নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবেগ নয়, বিবেককে প্রাধন্য দাও।।।

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত

If u want to know anything about me, just ask।

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাতের ট্রেন, না মৃত্যুফাদ!!!

১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১১

From: Taraki Hasan Mehedi

একটা খবর পড়লাম...
ট্রেনের দুই বগির মাঝখানে করিডোরের মত জায়গা থাকে... রাতের ট্রেনে এসব যায়গায় সুবিধামত লোক পেলেই ছিনতাইকারী চক্ররা গামছাকে পেঁচিয়ে আক্রমণ করে।
যাকে আক্রমণ করা হবে, তার গলায় পেছন থেকে গামছার এক প্যাঁচ দিয়ে দুপাশ থেকে দেয় হেচকা টান। কিছুক্ষণের ভেতরই ঐ লোক মারা যায়। না মরলেও নিস্তেজ হয়ে পরে।
এরপর তার পকেট থেকে যা নেওয়ার নিয়ে পাশের দরজা দিয়ে ফেলে দেয়। লোকটি জীবিত থাকুক কিংবা মারা যাক- কিছু যায় আসে না তাদের। রাতের বেলা কেউ কিচ্ছু টের পায় না।
গত কয়েক বছরে ঢাকা চিটাগং ট্রেন লাইনের কিছু কিছু স্পটে প্রায় দেড়শ মৃতদেহ পাওয়া যায়। প্রথমে এগুলো অজ্ঞাত পরিচয়ধারীর আত্নহত্যা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।
কিন্তু যমুনা টিভির অনুসন্ধানী রিপোর্টে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দশ, বিশ, পাঁচশ টাকা, পকেটে থাকা মোবাইল ফোন ছিনতাই করার জন্যই মার্ডারগুলা করা হয়।
এই ঘটনার শিকার ফারহান ফুয়াদ তপু। লেখাটি তারই ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া। তিনি যা লিখেছেন, তা সত্যি পিলে চমকানোর মত!!
"আমার সাথেও এই ঘটনাটিই ঘটেছিলো কিন্তু আমার ক্ষেত্রে স্থান ছিলো আলাদা। আমাকে ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি খিলক্ষেত রেলগেট এলাকায় ফেলে দিয়েছিলো ওই গামছা পার্টির হেরোইনখোড়গুলা।
পার্থক্য আমি এয়ারপোর্ট থেকে কমলাপুর আসছিলাম ভার্সিটি থেকে তুরাগ ট্রেনে। তুরাগের এক বগি থেকে আরেক বগিতে যাওয়া যায় না (লোকাল ট্রেন), আর ওই বগিতে শুধু এরাই ছিলো।
ট্রেন ছাড়ার পরে আমার মনে হলো সামথিং ইজ রং, কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। ওরা চোখের পলকে আমার গলায় গামছার ফাঁসটা ঢুকিয়ে দিলো পিছন থেকে আর আমাকে টেনে সিট থেকে নিচে ফেলে দিলো। আমার এরপরের আর কিছুই মনে নেই।
আমার কাছ থেকে ওরা বেশি টাকা পায়নি, সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা ছিলো। মোবাইল মানিব্যাগ নিয়ে গেছিলো, মানিব্যাগ এ আইডি কার্ড ছিলো।
এই ঘটনার পর চারদিন আমার কোনো খোজখবর পাওয়া যায় নাই। পঞ্চম দিন দুপুর বেলা (৬ই জানুয়ারি) আমার মামা আমাকে ঢামেক এর ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডের করিডরের লাস্ট বেডে খুজে পায়। আমার গায়ে আন্ডারওয়্যার ছাড়া ছিলো না আর কোনো কাপড়, সব ছিড়ে গেছিলো"। (উৎস: Click This Link )
গত ১১৪ দিনে মোট ১০০২ জনের মৃত্যু হয়েছে রোড এক্সিডেন্টে (উৎস: দৈনিক প্রথম আলো, ৬ জুন)। এ থেকে বাংলাদেশের সড়ক যে কতটা অনিরাপদ, তা বুঝা যায়। এই জন্য ট্রেনই ভরসা।
সারা বিশ্বেই স্থলপথের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ যান হল ট্রেন... এইজন্য সব দেশই রেলখাতকে খুববেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখে... আর আমাদের দেশে এর উল্টা... ট্রেনে এতো যাত্রী হওয়ার পরেও বছরের পর বছর ধরে নাকি লোকসান!!
ট্রেনে উঠলেই স্টেশন স্টেশনে হিজড়াদের চাঁদাবাজি, ভিক্ষুকদের দৌরাত্ম্য... এর সাথে গামছা পার্টি, মলম পার্টি তো আছেই... ভাসমান দোকান তো ট্রেনের সাথেই চলতে থাকে।
চাইলে খুব সহজেই এসব বন্ধ করা যায়... বিনা টিকিটে যাতে কেউ ট্রেনে না উঠে, সেটা কঠোরভাবে মেইনটেইন করলেই সব বন্ধ হয়ে যাবে।
এটা দুটো ধাপে করা যেতে পারে... প্রথম ধাপে টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। স্ট্যান্ডিং টিকেটে যেতে পারবে।
এর পরের বছর হতে, শুধু সিট অনুযায়ী টিকেট বিক্রি হবে ( স্ট্যান্ডিং টিকেটও বন্ধ)... যত সিট, শুধু তত লোক উঠবে... প্রয়োজনে বগি যোগ করবে, সিট বাড়াবে, কিন্তু অতিরিক্ত লোক নয়...
অথবা ডিডাকটিভ মেথোড হিসেবে এটার উল্টাও করা যায়... প্রথমে শুধু সিট অনুযায়ী টিকিট বিক্রি ( স্ট্যান্ডিং টিকেটও বন্ধ)... এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসলে তখন স্ট্যান্ডিং টিকেটের আবার প্রচলন করা যেতে পারে। কিন্তু টিকেট ছাড়া কখনোই নয়।
এতে হয়তো সাময়িক অসুবিধে হবে, কিন্তু ট্রেনের উজ্জ্বল ও নিরাপদ ভবিষ্যত তৈরির স্বার্থে এটা তেমন অসুবিধেই নয়।
আর প্রত্যেক কামরাতে বাসের মত একজন করে সুপারিনটেন্ডেন্ট থাকবে দেখভাল করার জন্য। আর একজন করে রেল পুলিশ নিরাপত্তার দিক দেখার জন্য।
কালোবাজারি দূর করতে সকল টিকিট অনলাইন সিস্টেম করতে হবে, যেটা সেন্ট্রাল থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে, কিন্তু সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। স্টেশনে কাউন্টার থাকলেও তাদের কাজ হবে এজেন্টের মতই... শুধু টাকা নিয়ে অনলাইন থেকে টিকিট প্রিন্ট করে দেওয়া, এর বাহিরে সিট বা ভাড়ার উপর তাদের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না...
লোকবল সংকটের একটা অযুহাত আসতে পারে... কিন্তু সার্ভিস ভাল হলে টিকেট বেশি বিক্রি হবে... বেশি বিক্রি মানে বেশি লাভ... সেখান থেকেই অনায়াসে শয়ে শয়ে কর্মির বেতন পরিশোধ করা যাবে... এখন তো বাস ও ট্রেনের ভাড়া প্রায় সমানই... হানিফ বাস হাজার হাজার কর্মিদের বেতন দিচ্ছে না? কই থেকে দিচ্ছে? সবই যাত্রীদের টাকা থেকে।
এগুলো কোন অলীক স্বপ্ন নয়... স্বদিচ্ছা থাকলে খুব সহজেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সমস্যা হল, আমাদের দেশের ট্রেনের বেশিরভাগ যাত্রীই গরীব ও অশিক্ষিত শ্রেণীর... আর এই শ্রেণীর লোকদের জন্য দুনিয়াতে কেউই কিছু করতে চায় না...

শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন। সবাই সতর্ক হোন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই খবরটা আমিও পড়েছিলাম। অবস্থা আসলেই ভয়াভয়। অপরাধীদের খুজে শাস্তি না দিলে তারা আরও বিপদজনক হয়ে উঠবে।

১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: হুম। সমস্যাটা আসলে আমাদের চিন্তাধারায়। কে জানে, হয়ত দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও এর থেকে ফায়দা নেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.