নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্বলন্ত রিপন

বসে থাকাটা মোটেও পছন্দ করি না। হয় খেলি না হয় পড়ি না হয় কম্পিউটার এ প্রোগ্রামিং করি। আর সব ধরনের কাজ শিখতে ভালবাসি।

জ্বলন্ত রিপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধু জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

বন্ধু জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেক

সময় এদের দ্বারা আমরা বিশেষ

ভাবে উপকৃত হই, আবার অনেক সময়

এদের দ্বারাই বাঁশ খাই। অনেক সময়

বড় বাঁশ ,অনেক সময় ছোট বাঁশ। আমার

জীবনেও ছোট একটা বাশ খেয়েছিলাম

আমার এক বন্ধুর দ্বারা। স্কুল এ

একসাথে লেখাপড়া করেছিলাম।

তুলনামুলক ভাবে আমি ওর চেয়ে ভাল

ছাত্র ছিলাম, স্যারেরা বলত। যাই

হোক, আসল কথায় আসি।

ইন্টারমিডিয়েড পরীক্ষায় দুজনেই

ভাল করলাম। আবার শুরু হল ভর্তি যুদ্ধ

। দুজনেই মেডিকেল

ভর্তি কোচিং সেন্টার “রেটিনায়”

ভর্তি হলাম। মেডিকেল

ভর্তি পরীক্ষায় আমার বন্ধু দিনাজপুর

মেডিকেল কলেজ এ ভর্তির সুযোগ পেল,

আর আমি ডাব্বা মারলাম । এখান

থেকেই বাঁশ শুরু । যেখানেই যাই

সেখানেই প্রশ্ন , তুমি কোথায় চান্স

পাইছো????? আমি নিশ্চুপ থাকি,

সেদিন কিছুই বলিতে পারি নাই।

সবাই বলে সে চান্স পেল আর

তুমি পেলে না, তুমি পড়াশুনা কর নি,

এমনকি বাবা মাও এ কথা বলে। সবাই

বলতে লাগলো আমি নাকি মানুষের

দেখে দেখে লিখে এ+ পেয়েছি। আমার

মাথায় আসলে কিছুই নাই। রাগে আর

কোথাও পরীক্ষা দিলাম না। ভাবলাম

জীবনে কি আছে, মেডিকেলেই

ভর্তি হব। দ্বিতীয় বার

পরিক্ষা দিয়ে আল্লাহর অসীম কৃপায়

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এ চান্স

পেলাম। আজ

আমি বলিতে পারি আমি পাইছি,

আমি ইহাকে পাইছি।

অবশেষে মানুষের মুখ বন্ধ

করতে পারলাম । অবাক কান্ড দেখ,

এবার মানুষ আমার নিন্দা করে না।

আমি এখন এলাকার অন্য ছাত্র দের

উধারন হিসেবে থাকি। সবাই

বলে ছেলেটা খুব ছোট

বেলা থেকে ভাল ছাত্র ছিল, এখন

সে ডাক্তারি পড়ছে। আর আমার বন্ধুর

কথা বলি , সে চান্স

পাওয়াতে আমি অনেক খুশি ছিলাম।

যদিও তার জন্য আমাকে অনেক কিছু

শুনতে হয়েছে। সে অনেক গরীব , তার

জন্য মেডিকেল এ চান্স

পাওয়াটা অনেক জরুরী ছিল। যে বন্ধুর

কথা বলছিলাম তার নাম রাজ্জাক।

সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.