নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবেগ নয়, বিবেককে প্রাধন্য দাও।।।

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত

If u want to know anything about me, just ask।

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্ন অহমিকা সম্পন্ন বেকার অথবা সার্টিফিকেট ধারী চাকরের গল্প

০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

তিক্ত বাস্তবতা হল এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সার্টিফিকেট ধারী চাকর আর শিক্ষিত বেকার ছাড়া কিছু তৈরী করে না।
এখানে সায়ন্স নিয়ে পড়লে আপনাকে হয় ডাক্তার না হয় ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে। না হলে আপনার সায়েন্সে পড়াটা একরকম বৃথা। আর কমার্সের স্টুডেন্টদের কমন গন্তব্য হল বিবিএ এমবিএ কমপ্লিট করে কোন প্রাইভেট জব খোজা।
নিজের কথাই ভাবুন একবার। প্রাইমারী থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা, ড্রয়িং সবকিছু ব্লেন্ড করে আপনাকে গেলানো হয়েছে।
এরপর যখন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলেন, আপনি হয়ে গেলেন রেসের ঘোড়া। ভাল প্রতিষ্ঠানে চান্স পাওয়ার প্রতিযোগিতা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাল প্রতিষ্ঠানে পড়ানো উদ্দেশ্য শিক্ষার মান নয়, উদ্দেশ্য অন্যের কাছে গর্ব করতে পারা।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার এখানে সায়েন্স পড়ে কেউ একাউন্টিং জব করে, কেউ হয় ব্যবসায়ী। কিছু সৌভাগ্যবান বিসিএস ক্যাডার হয়ে সরকারী চাকরি করে। বাকিরা চাকরীর ইন্টার্ভিউ দিতে দিতে জুতার তলা ক্ষয় করতে থাকে।
এখানে ফিজিক্সের উপর গ্র‍্যাজুয়েট করা ছাত্র ব্যাংকার হয়। আর কেমিস্ট্রি পড়া ছাত্র হয় গ্রামীণফোনের সিইও। বায়োলজি ব্যাকগ্রাউন্ড এর ছাত্র হয় মাধ্যমিক স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক।


এখন কিছু সিরিয়াস কথায় আসা যাক। কিছুদিন আগে প্রথম আলোতে দেখেছিলাম তরুণ প্রজন্মেরর মধ্যে হতাশা বাড়ছে। শতকরা ৭০ ভাগ তরুণ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ।
এই যে হতাশা এর প্রধান কারণ কি? প্রধান কারণ এই ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা কাঠামো।
শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত ছিল যা নৈতিকতার ভিত্তি তৈরী করবে, কর্মমুখী করে গড়ে তুলবে, কর্মকে ঘৃণা না করে নিজ প্রচেষ্টায় উদ্যোক্তা হতে শেখাবে।
অথচ আমরা স্নাতক পাশ করে যখন সার্টিফিকেট পাই, তখন কর্মকে ঘৃণা করতে শিখে যাই। আমরা এলিট শ্রেণীর হয়ে যাই। এর অর্থ আমি দোকানে সেলসম্যানের চাকরী করতে পারব না, নিজ উদ্যোগে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে পারব না। এসব করলে আমাদের সম্মান থাকবে না। অথচ সার্টিফিকেট গলায় ঝুলিয়ে বেকার হয় বসে থাকা আমাদের কাছে ততটা অসম্মানের নয়।
সন্তান ভ্যান চালিয়ে মাটি কেটে টাকা উপার্জন করবে এটা আমাদের অভিভাবকেরা ভাবতেই পারেন না। এটা তাদের চোখে সম্মানহানিকর।
সেই একই সন্তান যখন পলিটিকাল ক্যাডার হয়ে ঘুরে বেড়ায়, এলাকায় চাদাবাজি করে, ২-৩ টা মেয়ের সাথে ফষ্টিনষ্টি করে তখন তাদের সম্মান নষ্ট হয় না।

এই সমাজ কাঠামো আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার অবদান। যে শিক্ষা হালাল কাজকে অসম্মানের চোখে দেখতে শেখায় আর অনিয়ম দুর্নীতিকে ঘৃণা করতে শেখায় না, সেই শিক্ষা কেবল ঘুষখোর চাকর আর আত্ন অহমিকা সম্পন্ন বেকারই দিতে পারবে, জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.