![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আঁরার দেশইত তো কোনো জোয়ান পোলা নাই। সবটি তো পালাইয়ে। আরাকানে অবিবাহিয্যা মাইয়্যা পোলার অনেক বিপদ: লায়লা
প্রায় এক মাস আগে যাত্রা শুরু করেন সালেহা বেগম (৩৫)। সঙ্গে দুই বাচ্চা। স্বামী সাত বছর ধরে মালয়েশিয়ায়। তাঁর কাছে যাওয়ার জন্য সাগরের বিপৎসংকুল পথে পা বাড়ান মিয়ানমারের এই নারী। এখন ঠাঁই হয়েছে থাইল্যান্ডের অভিবাসন পুলিশের এক ক্যাম্পে।
উম্মে হালিমার বয়স ১৬। নৌকায় ওঠে ১৩ বছর বয়সী ছোট বোনকে নিয়ে। তাদেরও গন্তব্য ছিল মালয়েশিয়া, ভাইয়ের কাছে। মিয়ানমারে তিন বছর আগে উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের হামলায় মা-বাবা মারা গেছেন। বাড়িঘর পুড়েছে। ঠাঁই হয়েছে ক্যাম্পে। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে এই দুই বালিকা আরও অনেকের সঙ্গে দালাল চক্রের মাধ্যমে সাগরপথে রওনা হয়। কিন্তু থাইল্যান্ডে কড়াকড়ি আরোপ হওয়ায় দালালেরা উত্তর ফুকেটের তীরে নামিয়ে দিয়ে নৌকা নিয়ে চলে যায়। সেখান থেকে থাই পুলিশ আটক করে।
লায়লা বেগমের (২০) ঘটনা ভিন্ন। মামাতো ভাই মালয়েশিয়ায় নির্মাণশ্রমিকের কাজ করেন। তাঁর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে। বিয়ে করে সংসার পাতবেন—এ স্বপ্ন নিয়ে মামার সঙ্গে সাগরযাত্রায় নামেন। কিন্তু থাই জঙ্গলে এনে দালাল বাড়তি টাকা দাবি করে। টাকা দিতে পারেননি, তাই মামাকে মালয়েশিয়া পৌঁছালেও লায়লাকে আটকে রাখে সংখলার বাদাম বেসারের জঙ্গলে টানা ছয় মাস।
সাগরপথে মানব পাচারের সময় যতগুলো চালান আটক হয়েছে, সব কটিতেই পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশু পাওয়া গেছে। পুরুষদের বিষয় মোটামুটি পরিষ্কার, তাদের কেউ বেকারত্ব ঘোচাতে স্বেচ্ছায় কিংবা ভালো রোজগার করার প্রলোভনে ও প্রতারিত হয়ে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়েছে। কিন্তু নারী-শিশুরা কেন এভাবে দেশান্তরি হচ্ছে?
এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল, এদের কারও স্বামী, কারও বাবা, কারও ভাই থাকেন মালয়েশিয়ায়। নিজের দেশে নির্যাতিত হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এঁরা দেশ ছেড়েছিলেন। মালয়েশিয়া গিয়ে শ্রম বিক্রি করে টাকা জমিয়েছেন, এখন স্বজনদের নিজের কাছে নিতে চান। আবার অনেক নারী-শিশুর বাবা-মা-স্বামী ২০১২ সালে রাখাইন প্রদেশে বৌদ্ধ উগ্রপন্থীদের হামলায় মারা গেছেন, বাস্তুহারা হয়েছেন। এরা ঘর ছেড়েছে দালালদের প্রলোভনে পড়ে। মালয়েশিয়া গেলে ভালো বেতনে কাজ মিলবে, উন্নত জীবন পাবে—এমন আশ্বাসে।
এ ছাড়া জোর করে তুলে এনে নৌকায় ভরে নিয়ে এসেছে, এমন অভিযোগও করেছে কয়েকজন কিশোর। দুই সপ্তাহ উত্তর ফুকেটের পাঙনার উপকূল থেকে যে ১০৬ জনকে পুলিশ উদ্ধার করে, তাদের মধ্যে অন্তত ১৩ জন ছিল ১০ থেকে ১৫ বছরের বালক। তাদের একজন নাম মোহাম্মদ (১০)। সে বলল, তাকে আরাকানের মংডুর রাস্তা থেকে কিছু লোক ধরে এনে নৌকায় তোলে। সে কাঁদছিল আর বারবার বলছিল, ‘মায়ের কাছে যাব।’
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণতৎপরতা দেখভাল করেন রোহিঙ্গা সোসাইটি ইন থাইল্যান্ডের সদস্য ব্যাংককের ব্যবসায়ী মামুন রশিদ। তিনি অভিযোগ করেন, উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরতে বা কাজ করতে আসা অনেককে জোর করে পাচারকারীরা নৌকায় তুলে নেয়। এ কাজে মিয়ানমারের নৌবাহিনী ও পুলিশ সহযোগিতা করে।
এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বলছে, সাগরপথে পাচারের শিকার নারী-শিশুরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। গত সপ্তাহে হাতজ্জাই পুলিশ স্টেশনে কথা হচ্ছিল লায়লার বেগমের সঙ্গে। মাস খানেক ধরে তিনি এ থানাহাজতে। বাড়ি মিয়ানমারের আরাকানের আকিয়াবে। বাবা রজব আলী মারা গেছেন। মা এবং এক ভাই ও বোন আছেন দেশে।
লায়লার মামাতো ভাই মালয়েশিয়ায় কারখানায় কাজ করেন। তাঁর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ে করার জন্য লায়লা সাগরপথে দেশ ছাড়েন। সঙ্গে ছিলেন মামা। দুজনকে মালয়েশিয়া পৌঁছানোর জন্য আরাকানের দালাল আইয়াজের সঙ্গে পাঁচ হাজার রিংগিতে চুক্তি করেন লায়লার হবু বর জাফর। ইঞ্জিন নৌকা ছাড়ার পর তাঁরা ১৮ দিনের মাথায় তীরে পৌঁছান। তাঁদের নৌকায় দুই-তিন শ মানুষ ছিল। সবাইকে হাঁটিয়ে, গাড়িতে করে আনা হয় থাইল্যান্ডের জঙ্গলে। সেখানে ক্যাম্পে এনেই দালাল দুজনের জন্য ১০ হাজার রিংগিত দাবি করে। কিন্তু হবু বর জাফর আগের কথা অনুযায়ী, পাঁচ হাজার রিংগিত দেন। এর বিনিময়ে পাচারকারী চক্র শুধু তাঁর বাবাকে মালয়েশিয়া পৌঁছে দেয়। বাকি টাকার জন্য লায়লাকে আটকে রাখে জঙ্গলের ক্যাম্পে, টানা ছয় মাস। একেক সময় একেক ক্যাম্পে।
লায়লা বলেন, মুক্তির আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। ছয় মাস পর একদিন মিয়ানমারের শান প্রদেশ থেকে আনা চার তরুণীর সঙ্গে তাঁকে জঙ্গল থেকে শহরের দিকে সরিয়ে নিচ্ছিল পাচারকারীরা। তাঁরা ছিল একটি টুকটুকে (স্থানীয়ভাবে তৈরি বড় অটোরিকশা)। পথে পুলিশের কাছে ধরা পড়েন। সেটা গত মাসের ২৫ বা ২৬ তারিখে। সে থেকে লায়লা হাতজ্জাই থানাহাজতে।
দালালদের ক্যাম্পে কেমন ছিলেন বলতে চাইলেন না লায়লা। ‘এইডা কয়ে কী অইব? খালি খালি মনটা খারাপ অইব।’
বিয়ে করার জন্য বিস্তারিত .....http://m.prothom-alo.com/bangladesh/article/535984/বিপদ-বà§à¦à§à¦-মিà§à¦¾à¦¨à¦®à¦¾à¦°à§à¦°-নারà§-শিশà§à¦°à¦¾-যাà¦à§à¦à§-à¦à§à¦¨
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:০০
ব্লগার রাজনুর বলেছেন: লিংক