নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Long live Bangladesh

সামু ব্লগ ভালবাসি। নিয়মিত ব্লগ পড়ি।

রিয়াজ৩৬

সামু ব্লগ ভালবাসি। লেখালিখির অভ্যাস নেই তবে নিয়মিত ব্লগ পড়ি। অবসর কাটে ফেবু আর সামুতে।

রিয়াজ৩৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধারণ ভুল: যেগুলো রমজানের সময় আমরা করে থাকি।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

রমজান মাসের প্রতিটি সময়, প্রতিটি ক্ষণ অত্যন্ত মূল্যবান। রমজান মাস ভোগবিলাস, অপচয় এবং অসংযমের গড্ডলিকা প্রবাহ থেকে মানুষকে দূরে থাকার শিক্ষা দেয়। কিন্তু আমাদের কিছু ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারনে আমরা রমজান মাসকে কাজে লাগাতে পারিনা। রাসূল (সঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাস পেল কিন্তু তার জীবনের গুনাহ মাফ করে নিতে পারল না তার জন্য ধ্বংস।..



১. রামাদানকে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠান মনে করা

আমাদের অনেকের কাছে রামাদান তাঁর আধ্যাত্মিকতা হারিয়ে ইবাদাতের বদলে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠানের রূপ লাভ করেছে। আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মত উপোস থাকি শুধুমাত্র আমাদের আশেপাশের সবাই রোজা রাখে বলে। আমরা ভুলে যাই যে এই সময়টা আমাদের অন্তর ও আত্মাকে সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য.... আমরা দু’আ করতে ভুলে যাই, ভুলে যাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদেরকে মুক্তি দান করতে।



২. পানাহারের ব্যাপারে অতিমাত্রায় চাপে থাকা এবং মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া

আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে, রামাদান মাসের পুরোটাই খাবার ঘিরে আবর্তিত হয়। সালাত, কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদাতের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া বদলে আমরা পুরোটা দিন কেবল পরিকল্পনা প্রণয়ন, রান্নাবান্না, কেনাকাটা এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ে চিন্তা করে কাটাই। আমাদের চিন্তা ভাবনার পুরোটা জুড়েই থাকে ‘খাওয়া-দাওয়া’।



যার দরূন আমরা উপোস থাকার মাসকে ভোজের মাসে পরিণত করেছি। ইফতারের সময়ে আমাদের টেবিলের অবস্থা দেখার মত! পুঞ্জীভূত নানাপদী খাবার, মিষ্টান্ন এবং পানীয়ে পরিপূর্ণ। পক্ষান্তরে, আমরা রামাদানের মুখ্য উদ্দেশ্য ভুলে যাচ্ছি, আর এভাবে আমাদের লোভ আর প্রবৃত্তির অনুসরণ বাড়তে থাকে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার শিক্ষালাভ করার বদলে। এটাও একধরনের অপচয় এবং সীমালঙ্ঘন।



“.....তোমরা খাও এবং পান করো, এবং কোনো অবস্থাতেই অপচয় করো না, আল্লাহ্ তাআলা কখনোই অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না ।”(সূরা আ’রাফঃ৩১)



৩. সারা দিন রান্না করে কাটানো

কতিপয় বোন(হয় স্বেচ্ছায় নতুবা স্বামীর চাপে) সারা দিন ও সারা রাত ধরে রান্নাবান্না করতে থাকেন, তার ফলে দিনের শেষে তারা এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েন যে এশার সালাত পড়তে পারেন না, তাহাজ্জুদ কিংবা কুরআন তিলাওয়াত তো দূরে থাক!



৪. সারা দিন ঘুমিয়ে কাটানো

রামাদান মাস হচ্ছে অত্যন্ত মূল্যবান সময়, এতটাই মূল্যবান যে মহান আল্লাহ্ পাক একে ‘আইয়্যামুম মাদুদাত’(একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক দিবস) হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আমাদের অনুধাবন করার পূর্বেই এই মাগফিরাত ও মুক্তির মাস শেষ হয়ে যাবে। আমাদেরকে চেষ্টা করা উচিত এই পবিত্র মাসের প্রতিটি মূহুর্ত আল্লাহর ইবাদাতে কাটানোর, যাতে করে আমরা এই মাসের সর্বোচ্চ সওয়াব হাসিল করতে পারি। যাহোক, আমাদের কিছুসংখ্যক রামাদানের দিনগুলি ভিডিও গেমস্ খেলে অতিবাহিত করে, অথবা জঘন্যতম হল টিভি দেখা, ছবি দেখা এমনকি গান শোনা পর্যন্ত।



৫. রোজা রাখা অথচ খারাপ কাজ বর্জন না করা

আমাদের কিছু সংখ্যক রোজা রাখে কিন্তু তারা মিথ্যাচার, অভিশাপপ্রদান, মারামারি, গীবত ইত্যাদি বর্জন করে না এবং কিছুসংখ্যক রোজা রাখার উদ্দেশ্য কেবলমাত্র পানাহার থেকে বিরত নয় বরং আল্লাহর প্রতি তাকওয়া(পরহেজগারী) অর্জন অনুধাবন না করে রোজা রাখে কিন্তু তারা প্রতারণা, চুরি, হারাম চুক্তি সম্পাদন, লটারির টিকেট ক্রয়, মদ বিক্রি, যিনা ইত্যাদিসহ যাবতীয় অননুমোদিত কর্মকান্ড বর্জন করে না।



রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও এর ওপর আমল করা বর্জন করে না ও মূর্খতা পরিহার করে না, তার পানাহার হতে বিরত থেকে উপবাস করা আল্লাহর নিকট প্রয়োজন নেই।”(বুখারী)



৬. ধূমপান

ধূমপান ইসলামে বর্জনীয় সেটা রামাদান মাসেই হোক বা এর বাইরে হোক, কারণ এটা “আল-খাবিছ্’(খারাপ কাজ) এর একটি। এবং এটা যাবতীয় ধূমপানের সামগ্রী অন্তভূর্ক্ত করে যেমনঃ সিগার, সিগারেট, পাইপ, শিশা, হুক্কা ইত্যাদি।



“..........তাদের জন্য যাবতীয় পাক জিনিসকে হালাল ও নাপাক জিনিসসমূহকে তাদের ওপর হারাম ঘোষণা করে...........”(সূরাআ’রাফঃ১৫৭)



এটা শুধু যে ধূমপায়ী তার জন্য ক্ষতিকর- তা নয়, বরং তার আশেপাশে যারা রয়েছে তাদের জন্যও ক্ষতিকর। এটা কারো অর্থ অপচয়ের জন্য একটি মাধ্যমও বটে।



৭. ইচ্ছাকৃতভাবে সেহরী বাদ দেওয়া

রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “সেহরী খাও, কারণ এটার মধ্যে বরকত রয়েছে।”(বুখারী, মুসলিম)

এবং তিনি (সাঃ) বলেছেনঃ “আমাদের সাওম আর আহলে কিতাবদের সাওম পালনের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে সেহরী গ্রহণ।”(মুসলিম)



৮. ইমসাক এর সময় সেহরী খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া

কিছু লোক রয়েছে যারা ফজরের ওয়াক্তের ১০-১৫ মিনিট পূর্বে ইমসাক পালনের জন্য সেহরী খাওয়া বন্ধ করে দেয়। শেখ ইবনে উছাইমিন বলেছেনঃ “এটা বিদ’আত ছাড়া আর কিছু নয় যার কোন ভিত্তি সুন্নাহে নেই। বরং সুন্নাহ হল তার উল্টোটা করা। আল্লাহ প্রত্যুষের আগ পর্যন্ত আমাদেরকে খেতে অনুমতি প্রদান করেছেনঃ “আর আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কালো রেখা থেকে স্পষ্ট হয়।”(সূরা বাকারাঃ১৮৭)



রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “তোমরা আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ইবনে উম্মে মাকতুম এর আযানের ধ্বনি শুনতে পাও, কারণ সে প্রত্যূষ না আসা পর্যন্ত আযান দেয় না।”



এই ইমসাক হচ্ছে কিছু সংখ্যক লোকের দ্বারা পালনকৃত আল্লাহর আদেশের অতিরিক্ত কাজ, তাই এটা ভুয়া। এটা ধর্মের নামে এক ধরনের উগ্রপন্থী আচরণ। আর রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “যারা উগ্রপন্থা অবলম্বন করে তারা ধ্বংস হয়েছে, যারা উগ্রপন্থা অবলম্বন করে তারা ধ্বংস হয়েছে, যারা উগ্রপন্থা অবলম্বন করে তারা ধ্বংস হয়েছে।”(মুসলিম)



৯. সেহরী না খাওয়ায় সাওম পালন না করা

আমাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক রয়েছে যারা সাওম পালন করে না এই ভয়ে যে সেহরী খাওয়া হয় নি।যাহোক, এটা এক ধরনের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য ভালোবাসা ও কাপুরূষতা। এ আর এমন কি ব্যাপার যে সামান্য কয়েক মুঠো খাবার খাওয়া বাদ হয়ে যায়? এমন না যে এর কারণে আমরা মারা যাব। আমাদের মনে রাখতে হবে যে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য সবকিছুকেই ছাপিয়ে যায়।



১০. রোযা ভাঙতে দেরি করা

আমাদের অনেকেই ইফতারের সময় মাগরিবের আযান শেষ হওয়া পর্যন্ত বসে থাকেন, আযান শেষ হলে রোযা ভাঙেন। সূর্য অস্ত যাবার পর আযান দেওয়ার সাথে সাথে রোযা ভাঙা সুন্নাহ সম্মত। আনাস(রাঃ) বলেন,“রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটাই করতেন।(মুসলিম)



১১. ইফতার বেশি খেতে গিয়ে মাগরিবের নামায জামাআত ধরতে না পারা

আমরা অনেকেই ইফতারিতে এত বেশি খাবার নিয়ে বসি যে সেগুলো শেষ করতে গিয়ে মাগরিবের জামাআত ধরতে পারিনা। এটা একেবারেই অনুচিত। রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয়েক টুকরা খেজুর মুখে দিয়ে ইফতার ভেঙে অতঃপর মাগরিবের নামাজ এর জন্য চলে যেতেন। নামাজ শেষ করে এসে আমরা ফিরে এসে ইচ্ছা করলে আরও কিছু খেতে পারি।



১২. আমাদের দুআ কবুল হওয়ার সুযোগ ছেড়ে দেওয়া

সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির দুআ রোযা ভাঙার সময় আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে থাকে। রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেন,“তিন ধরনের ব্যক্তির দুআ ফিরিয়ে দেওয়া হয়না-

১)একজন পিতার দুয়া, ২)রোযাদার ব্যক্তির দুয়া, ৩)মুসাফিরের নামাজ”।(বায়হাকি)



আমরা এই সময়ে দুআ না করে বরং খাবার পরিবেশন,কথাবার্তা ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমাদের চিন্তা করা উচিৎ কোনটা আমাদের দরকার- খাবার নাকি দুআ কবুল হওয়া ?



১৩. রোযা রাখা অথচ নামাজ না পরা

সিয়াম পালনকারী কোন ব্যক্তি নামাজ না পরলে তার সিয়াম কবুল হয়না। রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেন,“সালাত(নামাজ) হচ্ছে ঈমান এবং কুফর এর পার্থক্যকারী”।(মুসলিম)



১৪. রোযা রাখা অথচ হিজাব না পরা

“হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।”(আল-আহযাবঃ ৫৯)



সুতরাং রোযা রাখা অথচ হিজাব না পরা অবশ্যই সিয়াম পালনের পুরস্কার হতে দূরে সরিয়ে দেয় যদিও এটি সিয়াম ভঙ্গ করেনা।



১৫. পরীক্ষা কিংবা কর্মব্যস্ততার জন্য রোযা না রাখা

পরীক্ষা কিংবা কর্মব্যস্ততার কারণে রোযা না রাখা শরীয়ত সম্মত নয়। সকালে পড়ালেখা করতে কষ্ট হলে রাতে করার সময় থাকে। আমাদের মনে রাখা উচিৎ যে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার চেয়ে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।পড়ালেখা করার মধ্যে দিয়েও যদি আমরা সঠিকভাবে যদি আমরা রোযা রাখার মত ফরয কাজগুলো করার চেষ্টা করি, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদের জন্য তা সহজ করে দিবেন এবং আমাদের সাহায্য করবেন।



“......আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন।এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।”(আত-তালাকঃ ২-৩)



১৬. স্বাস্থ্য কমানোর উদ্দ্যেশ্যে রোযা রাখা

স্বাস্থ্য কমানোর জন্য রোযা রাখা উচিত নয়। এটি অন্যতম একটি বড় ভুল যা আমরা করে থাকি। সিয়াম পালন করার একমাত্র উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। যদি স্বাস্থ্য কমানোর উদ্দ্যেশ্যে কেউ রোযা রাখে তাহলে তা শিরকের(ছোট শিরক বা শিরকুল আসগার) আকার ধারন করতে পারে।



১৭. তারাবীর নামাযের রাকাআত সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ

তারাবীর নামাযের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যক রাকাআত নেই। আট এবং বিশ রাকাআত-এ দুটোই শরীয়ত সম্মত। শেখ ইবনে উথাইমিন বলেন,“এগারো কিংবা তেইশ রাকাআতের কোনটিকে নির্দিষ্ট করে অপরটি বাতিল করা অনুচিত।কারন বিষয়টি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ,সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর।”



১৮. নির্দিষ্টভাবে শুধু ২৭ রমযানের রাতকে লাইলাতুল ক্বাদর মনে করে ইবাদত করা

আমরা অনেকেই কেবল ২৭ রমযান রাতে লাইলাতুল ক্বাদর পাওয়ার জন্য ইবাদত করে থাকি,কিন্তু অন্যান্য বিজোড় রাতগুলিকে প্রাধান্য দেইনা। অথচ রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেন,“রমযানের শেষ দশ রাত্রির বিজোড় রাতগুলিতে লাইলাতুল ক্বাদর তালাশ কর।”(বুখারি ও মুসলিম)



১৯. ঈদের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে রমযানের শেষাংশ অবহেলায় পালন করা

আমরা অনেকেই ঈদের প্রস্তুতি(নতুন কাপড় কেনা,খাবারের আয়োজন করা,মার্কেটে ঘোরাঘুরি করা)নিতে গিয়ে রমযানের শেষ দশ দিন অবহেলায় পালন করি(ঠিকমত ঈবাদত না করা এবং লাইলাতুল ক্বাদরের তালাশ না করা)। রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)রমযানের শেষ দশ দিন আল্লাহর ইবাদতে খুব বেশি সময় নিমগ্ন থাকতেন,কেনাকাটি করায় ব্যস্ত থাকতেন না।



২০. ইফতার পার্টির নামে অসংযমি আয়োজন

যদিও অপরকে ইফতারি করানোতে সওয়াব আছে এবং এ কাজে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে, তথাপি আমাদের অনেকেই মুখরোচক ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকেন, যেখানে হিজাববিহীন নারীদের আগমন থেকে শুরু করে অশ্লীল নাচ-গান, নারীপুরুষের অবাধ মেলামেশা, তারাবিহ এর নামাজ ছেঁড়ে দেয়া- এ সবই হয়ে থাকে যেগুলো সম্পূর্ণভাবে ইসলামে নিষিদ্ধ।

---------------------------------------

রমজান, কুরআন-হাদীস সহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে আরও জানতে ভিজিট করতে পারেনকুরআনের আলো । এছাড়া সাইটটির ফেসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে নিয়মিত আপডেট পেতে পারেন QuranerAlo.com - কুর'আনের আলো

সকলকে ধন্যবাদ, সময় নিয়ে পড়ার জন্য।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

আহলান বলেছেন: ঠিক ঠিক

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

রোহান খান বলেছেন: ভালো লাগলো

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

রিয়াজ৩৬ বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

মদন বলেছেন: ++++++

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

রাতুল রেজা বলেছেন: ভালো লিখেছেন। প্রতিটা কথাই চরম সত্য।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

~মাইনাচ~ বলেছেন: রাইট

৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: ভাই হিজাব নিয়ে একটু আলোচনা করলে ভাল হত। হিজাবের হুকুম মানে কি শুধু চুল ঢেকে রাখা? কিংবা স্কিন টাইট গাউন আর স্কার্ফ পরা। আমার তো মনে হয় চারপাশে যা চলছে ( তুর্কি থেকে আমদানীকৃত পোষাক এবং স্টাইল ) তা কি কুর'আনের ভাষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না।

আবহমান কাল ধরে চলে আসা রোজা বা রমজান, রামাদান হয়ে গেল কি ব্রিটীশদের থেকে শেখা RAMADAN শব্দের বদৌলতে? ভাল হত না, ব্রিটিশ ইংরেজিতে RAMADAN না বলে যদি বলতেন সিয়াম!

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

রিয়াজ৩৬ বলেছেন: হিজাব নারীদের জন্য অত্যাবশ্যক/ফরয। স্বয়ং আল্লাহ্ নারীদের আদেশ করেছেন তারা যেন তাদের সৌন্দর্যকে আবৃত করে, যার মধ্যে রয়েছে মুখমন্ডল আবৃত করা, বক্ষদেশসহ তাদের যাবতীয় সৌন্দর্য আবৃত করা।এটাকে নারীদের জন্য ঢাল হিসেবে অমর্যাদা ও প্রলোভনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের আদেশ করা হয়েছে।

জিলবাব’ হচ্ছে একটি বাহ্যিক পোশাক যেটার মাধ্যমে একজন নারী তার সমস্ত দেহ আবৃত করতে পারে তার শরীরে যেকোন অংশের প্রদর্শন ব্যতীত।

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

হাসান বৈদ্য বলেছেন: ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ

৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: মনে হচ্ছে আপনার হিজাব আর কুর'আনের হিজাবের ভেতরে পার্থক্য আছে। এমন কি পর্দা করার আয়াতের সাথে আপনার ব্যাখ্যা মিলছে না।

আমার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর পেলাম না কিন্তু :-B :-B :-B

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২১

রিয়াজ৩৬ বলেছেন: আমার হিজাব হবে কেন? হিজাব কিরকম হবে তা পোস্ট+ কমেন্ট রিপ্লাই বলা আছে। আরেকটু খেয়াল করলে বুঝবেন।

মাহে রমজান' অর্থ রমজানের মাস। রমজান আরবি শব্দ রময হতে থেকে উৎপত্তি যার অর্থ পুড়িয়ে ফেলা,নিঃশেষ করে ফেলা । এ মাসে রোযা পালন করলে মানুষের মধ্য থেকে পাপ, লোভ-লালসা, হিংসা-অহংকার দূর হয়।

রোযা ফারসি শব্দ, এর অর্থ উপবাস। আরবিতে সাওম এর বহুবচন হল সিয়াম। আর এর ফারসী শব্দ হল রোযা। সিয়াম শব্দের অর্থ হল বিরত থাকা, অবিরাম প্রচেষ্টা করা।

আশা করি উভয় শব্দের পার্থক্য বুঝতে পেরেছেন।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.