![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am not far, but alone. Like a pair of rail tracks in winter morning.............
খুলনা চেম্বার অফ কমার্সের কিছু হেবিওয়েট সদস্য ব্যবসায়ীদের ব্যবস্থাপনায় তিনদিন তিনরাতের জন্য এক সংক্ষিপ্ত সুন্দরবন ভ্রমনের আয়োজন করা হয়েছিলো।উপস্হিত ছিলেন চেম্বারের নেতারা,ব্যাংকার,রাজনৈতিক ব্যক্তিরা,ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার সহ অনেক লোকজন।সে যাত্রায় আমিও একজন ইনভাইটেড গেস্ট ছিলাম।
তো, ঘুরে এলাম পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন।অতুলনীয় এই বনের আয়তন লন্ডন শহরের চেয়ে ছয়গুন বড়। সুন্দরবনের সবচেয়ে বিখ্যাত ট্যুরিস্ট স্পর্ট "কটকা","হিরনপয়েন্ট,"দুবলারচর"ও"আলোরচর" ইত্যাদি জায়গা দেখেছি।তিন রাত তিনদিন, পানিতে মোবাইল নেটও্য়ার্ক বিহীন থাকা, জীবনের দারুন এক অভিজ্ঞতা!পুরা রিলাক্স! big_smile
সুন্দরবন ভ্রমন অনেক ব্যায়বহুল। একটা মাঝারি লঞ্চ এর ভাড়া দেড় থেকে দুই লাখ টাকা মাত্র।আর খাবার দাবার সহ অনান্য খরচ প্লাস। তাই বড় টিম দরকার।সবচেয়ে ভাল দেশি ট্যুর অপারেটর দের ট্যুর প্যাকেজে যাওয়া।তাহলে কনভিনিয়েন্ট হয়। ট্যুরগুলা সম্ভবত শীতের এই দুই তিন মাস আয়োজন করা হয়।
সুন্দরবন ভ্রমন ঝুকিপূর্ন।১ ব্যান্ডিড দের আক্রমনের ভয়। ২ মামা বা অন্যান্য জীব দ্বারা আক্রমনের ভয়।তাই সুক্যুরিটির ব্যাবস্হা থাকা জরুরী।আমাদের সাথে বনের দুই চাইনিজ রাইফেলওয়ালা গার্ড থাকার পরও এটলিস্ট ৫টা লাইসেন্স করা গান ছিলো।
সুন্দরবনে গেলেই বাঘ দেখা যায় না । এ ধরনের প্যাকেজে মোটেও না। ঐদিকের প্রচলিত কথা হলো , কারো বাঘের সাথে দেখা হলে সেটা হয় শেষ দেখা ।
সুন্দরবনে মিঠা পানি নাই। তাই লন্ঞ্চে ইচ্ছামত শাওয়ার নিতে পারবেন না। কটকা ও হিরনপয়েন্টে দুটা করে পুকুর আছে , একটা খাওয়ার জন্য আর একটা গোছলের জন্য । ওখানে গোছল করতে হয়।
এত বৈচিত্র্যময় বন সম্পর্কে বিস্তারিত লিখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি প্রানভরে উপভোগ করেছি সুন্দরবনের সুন্দরকে।ফিরে আসার সময় মনে হয়েছিলো, কি লাভ ফিরে গিয়ে ! বাকি জীবনটা এই বনে মধু সংগ্রহ করে বা মাছ ধরে অনায়েসে কাটিয়ে দেয়া যায়! সবচেয়ে ভাল হত ডিসকাভারি চ্যানেলের ঐ লোকটা কি নাম যেন, বেয়ার গ্রিল নাকি? তার মত হতে পারলে!অবশ্য একটা ছোট প্রবলেম আছে।সেটা হলো অকালে প্রানটা বাঘ মামার হাতে শেষ হয়ে যেতে পারে যেকোন সময়।
উইকিপিডিয়ায় লিখা আছে, প্রত্যেক বছর সুন্দরবনে ১০০-২৫০ লোক বাঘের হাতে প্রান হারায়। সো, কেউ সুন্দরবন ভ্রমনে গেলে ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন।সরকারের উচিত বনের বাঘগুলা রক্ষার জন্য সর্বাত্বক ব্যাবস্হা নেয়া।কারন সুন্দরবন পাহারা বনরক্ষীরা দেয় না, দেয় সুন্দরবনের বাঘেরা।এই বাঘ না থাকলে লোভী মানুষগুলা সুন্দরবনকে শেষ করে দেবে।
১খুলনা লঞ্চ ঘাট।
২
৩
৪
৫ মামাদের লুকিয়ে থাকার জন্য বেস্ট জায়গা
৬
৭
৮
৯
১০
১১
১২
১৩
১৪
১৫
১৬
১৭
১৮
১৯
২০
২১
বনের মজার এক ভিডিও পেলাম ইউটিউবে ..সময় থাকলে দেখুন .দারুন লাগবে।
ছবিগুলা কেমন লাগলো জানাবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।
৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
দূরের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১২ ই মে, ২০১৪ ভোর ৫:৩৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। পোষ্টে যে এত সুন্দর সুন্দর ছবি আছে তা বুঝতেই পারছিলাম না। ডকুমেন্টারীটা দেখে ফেলব।
৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪
দূরের মানুষ বলেছেন: ডকুমেন্টারীটা সত্যিই অনেক মজার
৩| ১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮
আজীব ০০৭ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ....অনেক ভালো লাগলো +++
৪| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৫৮
পংবাড়ী বলেছেন: সুন্দর
৫| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৩৯
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট দেরীতে চোখে পড়লো ....
পোস্টে প্লাস (+)
ভালোলাগায় মার্ক করে গেলাম ....
শুভকামনা রইলো ...
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১:২৭
বাংলার ঈগল বলেছেন: খুবই চমৎকার!!! মন চায় মৌয়ালি / বাউয়ালি হয়ে থেকে যাই গহীন অরন্যে!!!

