হতাশায় ভুগছেন?

১৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৬

চীনে কয়েদীদের এক অদ্ভুত ধরনের শাস্তি দেয়া হত। তাদের এমন একটা পানির কলের নিচে রাখা হত যেটা দিয়ে প্রায় এক ঘন্টা পর পর কয়েক ফোটা পানি পড়ে। ওই কয়েক ফোটা পানির জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করা কত কষ্টকর হতে পারে সেটা বলাই বাহুল্য।
সামান্য কয়েক ফোটা পানির জন্য এত সময় অপেক্ষা করত থাকা কয়েদির ক্ষেত্রে কি ঘটতে পারে তা একটু চিন্তা করে দেখা যাক।

অপেক্ষা করতে করতে এক সময় সে শারীরিকভাবে দূর্বল বোধ করবে।
এই দূর্বলতা তার মনকে দূর্বল করে দেবে।
মানসিক অবসাদ তাকে ঘিরে ধরবে।
এক পর্যায়ে হতাশা আসবে।
হতাশা বাড়তে বাড়তে এক সময় সে জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
হতাশাকে বলা হয় সুইসাইডাল কোর। শোনা যায়, এই ভয়াবহ শাস্তিতে কয়েদিদের আত্নহত্যার প্রবণতা আশংকাজনক হারে বেড়ে গিয়েছিল। অনেকে মানসিক চাপ সইতে না পেরে পাগল হয়ে যেত।

হতাশ হবেন না। অলসতা থেকেই হতাশা আসে। এই মুহুর্তে আপনি কি করছেন? হয়ত ঘরের ভেতর অলস হয়ে পড়ে আছেন। স্মার্ট ফোন বা পিসির স্ক্রিন স্ক্রল করে যাচ্ছেন। কোন কিছুতেই তেমন মনযোগ নেই।
আপনাকেই বলছি। অলসতা ঝেড়ে উঠে বসুন। স্রষ্টাকে ধন্যবাদ দিন আজকের দিনের জন্য। হতে পারে আজকের দিনটিই আপনার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। একটি ভাল বই পড়ুন, নিজের ঘরটাকে পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখুন। কাজ করে নিজের একঘেয়েমি জনিত অবসাদ দূর করে দিন।
মনের অবসাদ দূর করার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে মানুষের উপকার করা। প্রতিদিন কাউকে না কাউকে ছোটখাট কোন সাহায্য করার চেষ্টা করুন। সেটা যত সামান্যই হোক। হতে পারে কোন মানুষকে রাস্তা দেখিয়ে দেয়া, কোন ভিক্ষুককে কিছু টাকা দেয়া, রিক্সাওয়ালার সাথে হাসিমুখে কথা বলা। দেখবেন মানসিক প্রশান্তিতে আপনার মন ভরে যাবে।
নিজেকে নিষ্কর্মা করে রাখবেন না। কৃষক, কাঠমিস্ত্রী, রিক্সাওয়ালা এদের লক্ষ্য করে দেখুন এরা কাজের সময় গুন গুন করে গান গায়। এরা পরিতৃপ্ত। এদের জীবনে অবসাদ নেই।
এবার নিজের যাপিত জীবনের দিকে তাকিয়ে দেখুন। দেখুন না, অযথা নিজেকে নিপীড়িত করে, চোখের জলে ভেসে কিভাবে বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছেন!
এখনই সময়। সময়কে কাজে লাগাবার। আপনার জন্যই অপেক্ষা করে আছে কালকের দিনটি।

২ টি +০/-০