থেকে যেই মাংস কিনে নিয়ে আসেন সেই মাংস যেই গরুটার সেই গরুটার চোখেও কান্না ছিল। বুঝলেন কি না।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

রাসেল মাহমুদ রাসু বলেছেন: বিষয়টা বুঝে নিলাম পাঠক!

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

মেহেদী রবিন বলেছেন: পায়খানা করা আর খাওয়া হয়ত আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে একই "আজকের নায়ক" । কিন্তু আমাদের কাছে খাওয়া ইবাদাত। কিছু ইবাদাত গোপন, কিছু প্রকাশ্য। আপনি কীভাবে করেন জানি না, তবে পায়খানা আমরা টয়লেটে একা একাই করি, কিন্তু খাবার টেবিলে খাই পরিবারের সবাই মিলে। আর আনন্দের দিনে এটি পরিবারের বাইরে সবার সাথেই শেয়ার করি। যদিও আমা ধারণা আপনার পরিবারের সবাই মারা গেছে, না হলে আপনাকে আরো একটু ভালো যুক্তি শেখাতো। আর এই ব্লগের লেখককে বলছি,

"আমিষভোজী অথবা নিরামিষাশী - কোন দলই খাওয়ার জন্যে জীব হত্যা বিষয়ক আলোচনায় যাওয়ার অধিকার রাখেন না। উদ্ভিদেরও প্রাণ এবং অনুভূতি আছে এইটা এখনো যারা জানেন না আর শুধু "ফল" ও "প্রাকৃতিকভাবে মৃত উদ্ভিদ" খেয়ে যারা বেঁচে আছেন তাদের ব্যাপার অবশ্য আলাদা"

"পশু কোরবানি করা হয় কারণ পশুর মাংসই বেশীরভাগ, আবার বলছি, বেশির ভাগ মানুষের সবচেয়ে প্রিয় খাদ্য"

আর এগুলো কিন্তু নষ্ট করা হয় না। বরং টাকা পয়সা যাদের নাই, তারাও এর ভাগীদার হয়। অংশ পায়। রোজ শুক্রবার বাজার থেকে যেই মাংস কিনে নিয়ে আসেন সেই মাংস যেই গরুটার সেই গরুটার চোখেও কান্না ছিল। বুঝলেন কি না।

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৯

সম্রাট৯০ বলেছেন: @মেহেদি রবিন সবাইকে কি সব কিছু বুঝিয়ে বলা দরকার আছে বলেন? আপনি কি জানেননা বিধাতা কিছু মানুষকে অবুঝ রেখেই দিবেন শেষ পর্যন্ত?

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: ঈদ মোবারক।
আপনার এবং আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: কিছুদিন আগে এক মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিয়ে এসেছি। এটা ছিল আমার কুরবানি। স্রষ্টা খুশি হোক বা না হোক।

গবিরকে সাহায্যই যদি করতে হয় মহল্লার সবাই মিলে কি গবিরকে স্বাবলম্বী করার কর্মসংস্থান দেয়ার কোন উদ্যোগ নিলে কি হত না? সমাজ ও দেশের মঙ্গল হত না?
এখন তো আপনার টাকা মাংস হয়ে গরীবের পায়খানা হয়ে বের হবে আর কিচ্ছু হবে না।

কেন প্রাণীকে কচুকাটা করেই তাদের গারিবি মিটানো লাগবে ? প্রোটিন ? সেটা তো ডালেই যথেষ্ট আছে , পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া। কেন মাংসের নামে নানা রোগবালাই দিচ্ছ গরীবের ঘরে?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

রাসেল মাহমুদ রাসু বলেছেন: সুন্দর বলেছেন!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.