![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেওবন্দী চিন্তাধারার অনুসারী । ভন্ড পীর, রাজাকার ধর্ম ব্যাবসায়ী সব খেদাই !
জন গন যেখানে সেখানে মু্ত্র ত্যাগ করলে পরিবেশ নষ্ট হয় , রোগ বিস্তার ঘটে । এ বিষয়টা নিয়ে কাজ করার কথা পরিবেশ মন্ত্রণালয় , স্বাস্হ্য মন্ত্রণালয় -এর। এছাড়া জনস্বাস্হ্য প্রকৌশল টয়লেট নির্মান বা সংশ্লিষ্ট কাজ গুলো করতে পারে। । এ বিষয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্হা গ্রহণের পরও কিছু দুষ্ট লোক জনসমক্ষে এই-কর্ম চালিয়ে যায়, তবে বিষয়টা নিরন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করতে পারে পুলিশ ও প্রশাসণ । এতে যদি কোন আইন গত জটিলতা থাকে তার জন্য প্রয়োজণীয় আইন প্রণয়াণ করতে পারে সরকার তথা সংসদ বা আইন মন্ত্রণালয় । উপরের মন্ত্রণালয় গুলোকে ডিংগিয়ে " যত্র তত্র মুত্র বর্জন" প্রতিরোধে " আরবী ব্যবহার" ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতি উৎসাহ একপ্রকার চুলকানীর পরিচয় বহন করে । আর এ জাতীয় চুলকাণী ( উষ্কাণী ) সমাজে কোন শুভ ফল বয়ে আনতে পারে না ।
কেন চুলকানী
দেশের সংখ্যা গড়িষ্ঠ লোক ইসলাম ও আরবীকে শ্রদ্ধা করে, ক্ষুদ্র হলেও একটা অংশ ইসলামকে অপছন্দ করে । তারা তো আরবী পেলে অতি উৎসাহে ঝাপিয়ে পরতে পারে - ইসলামের উপর মুতে এলাম ! আর এ নিয়ে দেশ অশান্ত হলে দায়ভার কে নিবে? সরকার ? না মৌলবাদীরা ?
একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করছি । আরবীর প্রতি যেমন সংখ্যা গড়িষ্ঠ লোকের ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ আছে , তেমনি জতীয় বিষয়গুলোর উপরও আছে । যেমন শহীদ মিনার , সাত জন বীর শ্রেষ্ঠ , জাতীয় স্মৃতি সৌধ ইত্যাদী । আপনি কি বললবেন যে সব স্হানে মানুষ অবাঞ্ছিত মুত্র ত্যাগ করে , সেখানে শহীদ মিনার অথবা সাত জন বীর শ্রেষ্ঠের ছবি লাগিয়ে দিবেন ?
মিশ্র সংস্কৃতির এই দেশে স্বাধীনতা বিরোধীরাও আছে । তাদের সংখ্যাও ৫-১০ % হতে পারে । জামাত তো এরকমই দাবী করে । এই স্বাধীনতা বিরোধীরা তখন যদি জাতীয় মর্যাদার বিষয়গুলো অপদস্ত করার মোক্ষম সুযোগ মনে করে সেটা কি ভাল হবে ?
দেশের সংখ্যা গড়িষ্ঠ লোক ইসলামের প্রতি আবেগ প্রবণ , ধরুণ ১০ কোটি । কিন্তু এক কোটি লোক তো অবশ্যই পাবেন যারা ইসলামকে অপছন্দ করে । তারা আরবী লেখা পেয়ে যদি মুত্র ত্যাগে উৎসাহ বোধ করে তার ফলাফল কি সামগ্রিক ভাবে ভাল হবে ?
বৃটেন আমেরিকার লোকেরা তো যত্র তত্র মূত্র ত্যাগ করে না । কেন? সেখানে গিয়ে ডিভি পাওয়া অশিক্ষিত বাংগালীরাও তো এই কাজ করে না , কেন ?
আমেরিকানরা কি সন্মান করে ? স্বাধীনতা ? স্টেচু অব লিবার্টি ? নাকি ক্রুশ ?
যেটাই হোক : আমেরিকার প্রশাশন কি মু্ত্র ত্যাগ বন্ধে ক্রুশ বা স্ট্যাচু অব লিবার্টির ছবি লটকিয়ে দিয়েছে ?
বৃটেনে রাণীর সন্মান অনেক, তারা কি মুত্র বিষর্যণ প্রতিরোধে রাণীর ছবি টানিয়েছে ?
বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশেই তো জনসমক্ষে মুত্র ত্যাগের সমস্যাটা নেই । ওরা কিভাবে পারছে ? আরবী লিখে? মক্কা শরীফের ছবি টানিয়ে ? আমরা তো তাদের অনুসরণ করতে পারি বা উন্নত বিশ্বের অনুসরণ করতে পারি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এই উদ্ভাবণী ক্ষমতা বিশ্বে বিরল । সচিব সাহেব নোবেলের মননয়ন পেতে পারেন । শান্তিতে ।
চুলকানী খারাপ রোগ - যদিও সমাজ এটা থেকে মুক্ত হবে না, তবে মন্ত্রণালয় এ জাতীয় চুলকাণীতে আক্রান্ত হয়ে গেলে সেটা একান্তই দু:খের বিষয় ।
০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: চুলকানী খারাপ রোগ - যদিও সমাজ এটা থেকে মুক্ত হবে না, তবে মন্ত্রণালয় এ জাতীয় চুলকাণীতে আক্রান্ত হয়ে গেলে সেটা একান্তই দু:খের বিষয় ।
পাকিস্তানের লোকেরা যদি বংগবন্ধুর ছবি সব টয়লেটে টানায় তখন আপনার কেমন লাগবে ?
২| ০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:১৭
সুমন নিনাদ বলেছেন: ধর্ম ও পূর্ত উভয় মন্ত্রণালয়ই অত্যাধিক কাজের চাপে হিমসিম। কাজের সুবিধার্থে "মূত্র মন্ত্রণালয়" নামে একটা নতুন মন্ত্রণালয় খুললে কেমন হয় বলেন তো?
১৩ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪
রাতুলবিডি৫ বলেছেন: গ্রেট আইডিয়া, বাট চুলকানীর কি হবে ?
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
কানাই স্যার বলেছেন: আরবী লেখার বদলে খালেদা জিয়ার ছবি টাঙালেই হয়। কিংবা পাকিস্থানী উর্দু ভাষায় লিখলেই তো হয়।