![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
If u want to know anything about me, just ask।
কোটা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে ঢাকা ভার্সিটির হলের ছাত্রদের উপর টর্চার করেছে ছাত্রলীগ।
সুফিয়া কামাল হলের এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রছাত্রীদের উপর নির্যাতন, ভয়, অস্ত্র, লাঠিসোটা প্রয়োগ করা হয়েছে।
সহিংসতার অভিযোগে ইসরাত জাহান এশা নামক এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
আমি জানি আজ যদি ছাত্রদল এই জায়গায় থাকত তাহলেও একই রকম ঘটনা ঘটত। পার্থক্য হত শুধু দলের নামের। ছাত্র নামের সন্ত্রাসীগুলো তখন ছাত্রলীগের ছায়া থেকে বেড়িয়ে ছাত্রদল বা শিবিরের ট্যাগ নিত। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর অত্যাচার চালাত।
এবং বরাবরের মত দেশীয় পাচাটা মিডিয়াগুলো তাদের বংশের পরিচয় দিত।
আমি জানি এমনই হত।
বরাবর দেশের যুবক শ্রেণী প্রতারিত হয়। তারা ব্যবহৃত হয় রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা। যাদের কাজ ছিল জ্ঞানার্জন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, তারা রাজনীতির নামে সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের শক্তিকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, এরপর ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে বিপক্ষকে দমন করার জন্য।
ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের এক লেকচারে শুনেছিলাম, তিনি তার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সময়কার একটা চিত্র তুলে ধরেছিলেন। সত্তরের দশকে বাকশাল সরকারের সময় দেশে যখন চরম অস্থির অবস্থা বিরাজ করছিল, তখন বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে অসংখ্য তরুণ যুবক লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। তরুণদের দোষ ছিল না, তাদের বোঝানো হয়েছিল যে ফ্যাসিবাদী বাকশালের পতন ঘটিয়ে দেশে বিপ্লব ঘটাতে হবে। বিপ্লবের নামে তারা যা করেছিল, তা নৈরাজ্য আর সন্ত্রাসবাদ ছাড়া আর কিছুই না। এই তরুণদের যারা ব্যবহার করেছিল, তারা পরবর্তীতে ঠিকই মন্ত্রী হয়ে গিয়েছিল। কিন্ত বিপ্লবের নামে যেসব অভাগা যুবক আবেগের বসে নিজেদের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ নষ্ট করল, তাদের আর কোন গতি হয় নি।
চিরকালই এমন হয়ে আসছে।।
©somewhere in net ltd.