নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার ছেলে মাওলানা কমারুল গাফ্ফার

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশী !

রাতুলবিডি৫

দেওবন্দী চিন্তাধারার অনুসারী । ভন্ড পীর, রাজাকার ধর্ম ব্যাবসায়ী সব খেদাই !

রাতুলবিডি৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমকামিতা সমর্থনের মজার মজার লজিক :

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

সমকামিতা সমর্থণ করে বিশাল বিশাল 'জ্ঞান' মিশ্রিত বিবিধ পোষ্ট যারা প্রসব করেন , তারা প্রথমত কিছু ওজানদার ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করেন । এর একটি জিন/জেনেটিক । এইসব ওজনদার শব্দগুলো ওনাদের কাছে সম্ভবত 'হজরে আসওয়াদ' বা বায়তুল্লাহর 'কালো পাথর' স্ট্যাটাসের কিছু যা সব পাপকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দেয় । মজার বিষয় মাদকাসক্ত বা খুনীদের জিনেও কোন কমন বৈশিষ্ট পাওয়া যেতএ পারে , এতে কি খুন হালাল হয়ে যায় ?

মজার বিষয় একটা কমন জীন বা জেনেটিক বৈশিষ্ট পাওয়া গেলে কিছুই জাষ্টিফাইড হয় না । যেমন পেশাদার খুনীর জিনে এখটা কমন বৈশিষ্ট পেলেন । দেখা যাবে সব অপরিনামদর্শি অথবা সাহষী কোলের মাঝেই সে বৈশিষ্ট আছে । কিন্তু সব অপরিনামদর্শি লোক কিন্তু খুনি না । সব মাদকাশক্ত লোকের জীন পরীক্ষা করে একটা কমন জিন পেতে পারেন । তো ? তাদের জন্য মাদক হালাল করে দিতে হবে ? দেখা যাবে সব আবেগপ্রবণ বা লোভী অথবা ভিতু লোকদেরর মাঝেও সেই জীন আছে । তো ? সব চোরদের জীন পরীক্ষা করে কোন জীন পেতে পারেন , তো ? এর চুরি করলে শাস্তি দেওয়া যাবে না ? দেখা যাবে সব লোভী অলস লোকদের জীনেি সেই বৈশিষ্ট হয়ত আছে । কিন্তু সব লোভী আর অলস কোলরাই তো আর চোর না !

বিশাল 'জ্ঞান' কপচানোদের আরেকটা বুলি ( লজিক) এটা প্রাকৃতিক । তো ?
কলেরা, যক্ষা, এইডস এই সব ও তো প্রাকৃতিক !
ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়া - ভাইরাস ও তো প্রাকৃতিক !
মানুষের মৃত্যু-ও তো প্রাকৃতিক ? তো? মানুষ মারার কল পয়দা করবেন ??

ওনারা প্রায়ই কিছু সংস্হার রিপোর্ট রেফার করেন করেন । এমন অনেক সংস্হার জন্ম এজন্যই যে সমকামিতাকে হালাল করা । তো ?

নিজেদের ওনার বিজ্ঞান মনষ্ক দাবী করেন, অথচ বিজ্ঙানীরা বলেন , সমকামীদের মধ্যে এইডস প্রবণতা বেশি, কারণ :

১) নারীর যোনীগাত্র ৩টি পুরু লেয়ারের সমন্বয়ে গঠিত এবং তাই, এটি অনেক শক্ত এবং স্থিতিস্থাপক বিধায় যৌনসঙ্গমের সময় যোনীগাত্রের চামড়াতে যে ইনজুরি হবেই, এমনটি নিশ্চিতভাবে বলা যায়না । উল্লেখ্য, ইনজুরি হলেই শুধুমাত্র এইডস হবে, কিন্তু ইনজুরি না হলে এইডসের জীবাণু ব্লাড স্ট্রিমে প্রবেশ করতে পারবেনা, অর্থাৎ এইডস হবেনা । দেখা যাচ্ছে যে, পুরুষ সঙ্গীর এইডস থাকলেও তার জীবাণু নারীর ৩ লেয়ার বিশিষ্ট পুরু ও শক্ত যোনীগাত্রের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই ইনজুরির স্বীকার না হয়ে রক্তপ্রবাহে মিশতে পারেনা, ফলে এইডস হয়না । কিন্তু মলাশয়গাত্র অনেক নরম এবং অস্থিতিস্থাপক, তাই লিঙ্গের ঘর্ষণে এটিতে সহজেই ইনজুরি হয়, রক্তপাত ঘটে। পেনেট্রিটিভ অ্যানাল সেক্সের কারণে মলদ্বারের চারপাশের মেমব্রেন (ঝিল্লী) সহজেই ছিড়ে যায় এবং বীর্যরসে থাকা এইডসের জীবাণু ছিড়ে যাওয়া মেমব্রেন থেকে ব্লাড স্ট্রিমে প্রবেশ করে। এজন্যেই বিষমকামী যৌনসঙ্গমে এইডস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম এবং সমকামী যৌনসঙ্গমে অনেক বেশি।

২) একটি লিঙ্গ সহজেই রক্তপাত না ঘটিয়ে নারীযোনীতে ঢুকে যেতে পারে কিন্তু একটি লিঙ্গ মলাশয়ে সহজেই ঢুকে যেতে পারেনা, তাকে প্রেশার দিয়ে ঢোকাতে হয় এবং ঢোকাতে যেয়ে প্রায়শই রক্তপাত হয় যেখান থেকে এইডসের জীবাণু এইচআইভি রক্তপ্রবাহে চলে আসে ।

৩) যৌনসঙ্গমের সময় যোনী বেশ পরিমাণে লুব্রিক্যান্ট পদার্থ নিঃসরিত করে, কিন্তু মলাশয় থেকে এরকমের কোন লুব্রিক্যান্ট পদার্থ নিঃসরিত হয়না । তাই যৌনসঙ্গমে যোনীর সচারাচর ইনজুরি না হলেও মলাশয়ের অতিসহজেই ইনজুরি হয় যার থেকে এইডসের জীবাণু এইচআইভি অতিসহজে ব্লাড স্ট্রিমে প্রবেশ করে ।

৪) মলাশয়ের লেয়ার না থাকার কারণে ব্লাড ভেসেলগুলো একেবারে মলাশয়ের গাত্রের নিকটে অবস্থান করে, যোনীর বেশ কটি লেয়ার থাকার কারণে ব্লাড ভেসেলগুলো একেবারেই সম্মুখে থাকেনা, তাই এইচ আইভি জীবাণু মলাশয়ের মাধ্যমেই বেশি সংক্রমিত হয় ।

৫) মলাশয়ের ছিদ্রের অভ্যন্তরে জায়গা অপ্রশস্ত এবং তাই যৌনসঙ্গমের সময় মলাশয়গাত্রের সাথে লিঙ্গের ঘর্ষণের মাত্রাও বেশি, ফলে মলাশয় গাত্রের ইনজুরি হওয়াটা একেবারেই সহজ, কিন্তু যোনীছিদ্রের অভ্যন্তরে জায়গার পরিমান বেশি, তাই যোনীগাত্রে সেরূপে ঘর্ষণ হয়না এবং তাই ইনজুরিও অস্বাভাবিক ।

৬) বাচ্চাকাচ্চা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই ভয়ে না চাইলেও বাধ্য হয়ে বিষমকামিগণ কনডম ব্যবহার করেন, কিন্তু সমকামীদের ক্ষেত্রে বাচ্চাকাচ্চা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে যৌনানন্দ পরিপূর্ণভাবে পেতে তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কনডম ব্যবহার করেননা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.