![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাইরে হিমের হাওয়া হেমন্তের রাত; দরজায় জানালায় অবিরাম রাতের আঘাত।।
কোঠা প্রথা সুযোগ নয়...
কোঠা প্রথা মানে বিশেষ ব্যক্তিদের করুনা করা।
কোঠার আওতায় এনে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেওয়া যায় না। তারা অসম্মানিত হয়। আদিবাসীদের সুযোগ নয়, তাদের ভিক্ষা দেওয়া হয়।
সমাধান খুবই সহজ...
শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটা আলাদা চাকুরীর ক্ষেত্র তৈরি হবে। আলাদা কিছু কল-কারখানা হবে। সনদ দেখিয়ে সেখানে তারা চাকুরী করবে। সৎ কাজের বিনিময়ে যদি তারা বাঁচতে পারে, তারাও সম্মানিত হবে সাথে আমরাও হব।
ভালো কাজের সুযোগ পেলে তাদের আর্থিক অভাব থাকবে না। অভাব না থাকলে তাদের পরিবারের নাতি-পুতিদের কোঠা দেওয়ার দরকার থাকল না। তাদের সুন্দর পথ তারা নিজেরাই দেখে নিবে।
যতদিন মুক্তিযোদ্ধাদের কোঠা থাকবে ততদিন তাদের সঙ্খ্যা বাড়তেই থাকবে। ৮৬ এর এক লাখ মুক্তিযোদ্ধার সঙ্খ্যা কিন্তু এখন আড়াই লাখে পৌছেছে। চিন্তার বিষয়!!! আচানক চিন্তার বিষয়!!!!
সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ডেকে একটা বৈঠক ডাকা যেতে পারে। জিজ্ঞাসা করতে হবে কোন সেক্টরে কাজ করলে আপনারা সম্মানিত বোধ করবেন?
ব্যাংক না কারখানা?
ব্যাংক হলে একটা ব্যাংক হবে নতুন করে। নাম হবে মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংক। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা চাকুরী করবে। শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা।
কারখানার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা।
যদি তারা প্রশাসন বা ডাক্তারী-ইঞ্জিনিয়ারিং এ আসতে চায়, তাহলে মেধাবীদের সাথে যুদ্ধ করেই আসতে হবে। নিশ্চয় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরাও মেধাবী হতে পারে। যদি না আসতে পারে, তাহলে ব্যাংক বা কারখানা তো আছে।
দেশ ডিজিটাল না করে পার্বত্য এলাকাকে একটা আধুনিক এলাকায় পরিনত করা যেতে পারে। সকল দুর্গম এলাকার আদিবাসীদের একত্রে করে আলাদা কমিউনিটি হবে। সবাই একটা এলাকায় থাকবে। এখানে হবে উন্নত জাতের স্কুল কলেজ। অধিক বেতনে শহর এলাকার শিক্ষকদের সেখানে নিয়োগ দিতে হবে। এই নিয়োগ হবে কিছু বছরের জন্য এবং বাধ্যাতামুলক।
আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন আনতে হলে সেখানেও কিছু কল-কারখানা করা যাতে পারে।
শিক্ষা ও আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করলে কোঠার বাইরে এসে তারা আমাদের সাথে প্রতিযোগীতা করবে।
পার্বত্য তিনটা জেলা নিশ্চয় বাংলাদেশের। যদি তাই হয় কোঠা বাতিল করে জেলাগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন করলেই সমস্যার সমাধান।
মনে রাখবেন,
অজ্ঞানীদের ইঞ্জিনিয়ার বানালে ভবন ধ্বসে মারা পড়বেন।
অজ্ঞানীদের ডাক্তার বানালে বিনা টাকায় চিরকালের জন্য মহাকাশ ভ্রমনে চলে যাবেন।
অজ্ঞানীদের প্রশাসনে দিলে ভুল শাসনে শোষন করবে।
হাজার হাজার আদিবাসী না খেয়ে মরছে, মুক্তিযোদ্ধারা-বীরশ্রেষ্ঠদের সন্তানরা রিক্সা টেনে খাচ্ছে। বাঁচাতে হলে একই সাথে সবাইকে বাঁচাতে হবে। সবার জন্য বিরাট কিছু করতে হবে।
মাত্র কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বা কয়েকজন আদিবাসীদের বাঁচাতে মেধাবীদের রিক্সা টানাতে পারে না দেশ।
এস,এস,সি পাশ করা পুলিশরা যখন বিসিএসে পাশ করা দেশের প্রথম শ্রেনীর নাগরিকদের টিয়ার শেল ছোড়ে তখন লজ্জায় মাথা লুকায় আমরা। সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারাও লজ্জা পায়।
মাননীয় সরকার,
ভেবে দেখুন... দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবীরা যখন পুলিশের মার খায়, গায়ের কাপড় খুলে টিয়ার শেলের ধোয়া নেভায় তখন কতটা জল আসে চোখে।
এখানেই হয়তোবা আপনিও থাকতে পারতেন...
এখানেই থাকতে পারত আপনার ছেলে-মেয়ে নাতি-পুতিরা...
মুর্খ মন্ত্রীদের আদেশে মুর্খ পুলিশের মার খেয়ে আপনার মেধাবী সন্তানরা কিন্তু রাজপথে মরছে। আপনাদের কোঠা ব্যবস্থার জন্য মেধাবীরাই কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে গালি দিচ্ছে। স্লোগান দিচ্ছে।
পেটে ভাত না থাকলে, ভগবানের গুল্লি মারি টাইপ অবস্থায় চলে গেছে বিষয়টা।
দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবীরা যেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকার করল, অসম্মান করল সেদিন আমরা সব হারালাম। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হারালাম, মেধাবীদের সততা হারালাম। এদেশের ভিত্তি হারালাম। যে মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের গর্ব সেটা হারালাম।
অনেক কষ্ঠে এই মেধাবীরা যেদিন চাকুরী পাবে, সেদিন আপনি আমি কেউ তাদের কাছ থেকে সম্মান আশা করতে পারি না। সে সুযোগ আমরাই হারালাম।
ভালো করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মানে ডুবালাম।
মেধাবী যোগ্যতাসম্পন্নদের এখন “মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল অবস্থা”। তারা তাদের অবস্থান হারিয়ে যা করছে সব স্বাভাবিক।
ভেবে দেখুন, আপনি নিজের যোগ্যতায় পাওয়া বাংলাদেশের সরকারী সর্বোচ্চ চাকুরীটা হারিয়ে ফেলেছেন। আপনার খাবার পাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আপনি কি করবেন?
যার জন্য এই অবস্থা তাকে গালি দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। মুক্তিযুদ্ধ কোন ধর্ম নয় যে গালি দিলেই আন্দোলনকারীরা ধর্মচ্যুত হল।
কেন আমরা তাদের ঘৃনা করব, তাদের আন্দোলনকে নাস্তিক-আস্তিক-মুক্তিযুদ্ধ-জামাত-শিবিরে জড়াব। তাদের অধিকারের জন্য তারা সব কিছুই করতে পারে। কাগজে-কলমে না হলে ভাংচুরেই হবে। স্বাভাবিক!!! স্বাভাবিক!!!!
আজকাল ভাংচুর ছাড়া অধিকার আদায়ের উদাহরন দেখান। সারাদেশের শিক্ষক সম্প্রদায়ও কিন্তু কিছুদিন আগে পুলিশের টিয়ার শেলে বিক্ষত হয়েছে।
আপনারা দয়া করে মেধাবী ভাইদের অবস্থা দেখে কাঁদুন, তাদের গায়ে পুলিশের ডান্ডা লাগলে কাঁদুন।
মুর্যা ল ভাঙ্গলে, মঙ্গল শোভাযাত্রার কয়েকটা কাগজের পাখিতে আগুন লাগলে কান্নাকাটি করার বদঅভ্যাস বাদ দিন।
মানব ধর্ম নিয়ে মাতামতি করার আগে মানুষের কষ্ট বুঝুন। মেধাবীদের যোগ্য সম্মান দিলে ম্যুরাল হবে হাজারে হাজারে... শোভাযাত্রার জন্য ফুল-পাখি-ড্রাগন হবে কোটি কোটিতে।
প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছার। বাংলাদেশের সরকার চাইলে হবেনা, এই পৃথিবীতে এমন কিছু কি আছে?
মুচকী হেসে উত্তর দিন,
“নেই।”
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০২
রাজীব হোসাইন সরকার বলেছেন: বিশাল ভালো লাগা রইল বাপী ভাই
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৯
শামস৭১ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে একমত । কিন্তু মেধাবীরাই কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে গালি দিচ্ছে এই কথা টুকু ঠিক না ।
গালী দেওয়ার বিষয়টা একটা পা চাটা মহলের বানানো । আর কিছু না ।
পিএসসি দুই গালে জুতা মারো তালে তালে এমন স্লোগান দেওয়া হইছে , কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান ??
কল্পনা করা যায় না ।
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
রাজীব হোসাইন সরকার বলেছেন:
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৩
মুর্দা ফকির বলেছেন: কোটি % সহমত............।।
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩০
রাজীব হোসাইন সরকার বলেছেন: ভালো লাগল
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লেখা ।।
সহমত
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
রাজীব হোসাইন সরকার বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪০
হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: সরকার কি শুধু মাত্র এই কোঠা এর মাদ্ধমেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাবে???
আর বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলে কি তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না????
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলের জীবন কাটে চায়ের দোকানের পানি টেন
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান আরও নানা ভাবে করা যায়, তাদের সন্তানদেরও আরও নানা ভাবে সিক্ষার জন্য সাহায্য করা যাবে।
প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কে একটি করে ফ্লাট বাসা দেওয়া হোক, তাদের প্রতিমাসে ১০০০০ টাকা করে দেওয়া হোক, তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা খরচ দেওয়া হোক, তাদের টিউশন ফীস মউকুফ করা হোক...
আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু তাই বলে বিসিএস এর মতো জায়গায় কেন এতো বিশাল পরিমানে তাদের জন্য কোটা এর বাবস্থা???
এই কোটা প্রথা বাতিলের দাবী এর মানে কিন্তু এই না যে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে হবে না। এর মানে হচ্ছে তাদের এই অন্যায় সুবিধা প্রথা বন্ধ করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এমনিতেই কিন্তু সরকার কম সুযোগ সুবিধা দেয় নাই।
ভালো ভালো স্কুল কলেজে কিন্তু তাদের জন্য আলাদা ভাবে কোটা এর ব্যাবস্থায় তাদের ভর্তি করা হয়, সেখানে তারা আলাদা সুবিধা পেল, মানলাম এটা।
এরপর যখন বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির সময় এলো, তখনও তাদের জন্য কোটা এর বাবস্থা।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান শুধু এই কোঠা দিয়েই হয় না। আশা করি বুঝতে পারেছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের এই কোঠা এমন আকার ধারন করেছে যে কিছু দিন পর হয় জাতীয় বিভিন্ন খেলা-ধুলা প্রতিযোগিতায় এমন হবে যে প্রথম স্থান রাখা হবে তাদের জন্য, আর বাকি ১ম আর ২য় স্থানের আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। :p :p
আমেরিকার কোঠা নিয়ে আব্রাহাম লিংকনের একটি ঘটনা বলি...
একবার আব্রাহাম লিংকনের কাছে এক ভদ্রলোক এসে বীরদর্পে বললেন-
-- আমার ছেলেকে রাষ্ট্রীয় উচ্চপদস্থ চাকুরি দিন...
-- আব্রাহাম লিংকন: কেন ?
-- ভদ্রলোক: আমার ছেলে চাকরি পাওয়ার যোগ্য তাই।
... -- আব্রাহাম লিংকন: কিসেরযোগ্যতা আছে আপনার ছেলের?
-- ভদ্রলোক: আমার বাবা (ছেলের দাদা) আমেরিকার জন্যস্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন;
আমরা আমেরিকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বংশধর-তাই দেশ সেবার সেরা
চাকরি আমাদের দেয়া উচিৎ.....!
-- আব্রাহাম লিংকন: ওকে থাঙ্কস; আপনাদের পরিবার দেশের জন্য অনেক করেছে; এবার সাধারণ মানুষকে দেশের জন্য কাজ করতে দিন।
___________________________________________________
এই লিঙ্ক থেকে বিস্তারিত পড়ে আসতে পারেন।
____________________________________________________
অথবা এই লিঙ্ক এ বিস্তারিত...
___________________________________________________