![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামু ব্লগ ভালবাসি। লেখালিখির অভ্যাস নেই তবে নিয়মিত ব্লগ পড়ি। অবসর কাটে ফেবু আর সামুতে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল কোর্টে (আইসিসি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভোলেপমেন্ট ফর বাংলাদেশ এবং গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি বাংলাদেশী আমেরিকানরা। এ দু’সংগঠনের পক্ষ থেকে মারটিন এফ. ম্যাকমহন এন্ড এসোসিয়েটস ২৭ জুন বৃহস্পতিবার অভিযোগটি দায়ের করে। অভিযোগটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য একই দিন বিকালে ওয়াশিংটন ডিসি ন্যাশনাল প্রেসক্লাবে এটর্নি মারটিন এফ. ম্যাকমহন সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সরাসরি মানবাধিকার লংঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাকি
১। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড মহীউদ্দিন খান আলমগীর
২। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু
৩। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু
৪। আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম,
৫। আ'লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ,
৬। পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার,
৭। র্যাবের মহাপরিচালক মোকলেসুর রহমান ও
৮। বিজিবির মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ।
সাংবাদিক সম্মেলনে এটর্নি মারটিন উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশে মানবাধিকর লংঘন করে আসছে। বাংলাদেশে চরম মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ এনে এটির্ন বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের প্রমাণ বাংলাদেশী মিডিয়াসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, বিভিন্ন মানবাধিকার ও এনজিও সংস্থার রিপোর্টে রয়েছে। গত কয়েক মাস যাবৎ রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত বেসামরিক মানুষ হত্যা, হয়রানি এবং গ্রেপ্তার ও অত্যাচার করা হচ্ছে। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী ও ৫-৬ মে’র হত্যাকান্ডসহ বিরোধীদলীয় নেতা ইলিয়াস আলী গুম, শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যা, সুখরঞ্জন বালী নিখোঁজ ও কলকাতায় আটক থাকার ঘটনা তুলে ধরেন।
এটর্নি মারটিন দাবী করেন, বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীসহ র্যাব, বিজিবি ও ডিজিএফআইসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা চরম মানবাধিকার লংঘন করে আসছে। অভিযোগে এটর্নি মারটিন উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে
* বিচার বহির্ভূত হত্যা ২০০৯ সালে ১৫৪ জন, ২০১০ সালের ১২৭ জন, ২০১১ সালে ৮৪ জন ও ২০১২ সালে ৭০ জন।
* বন্দি অবস্থায় মৃত্যু ২০০৯ সালে ৫০ জন, ২০১০ সালে ৬০ জন, ২০১১ সালে ১০৫ জন, ২০১২ সালে ৬৩ জন।
* গুম ২০০৯ সালে ৩ জন, ১০ সালে ১৮ জন, ১১ সালে ৩০ জন, ১২ সালে ২৪ জন।
* নির্যাতনে আহত ও নিহত ২০০৯ হয়েছেন ৮৯ জন, ১০ সালে ৬৭, ১১ সালে ৪৬, ১২ সালে ৭২ জন।
* সাংবাদিক নির্যাতনের স্বীকার ২০০৯ সালে ২২১ জন, ১০ সালে ২৩১ জন, ১১ সালে ২৫৯ জন, ১২ সালে ২৮৯ জন।
* রাজনৈতিক হত্যার শিকার ২০০৯ সালে ২৫১ জন, ১০ সালে ২২০ জন, ১১ সালে ১৩৫ জন ও ১২ সালে ১৬৯ জন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এটর্নি মারটিন বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে আমরা অভিযোগটি দাখিল করেছি। আমরা আশা করছি আসিসি অভিযোগগুলো তদন্ত করে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্তভাবে মামলাটি গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দ্রুত প্রদক্ষেপ নিবে।
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ
২| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ল ঠেলা
৩| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৭
রিওমারে বলেছেন: আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে সরকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসন কুকুরের চরিত্র ধারন করে। কারন এগুলো হল শেখ মুজিবের আদর্শ। সাধারণ জনগনের এই দলকে চিরতরে বর্জন করা উচিত।
৪| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
রিয়াজ৩৬ বলেছেন: মোহাম্মদ হারুন@আপনার কথায় যুক্তি আছে। তবে সরকার পরিবর্তন হলে এইরকম আর মামলা খেতে হতে পারে।
৫| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২৪
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
২৮ ফেব্রুয়ারী ও ৫-৬ মে’র হত্যাকান্ড!
এদের রাজনৈতিক পরিচয় বুঝতে সমস্যা হয় না।
জামাটি ভাড়াটে গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি বাংলাদেশী আমেরিকান!
২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
রিয়াজ৩৬ বলেছেন: লবিং যে হইছে তা বুঝা যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
মোহাম্মদ হারুন বলেছেন: মামলা যে কারো বিরুদ্ধে হতে পারে, সর্বশেষ সুনানি আর র্তক বির্তক প্রমাণ উপস্থাপনের পর তার আসল রুপ দেখা যাবে। ভালই হয়েছে কারণ এতে সরকারের স্বচ্চতা প্রকাশ পাবে,