নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এলোমেলো ভাবনা

ঘোরাঘুরি ছাড়া কিছু ভাল লাগেনা

ভবঘুরে মিথি

আমি বন্‌দি কারাগারে

ভবঘুরে মিথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্বরতার এক ভয়ানক রুপ দক্ষিন আফ্রিকায়

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২২





মিনিটে দুটি শিশু ধর্ষিত





এক পা দু পা করে হঁাটতে শিখেছে মাত্র কয়দিন হল। কখনও বাবার হাত ধরে হঁাটছে, কখনও মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনছে। কতটুকুই বা জীবন পেয়েছে কিন্তু তার আগেই ভয়ানক বর্বরতার থাবা। শরীর কি বুঝে উঠার আগেই শারীরিক নির্যাতনেই জীবনের সমাপ্তি। কোনও গল্প নয় এই জীবন ইউনেসিলা ও জেনডিলার। বয়স মাত্র দুই তাদের। এ ঘটনা শুধু এই দুই বোনের নয়। আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে উন্নত দেশ দক্ষিন আফ্রিকার ঘরে ঘরে এমন কান্নার গল্প। দেশটিতে প্রতি মিনিটে দুটো ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে। এখানে সন্ত্রাসী হামলা বা অপহরণ ঘটনা তো নতুন কিছু না। ছোট ছোট শিশুদের ঘরের দরজার সামনে থেকেই প্রকাশ্য দিবালকে তুলে নিয়ে যায়। সিএনএন সম্প্রতি এ নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তাতেই উঠে এসেছে এই ভয়াবহতার রুপ।

ডিয়েপস্লট শহরে মাত্র দশদিন আগেই ঘটনাটি ঘটে। বাসার সামনের বাগানে পুতুল খেলায় ব্যস্ত ছিল ইউনেলিশা ও জানডিলা। মাত্র দু বছর বয়স। মা তোকোজাুিন মালি, বাড়িতেই ছিলেন। ৫ মিনিট পরপর তাদের একবার করে দেখে আসছিলেন কাজের ফঁাকে। কিন্তু নির্মমতা পিছু ছাড়ে না। হঠাত্ই এসে দেখেন উঠোন ফঁাকা। ধক করে উঠেছিল বুকের ভেতরে। হইচই শুনে শুরু হয় তল্লাশি। ১০ দিন পর হদিশ মিলেছে। পচা গলে যাওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ গনবাথরুম থেকে। বাড়ির দরজায় বাক্স ভর্তি অসংখ্য ছোট জুতা। ছোট ছোট পা গলিয়ে একদিন এই জুতা পরে বাড়িময় হঁেটে বেড়িয়েছিল তার ছোট্ট মেয়েরা। আজ সেই স্মৃতিগুলো যেন বড় বেশি ব্যাথাতুর করে তুলছিল মা কে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, দক্ষিন আফ্রিকায় বছরে গড়ে ৫৫ হাজার মানুষ শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়। এটা সরকারী হিসেব। আর বাস্তবতায় এই সংখ্যা আরও বেশি। শুধু শিশুরা নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও ছাড় পায় না ধর্ষণের হাত থেকে। প্রতি ২৫ জনে এক জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়। অথ্যাত্ ৬০ শতাংশই কোনও না কোনও ভাবেই শারীরিক নিগ্রহের শিকার হচ্ছে। আর ১১ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশই এই শারীরিক নির্যাতনের শিকার। আর সবচেয়ে বেশি ভয়ের কারণ ২ বা তিন বছর বয়সী শিশুদের বেলায়। কারন শিশুদের বেলায় তিন ভাগের দুই ভাগই নির্যাতনের পর মারা যায়।

এ ব্যাপারে দেশটির হর্তাকর্তার নিরব। দেশটির প্রেসিডেন্ট জেকব জুমা এভাবে মেয়ে শিশুদের হত্যার আর শারীরিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানান। আর এই অবস্থা প্রতিরোধে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার কথা বলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, একেবারে তৃনমূল পর্যায় থেকে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। দারিদ্রতা, বেকারত্ব, হতাশা আ নারী পুরুষের সম্পর্কের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল না হলে এ সমস্যা সমাধান করা যাবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.