নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠকের মুগ্ধতাই আমার লেখার প্রেরণা, সত্য প্রচার আমার লেখার উদ্দেশ্য আর মিথ্যাকে বিনাশ করে দিকেদিগন্তে সত্যের আলোকচ্ছটার বিচ্ছুরণই আমার লেখার চূড়ান্ত লক্ষ্য।

বিদ্রহীসূত

রাকীব আল হাসান, সহকারী সাহিত্য সম্পাদক, দৈনিক বজ্রশক্তি।

বিদ্রহীসূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন, এক জাতি, এক দেশ ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩



সমস্ত রকম অনৈক্য, মতভেদ, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে একক নেতৃত্বের আনুগত্যে সামনে এগিয়ে চলাই ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল জাতির কাজ। এই ঐক্য, শৃঙ্খলা ও আনুগত্য যেখানেই থাকবে সেখানেই শান্তি, সেখানেই বিজয়, সেখানেই সমৃদ্ধি। অপরপক্ষে যেখানেই অনৈক্য, বিভেদ, বিশৃঙ্খলা সেখানেই পরাজয়, গ্লানি, দুঃখ, দুর্দশা, অশান্তি। উদাহরণ হিসাবে একটা ফুটবল টিমের কথাই ধরা যাক। একটা ফুটবল টিমে ১১ জন খেলোয়াড় একজন অধিনায়কের নেতৃত্বে বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে গোল করার চেষ্টা করে। ব্যক্তিগত দক্ষতার পাশাপাশি যে টিমের খেলোয়াড়দের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, বোঝাপড়া ও ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দলীয় স্বার্থ রক্ষার মনোবৃত্তি যত বেশি থাকবে সেই টিম হবে তুলনামূলক অধিক শক্তিশালী। প্রতিটি খেলোয়াড়ের উদ্দেশ্য বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রতিপক্ষকে গোল দেওয়া। তবু এই এগারো জনের মধ্যেই পৃথক পৃথক দায়িত্ব সুনির্দিষ্টভাবে বণ্টন করা হয়। কেউ আক্রমণভাগে (Striker) খেলে, কেউ রক্ষণভাগ (Defender) সামলান, কেউ মধ্যমাঠ দখলে রাখেন (Midfielder) আর একজন থাকে গোল রক্ষক (Goal keeper)। প্রয়োজন হলে রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ও আক্রমণভাগে আবার আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রক্ষণভাগে গিয়ে দায়িত্বপালন করে (যেমন কর্নার কিকের সময়)। মধ্যমাঠের খেলোয়াড় চেষ্টা করেন স্ট্রাইকারকে বল তৈরি করে দিতে, তবে কখনো কখনো সেও গোলে হিট করে। এই যে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্বে থেকে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দলকে জেতানোর চেষ্টা- এটিই হলো খেলোয়াড়দের ঐক্য ও খেলার শৃঙ্খলা। কোনো টিমের শক্তি সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে এই ঐক্য ও শৃঙ্খলার উপর।

ধরুন আপনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানের ১১ জন খেলোয়াড় নিয়ে একটি টিম গঠন করলেন। আপনি দাবি করলেন আপনার টিমই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী টিম, তাই হবার কথা। কিন্তু আপনার টিমের খেলোয়াড়রা যদি অনৈক্য, বিভেদে লিপ্ত হয়, পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবর্তে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে, টিমের চরম সঙ্কটময় মুহূর্তেও (যেমন কর্ণার কিকের সময়) আক্রমণভাগের খেলোয়াড় যদি রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের সহযোগিতা না করে তবে অবশ্যই আপনার টিম পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্বল টিম হবে। এ তো গেল অসহযোগিতা, আত্মকেন্দ্রিকতার ফলাফল, কিন্তু আপনার মহা শক্তিশালী টিমকে হারানোর জন্য টিমের অভ্যন্তরে একটি শত্রুভাবাপন্ন, মোনাফেক, বিদ্রোহী খেলোয়াড়ই যথেষ্ট। একটা দুইটা আত্মঘাতী গোলই আপনার টিমের পরাজয় নিশ্চিত করতে পারে। আপনার দলে যদি এমন একজন খেলোয়াড়ও থেকে থাকে তবে আপনি তাকে দলে রাখবেন নাকি দল থেকে বাদ দিবেন?

ঠিক একইভাবে একটি পরিবার, একটি সমাজ, একটি দল, একটি গোষ্ঠী, একটি দেশ এমনকি একটি জাতির সফলতা, সমৃদ্ধি, শান্তি ইত্যাদি নির্ভর করে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অভ্যন্তরীন ঐক্য ও শৃঙ্খলার উপর। এই সহজ কথাটি বোঝার জন্য মহা পণ্ডিত হবার দরকার পড়ে না, সাধারণ জ্ঞানেই এটি বোঝা যায়। আর অনৈক্য, মতভেদ, দলাদলি ইত্যাদি একটি জাতি ধ্বংসের জন্য প্রধান নিয়ামক। কোনো জাতিকে হীনবল, স্থবির, ব্যর্থ, অকার্যকর করার জন্য সে জাতির অভ্যন্তরে অনৈক্যের বীজ বপন করাই যথেষ্ট। এজন্যই ইসলাম ঐক্যের কথা বলে, শান্তির কথা বলে, প্রগতির কথা বলে। মানবতার দূত, মানবজাতির পথপ্রদর্শক রসুলাল্লাহ (সা.) পৃথিবীতে এসেছেনই সমগ্র মানবজাতিকে একজাতিতে পরিণত করার জন্য, সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য। জাতির ঐক্য এতটাই প্রয়োজনীয় (Vital) বিষয় যে, একটি জাতি, একটি সংগঠন যত শক্তিশালীই হোক, যত প্রচণ্ড শক্তিশালী অস্ত্র-শস্ত্র, ধন-সম্পদের অধিকারীই হোক, যদি তাদের মধ্যে ঐক্য না থাকে তবে তারা কখনই কোনো কাজে সফল, বিজয়ী হতে পারবে না। অতি দুর্বল শত্রুর কাছেও তারা পরাজিত হবে। তাই আল্লাহ কোর’আনে বহুবার এই ঐক্য অটুট রাখার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। এই ঐক্য যাতে না ভাঙ্গে সে জন্য তাঁর রসুল (সা.) সদা শংকিত ও জাগ্রত থেকেছেন এবং এমন কোনো কাজ যখন কাউকে করতে দেখেছেন যাতে ঐক্য নষ্ট হবার সম্ভাবনা আছে তখন অত্যন্ত রেগে গেছেন। তিনি (সা.) বলেছেন- যে কোনো রকম অনৈক্য, মতভেদই কুফর। নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিসমূহ তাদের কিতাবগুলির (আয়াতের) অর্থ নিয়ে মতবিরোধের জন্য ধ্বংস হয়ে গেছে। (হাদিস-আব্দাল্লাহ বিন আমর (রা.) থেকে- মুসলিম, মেশকাত)। আল্লাহর রসুল দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেন, ‘যে ব্যক্তি এই উম্মতের ঐক্য ও সংহতির মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করতে চায় তাদের ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাতে চেষ্টা করে, তলোয়ার দ্বারা তোমরা তাকে শায়েস্তা করো, সে যেই হোক না কেন (হাদিস, আরফাজা (রা.) থেকে মুসলিম)।
.
আল্লাহ ও তাঁর রসুলের এমন সাবধানবাণী সত্ত্বেও আজ সমস্ত পৃথিবীব্যাপী বিভক্তির রেখা এমনভাবে টানা হয়েছে যে, সমস্তরকম ঐক্য ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেছে। এই অনৈক্য জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সামাজিক পর্যায়ে এমনকি পারিবারিক পর্যায়েও ঢুকে আসন গেড়ে নিয়েছে শক্তভাবে। এই অনৈক্যগুলি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য, ঝগড়া, মারামারি ইত্যাদির বিষবৃক্ষ রোপণ করছে এবং এক পর্যায়ে ঘটাচ্ছে বিবাহ-বিচ্ছেদ, যৌথ পরিবারের মধ্যে ভাইয়ে-ভাইয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মাথা ফাটাফাটি এবং এক পর্যায়ে এটি ভেঙ্গে গড়ে উঠছে একক পরিবার, সমাজের মানুষগুলিকে নানা দলে বিভক্ত করে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে লাঠালাঠি, ফাটাফাটি করাচ্ছে আর জাতীয় পর্যায়ে চলছে বোমাবাজী, অগ্নিসংযোগ, খুনোখুনি, পেট্রল বোমা, ককটেল নিক্ষেপ ইত্যাদি নানা জঘন্য কার্যকলাপ। পাশ্চাত্য ইহুদি-খ্রিস্টান ‘সভ্যতা’ আমাদের উপর কর্তৃত্ব, প্রভুত্ব করার জন্য এই অনৈক্যগুলি শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে, তাদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলির মাধ্যমে আমাদের অস্থি-মজ্জার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখন আমরা আর ঐক্যবদ্ধ হতে পারছি না। কারণে অকারণে আমাদের যেন দ্বন্দ্ব-সংঘাত করতেই হবে।

অনৈক্যের যে বিষবৃক্ষগুলি পাশ্চাত্য ‘সভ্যতা’র রূপকাররা আমাদের মাঝে রোপণ করেছে তার মধ্যে প্রধান হলো বহুদলীয় ‘গণতন্ত্র’। এই তন্ত্রের মাধ্যমে আমাদেরকে নানা দলে বিভক্ত করা হয়েছে। এখন আমরা আর ১৬ কোটির একটি জাতি নই। আমাদের জাতির মধ্যে শত্রুভাবাপন্ন কিছু খেলোয়াড় প্রতিনিয়তই আত্মঘাতী গোল করে চলেছে। এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই এমন যে, একটি দল ক্ষমতায় থাকবে আর বাকি দলগুলি তার বিরোধিতা করবে, অর্থাৎ আত্মঘাতী গোল করার চেষ্টায় থাকবে। আর আত্মঘাতী গোলকারীর সংখ্যাই বেশি, যদিও ক্ষমতা কম, এদের ক্ষমতা শুধু রাজপথে। তাই সরকার বিরোধী দলগুলি মিছিল, মিটিং, হরতাল, অবরোধসহ নানা কর্মসূচীর নামে সরকারের ভালো-মন্দ সকল কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করতে গিয়ে কার্যত ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি-দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি করতে থাকে। এটা নাকি তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আজ যে সরকার কাল সে বিরোধী দলে গেলে এই একই কাজ করে, এটাই গণতান্ত্রিক ট্রেডিশন। যতদিন গণতন্ত্র থাকবে ততদিন এই অশান্তিগুলি চলতেই থাকবে।

গণতন্ত্রের শুদ্ধতার ব্যাপারে কেউ আজ কোনো প্রশ্ন তোলে না, যেন গণতন্ত্র একটি ঐশী বিধান, বেদবাক্য। যদি কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রবল বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, সেখানের বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিকরা বলতে থাকেন যে, এখানে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চা হচ্ছে না, এখনও গণতন্ত্র শিশু, এর বিকাশের জন্য আমাদের সবাইকে মিলে চেষ্টা করতে হবে, আমাদেরকে আরও বেশি বেশি গণতন্ত্রমনা হতে হবে। অর্থাৎ সকলের চিন্তা, ধ্যান-ধারণা বৃত্তাবদ্ধ হয়ে গেছে, গণতন্ত্রের বাইরে কিছুই চিন্তা করতে পারে না। এটা এক প্রকার মানসিক বৈকল্য আর মুক্তবুদ্ধির বিপরীত। আমাদের এখন সময় এসেছে ভেবে দেখার। আমরা যে ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছি, এর ত্রুটি-বিচ্যুতি, সুফল-কুফল ইত্যাদি নিয়ে সরকার, জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলির এখন চিন্তা করার সময় এসেছে যে সত্যিই কি এই ব্যবস্থা মানুষের জন্য শান্তিদায়ক? যদি শান্তিদায়ক না হয় তবে কেন আমরা এটিকে বয়ে নিয়ে বেড়াব? আমাদেরকে এমন একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যেন সকল প্রকার অনৈক্য আর ভেদাভেদ দূর করে আমরা একজাতি, একদেশ ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হই, যেন আমাদের মাঝে ফিরে আসে কাঙ্ক্ষিত শান্তি, নিরাপত্তা, সুবিচার। তাহলে সেই ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ব্যবস্থা কোথায় পাওয়া যাবে?

আল্লাহ মানবজাতির জীবন পরিচালনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা দান করেছেন। এতে রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের স্বচ্ছতা রক্ষা ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রটি তথাকথিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অনেক ঊর্ধ্বে। ইসলামে দলাদলির কোনো সুযোগ নেই, দলাদলি মানেই অনৈক্য, বিভেদ। দলাদলি থাকলেই রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বিরোধিতা থাকবে, বিরোধী মানেই বিদ্রোহী। যদি আল্লাহর রসুলের প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলে যারাই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন তারা আল্লাহর বিধান মোতাবেকই কাজ করবেন আর আল্লাহর বিধান নিখুঁত, এর কোনো বিরোধিতার সুযোগ নেই। এখানে শাসকরা কোনো অন্যায় করবেন না বা করতে পারবেন না। তারা হবেন সত্যের ধারক। ন্যায়, ওয়াদা, আমানতদারি ইত্যাদির মূল্য তাদের কাছে জীবনের চেয়েও বেশি। তারা বিশ্বাস করবেন যে, আল্লাহ তাঁদের প্রত্যেকটি কাজ দেখছেন, তিনি তাদের আত্মায় কী আছে তারও পরিজ্ঞাতা। এর পাশাপাশি জাগতিকভাবেও তারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবেন। গণতন্ত্রের শাসকদের মতো প্রকৃত ইসলামের শাসকরা জনবিচ্ছিন্ন হতে পারেন না, সাধারণ জনতার সঙ্গে তাদের মসজিদে দেখা হবেই। এছাড়াও তাদেরকে প্রতিনিয়ত জনগণের মধ্যে বসবাস করতে হয়, তাদের সঙ্গে মিশতে হয়। সুতরাং জনগণের প্রতিটি দাবি-দাওয়া, অভাব-অভিযোগ তাদের সামনে থাকে একেবারে সুস্পষ্ট। ইসলাম জনগণকে এমন অধিকার দিয়েছে যে তারা রাষ্ট্রনেতাদের যে কোনো কাজের জন্য সরাসরি জবাব চাইতে পারেন। অর্ধ-পৃথিবীর খলিফা ওমর (রা.) এর মসজিদে খোতবা দানকালে তাঁর সকল নাগরিক থেকে অতিরিক্ত কাপড় পরিধানের জবাব চাওয়ার ঘটনাটি এখানে স্মরণ করা যায়।

এখন সময় এসেছে সকল অনৈক্য আর ভেদাভেদ ভুলে সমস্ত রকম বাদ-মতবাদ ছুড়ে ফেলে একতাবদ্ধ হবার। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর যে উর্বর মাটি স্রষ্টা আমাদেরকে দিয়েছেন তাই আমাদের সমৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথেষ্ট। আমরা যদি ১৬ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হতে পারি আমাদের কোনো অভাব থাকবে না, আমাদেরকে অন্য কারও মুখাপেক্ষী হয়েও থাকতে হবে না। আমরা হবো স্বনির্ভর ও মর্যাদাসম্পন্ন জাতি। কোনও পরাশক্তিকে আমাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।

[বি.দ্র. আমি এখানে প্রকৃত ইসলামের কথা বলেছি, বর্তমানে যে ইসলাম চলছে এটা সম্পূর্ণ বিকৃত ও বিপরীতমুখী। প্রচলিত এই ইসলাম প্রতিষ্ঠার ফল হবে তালেবান, আই-এসদের মতোই। প্রকৃত ইসলাম ছিল রসুলাল্লাহর (সা.) এর ইন্তেকালের ৬০-৭০ বছর পর্যন্ত।]

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আসল সমস্যা হলো- সবার চিন্তা ভাবনা এক না।
আপনি সব লেখার মধ্যে ধর্ম নিয়ে আসেন কেন?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

বিদ্রহীসূত বলেছেন: কারণ আমি ধার্মিক। ধর্মকে ধারণ করার চেষ্টা করি, প্রকাশ করার চেষ্টা করি। তবে আমার ধর্ম অন্যদের মতো না। আমার দৃষ্টিতে ধর্ম অন্য।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

রিএ্যাক্ট বিডি বলেছেন: হমমমম কিনটু হোবে না

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

বিদ্রহীসূত বলেছেন: আপনি বলছেন হবে না, আমি বলছি হবে- এভাবে বলতে থাকলে তো কেবল তর্কাতর্কিই হবে। সময় সব বলে দেবে হবে কি না।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: হবে, তবে অনেক সময় লাগবে; অনেক মার খেয়ে, অনেক রক্ত ঝরিয়ে, অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে তবেই হবে!!
কারন, আ সিঙ্গেল বাঙ্গালী হ্যাভিং হান্ড্রেড মাইন্ডস্‌; হোয়ারএজ, হান্ড্রেডস্‌ নন্‌-বাঙ্গালী বাট সিঙ্গেল মাইন্ড

বুঝেন তাহলে!!!!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

বিদ্রহীসূত বলেছেন: মূল্যবান কিছু পেতে হলে মূল্য তো দিতেই হবে। আমি বিশ্বাস করি সে মূল্য আমরা দিতে পারব, একশ মনকে এক মন বানাতে পারব ইনশাল্লাহ।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি 'প্রকৃত ইসলামের' কথা বলেছেন, ভালো; বাকীরা অপ্রকৃত ইসলামের কথা বলে সব সময়; আপনি হয়তো নবী হয়ে যেতে পারেন সামনের দিনগুলোতে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

বিদ্রহীসূত বলেছেন: আপনি যে গাধা ছিলেন সেই গাধাই আছেন, কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমার পোস্ট থেকে একটু দূরে থাকুন, এগুলো আপনার জন্য না।

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ আল্লাহ ও রসুলের (স: ) 'এর কথায়ও ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে না; ব্যাপারটা কি?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

বিদ্রহীসূত বলেছেন: মানুষ তো আল্লাহ ও রসুলের কথার উপরে নেই, তারা আছে ধর্মব্যবসায়ী আলেমদের কথা উপর। আর ধর্মব্যবসায়ী স্বার্থবাজ আলেমরা মানুষগুলোকে নিজেদের স্বার্থে বিভক্ত করে রেখেছে। এখন এমন একজন মানুষ লাগবে যিনি সত্যিকার অর্থে আল্লাহ ও রসুলের কথার উপরে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আহ্বান করবেন, যিনি নিজ স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করবেন না বরং ধর্মকে ধারণ করবেন এবং মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করবেন, তিনি হবেন আল্লাহর নিকট থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত, হেদায়াহপ্রাপ্ত। মানুষ সেই নিঃস্বার্থ নেতার পেছনে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হবে, আল্লাহ ও রসুলের কথার উপরে ঐক্যবদ্ধ হবে।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

পয়েন্ট-ব্লাংক বলেছেন: ঐক্যবদ্ধ হবে? উহু, হতে দেয়া হবে না!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৬

বিদ্রহীসূত বলেছেন: এটা সত্য বলেছেন যে, দেয়া হবে না। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন কি না? অধিকাংশ মানুষ তো এটার প্রয়োজনীয়তাই উপলব্ধি করে না। আমি এই লেখার মাধ্যমে সেই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করানোর চেষ্টা করেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.