নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দু’একটা শব্দ খুঁজি/ দু’একটা কথার মালা/ মনের গভীরে যেন কোথায় বাজে সুর/ সে কোন বিষন্ন দুপুর /একলা পথ চেয়ে থাকে/ ধরা দেয়- ধরা সে দেয় না আবার -/ কেবলই আঁধারে লুকায়/ কেবলই মিলিয়ে যায় / এ জীবন তারই খোঁজে কাটে, অন্তঃহীন লুকোচুরিতে।

রুহুল গনি জ্যোতি

রুহুল গনি জ্যোতি

রুহুল গনি জ্যোতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অঙ্গীকার

১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪১

অঙ্গীকার
রুহুল গনি জ্যোতি
সব মেঘেই যেমন বৃষ্টি হয় না, সব স্বপ্ন যেমন বাস্তবতার মুখ দেখে না তেমনি সব ভাবনাই শেষ পর্যন্ত কাগজের বুকে কবিতা হয়ে ফুটে ওঠে না। কেন এমন হয় তা কিছুতেই মাথায় আসে না অষ্টাদশী রিতা নাফিসের। অথচ কবিতা লেখার বিষয়টি তার প্রাণের চেয়েও প্রিয়। জীবনটাকে সে কবিতা লিখেই খরচ করে ফেলবে এমন ভাবনাই তার মনকে সারাক্ষণ আচ্ছন্ন করে রাখে।
কবিতা ছাড়া আর কিছুই যেন ভাবতে পারে না রিতা। চলতে ফিরতে শয়নে-স্বপনে শুধুই কবিতা তার মনকে সারক্ষণ আছন্ন করে রাখে। অথচ লেখার টেবিলে বসলে সব ভাবনা যে কোথায় মিলিয়ে যায়, তা সে শত চেষ্ট করেও আর খুঁজে পায় না। তখন খুব রাগে মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করে। তবু জোর করে টেবিলে বসে থাকে রিতা। কাগজ কলাম নিয়ে এটা সেটা আঁকা ঝোকা করে। কখনো আকাশ-কুসুম কল্পনায় ডুবে যায় আর গুন গুন করে গান গায়- ‘কোথাও আমার হারিয়ে যেতে নেই মানা/ মনে মনে’ বেশ লাগে তার এই গানটা গাইতে। স্বয়ং রবি ঠাকুর যদি এমন কথা লিকতে পারে তবে তার আর দোষ কি? সে এভাবেই হারিয়ে যেতে চায়- হোক না সে মনে মনে।
বাসার লোকজন কবিতা নিয়ে তার এই পাগলামীর কথা তেমন একটা জানে না। সে নিজেও মুখ ফুটে এসব নিয়ে আলোচনা করে না। বাসায় সে সাধারণত চুপচাপ লক্ষী মেয়ে হয়েই থাকে। ফলে সবাই ভাবে খুব মন দিয়ে সে পড়ালেখা করছে। কিন্তু আসলে তো অশ্বডিম্ব। তাছাড়া আর কি। কারণ, পড়ালেখা নিয়ে এত ব্যস্ত একটা মেয়ে যখন পরীক্ষায় ততটা ভাল করতে পারে না তখন সবাই ধরেই নেয় যাক, সিরিয়াসলি পড়ালেখা করলেও পরীক্ষায় হয়তো খারাপ করেছে। আবার কেউ কেউ এমনও বলে যে, আসলে ও তেমন একটা মেধাবী নয়। তাই হয়তো, এত পড়ালেখা করেও পরীক্ষায় তেমন ভাল ফল করতে পারছে না।
রিতা অবশ্য বেশ ভাল করেই বোঝে যে, এভাবে হয় না। জোর করে কি কেউ কবি হতে পারে। লেখাটা যদি মাথা থেকে না বেরয়। যদি মনের আনন্দে নাচতে নাচতে অবলিলায় মনের গভীর থেকে কবিতা না বেরয় তাহলে সে আবার কিসের কবি? লেখালেখির বিষয়টা তো আর কৃষিকাজ না যে গায়ের জোড়ে চালিয়ে গেলেই হলো।
মাঝে মাঝে এসব ভেবে নিজেকে খুব হতাশ মনে হয়। সেই হতাশা সব কিছুকে গ্রাস করে ফেলতে চায়। তবু রীতা চেষ্টা করে যায়। মন শক্ত করে ভাবে এভাবে ছেড়ে দেয়া যায় না। সে কিছুতেই ছেড়ে দেবে না- দিতে পারে না। কারণ এটা তার সাধনা। একদিনে তো আর কারো পক্ষে কবি হয়ে ওঠা সম্ভব না। মানুষের চেষ্টায় কি না হয়। মন যা চায় তাই করবে সে। তার মনটা যে আসলেই কবি এ বিষয়ে তার কোন সন্দেহ নেই। কবি না হলে সে এমন করে ভাবতে পারতো না। এই যে তার মনে এত রঙের বাহার- কবি না হলে এটাও তো থাকতো না। সে তো সব কিছুতেই মজা আর আনন্দ খুঁজে পায়। সারাক্ষণ তার মাঝে যেন আনন্দ ধারা বইতে থাকে। আবার একই ভাবে মানুষের দুঃখ, কষ্ট বেদনা, বেদনাও তাকে স্পর্শ করে অনেক গভীর ভাবে। তবে তা কখনো আনন্দকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে পারে না। সে একই সঙ্গে আনন্দ আর বেদনায় ভাসতে পারে ডুবতে পারে। এমনটা কেবল কবিদের পক্ষেই সম্ভব। বড় বড় অনেক কবির জীবনের এমন ঘটনা সে বইয়ে পড়েছে।
আবার মাঝে মাঝে মনে হয়, তার মধ্যে কোন প্রতিভাটতিভা নেই- সে হয়তো মিছেই একটা ভাব ধরে থাকে। তখন সে ভাবে সব কিছু ছেড়েছুড়ে দিয়ে সমাজের আর দশটা মেয়ের মত সাটামাটা জীবন যাপন করবে। বিয়ে থা করে সংসারি হবে। তার পর একের পর এক বেশ কয়েকটা সন্তান উৎপাদন করে মনের আনন্দে তাদের লালন-পালন করবে।
তখন তার কেবলই মনে হয়, কাব্যের এই মায়াবি পথ যেন তার নয়। এ পথ থেকে তার সরে আসা উচিৎ। তাছাড়া সন্তান জন্ম দেয়াটাও তো বেশ মজার। এর মধ্যেও তো এক বিশাল সৃষ্টিশীলতা রয়েছে। আবার সেই সন্তান যদি মহামানব হয় তাহলে তো কথাই নেই। তাতে শুধু তার নিজের নয় গোটা মানব জাতিরই যে মুক্তি মিলতে পারে তাতে আর সন্দেহ কি!
সবে মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে রিতার যেন সব কিছুই অন্যরকম লাগে। জীবন যে এত সুন্দর হতে পারে তা আগে কখনো মনে হয়নি। এখন সে কত স্বাধীন। জীবনকে যে কত ভাবে সাজানো যায় তা ভার্সিটিতে না এলে রিতা বুঝতেই পারতো। ক্যাম্পাস যেন এক বিশাল রঙ্গমঞ্চ। এখানে একদিকে ক্লাশ চলছে আবার পাশেই চলছে চুটিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা। সেই সঙ্গে বক্তৃতা-গলাবাজী তো আছেই। আবার সুললিত কণ্ঠের আলোচনা অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, গান, নাচ, বিতর্ক, নাটক, সমাজ সেবা, স্কাউটিং সবই চলছে যার যার মত করে। কোন খানেই জনসমাগমের অভাব নেই। যার যা ভাল লাগছে সে সেদিকেই ছুটছে। এ নিয়ে কারোরই কোন মাথা ব্যথাও নেই।
রিতার বান্ধবী পপি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেই তার আগের পাত্তিওয়ালা প্রেমিক মুশতাককে ছেড়ে একেক দিন একেক জনের সঙ্গে চুটিয়ে ডেটিং করতে লাগলো। কারণ, ইতোমধ্যেই পপি বুঝে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাথামোটা পয়সা ওয়ালা মুস্তাকের চেয়ে অনেক স্মার্ট আর বিলিয়ান্ট প্রেমিকের কোন অভাব নেই। আর জীবন তো একটাই তাই সারাজীবনের যে সঙ্গী হবে তাকে ভালভাবে যাচাই বাছাই করে নেয়াই ভাল। মুশতাককে অবশ্য সে এখনো চুড়ান্ত নোটিশ দেয়নি, দেয়ার তেমন ইচ্ছেও নেই। কারণ, হাতে রাখতে দোষ কি। মুশতাক তো আর ক্যাম্পাসে ডেটিং করতে আসছে না।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে রীতিমত ভয় পায় মুশতাক। সারাজীবন ব্যাক বেঞ্চার ছিল যে তার তো এই দশা হবেই। মুশতাক নাকি জান দিয়ে পপিকে ভালবাসে এবং পপির জন্য যে কোন চ্যালেঞ্জ সে গ্রহন করতে রাজী আছে- সেকথা সে পপির মুখেই অন্ততঃ হাজার বার শুনেছে। পপির মাথায় স্মার্টনেসের বিষয়টি যেমন আছে আবার জীবনে টাকা-পয়সারও তো দরকার। টাকা পয়সা ছাড়া স্ট্যাটাস ধরে রাখবে কিভাবে? সেকথাও পপি ভাবে।
মুশতাক ওর জন্য যেভাবে দু’হাতে টাকা পয়সা ওড়ায় এমন ছেলে সারা ক্যাম্পাসে একটিও পাবে কিনা তা নিয়ে পপির সন্দেহ আছে। সে ভাল করেই জানে মুশতাক তার ক্যাম্পাসের পার্টটাইম প্রেমিকদের নিয়ে কখনো ঘাটাতে আসবে না। কাজেই এভাবেই যদি জীবনটা কাটানো যায় তাতে দোষ কি?
রিতার আরেক বান্ধবী নিশো আছে রাজনীতি নিয়ে। দেশোদ্ধারই নাকি তার প্রধান ব্রত। অন্ততঃ মুখে তো সে সারাক্ষণ এরকমই বলতে থাকে। কিন্তু বাস্তবে সে আবার অন্য রকম। ছাত্র রাজনীতি করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার কয়েক মাসের মধ্যেই ওর আচার আচরণ কেমন যেন পাল্টে গেছে। চালচলন পোশাক-আসাক কোন কিছুতেই সে আর আগেই সেই গোবেচারা টাইপের নিশোটি নেই। আগে ওর সঙ্গে যে কত আড্ডা হতো। তখন ও বেশ সহজ সরলই ছিল। রাজনীতিতে ঢোকার পর থেকেই ও যেন আর স্বাভাবিক মানুষটি নেই। একদম আমূল পাল্টে যাওয়া উড়নচন্ডি টাইপের একটা ক্যারেক্টারে পরিনত হয়েছে সে। কোথায় যায়, কি খায়, কি করে- তা সে নিজে ছাড়া আর কেউ জানে না। কাউকে সে কেয়ারও করে না।
মাঝে মাঝে নিশো রাতে বাসাতেই ফেরে না। এটা নিয়ে ওর বাসায় এখন আর খোঁজ-খবর রাখারও কেউ নেই। মা মারা গেছে গত বছর। এর মধ্যেই ওর বাবা নতুন আরেকটা বিয়ে করে সেই নতুন বউ নিয়ে এত বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন যে মেয়ের খোঁজ রাখার কোন সময়ই তিনি আর পান না। হয়তো সে প্রয়োজনও তিনি মনে করেন না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একটা মেয়ের আর কি-বা খোঁজ খবর রাখার আছে- হয়তো এমনটাই ভাবেন তিনি।
এদিকে ওর নতুন মা তো নিশোকে সহ্যই করতে পারে না। ফলে অমন দু’চারদিন বাসায় না ফিরলে কাজের লোকরা ছাড়া ওর অভাব বোধ করার মত বাসায় আর কেউ নেই।
নতুন মা বরং চান মেয়েটা যত দূরে থাকে ততই বরং মঙ্গল। তাতে তার নতুন বরের সঙ্গে তার বরং রোমাঞ্চটা জমে ভাল।
ফলে নিশোর অবাধ স্বাধীন জীবন-যাপনে পারিবারিক দিক থেকে এখন আর কোন ঝামেলা নেই। ও অবশ্য এমনিতে বরাবরই একটু স্বাধীনচেতা এখন রাজনীতিতে যোগ দিয়ে সে আরো বেশী বেপেরায়া হয়ে ওঠেছে। তবু, নিশোর জন্য ওর খুব মায়া লাগে। মাঝে মাঝে কষ্টও হয়। রিতা বেশ বুঝতে পারে বড্ড অভিমানী নিশো নিজেকে বাইরে ব্যস্ত রেখে জীবনের এই বাস্তবতার কষ্টটাকে ভুলে যেতে চাইছে।
ওদেরই পাড়ারই আলমাস, সে যোগ দিয়েছে নাটকের দলে। আলমাস ভাল গানও করে। একসময় রিতার সঙ্গে বেশ ভাব ছিল। বান্ধবীরা তা নিয়ে হাসাহাসি করতো। কিন্তু আসলে তা আর তেমন গভীর হয়নি। আর এখন তো আর তেমন দেখাই হয় না। কারণ একেতো ওর ফ্যাকাল্টি আলাদা, তার ওপরে নাটক নিয়ে সে এত ব্যস্ত যে দেখাই পাওয়া যায় না। ওর নাটকের দল ঢাকার বাইরেও যায়। অভিনয়ে আলমাস নাকি বেশ সুনাম করেছে। রিতা হঠাৎ হঠাৎ নাটক দেখতে যায়। কিন্তু কেন যেন আলমাসের নাটক আজো দেখা হয়ে ওঠেনি। দু’একবার দেখবে বলে উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত আর যাওয়াই হয়নি। মনে মনে ভেবেছে আরে আলমাসের নাটক আর কি দেখেবো- ও তো ভালকরে কথা বলতেই পারে না।
মাঝে মাঝে ওর যে কি হয় তখন বেশ অহংকারি হয়ে ওঠে সে। নিজেকে ছাড়া কাউকে নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে করে না। কারো সঙ্গে তেমন কথাও বলে না। একদম নিজের মধ্যে ডুবে থাকে।
রিতারা দু’বোন রিতা আর মিতা। মিতা ওর এক বছরের ছোট ও কলেজে পড়ে। মিতা কিন্তু রিতার একদম বিপরীত। পড়ালেখায় যদিও রিতার চেয়ে একটু ভাল তবে দেখতে ভারী মিষ্টি। মিতা সেটা বেশ ভালভাবেই জানে। আর জানে বলেই ইতোমধ্যে কত ছেলেকে যে সে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুড়িয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। এখনো অবশ্য একটাই ধরে রেখেছে। সারাক্ষণ ওদের দু’জনের মেলা-মেলামেশা আর আদিখ্যেতা দেখলে মনে হয়- ওরা যেন মেড ফর ইচ আদার। কিন্তু মিতার কথা হলো আগে সব ধরণের ছেলেদের পরীক্ষা করে দেখি তারপর আস্তে ধীরে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। সবে তো জীবন শুরু। জীবনের বাকী সময় তো পড়েই আছে। এই ছেলে নাকি এখনো মিতার পরীক্ষায় পাশ করেনি। তবু ঝুলিয়ে রেখেছে। কারণ, এতে নাকি বেশ কাজ দেয়- কি কাজ দেয় সেটা মিতাই ভাল জানে রিতা কখনো ওকে এসব নিয়ে ঘাটায় না।
আজকাল মেয়েরা অনেক সচেতন আর চালাক। কিন্তু রিতা মোটেই সে রকম মেয়ে নয়। যদিও সে নিজেকে যথেষ্ট রোমানন্টিক আর সচেতন মনে করে। সবার সঙ্গেই মিশতে পারে সে। মানুষ নিয়ে ওর তেমন একটা বাচবিচার নেই। অনেক বন্ধুও আছে ওর। কিন্তু আজও ওর তেমন কারো সঙ্গেই কোন রোমান্টিক সম্পর্ক তৈরি হয়নি। এ ধরনের প্রস্তাব যে পায়নি না নয়। কিন্তু কাউকেই ওর তেমন বিশেষ কেউ মনে হয় নি, যার সঙ্গে একটু রোমাঞ্চ করা যেতে পারে। তাই, আজো রিতার সব রোমাঞ্চ কবিতার সঙ্গে, লেখালেখির সঙ্গে। সারাক্ষণ নতুন কিছু পড়া আর লেখার নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে সে।
মাঝে মাঝে বসে বসে ভাবে এত হতাশ হওয়ার কি আছে? লেখালেখিটা তো আসলে একধরনের সাধনা। আর এই সাধনায় সবারই যে সিদ্ধি লাভ হবে এমন কথা কে বলতে পারে। তবে প্রতিনিয়ত এই যে চেষ্টা এই যে চর্চা এর মধ্যেও আনন্দ আছে। মাঝে মাঝে ভাল কিছু লিখতে পারলে নিজেকে বেশ তৃপ্ত মনে হয়।
রিতা তেমন প্রতিষ্ঠিত কোন কবি বা গল্পকার নয়। সে হিসেবে কেউ তাকে চেনেও না বা পাত্তাও দেয় না। বিশেষ করে তার পরিবারের কেউ তো তার লেখালেখির বিষয়টিকে কখনো গণনার মধ্যেই ধরে না।
তবু তার মনে আশা জেগে থাকে। সারাদিনের শতকাজ আর ব্যস্ততার মাঝেও সে সময় করে প্রতিদিন অন্ততঃ একবার তার লেখার টেবিলে বসে। এটাই তার একান্ত নিজস্ব জগত। এই যে এত পড়ালেখা ক্লাশ পরীক্ষা পাশ করে কর্মজীবনে প্রবেশের ভাবনা- সব কিছু ভুলে গিয়ে রিতা যেন এইটুকু সময়ের জন্য নিজের দিকে তাকায় আর নিজের সঙ্গে কথা বলে। একুটু সময়ই তার কাছে খুব দামি হয়। ওই সময়টুকুতেই সে নিজের কাছে প্রকৃত একজন কবি সেটা কেউ মানুক বা না মানুক। রিতা কারো কাছে কোন স্বীকৃতি চায় না। তবে সে তার এই প্রচেষ্টাটুকু আজীবন চালিয়ে যেতে চায়। একজন কবি বা লেখক হিসেবে এ তার ইস্পাত কঠিন ও দৃঢ় অঙ্গীকার। প্রতিদিন এই ভাবনাটুকুই তাকে সবচেয়ে বেশী তৃপ্ত করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.