![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাম রিদওয়ান। পিউর আকীকা দেওয়া নাম। অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখি। খেতে পছন্দ করি। গানও ভালবাসি। একটু অলস,বেশি না। ইচ্ছা হলেই লিখি। পছন্দের তালিকাটা বিশাল। অপছন্দের তালিকাটা খুব ছোট। খামাকা ত্যানা প্যাচান যারা তাদের অপছন্দ করি। অপছন্দ করি যারা যুক্তির বাইরে এরোগেন্স বা ওদ্ধত্যকে প্রকাশ করেন। আমার ব্লগে আসতে হবে এমন কোন কথা নেই। তবে পিলাস মাইনাস দেওয়ার আগে পোষ্টটা পড়তে হবে, এটা দাবি।\nফি আমানিল্লাহ।
নীলনদে তখন খরা , প্রচুর খরা। পানির কোন চিহ্ন নেই। মানুষের মাঝে খুব আতংক। এবারও বুঝি...............।
উপায়ন্তর না দেখে তারা গেলেন আমর ইবনুল আস (রা), মিশরের গভর্ণরের কাছে। বললেন,
হে আমীর, নীলনদ আজ শুকিয়ে পাথর। আমরা যদি সে কাজটি না করি তাহলে এই নদ আর পানিপূর্ণ হবে না।
গভর্ণর আমর ইবনুল আস জানতে চাইলেন, কি সে কাজ?
তারা বললেন, “অমুক মাসের ১৮ দিন পার হওয়ার পরে আমরা মিসরের সবচেয়ে সুন্দরী কুমারী নির্বাচন করবো। তারপর তার বাবা-মাকে রাজি করিয়ে সবচেয়ে সুন্দর পোষাক আর অলংকার দিয়ে সেই কুমারীকে সাজিয়ে নীলনদে নিক্ষেপ করবো। তারপর নীলনদের প্রবাহ শুরু হবে।”
আমর ইবনুল আস (রা) জবাবে বললেন,“ তোমরা আমাকে কুমারী মেয়ের কথা বলছো, যদি তোমরা আমাকে একটা পিপড়ার কথাও বলতে তবুও আমি রাজি হতাম না। কেননা ইসলাম এসেছে মানুষের সম্মান বাড়াতে, জীবনের নিরাপত্তার জন্য। সকল জাহিলী প্রথাকে ধুমড়ে মুচড়ে দিতে। আমি তোমাদের এই অনুমতি দিতে পারবো না।”
গভর্ণরের কথায় স্থানীয় জনগণ তিনমাস অপেক্ষা করলো , কিন্তু নীলনদে পানির কোন রকম হ্রাস-বৃদ্ধি নেই। অবস্থা দেখে স্থানীয় লোকজন দেশত্যাগে প্রবৃত্ত হলো।
হযরত আমর ইবনুল আস রা. তৎকালীন খলিফাতুল মুসলিমীন, আমিরুল মুমিনীন হযরত উমার ফারুক রা. কে চিঠি লিখে অবস্থা অবহিত করলেন।
উমার রা. উত্তরে দুটি চিঠি লিখলেন। একটি আমর ইবনুল আসকে, অন্যটি নীলনদকে।
আমর ইবনুল আসকে লেখা চিঠিতে তিনি বললেন, হে আমর তুমি যা করেছো ঠিক করেছো। এই চিঠির সাথে সংযুক্ত আরেকটি চিঠি তুমি নীলনদে নিক্ষেপ করবে।
আমর ইবনুল আস রা. চিঠি খুলে দেখলেন সেখানে নীলনদের জন্য একটি চিঠি আছে।
চিঠিতে আমিরুল মুমিনীণ লিখেছেন
“‘আল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন ওমর-এর পক্ষ
থেকে
মিসরের নীলনদের প্রতি।
যদি তুমি নিজে নিজেই প্রবাহিত হয়ে থাক, তবে প্রবাহিত হয়ো না।আর যদি একক সত্তা, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তোমাকে প্রবাহিত করান, তবে আমরা আল্লাহর নিকটে প্রার্থনা করছি, যেন তিনি তোমাকে প্রবাহিত
করেন’।
আমর রা. চিঠিটি নীলনদে নিক্ষেপ করলেন। আর রাত না পোহাতেই নীলনদের পানি ১৬ গজ উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়া শুরু করলো।”
তারপর থেকে আজও পর্যন্ত নীলনদ প্রবাহিত রয়েছে। কখনো শুষ্ক হয়নি ।
এই কাহিনী থেকে উপলব্ধি
উপলব্ধি ১- মিসরের সুন্দরী প্রতিযোগিতা হতো নীলনদে বলি দেওয়ার জন্য, এখন সুন্দরী প্রতিযোগীতা হয় কাম-নদীতে বলি দেওয়ার জন্য।
উপলব্ধি ২- জীবন দিতে হলে দিবো, সেটা শুধু আল্লাহর জন্য। অন্য কারো জন্য নয়। যদি কেউ এই জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, তাহলে ওয়াল্লাহি এই জীবনের ঝরে যাওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে সেই ব্যক্তির/ সংগঠনের জন্য অভিযোগ করবো।
উপলব্ধি ৩- নেতা তিনি যিনি তার অধঃস্তনদের ভালা কাজকে স্বীকৃতি দেন।
উপলব্ধি ৪- আল্লাহর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে তার খাদেমদের অনুগত করে দেওয়া হয়েছে।
( তথ্যসূত্র- আল-বিদায়াহ ৭/১০০; তারীখু দিমাশক ৪৪/৩৩৭; তাবাকাতুশ শাফিয়া আল-কুবরা ২/৩২৬
©somewhere in net ltd.