![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
If u want to know anything about me, just ask।
"...আমরা প্রায়ই বলি এখনকার ছেলেপেলেরা খারাপ হয়ে গেছে। আসলে বিষয়টা এমন না। যুবকদের মধ্যে ঈমান আছে। বরং আমাদের মত বুড়োদের চেয়ে বেশিই আছে। আমাদের সময় আমরা যে পরিবেশে যতটুকু খারাপ ছিলাম, সেই তুলনায় এখনকার যুবকেরা অনেক ভাল আছে...
...তবে তাদেরকে এক্সপ্লয়েট করা হয়। তাদের ব্যবহার করে একদিকে সমাজপতিরা রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের ফায়দা লুটেন, অন্যদিকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে।
...আশির দশকের কথা আপনাদের মনে আছে কি না জানি না। তখন বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে শত শত যুবক আন্দোলন করল। যুবকদের মধ্যে সত্যকে গ্রহণ করার, সমাজকে পরিবর্তন করার স্পৃহা কাজ করে। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য যারা রাজপথে নেমেছিল, তাদের কোন নিজস্ব স্বার্থ ছিল না। তারা কেবলমাত্র সমাজকে পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। অথচ যাদের নেতৃত্বে তারা মাঠে নামল, পুলিশের লাঠির আঘাত সহ্য করল, সেই নেতারা কিন্তু পরে ঠিকই মন্ত্রী মিনিস্টার হয়েছে। আর সেই তরুণদের ভবিষ্যৎ চিরতরে ধ্বংশ হয়ে গেছে। তারা না পেরেছে পড়াশোনা করতে, না পেরেছে নিজেদের জীবন গুছিয়ে নিতে। এভাবেই যুগে যুগে তরুণদের ব্যবহার করা হয়।
যুবকদের রক্তে থাকে অস্থিরতা। আমাদের সমাজ তাদের বলে পাপ কর... বন্ধু বলে পাপ কর... মোবাইল বলে পাপ কর... এমন কি মা বাবাও বলে পাপ কর!
এমন অবস্থার মধ্যেও কোন যুবক যদি অন্তত ফরজ নামাজগুলো ঠিকমত আদায় করে, সুন্নতি দাড়ি রাখে, সে আমাদের মত বুড়োধারাদের থেকে অনেক আগে আল্লাহর ওলী হয়ে যায়...
...যেটা ববলছিলাম ভাইয়েরা, আমরা আমাদের সন্তানদের বুঝতে পারছি না। তাদেরকে আমরা পাশ্চাত্য সভ্যতার মত ছেড়ে দিচ্ছি। ছেলেমেয়েরা পাশ্চাত্যের মত অবাধে মেলামেশা করছে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের মধ্যে ইমোশন কাজ করে। এবং এই ইমোশনের প্রভাবে তারা বিয়ে করার জন্য উদ্যোগী হয়। তখন আমরা তাদের সিদ্ধান্তকে মানতে পারি না।
...এই যে যুবকদের আমরা খারাপ বলি, কিন্তু বিশ্বাস করেন ওর মধ্যে ঈমান আছে। ওদের মধ্যে পাপবোধ কাজ করে বলেই ওরা বিয়ে করতে চায়। ওর মধ্যে যদি ঈমান না থাকত তাহলে তারা বিয়ে করত না।
সন্তান এতদিন লুকিয়ে রিলেশন করেছে, কিন্তু সন্তান যখনই বিয়ে করতে চায় তখনই বাবা মায়ের সম্মানে লেগে যায়। "এতদিন যা করছিলি করতি, কিন্তু বিয়ে কেন করতে গেলি?" তার মানে কি দাড়াল, বিয়ে করা হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ কাজ! এতদিন সন্তান ব্যভিচার করে বেড়িয়েছে তাতে কিন্তু তাদের সম্মানে লাগে নি! যখনই বিয়ে করেছে তখনই তাদের মানসম্মানে লেগেছে!
আপনার সন্তান আজ আপনার অমতে আরেকজনকে পছন্দ করেছে, এটা আপনি মানতে পারছেন না। এতে ওর যতটা না দোষ আপনার তার থেকে বেশি দোষ। আপনার এখন উচিত সন্তানের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া এবং তার দাম্পত্যজীবন যেন সুন্দর হয় সেই চেষ্টা করা..."
[শ্রদ্ধেয় ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ) এর লেকচার থেকে পরিলিখিত ও সামান্য পরিমার্জিত]
©somewhere in net ltd.