![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাম রিদওয়ান। পিউর আকীকা দেওয়া নাম। অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখি। খেতে পছন্দ করি। গানও ভালবাসি। একটু অলস,বেশি না। ইচ্ছা হলেই লিখি। পছন্দের তালিকাটা বিশাল। অপছন্দের তালিকাটা খুব ছোট। খামাকা ত্যানা প্যাচান যারা তাদের অপছন্দ করি। অপছন্দ করি যারা যুক্তির বাইরে এরোগেন্স বা ওদ্ধত্যকে প্রকাশ করেন। আমার ব্লগে আসতে হবে এমন কোন কথা নেই। তবে পিলাস মাইনাস দেওয়ার আগে পোষ্টটা পড়তে হবে, এটা দাবি।\nফি আমানিল্লাহ।
গরু একটি বলদ টাইপ প্রাণী। শাস্ত্রে প্রকাশ, বলদও গরুর একটি প্রকার মাত্র। এই বলদ মার্কা প্রাণীটি সকাল থেকে সন্ধ্যা কাজ করে একটি।
খাওয়া।
খাবার না থাকলে, এমনিতেই জাবর কাটে ।
অন্যদিকে ঘোড়া প্রাণীটিও বলদ মার্কা। শান্তশিষ্ট, লেজবিশিষ্ট। দৌড়ায় খুব ভালো। এই ঘোড়ার একটি রোগের নাম ঘোড়ারোগ। তখন ঘোড়া আরো বেশি দৌড়ায়।
গরুর ঘোড়ারোগ হলে গরু তখন ঘোড়ার চেয়েও বেশী দৌড়ায়। মনে হয় নতুন কোন প্রাণী।
গরুর ঘোড়ারোগ এমনই।
কয়েকদিন আগে একটা বিয়েতে গিয়েছি।
অভিজাত বিয়ে। ফাইভ স্টার হোটেলের বলরুমে।
বর খুব কাছের মানুষ। অল্প বয়সে হালাল পথে প্রচুর পয়সার মালিক।
সাধারণত সামাজিক প্রোগ্রাম গুলোতে আমি একটু অপ্রতিভ। লজ্জা পাই,বলতে গেলে। খাওয়ার জন্য কেউ হাত ধরায় বসায় না দিলে না খেয়েই ফিরে আসি । সময় কাটাই মানুষের আচরণ দেখে।
এক বড় ভাই খাবার টেবিলে বসায় দিলেন। খেতে বসে এলাহি কান্ড। আমার টেবিলে আরো কয়েকজন। খেতে খেতে খেয়াল করলাম একজন বলল বীফ নাই? ভদ্রলোক বীফ বীফ করে চিল্লান। আর আমি হাসি।
আরেকজন বলে উঠলেন, আমি বীফ খাই না, চিকেন আছে? একজন খোঁজেন মাটন। এর ফাকে গরু, মুরগী আর খাসী হারায় গেলো। এই লোকগুলো যখন কোন কনিউনিটি সেন্টারে বিয়েতে যান তখন কিন্তু ইংরেজি শব্দগুলো বেমালুম ভুলে যান। দেরী দেখে খিস্তি ঝাড়েন।
আর সাধারণ কোন চায়ের দোকানে হলে, গালির ফোয়ারা ছুটে।
এটাই গরুর ঘোড়ারোগ।
ছোটবেলায় প্রচণ্ড দুষ্ট ছিলাম। বন্ধুমহলে এখনও রিদওয়ান দ্য লিজেন্ডারি দুষ্ট। দুষ্টুমির আওতায় অনেক কিছু করেছি। কিন্তু এখন? সুবোধ বালক। আমার দুষ্টুমির সময় যাদেরকে দেখতাম খুব সুবোধ বালক, তারা এখন সেই লেভেলের মডার্ণ। কয়েকদিন আগে একজন ছোটভাই ফেসবুকে হোলি নিয়ে একটা এলবামম আপলোড দিলো। এই এলবাম যদি ওর বাপে দেখে, তাহলে ট্যাং ধরে ঝুলায় রাখবে। নাহলে পাছায় লাত্থি মেরে বাড়িছাড়া করবে।
বাংলাদেশী মুসলিমের হোলি খেলা, গরুর ঘোড়ারোগ।
যারা এখানে হোলি খেলতে গেছে খবর নিয়ে দেখা যাবে, অধিকাংশ ঢাকার বাইরে বড় হয়েছে। বাপের শখ ছিলো, ছেলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবে, তাই পাঠিয়েছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে। কিন্তু এই মহৎ-মহিয়সীরা পড়াশোনা বাদে আর সব শিখে ফেলে।
ঢাকাইয়া দের চেয়েও বেশী ঢাকাইয়া হয়ে যায়। এটাও গরুর ঘোড়ারোগ।
ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তা বেটা গরু হয়ে ঘোড়া সাজতে যাস কেন?
গরু যদি গরু থাকতি তাহলে অন্তত লাভ হত। দুধ দিতি, মানবতার উপকার হত। এখন ঘোড়া হতে গিয়ে দুধ দেওয়াও বন্ধ, ঘোড়ার মত দৌড়ানো তু বহুৎ দুর কি বাত।
এভাবে যে সংস্কৃতির বলৎকার করা হচ্ছে কারো মাথায় আছে? রবীন্দ্রনাথের একটা কবিতার কয়েকটা লাইন দিচ্ছি
“যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি
বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি”
এইভাবে যে তুচ্ছ কিছু আচার তৈরির প্রচেষ্টা হচ্ছে, পরবর্তী প্রজন্ম মানে তোমাদের পোলাপাইন করলে কেমন লাগবে,চিন্তা করেছো?
গাধার দল বলে গাধাকে তুচ্ছ করতে চাই না।
সো রিডার্স, ইউ হেভ বিন ওয়ার্ন্ড।
ভালো থাকুন, সৎ থাকুন, অসত্য রুখে দিন।
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬
তিক্তভাষী বলেছেন: উপস! ক্লিক দিস লিঙ্ক।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮
রিদ্ওয়ান মাহমুদ বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহাহ। ধন্যবাদ।
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ঘোড়ার মত দৌড়ানো তু বহুৎ দুর কি বাত।
এটাও গরুর ঘোড়ারোগ।
(হাহাহাহাহাহাহা) গোসা করবেন না। আমি আসলে গরুই থাকতে চাই। সমস্যা হলো, গরু থাকা খুব কষ্টের!
ঘোড়ারোগে জাঁততে চায়!
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
রিদ্ওয়ান মাহমুদ বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহ। গরু থাকা আসলেই কষ্টের । তবে গরু হয়ে ঘোড়া হতে চাওয়া, পাগলামি। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
তিক্তভাষী বলেছেন: গরুকে হেয় করে লেখা উচিত হয়নি। আপনি বোধহয় জানেন না পাশের বন্ধুদেশটি গরুকে রাষ্ট্রমাতা করতে চাইছে। এ লেখার ফলে দুটি দেশের সম্পর্কে টানাপোড়ন শুরু হলে তার দায়ভার কিন্তু আপনার একার।