নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মত প্রকাশের স্বাধীনতাই বড় স্বাধীনতা।

ব্লগার রাজনুর

ব্লগার রাজনুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের আব্দুল কালাম বনাম পাকিস্তানের আব্দুল কাদির

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১১

শুধুমাত্র মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলে বা মুসলিম নাম গ্রহন করলেই মুসলিম হওয়া যায় না। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এ পি জে আব্দুল কালাম তারই বাস্তব উদাহরণ।

প্রসঙ্গ: পরমাণু বিজ্ঞানী এপিজে আবুল কালাম এবং পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদের খান, দুই জনের পার্থক্য নিয়ে কিছু কথা।
গতকাল মারা গেছে ভারতের পরমাণু বিজ্ঞানী এপিজে আবুল কালাম। এ পরমাণু বিজ্ঞানীকে ভারত রাষ্ট্রীয়ভাবে বেশ সম্মান দিয়েছে। সে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলো ছিলো বেশ কয়েকবছর। তার মৃত্যুর পর ভারত ৭ দিনের শোক ঘোষণা করেছে। মিডিয়ায় পজিটিভ প্রচারের কারণে সারা বিশ্বে সকলেই তাকে ভালো হিসেবেই চিনে এবং পজিটিভ প্রচারের কারণে সম্মানও পেয়ে থাকে।
এবার আমি বলবো, ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ মানে পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খানের কথা। একটি বিষয় লক্ষ্য করবেন, এপিজে আবুল কালামকে যেখানে ভারতসহ সারা বিশ্বে সম্মানিত করা হয়েছে, সেখানে পাকিস্তানের পরমাণু বোমার জনক আব্দুল কাদির খানকে সবাই কঠিনভাবে নিগৃহিত করছে, সবাই তাকে নিকৃষ্ট চোখে দেখছে। তাকে জেল খাটতে হচ্ছে, গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে। এটাই কিন্তু মিডিয়ার কারসাজি। আমেরিকার চোখে যে ভালো, মিডিয়ার চোখে সেই ভালো। আর আমেরিকার চোখে যে খারাপ মিডিয়ার চোখে সেই কিন্তু খারাপ। বলাবাহুল্য সাধারণ পাবলিকের মনমগজ কন্ট্রোল করে ঐ মিডিয়াই।
আমি বলবো, পৃথিবী শ্রেষ্ঠ পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান কখনই তার যথাযোগ্য মর্যাদা পাননি। চীনে চৌকশ হ্যাকার ধরা পড়লে সরকার তাকে মোটা বেতন দিয়ে নিজ গৃহে সম্মানের সাথে রেখে দেয় আর বাংলাদেশে চৌকশ হ্যাকার ধরা পড়লে তাকে জেলের ঘানি টানতে হয়। কারণ চীন বুঝে প্রযুক্তি ‍উন্নতি করতে হলে তাকে প্রযুক্তি ট্যালেন্টদের সম্মান দিতে হবে, আর বাংলাদেশ সেটা বুঝে না। আর এ কারণেই প্রযুক্তি গ্রহণে বাংলাদেশকে চীনের মুখাপেক্ষী থাকতে হচ্ছে।
পৃথিবী শ্রেষ্ঠ পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খানের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
পোখরান পরমাণু বিস্ফোরণের অন্যতম কারিগর হিসেবে এপিজেকে ভারতরত্ন পুরষ্কার দেওয়া হয়, আর পাকিস্তানের পরমাণু বোমার জনককে দেয়া হয় জেল, মামলা, নিগ্রহ, অপবাদ আর গৃহবন্দিত্ব।
আমি দেখেছি প্রায় সব মুসলমান ভারতের এপিজে আবুল কালামের নাম জানে, কিন্তু আব্দুল কাদির খানের নাম জানে কয় জন ? উল্টো আব্দুল কাদির খানকে চেনে সন্ত্রাসী হিসেবে। কারণ আব্দুল কাদির খান নিজ মুখেই বলেছিলো:
১) “আমি চেয়েছিলাম সকল মুসলিম দেশ পরমাণু প্রযুক্তি সমৃদ্ধ হোক। তাই ইরান ও লিবিয়াকে আমি পরমাণু প্রযুক্তি সরবরাহ করেছিলাম”। ---আব্দুল কাদির খান
২) “লিবিয়ার গাদ্দাফি এবং ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের মতো নেতাদের হাতে যদি পরমাণু বোমা থাকত, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা যে তাণ্ডব চালাচ্ছে তা চালানোর সাহস পেত না।” ---আব্দুল কাদির খান
শুধু তাই নয়, কৌশলী এ পরমাণু বিজ্ঞানী আমেরিকাকে দমাতে উত্তর কোরিয়াকেও পরমাণু প্রযুক্তি দিয়েছিলো। বর্তমানে খুব গরীব হয়েও যারা আমেরিকার মত দেশকে প্রায়শয়ই হুমকি ধামকি দেয় তার মধ্যে উত্তর কোরিয়াই প্রধান এবং সেটাও তাদের সেই পরমাণু প্রযুক্তির বলে বলিয়ান হয়ে।
আর এ কারণেই বর্তমানে আমেরিকার চোখে এক নম্বর সন্ত্রাসী হচ্ছে সেই আব্দুল কাদির খান, মোসাদের গুপ্ত ঘাতকদের কিলিং লিস্টে শীর্ষে আব্দুল কাদিরের নাম। পাকিস্তান সরকার আব্দুল কাদির খানকে জেল থেকে মুক্তি দিলে ফ্রান্সসহ তাবৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন হৈ-হুল্লা শুরু করে দেয়।
সবার শেষে বলতে হয়, ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞানী এপিজে আবুল কালাম ছিলো নিরামিষ ভোজী, নিয়মিত গীতা পাঠকারী, কৃষ্ণের একনিষ্ঠ ভক্ত একজন অগ্নি উপাসক। তার পরমাণু আবিষ্কারগুলো ছিলো শুধু হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র ভারতের জন্য। তার বিশ্বাসগত আচরণ এবং কর্ম হিন্দুদের অনুকূল ছিলো বলেই আজ ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের কাছে কাছে এপিজে আবুল কালাম হিরোর মর্যাদা পেয়েছে।
অন্যদিকে, আব্দুল কাদির খান চেয়েছিলো মুসলিম জাতিকে শক্তিশালী করতে। সে পাকিস্তান, ইরাক, ইরান, লিবিয়াসহ মুসলিম রাষ্ট্রগুলো মধ্যে পরমাণু প্রযুক্তি সরবরাহ করতে পেরেছিলো বলেই বিশ্ব মিডিয়ার চোখে সে একজন ভিলেন, একজন জেলখাটা আসামী, চিরজীবনের জন্য গৃহব্ন্দী এবং একই সাথে অবুঝ মুসলিম জাতির কাছে ‍নিগৃহিত ও অপমানিত, কারণ মুসলিম জাতি কখনই জানে না প্রাপ্যকে উপযুক্ত সম্মান দিতে।
এপিজে আবুল কালাম এবং আব্দুল কাদির খানের মধ্যে পার্থক্য শুধু এখানেই।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

কানাই স্যার বলেছেন: কথা সত্যি নয়। আবুল কালাম মুসলমান ছিলেন, তাকে নিয়ে আবোল তাবোল লেখা ঠিক না।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

ইলি বিডি বলেছেন: মুসলিম জাতি কখনই জানে না প্রাপ্যকে উপযুক্ত সম্মান দিতে।

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

অবিবাহিত জাহিদ বলেছেন: Onak valo likcen kotha gulo sotto

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পার্থক্য শুধু এখানেই।

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

ব্লগার রাজনুর বলেছেন: দু:খিত ফটোতে আব্দুলের স্থানে আবুল লেখা হয়েছে।

৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: +++

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:১৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমি বলবো, পৃথিবী শ্রেষ্ঠ পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান কখনই তার যথাযোগ্য মর্যাদা পাননি। মাথা ঠিক আছে? প্রথমত কাদির খান, পরমাণু প্রযুক্তি চুরি করেছে বিদেশে কর্মরত অবস্থায়। দ্বিতীয়ত, কাদির খান পরমাণু প্রযুক্তি দুবাই ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লিবিয়া, ইরাণ, উত্তর কোরিয়ার কাছে বিক্রি করে প্রচুর টাকা হাতিয়েছে যেটা ছিলো তার ব্যবসা, এখানে মুসলিম দেশ বলে কোন সুর্নিদিষ্ট সুবিধা ছিলোনা। ব্যাপারটা ছিলো এমন, প্রযুক্তি চুরি করা হয়েছে ইউরোপ থেকে আর তার সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট ছিলো অগণতান্ত্রিক কিছু দেশ। দুবাই ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি মালোয়েশিান একটি কোম্পানীকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় উপকরণ তৈরী করে পাচার করার সময়ই তা ধরা পড়ে সিআইএ-র হাতে। তার পরেই তার আসল সত্য উন্মেচিত হয়।

নাম-কা-ওয়াস্তে মুসলিম দেশ আর তার জনগণের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অজ্ঞতা আর ধর্মান্ধতা। ধর্মকে জীবন ধারনের একমাত্র মানদন্ড মেনে আধুনিক বিশ্বে তেমন কোন দেশ সফল হয়নি, তার সবচেয়ে বড় কারণ ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাকে তারা বাস্তব জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি বা অনুধাবন করতে পারেনি।

আব্দুল কালাম আর কাদির খানের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো, কালাম সাহেব প্রযুক্তি কারো কাছ থেকে চুরি করে এনে তৃতীয় কোন পক্ষের কাছে বিক্রি করেন নি। তার কাছে ব্যাপারটা ধর্ম সম্পর্কিত ছিলোনা, ছিলো দেশপ্রেমের। ধর্ম ব্যক্তিগত বিশ্বাস, আর জাতীয়তাবাদ পুরো দেশের।

৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

ব্লগার রাজনুর বলেছেন: আপনি ইফতেখার সি আই এর কথা বলে আপনার আসল রুপ ফুটিয়ে তুলেছেন।
আপনাদের মত আমেরিকার দালালদের কারনে মুসলিমরা আজও পিছিয়ে আছে।
আপনারা মুসলমানদের ভাল কাজেরও দোষ খুজে বের করেন,আমেরিকানদের সাথে সুর মিলিয়ে।
এটাই আপনাদের সমস্যা

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

তোজি বলেছেন: লেখকের এই পোস্টে শুধুই ধর্মান্ধতা প্রকাশ পেয়েছে । কি বলবো বুঝতে পাচ্ছি না । বললে আবার নাস্তিক ট্যাগ দিয়ে বসেন কি না কারন উপরে একজনেকে আমেরিকার দালাল ট্যাগ দিয়ে ফেলেছেন ।
জনাব, আবদুল কাদির আর আবদুল কালামের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক । আবদুল কাদির সেদেশের পরমানু প্রকল্প টাকার লোভে বিক্রি করে দিয়েছিল এটা আপনি না জানলেও খোদ পাকিস্তানীরাও জানে । কাদির আর কালামের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থ্যক্য হলো একজন ভারতীয় আর একজন পাকি । পাকি সম্পর্কে নতুন করে জানার কিছু নেই । কাদিরের ধর্মান্ধতা (পড়ুন কাদিরদের ধর্মান্ধতা) পাকিস্তানকে ধ্বংষ করে দিয়েছে । কাদিরের পরমানু এখন সন্ত্রাসীদের হাতে যেটি আপনার আমার সবার জন্যই হুমকিসরূপ । আবদুল কালাম ধর্মান্ধতার বাইরে সে একজন মুক্তমনা, একজন দেশপ্রেমিক, একজন সৎ ও আদর্শবান মানুষ । সে ভগবত গীতা পাঠ করুক আর বাইবেল পাঠ করুক তাতে কিছু যায় আসে না । ভারতবর্ষের পেরিয়ে কামাল বাংলাদেশের জন্য আদর্শ হতে পারে । ভারতীয়রা ধর্মান্ধ নয় বলেই তারা কালামকে যথাযোগ্য সম্মশান দিয়েছে আর এজন্যই ভারতবর্ষে আরো কালাম জন্ম নিবে ।

১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

রেজওয়ান26 বলেছেন: আপনার বক্তব্য ১০০ ভাগ সত্য। মুসলমানদের মধ্যে সত্যিকার ইসলাম না থাকার কারনে এই অবস্থা।

দেখুন আমাদের বাংলাদেশের অবস্থাও একই। ড: ইউনুস নোবেল পুরষ্কার পেলে তাকে কত অপমানই না করা হলো, মনে হয় যেন ড: ইউনুস নোবেল পুরষ্কার পেয়ে কত বড় একটা অপরাধ করেছেন? কিন্তু অমর্ত্য সেন কে দেখুন ভারত তাকে কিভাবে মাথায় তুলে রেখেছে?

এই যদি হয় গুনী মানুষের সম্মাননা তবে বাংলাদেশ থেকে সহজে সত্যিকার গুনী মানুষ ভয়েতেই জন্মাবেনা!

১১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

ব্লগার রাজনুর বলেছেন: তোজি আপনি আমার লেখায় কোথায় ধর্মান্ধতা খুজে পেয়েছেন?
মুক্তমনা বলে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন?
আপনাদের মত কিছু লোক আছে যারা মুক্তমনা ও ধর্মান্ধতা এ শব্দ দুটি ব্যবহার করে যতসব অধর্মের কাজ করছেন। আর কাদির খান কোন সন্ত্রাসীদের পরমানু প্রযুক্তি দিয়েছে?
আমেরিকার পাকি সরকারের কাছে কাদির খানের মুল্য না থাকলেও সাধারন জনগনের কাছে তিনি মাথার মুকুট।

১২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

ব্লগার রাজনুর বলেছেন:

১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

মরা নদী বলেছেন: বলদ কি গাছে দরে মানুষের মাযেও দুই একটা পাওয়া যায় যেমন আমাদের এই লেখক,

১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫২

মরা নদী বলেছেন: আপনার এই ছবিটাই প্রমান করে আপনি কতবড় ধর্মান্ধ,

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:১১

ধঅনের শীষ বলেছেন: ব্লগার রাজনুর , আপনি বোধহয় জানেন না, পাকিস্হানের পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান একজন কাদিয়ানী । এখন আপনেই বলুন , এই কাদির খান যদি কাদিয়ানী আকিদা তথা হজরত মোহাম্মদের পরে আরও একজন নবী মির্জা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী দুনিয়াতে এসেছে , এই আকিদা , এই বিশ্বাস নিয়া আপনের এই মুসলিম বিজ্ঞানী যদি মরে , তাহলে আখিরাতে ওর কি দশা হবে সহী হাদিসের আলোকে বলবেন কি ??

১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:২৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ব্লগার ডাক্তার পিঁপড়া দ্যা নিবেদিত প্রাণ এর পোষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালাম এবং পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদের খান, দুই জনের পার্থক্য নিয়ে আমার কিছু কথা এ করা মন্তব্য কপি পেষ্ট করলাম
''পৃথিবী শ্রেষ্ঠ পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান কখনই তার যথাযোগ্য মর্যাদা পাননি। চীনে চৌকশ হ্যাকার ধরা পড়লে সরকার তাকে মোটা বেতন দিয়ে নিজ গৃহে সম্মানের সাথে রেখে দেয় আর বাংলাদেশে চৌকশ হ্যাকার ধরা পড়লে তাকে জেলের ঘানি টানতে হয়''
এপিজে আব্দুল কালাম সাহেবের ইন্তেকালের পর বারবার কেনো যেন বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খানের কথা মনে পড়ছিল।আমার মনের কথা প্রকাশের অপারগতা আপনি পূর্ণ করে দিলেন।অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে জানাই কৃতজ্ঞতা,শ্রদ্ধা এবং ধন্যবাদ।
সবাই সব বুঝেনা।তাতে কি,আব্দুল কাদির খান'রা দমবার পাত্র নন।যুগে যুগে বীরের জন্ম অনিবার্য চিরন্তন সত্য।
(দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার এন এস আই এর সেই কর্মকর্তার কথা মনে পড়ে?তিনিও জেলেই পঁচে মরছেন।সত্যি সেলুকাস......বড়ই বিচিত্র এই জাতি!!!)

১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:


আরে ভাইজান আপনে আব্দুল কাদিরের যে দুটি উক্তি দিয়েছে তাতেই তার পরিচয় পাওয়া যায়। সে যে উগ্রবাদ আপনার দেয়া তার দুটো উক্তিই সুস্পষ্টভাবে প্রমান করে। আমাদের আগে মানুষ হওয়া উচিৎ তারপর মুসলমান।


১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১২

ডাক্তার পিঁপড়া দ্যা নিবেদিত প্রাণ বলেছেন: এপিজে আব্দুল কালাম প্রেসিডেন্ট হয় ২০০২ সালে ২৫ জুলাই। বিজেপির অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় এপিজে আব্দুল কালামকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে। এখানে লক্ষ্যনীয়, ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত ভারতের গুজরাট রাজ্যে চলে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা। আর এরপর ২৫ জুলাই নিয়োগ পায় আব্দুল কালাম। যার কারণে বিষয়টি স্পষ্ট হয় যে, আব্দুল কালামকে বিজেপি সাপোর্ট দেওয়ার মানেই হচ্ছে, মুসলিম জনগোষ্ঠীর মনে এই বলে সান্ত্বনা দেয়া ‘দেখো, আমরা মুসলিম দরদি, তাই একজন মুসলিমকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছে’।

১৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

ডাক্তার পিঁপড়া দ্যা নিবেদিত প্রাণ বলেছেন: এপিজে আব্দুল কালাম বিজেপির কাছে এতটাই পছন্দনীয় ব্যক্তিত্ব ছিলো যে ২০০৭ সালে পুনরায় এপিজেকে রাষ্ট্রপতি করতে সমর্থন দিয়েছিলো বিজেপি। কিন্তু কংগ্রেসের সমর্থন না পাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। একইভাবে ২০১২ সালেও একই ভাবে এপিজেকে রাষ্ট্রপতি চায় বিজেপি, কিন্তু সেবারও কংগ্রেসের সমর্থন মেলেনি।
বলাবাহুল্য, বিজেপি’র রাজনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে সংখ্যালঘু বিদ্বেষ, সেখানে একজন মূল ধারার মুসলমানকে সেই বিজেপি বার বার রাষ্ট্রপতি চাইছে, বিষয়টি নিয়ে সত্যি গোলমাল স্পষ্ট। নিরামিষভোজন, গিতাপাঠ, কৃষ্ণের ভক্ত হওয়া, পূজায় অংশগ্রহণ এবং সূর্যপূজা তথা অগ্নিপূজা ছিলো এপিজের নিয়মিত অনুসঙ্গ, এ জন্যই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস বলতো, “এপিজে হচ্ছে রিয়েল হিন্দু” (http://goo.gl/ZVfA4w)।

২০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ব্লগার রাজনুর বলেছেন: আপনি ইফতেখার সি আই এর কথা বলে আপনার আসল রুপ ফুটিয়ে তুলেছেন।
আপনাদের মত আমেরিকার দালালদের কারনে মুসলিমরা আজও পিছিয়ে আছে।
আপনারা মুসলমানদের ভাল কাজেরও দোষ খুজে বের করেন,আমেরিকানদের সাথে সুর মিলিয়ে।
এটাই আপনাদের সমস্যা


আপনার মন্তব্য দেখে আবার মন্তব্য করার ইচ্ছেটা হচ্ছিলোনা। কিন্তু মনে হলো, কিছু বিষয় পরিষ্কার করা উচিত।
- সি.আই.এ-র কথা বলে আমার কোন অাসল রুপটা খুঁজে পেয়েছেন জানালে উপকৃত হবো।

- সত্য কথা বলাতে যদি "আমেরিকার দালাল" তকমা পেতে হয় তাতে আমার আপত্তি নেই। আার আমি আমেরিকার নাগরিক হয়ে, আমেরিকার দালালি করবো না তো কি, আপনার মতো বাংলাদেশে থেকে, বাংলাদেশের খেয়ে-পড়ে পাকি-র দালালি করবো? দুঃখিত, ওটা বাংলাদেশের মাটিতে জন্মানো কিছু পাকি জারজের কাজ।

- সত্যি কথা হলো, মুসলিমরা যদি পিছিয়ে থেকে থাকে তাহলে সেটা হয়েছে আপনাদের মতো কিছু ধর্মান্ধের কারণে। আমি সুন্নি, আমি শিয়া, ওয়াহাবী, হানাফি, শারাফি বলে নিজেদের মধ্যে বিভেদ আপনারাই তৈরী করেছেন। আমাদের প্রিয় মহানবী (সাঃ) বিদায় নেয়ার পর থেকে শুরু করে উপমহাদেশে ১৭৫৭-এর পলাশীর প্রান্তর, পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ আর বঞ্চনা থেকে ইরাক-ইরাণ যুদ্ধ পর্যন্ত যুগে যুগে আপনারাই আপনার আপন ভাই-এর বুকে-পিঠে ছুরি বসিয়ে এসেছেন বিধর্মীদের কথায়।

- ধরে নিলাম আমেরিকা আর আমেরিকানরা খারাপ, আপনারা কোন ভালো কাজ দিয়ে দুনিয়া উল্টায়ে ফেলছেন? প্রাকৃতিক দুর্যোগে যখন আমেরিকা আগায়ে আসে সবার আগে, তখন কোথায় থাকে আপনাদের এ্যান্টাই-আমেরিকান সেন্টিমেন্ট? এত খারাপের পরেওতো আমেরিকান এ্যাম্বেসিতে আপনাদের লাইন ছোট হয়না।

২১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কে যে কেমন সেইটা সারা দুনিয়াই জানে। একজন চুরি কইরা ফেরারী, আরেকজন যা করছেন নিজের জ্ঞান দিয়া করছেন। আর নিজেদের চরিত্রের গুনে নাকি মানুষ সম্মান পায়। এইটা কালাম সাহেব আজীবন পাইছেন, মরার পরেও পাচ্ছেন। আর কাদির সাহেব মামলা, বন্দী জীবন এইসবের মাধ্যমে নিজের সম্মান ঠিক কতটা ওইটা উপলব্ধি করতে পারতেছেন।

২২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২২

রমিত বলেছেন: লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ। ভাবনার খোরাক আছে।

কে ভালো, কে মন্দ, সেই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাইনা। 'উইপনস অব ম্যাস ডেসট্রাকশন' কখনোই ভালো কিছু নয়। সমগ্র মানবজাতি তো এই বিভিষিকা সেই ১৯৪৫ সালের ৬ ও ৯ ই আগস্ট দেখেছে। বিজ্ঞানীদের উপর্যুপরী নিষেধ সত্ত্বেও মার্কীন রাজনীতিবিদরা ঐ ব্রহ্মাস্ত্র বেসামরিক জাপানীদের মাথার উপর ফেলে। মূহুর্তের মধ্যেই লুটিয়ে পড়ে কয়েক লক্ষ নারী-পুরুষ-শিশু।

প্রায়াত আব্দুল কালাম একজন বড় পরমাণু বিজ্ঞানী ছিলেন নিঃসন্দেহে, তবে এটা কি একান্তই উনার মস্তিস্ক প্রসূত ছিলো? আমার জানামতে, তিনি ঐ প্রকল্পটি পরিচালনা করেছিলেন। মূল প্রযুক্তি ভারত-কে দিয়েছিলো ইসরাইল। ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায়ই ঐ অস্ত্র নির্মান ও সফল পরীক্ষণ সম্ভব হয়েছিলো। (আমি একসময় এর উপর একটা পোস্টও দিয়েছিলাম)

২৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: কে কেমন সেটা আসলেই সঠিকভাবে খুব কমই জানি। তবে কমেন্টে দেখলাম কতক মুক্তমনা কেবল পাকিস্তানি হওয়ার কারনেই আবদুল কাদির খানের বিরুদ্ধে বলছেন। এটা সত্যি কাম্য নয়। তবে তাদের ব্যপারে জানতে আসলেই অনেক স্টাডি করা দরকার।

২৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

অেসন বলেছেন: কাদির খান এর সাথে তুলনার কোন প্রয়োজন আছে ? সবাইকে কি ধমীয় দিক দিয়ে
বিচার করতে হবে ? ভারতের জনগণ কালাম সাহেবকে বীরের মর্যাদা দিলে আপ্নের সমস্যা কি ?
কাদির খান এর যথাযোগ্য মর্যাদা পাকিস্তানকে দিতে দিন।আপনার মায়াকান্না কেন? ধর্ম কে কেমন পালন
করে তা না দেখে কাজ নিয়ে আলোচনা হওয়াই উত্তম।

২৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: কি যে বলবো বুঝতে পারছি না।

২৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০৬

সাবু ছেেল বলেছেন: ব্লগার রাজনুর , আপনি বোধহয় জানেন না, পাকিস্হানের পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান একজন কাদিয়ানী । এখন আপনেই বলুন , এই কাদির খান যদি কাদিয়ানী আকিদা তথা হজরত মোহাম্মদের পরে আরও একজন নবী মির্জা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী দুনিয়াতে এসেছে , এই আকিদা , এই বিশ্বাস নিয়া আপনের এই মুসলিম বিজ্ঞানী যদি মরে , তাহলে আখিরাতে ওর কি দশা হবে সহী হাদিসের আলোকে বলবেন কি ??

২৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

ব্লগার রাজনুর বলেছেন: সাবুছেল, কে বলেছে আপনাকে আব্দুল কাদির খান কাদিয়ানী। তিনি বরং তাদেরকে বিশ্বাসঘাতক বলেছেন।
না জেনে কারো চরিত্র হনন করবেন না।
নিচে লিংক দিচ্ছি নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
লিংক

২৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০২

ব্লগার রাজনুর বলেছেন: ইফতেখার: আপনাদের মত কিছু বিকৃতমস্তিষ্ক সম্পন্ন লোকদের কাছে ধর্মের কথা বললে আপনাদের চুলকানি শুরু হয়।
আপনারা ট্যাগ দেয় ধর্মান্ধ। যদিও ধর্মান্ধ কাকে বলে সেটাও আপনারা জানেন না।
আপনার মত ধর্মহীন লোকদের বল্গাহিন জীবন সম্পর্কে আমাদের ভাল ধারনা আছে।
যুক্তি না দিতে পারলেও আপনারা মানুষকে গালি দিতে পারেন ভাল।
আমি আপনাকে গালি ব্যাক করলাম না।
প্রথমে আমি আপনার নাম দেখে আপনাকে মুসলিম ভেবেছিলাম কিন্তু আসলে আপনি নিরাশাবাদী।

২৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫

আব্দুররহমান রানা৪ বলেছেন: আসলে এই মুহূর্তে যে যাই বলুক সবাই কিন্তু চায় তার একজন শক্তিশালী বন্ধু রাষ্ট্র থাকুক,কিন্তু তারা হয়তো এ্টা বুঝতে চায়না যে,সে যে উদ্দেশ্যে একটা শক্তিশালী রাষ্ট্রকে বন্ধু হিসেবে পেতে চাচ্ছে ঠিক সেই কারনে বা তার চেয়েও জঘন্য কারনে শক্তিশালী রাষ্ট্রটি তার বন্ধুত্বের আব্দার গ্রহন করেছেন।যা চলছেএখন আমেরিকা নিয়ে।আমাদের উচিত কারো সম্পরকে ঘৃনা বা ভালোবাসা প্রকাশ করার আগে তার সম্পর্কে বিস্তারিত সুস্থ মস্তিস্কে চিন্তা করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.