নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে টেলিফোন করে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেছেন। এই টেলি-সংলাপের সারকথা হল- পাকিস্তান বাংলাদেশের সাথে নতুন করে সম্পর্ক গড়তে চায়! সেই আলোচনায় যাবার আগে একটু পেছনের দিকে হাঁটা যাক।
একাত্তরের পর পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের একবারই সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছিল! সেটি ছিল ১৯৭৪ সালের ত্রিদেশীয় সিমলা চুক্তি'র পর। ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিদেশীয় সিমলা চুক্তির ফলে তখন পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। বিনিময়ে পাকিস্তান ভারতে আটক যুদ্ধবন্দীদের ফেরত নিতে পেরেছিল। তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো নামকাওয়াস্তে বাংলাদেশের জনগণের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন এবং অতীতের কথা ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান সিমলা চুক্তির অনেক শর্ত পরবর্তীতে ভঙ্গ করেছিল।
পাকিস্তানের সাথে মূলত যে কারণে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠেনি-
১. পাকিস্তান একাত্তরে গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের কাছে আনুষ্টানিকভাবে কখনো ক্ষমা চায়নি।
২. বাংলাদেশে আটকে পড়া প্রায় পাঁচ লাখ পাকিস্তানীকে তারা প্রায় দীর্ঘ ৫০ বছরেও ফিরিয়ে নেয়নি।
৩. বাংলাদেশ থেকে লুট করা সম্পত্তি আজ পর্যন্ত পাকিস্তান ফিরিয়ে দেয়নি।
৪. ভারতের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ককে পাকিস্তান কখনো সুনজরে দেখেনি।
৫. ভারতের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে পাকিস্তান ভালো ভাবে নেয়নি।
৬. বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে পাকিস্তানকে এখনো শত্রু দেশ হিসেবে দেখা হয়।
৭. পচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে মুজিব হত্যায় পাকিস্তানের ইন্ধন যোগানো।
৮. একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রকাশ্যে অবস্থান এবং বিচারের বিরোধিতা করা।
৯. বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রতিবাদে ২০১৬ সালে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব পাশ।
এই নয়টি বিষয়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দিয়ে বাংলাদেশের জন্য নতুন করে পাকিস্তানের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পরিনতি হবে আরো ভয়াবহ! মনে রাখতে হবে পাকিস্তান আমাদের চিরশত্রু। সম্প্রতি ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন এবং আসামে এনআরসি জটিলতার কারণে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে যে চাপ তৈরি হয়েছে, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নতুন কূটনৈতিক দৌড় শুরু করেছে পাকিস্তান। স্বাভাবিক সময়ে পাকিস্তান কিন্তু চুপ মেরেছিল! সুযোগ বুঝে এখন কেন এই দৌড়ঝাপ? তার মানে পাকিস্তান সবসময় সুযোগের অপেক্ষা করছে!
দিল্লী'র অনুরোধে প্রায় ২০ মাস ঢাকায় পাকিস্তানের একজন নতুন হাই কমিশনার নিয়োগের অনুমোদন ঝুলিয়ে রেখেছিল ঢাকা। কিন্তু আসামের এনআরসি ঘটনার পর গত নভেম্বরে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানী হাই কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীর নিয়োগ অনুমোদন করে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের জন্য পাকিস্তান যে খোড়া যুক্তি দাঁড় করিয়েছে তা হল- চীনের সাথে তাদের সম্পর্ক ভালো। ভারতকে এড়িয়ে চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় শক্তিশালী অর্থনৈতিক বলয় গড়ে তুলে নতুনভাবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার যে প্রস্তাবনা, তা অত্যন্ত ঠুনকো যুক্তি। চীনের সাথে বাংলাদেশের এমনিতেই সম্পর্ক ভালো। সেজন্য পাকিস্তানের সমর্থন প্রয়োজন নাই। বরং ভূ-রাজনৈতিক কারণে চীন এমনিতেই বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
পাকিস্তান মুখে আর যে কথাটি উচ্চারণ করেনি, তা হলো ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক দিনেদিনে আরো বৈরী করতে হবে! চুয়াত্তরে পাকিস্তানকে একবার সুযোগ দেবার পর পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এদেশে নোঙর ফেলেছিল, যার ফল কিন্তু পচাত্তরের ১৫ আগস্ট! ফলে পাকিস্তানের নরম-কোমল কথায় চিড়ে ভিজালে তার ফলাফলও হবে আরো ভয়ংকর। বরং ঢাকা দিল্লীর সাথে কতটুকু সম্পর্ক রেখে বেইজিংয়ের প্রতি কতোটা নমনীয় হবে, সেই কৌশল নিজেদের কূটনৈতিক যোগ্যতা দিয়েই তৈরি করতে হবে। আর তা করতে হবে পাকিস্তানের কোনো ধরনের সংযোগ ছাড়াই!
২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
হাউকাউ
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭
লরুজন বলেছেন: হাউকাউ! কতা কইতাম যদি রেজা ভাই উত্তর দিত,
রেজা ভাই জীবনেও উত্তর দিত না,
হেতে পোস্ট দিয়া ক্যামেরা লাইট এ্যাকশন লইয়া ব্যস্ত অইয়া থাহে গভীর রাইত তক।
আমরা বুঝি গো।
৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
লরুজন বলেছেন, " হাউকাউ! কতা কইতাম যদি রেজা ভাই উত্তর দিত, রেজা ভাই জীবনেও উত্তর দিত না, হেতে পোস্ট দিয়া ক্যামেরা লাইট এ্যাকশন লইয়া ব্যস্ত অইয়া থাহে গভীর রাইত তক। "
-ব্লগে ল্যাদাাইলে মন্তবের উত্তর দিতে হয়।
৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮
জগতারন বলেছেন:
মন্তব্য করতে যেও মন্তব্য করলাম না।
কারন এ পোষ্টার তার পোষ্টে কোন মন্তব্যেরই উত্তর দেয় না।
৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: পাকিস্তানের সাথে আমাদের কোনো প্রকার সম্পর্কই সরকার নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬
হাবিব ইমরান বলেছেন:
কিন্তু দুঃখের কথা হলো পাকিদের সাথে এত কিছু হওয়ার পরও বাংলাদেশে পাকিপ্রেমির অভাব নেই। বাংলাদেশের জনগণের বেশিরভাগই দেখি পাকিদের সাপোর্ট করে।
কিন্তু কেন?